বিবিধ : ক’জনে খবর রাখি? জাতীয় প্রেসক্লাবও ভোট ডাকাতদের হাতে দখল হয়ে গেছে?
লিখেছেন লিখেছেন বার্তা কেন্দ্র ১৩ জুন, ২০১৫, ০৭:৪৯:০১ সন্ধ্যা
অবশেষে বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের মৃত্যুর জাতীয় প্রেস ক্লাবেও বিনা নির্বাচনে দখল দারিত্ব কায়েম করেছে অবৈধ সরকারের তাবেদার একদল ভুয়া সাংবাদিক নামধারী সাংঘাতিকরা। গত সেশনে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন কামাল উদ্দিন সবুজ এবং সৈয়দ আবদাল আহমদ। বর্তমান সরকার জানে প্রেস ক্লাবের আসন্ন নির্বাচনে সরকারপন্থীরা হারবে তাই দখলে নেমেছে। যেমনিভাবে ৫ই জানুয়ারী এবং ২৮শে এপ্রিল গণতন্ত্রেও বুকে বোমা মেওে নিহত করে বাংলাদেশের শিশু গণতন্ত্রকে। ভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচন হয়ে আসছে। এই প্রথম হলুদ সাংবাদিকরা হলুদ রাজনীতিকদের ইন্ধনে প্রেসক্লাবও দখল করল, যা নজিরবিহীন, নিন্দনীয়।
কিন্তু বাস্তবে আমরা কী দেখছি! একদল সাংবাদিক ছাড়া আরা কেউ প্রতিবাদ করছে না। বন্দুকের ভয়ে আজ সবাই নিশ্চুপ। বাকশালীরা ভোটকে কেন ভয় পায়? ব্যালটকে কেন তারা সহ্য কতে পারছে না। আজীবন এই বাকশালীরা গুন্ডামী করেছে আর আমরা লাফাই লাফাই বলছি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। ভুয়া সব ভুয়া ইতিহাস। বাকশালীরা কোনদিনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতে পারে না। ইতিহাস তার সাক্ষী। আওয়ামী লীগ দল গঠন করেছে মাওলানা ভাসানী এবং শামসুল হক সাহেব রা। প্রথমে দলের নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষ যাদের মজ্জাগত তারা নামের মধ্যে মুসলিম কেমন করে রাখবে। মুসলিমকে কেটে সাফ করো। দেশ স্বাধীনের পর সরকার সব দলকে নিষিদ্ধ করলো, বাকশাল হলো। গণতন্ত্র কবরে গেল। মেজর জিয়া এসে গণতন্ত্রকে কবর থেকে তুলে জীবন দান করল। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। ভারতের সহায়তায় শেখ হাসিনাকে জিয়া দেশে আনল ১৪ দিন পর জিয়াকে এরশাদ বাহিনী শহীদ করল, আবার ৯ বছর গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাল। এখন তাই ধারাবাহিকতা চলছে। দেশে বিশৃঙখলা তৈরি করে দালাল মঈন-ফখরকে দিয়ে আবার গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশে আজীবনের জন্য ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছে রেখেছে ইন্ডিয়ার দালাল রা। দেশকে যতদিন পঙ্গু এবং পুরোপুরি কবজায় দিতে না পারবে তাদের দিলে শান্তি নেই। আর কিছুদিন তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রেখে পুলিশ দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের হত্যা করে প্রতিবাদী সবাইকে শেষ করবে। এরপর সিকিম..নেপালের মত হতে পারে সোনার বাংলা!!
(বিশাল ইতিহাস..এগুলো সবাই জানে। বিরক্ত করতে চাই না কাউকে)
বলছিলাম প্রেসক্লাবও দখলে, আগে দু’একটা প্রোগ্রাম বিরোধীরা করত এখন তাও বন্ধ হয়ে যাবে। বিএনপি-জামায়াতের কোন অস্তিত্বই এদেশে থাকবে না। যেভাবে রাম বাম পন্থীরা এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আর কতকাল নীরব থাকবো?
হাজী শরীয়ত উল্লাহ,তিতুমীর,শাহজালাল-এর উত্তরসূরীরা কই?
বিষয়: বিবিধ
৯৫৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নেত্রিই যখন উনার দেবি তখন সাংবাদিক পরিচয় দেন কেন?
মন্তব্য করতে লগইন করুন