টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভুল সিদ্ধান্ত বাজেট ঘারতির মূল কারন হবে ।
লিখেছেন লিখেছেন মাহাবুব আলম বিডি ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:১৬:৩৫ রাত
বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয় রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি । এই খাতে দেখাদেয় যোগ্য অভিভাবক শূন্যতা । যার ফলে দুর্নীতির মাধ্যমে আখের গুছিয়েছেন অনেক টেলিফোন কোম্পানি এবং ভি ও আই পি ব্যবসায়ী ।বর্তমান মন্ত্রী তারানা হালিম তিনি দুর্নীতির বিরুধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। টেলিফোন কোম্পানি এবং ভি ও আই পি ব্যবসায়ীরা দেশের সবচাইতে বড় রাগব বোয়াল । এদের অনেকেই তারানা হালিমের ছাইতে অনেক শক্তি ধর দলের মধ্যে ও অনেক প্রভাব শালী এইসব রাগব বোয়ালের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে কতটুকু সফল হবেন ভবিষ্যৎতে বলে দিবে । সকালের সূর্য উদয় বলেদেয় পুরা দিনটা কেমন যাবে । দেশের প্রতিটা ভি ও আই পি ব্যবসায়ীর কাছে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া পড়ে আছে সেই সব অর্থ আদায়ের তেমন কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি । অবশ্য টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী তারানা হালিম সংসদে বলেছেন বকেয়া আদায়ে ভি ও আই পি কোম্পানি গুলোর উপর ২ টি করে মামলা হয়েছে । ইতিমধ্যে নতুন করে রাজস্ব আয় ব্রিধির জন্য ভি ও আই পি মূল্য বাড়ানোর শিধান্ত নিয়েছেন । সরকারি এই সিদ্ধান্তের কারনে দেশের রাজস্ব ব্রিদ্দির পরিবর্তে আর কমে আসবে । তার কয়েকটি উল্লেখ যোগ্য কারন যেমন ইন্টারনেট প্রযুক্তির উন্নতির কারনে সারা বিশে বিনামুল্লে ফোন করার অনেক apps আছে যেমন viber , whatsApp . IMO, ইত্যাদি । বাংলাদেশে 3G ইন্টারনেট শেবা চালু হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ ইন্টারন্যাশনাল ফোন কল এইসব IMO , viber whatsApp মাধ্যম দিয়ে দেশে যায়। 3G ইন্টারনেট শেবা চালু হওয়ার আগে গড়ে একজন প্রবাসী যেখানে প্রতিমাসে ১০ থেকে ১৫ ডলার দেশে ফোন করার জন্য বায় করতেন এখন সেখানে মাত্র ২ থেকে ৩ ডলার বায় করেন । এই ২/৩ ডলার বায় করেন যখন কোন আত্মীয় বন্ধু বান্ধবের ইন্টারনেট বাবস্থা না থাকে তাহলেই কেবল মাত্র এই অর্থ থেকে বায় করেন । কোন কোন সময় ইন্টারনেট আই পি কল ঠিকমতো পরিষ্কার বুজা না গেলে তখনই কেবল ফোন কল করতে বাধ্য হন প্রবাসীরা । অর্থাৎ প্রবাসীদের ৮০% ভাগ কল ছলে যায় viber , whatsApp . IMO , মাধ্যম দিয়ে ।নতুন করে ভি ও আই পি কল চার্জ ব্রিধির ফলে প্রবাসীরা আরো বেশী IMO , viber , whatsApp নির্ভর হয়ে পড়বে । এবং অবৈধ ভিওআইপি ব্যাবসা আর বেশী প্রসার লাভ করবে । ( পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্দিয়াতে যেখানে প্রতি মিনিট হাফ সেন্ট সেখানে বাংলাদেশে প্রতি মিনিট ২ সেন্ট মূল্য )। নতুন IOF পধত্তি চালু করার পর থেকে দেশে কল প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে ।(সরকার নিধারিত ৪/৫ টি কোম্পানির মাধ্যমে কল প্রবেশের বাধ্য বাদকতা এবং বৈদেশিক অর্থ লেনদেন করার শিধান্ত একটি ভুল নিতির কারনে) প্রবাসীদের ফোন কলের ছাপ একটু ব্রিধি হলেই কল কানেকশন হতে অতিরিক্ত সময় লাগে যায়। এবং ফায়দা লুটছেন নিধারিত এই কোম্পানি গুলি। দেশের মানুষও 3G সেবা চালু করার পর থেকে স্মার্ট ফোন ব্যবহার কারিরাও এই viber , whatsApp নির্ভর হয়ে পড়েছে । অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে উপনীত হয়েছে যে কোন মানুষের ফোন নাম্বার নেয়ার আগেই জিজ্ঞাসা করেন আপনার viber , whatsApp আছে কিনা । বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র তার নিরাপত্তার বিশয়ের কথা চিন্তা করে IMO , viber ইত্যাদি বন্দ করে দিয়েছে । আমাদের বর্তমান সরকারও দেশের অরাজক পরিস্থিতি দাঙ্গা হাঙ্গামা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ২ দিন বন্দ রেখেছিলেন । বন্দ থাকা ২ দিনে বিদেশী কলের পরিমান ব্রিধি পেয়েছিল বর্তমান কলের তুলনায় শত গুন।
অর্থ মন্ত্রীর বাজেটে নির্ধারিত মিনিটের পর অতিরিক্ত কর আরোপ করার ফলে মানুষ আর বেশী viber , whatsApp নির্ভর হয়ে পড়েছে । যার ফলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পরিবর্তে রাজস্ব আয় আর কমে হবে। এবং বাজেট ঘাড়টির মূল কারন হবে ।
মাহাবুব আলম
বিষয়: বিবিধ
১২৫৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন