প্রসঙ্গ : ধর্মাপরাধ-আওয়ামী নাস্তিকদের ইসলাম বিদ্বেষ-পর্ব: ১
লিখেছেন লিখেছেন বার্তা কেন্দ্র ২৮ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:০৪:৩১ সন্ধ্যা
১। গত----২০১৪, নিউইয়র্কের এক সম্বর্ধনা সভায় লতিফ সিদ্দিকী আল্লাহর রাসূল(সা), হজ্জ এবং তাবলিগ সম্পর্কে চরম অবমাননাকর এবং অশ্রদ্ধাপূর্ণ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি কিন্তু হজ্জ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়ে হজ্জ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী। এ হজ্জে যে কতম্যান পাওয়ার নষ্ট হয়। হজ্জের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সউদে আরব গেছে। এদের কোন কাম নাই। এদের কোন প্রোডাকশান নাই। শুধু রিডাকশান দিচ্ছে। শুধু যাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। এভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ লোক হজ্জে যায়, প্রত্যেকের ৫ লাখ টাকা করে ৫শ’ কোটি টাকা খরচ হয়।”
হজ্জ কিভাবে এসেছে সে সম্পর্কে বলেন, “আবদুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ চিন্তা করলো, জাজিরাতুল আরবের লোকেরা চলবে কিভাবে? তারা তো ছিল ডাকাত (নাউজুবিল্লাহ)। তখন মুহাম্মদ একটা ব্যবস্থা করলো, আমার অনুসারীরা, প্রতি বছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে। এর মধ্যে দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যস্থা হবে।”
২। “বিসমিল্লাহ বললে কী হয়, প্রার্থনায় কিছুই হয় না। কেননা ফিলিস্তিন মুক্ত করার জন্য মক্কায় যে প্রার্থনা করা হয়, তা কবুল হলে এত দিনে ফিলিস্তিন মুক্ত হয়ে যেত।.. .. বস্তির শিশুরা গ্রামের দরিদ্রতম শিশুর চেয়েও অপুষ্টিতে ভুগছে। বিধাতা জন্ম-মৃত্যুর নায়ক। তিনি কেন বস্তিতে এত শিশু জন্ম দিতে যান বুঝি না। (পরিকল্পনা সচিব, ভুইঁয়া শফিকুল ইসলাম-ইউনিসেফের বিশ্ব শিশু পরিস্থিতি রিপোর্ট প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত সভার বক্তব্য : নয়াদিগন্ত-১ মার্চ ২০১২)
৩। “তথাকথিত আল্লাহর শাসন রাষ্ট্রের কোন উন্নতি হবে না-সৈয়দ আশরাফ।
৪। কাফেরদের দেবতাদের নামে আল্লাহর ৯৯ নাম : গাফফার চৌধুরী
কাফেরদের দেবতাদের নামে আল্লাহর ৯৯ নাম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী পন্থী বুদ্ধিজিবী আব্দুল গাফফার চৌধুরী।নারীর পর্দা ও আরবী ভাষা নিয়েও বিরুপ মন্তব্য করেছেন তিনি। নিউইয়র্কে ৩ জুলাই বিকেলে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় করা এই মন্তব্য নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে নিউইয়র্কে হজ ও তবলিগ জামাত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তার ফাঁসির দাবিতে হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী দল বিক্ষোভ করেছে। মন্ত্রিত্ব হারালেও লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘আজকের আরবী ভাষায় যেসব শব্দ; এর সবই কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন- আল্লাহর ৯৯ নাম, সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম। তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। সবই কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এডাপ্ট করেছিল।’ নারীদের বোরকা ও হিজাব নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা হচ্ছে ওহাবিদের লাস্ট কালচারাল ইনভলব। আমি অবাক হচ্ছি। ক্লাস টুয়ের মেয়েরা হায়েজ-নেফাজ পড়বে! এটা আমাদের ধর্ম শিক্ষা হতে পারে?’
তিনি বলেন, ‘মুসলমান মেয়েরা মনে করে হিজাব, বোরকা হচ্ছে ইসলামের আইডিন্টিটি। আসলে কী তাই? বোরকা পরে যাচ্ছে কিন্তু প্রেম করছে। আবার ইন্টারনেটেও প্রেম করছে। আচরণ ওয়েস্টার্ন কিন্তু বেশভূষা ইসলামিক করে আত্ম-প্রতারণা করছে তারা।’ আওয়ামীপন্থী এই কলাম লেখক বলেন, ‘এখন যুগ পাল্টেছে। এখন বাংলাদেশে বোরকা পড়ার বিপক্ষে অনেকেই জেগে উঠেছে। এসব ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
রাসুল আর রসুল্লাহ শব্দটি এক নয় দাবি করে গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘রসুল মানে দূত, অ্যাম্বাসেডর। রসুলে সালাম মানে শান্তির দূত। রসুল বললেই আপনারা মনে করেন হযরত মুহম্মদ (সা.), তা কিন্তু নয়। যখন রসুল্লাহ বলবেন তখন মনে করবেন আল্লাহর প্রতিনিধি। এখন মোমেন ভাই আমেরিকায় থেকে যদি বলেন কিংবা আমি নিজেকে রসুল দাবি করলে কল্লা যাবে।’ কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়ার কথা উল্লেখ করে গাফফার চৌধুরী আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি হাদিস সংগ্রহকারী আবু হুরায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা। আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা। কাফেরদের মধ্যে যারা মুসলমান হয়েছিল পরবর্তীতে তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি।’
গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘পুরো দেশ এখন দাড়ি-টুপিতে ছেঁয়ে গেছে। সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টুপি আর দাড়ির সমাহার। অথচ তারা ঘুষ খাচ্ছেন। এত বড় দাড়ি, এত বড় টুপি; কিন্তু ঘুষ না পেলে ফাইলে হাত দেন না- এটা কী ইসলামের শিক্ষা?’ ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে মন্ত্রিত্ব হারানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে সাফাই গান তিনি। অনেকটা রসিকতার সুরে তিনি বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী কী এমন বলেছিল? তাকে বিপদে পড়তে হয়েছে। তার জন্য আজকে দেশে আন্দোলন হচ্ছে। এসবই হচ্ছে ওহাবীয় মতবাদ ও মাওলানা মওদুদীর চাপিয়ে দেওয়া সংস্কৃতি, যা আমাদের বাংলা ভাষার মধ্যে ঢুকে পড়েছে।’
গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘মানুষের মগজধোলাই করে জামায়াত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। তারা প্রকৃত ইসলামী অনুশাসনে বিশ্বাসী নয়। এরা দীনে মোহাম্মদী নয়; দীনে মওদুদী। আবদুল ওহাব নামে কট্টর এক ব্যক্তির ধারায় এ অঞ্চলে ওহাবী মতবাদ চাপিয়ে দেয় সৌদি আরব।’ বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের উত্থান প্রসঙ্গে এই লেখক বলেন, ‘আমেরিকা তালেবান সৃষ্টি করে বিপদে পড়েছে। আর ব্রিটিশরা ভারত বর্ষকে ভেঙে টুকরো করার পাশাপাশি ইসলামী মতবাদকেও বিভক্ত করেছে পাকিস্তানকে দিয়ে।’
তিনি জানান, পরবর্তীতে যা সৌদি ও ইরানের অর্থায়নে এ অঞ্চলে ওহাবী মতবাদ মাওলনা মওদুদীকে দিয়ে জামায়াতের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। অথচ এই পাকিস্তানই ৫০ হাজার কাদিয়ানী হত্যার দায়ে মাওলানা মওদুদীর ফাঁসির রায় দিয়েছিল। পরবর্তীতে যদিও ফাঁসি কার্যকর করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘এভাবে মুসলমানে মুসলমানে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন ওহাবী ইজম। আমি তো মনে করি শেখ হাসিনার শত ভুলত্রুটি থাকলেও আজকে সিম্বল অব সেক্যুলারিজমের জনক হচ্ছেন তিনি। সে শক্ত হাতে এ সব দমন না করলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যেত।’
গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘যত দিন আমাদের মনে তিনটি প্রাচীর থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ নিরাপদ। বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু। এই তিনটি প্রাচীর থাকলেই তালেবানরা বাংলাদেশকে দখল বা ধ্বংস করতে পারবে না।’ আলোচনায় মূল বিষয়ের বাইরে গিয়ে আল্লাহ ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই বিব্রতবোধ করেন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ডের আহ্বায়ক আবদুল মুকিত চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা যে দল কিংবা মতের হই না কেন, আল্লাহ, নবী, ইসলাম ও নারীর পর্দা নিয়ে এ সব কথা বলা উচিত নয়।’
(চলবে..)
বিষয়: বিবিধ
১৯৭৩ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এগুলার পচে যাওয়া মগজে বর্জ্য আর গন্ধযুক্ত কিট গিজগিজ করছে। নালা নর্দমা যেমন পচা গন্ধ, এদের খুলির ভিতরটাও সেরকম।
সুসংবাদ- ইসলাম এখন ধ্বংসের পথেই এগুছ্ছে।
খালি খালি নিচেরটা, বেশি বেশি চুলকান!
অপি বাইদান, ইয়াহুদীদের জারজ সন্তান
সাহস নেই, ব্লক চালাতে দিয়ে নিজের নাম।
অপি বাইদান, নীলাঞ্জনার অপর নাম
দিনে-রাতে করে যত আকাম কুকাম!
অপি বাইদান, করে শুধু খোদার বদনাম!
দেব-দেবীর পুজা কর, গিয়ে হিন্দুস্থান।
অপি বাইদান, নারী বেশে পুরুষের ছদ্মনাম
এদেশ ভাল না লাগলে যেথায় খুশি যান।
অপি বাইদান, খালাতো ভাই ফখরুল ইসলাম,
ফুুয়াদ পাশা আছে না, করিস না আর সমকাম!
সুসংবাদ- ইসলাম এখন ধ্বংসের পথেই এগুছ্ছে।
-শয়তান/নাস্তিক/মুশরিকরা ইসলামকে ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু তা সম্ভব হবে না...
খালি খালি নিচেরটা, বেশি বেশি চুলকান!
অপি বাইদান, ইয়াহুদীদের জারজ সন্তান
সাহস নেই, ব্লক চালাতে দিয়ে নিজের নাম।
অপি বাইদান, নীলাঞ্জনার অপর নাম
দিনে-রাতে করে যত আকাম কুকাম!
অপি বাইদান, করে শুধু খোদার বদনাম!
দেব-দেবীর পুজা কর, গিয়ে হিন্দুস্থান।
অপি বাইদান, নারী বেশে পুরুষের ছদ্মনাম
এদেশ ভাল না লাগলে যেথায় খুশি যান।
অপি বাইদান, খালাতো ভাই ফখরুল ইসলাম,
ফুুয়াদ পাশা আছে না, করিস না আর সমকাম!
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নাস্তিকমুক্ত রাখতে হলে ছোটকাল থেকেই পারিবারিকভাবে ইসলামের চর্চা করতে হবে।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন