আওয়ামীলীগ ত্যাগী নেতাদের দল ত্যাগ । সৈয়দ আশরাফের বিদায় ।
লিখেছেন লিখেছেন মাহাবুব আলম বিডি ১০ জুলাই, ২০১৫, ০৮:২৫:২৮ রাত
আওয়ামীলীগ জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত অধিক অংশ ত্যাগী নেতা জীবনের শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ নামের অভিশপ্ত এই দলে থাকতে পারেন নাই ।প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা হামিদ খান ভাসানি , বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব , সামসুল হক , আওয়ামীলীগের বিপধ কালীন সময়ের উধার কারী মাতা নামে ক্ষেত আমেনা বেগম , বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি, মুক্তি জুধ কালীন প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ , মুক্তি জুধের প্রধান সেনাপতি ম এ জি ওসমানী , শাহ্ মোয়াজ্জম হোসেন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট , সিরাজুল আলম খান স্বাধীনতার রূপকার , আব্দুর রব , নুরে আলম সিদ্দিকি ,মুকুল বোশ , ডাকসুর ভি পি সুলতান মণছুর সহ এমন হাজারও ত্যাগী নেতারা জীবনের শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ করতে পারেন নাই । আশরাফ সাহেব ১/১১ সময়ের পরিক্ষিত ত্যাগী নেতা । এই সব নেতাদের কাউকেই কিন্তু কোন রকম দেশদ্রোহিতার অথবা ছুরি ডাকাতি লুটপাটের অভিযোগে দলের মধ্যে কোণঠাসা করে রাখা হয়নি এমনকি এই সব অভিযোগের কারনে এই সব ত্যাগী নেতাদের বহিস্কার করে দেওয়া হয়নি । আশরাফ সাহেবকেও কিন্তু ছুরি ডাকাতির দায়ে মন্ত্রী পধথেকে বিদায় করা হয়নি । যেমন কাল বিড়ালকে বিদায় করা হয়েছিল জনগনের টাকা লুটপাটের কারনে ।কিন্তু কাল বিড়াল খেতাব ধারীরাও আছেন লেজ ধরে ৩২ দাঁত দেখিয়ে । কিছু ত্যাগী নেতা শেষ পর্যন্ত ছিলেন , যেমন আব্দুর রাজ্জাক কিন্তু আমরা দেখেছি তার সাথে শেষ পর্যন্ত কিরূপ আচরণ করা হয়েছিল । আমির হোসেন আমু , তোফায়েল আহমেদ ওনারা আছেন কিন্তু রাস্তায় দাড়িয়ে কান্না কাটি করতেও দেখেছি । অনেকটা লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে আছেন বটে । আওয়ামীলীগ যতবার ক্ষমতায় ছিল ত্যাগী নেতাদের দলত্যাগ করতে হয়েছে । কারন হাতে গনা কয়েকজন বিদেশীদের গৃহপালিত দালাল দেশে অশান্তি ছিষ্টির মূল চক্রান্তকারী বামপন্থীরা এই আওয়ামীলীগ দলের মূল কেন্দ্র বিন্দুতে কৌশলে ডুকে পড়ে ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে । প্রধান মন্ত্রীর চারপাশে এমন বেষ্টনী তৈরি করে তাদের জালে বন্দী করে রাখে যার ফলে দলের কোন ত্যাগী নেতাও দেখা সাক্ষাত করতে পারতেনা ।দলের দুঃসময়ের পরিক্ষিত নেতা অফিস পিওনের এবং বাশার কাজের লোকের কাছে ধরনা দিয়েও বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাত পান নাই । তার কন্যা শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকা কালীন সময়ে সমান কাজটি করেছে এই বামপন্থীরা । দুঃখ জনক হলেও সত্য এই কুচক্রী মহলের কারনেই বঙ্গবন্ধু নিজেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ করতে পারেন নাই ।এই সব চক্রান্তকারীরা বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে আওয়ামীলীগ বিলুপ্ত করে বাকশাল দল গঠন করেছিল । গনত্রন্ত্র প্রতিষ্ঠাতার এই মহানায়ক শেষ পর্যন্ত বাকশালের নেতা হয়েছিলেন।বাকশালের নেতা হিসাবেই তার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হয়েছে । আওয়ামীলীগের নেতা হিসাবে তার মৃত্যু হয়নি ।বর্তমান শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগকে আর বাকশালে পরিণত করা যাবে না ।এই জন্য যে কয়জন আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা ছিলেন তাদেরকে দল থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে কুমন্ত্রনাদায়ী বামরা পূর্ণ দখলে নিয়েছে আওয়ামীলীগকে আজ বামপন্থী দলে পরিণত করেছে।খোদ আওয়ামীলীগের নেতারা প্রকাশ্য বলছে আওয়ামীলীগ আজ আর আওয়ামীলীগ নাই এই দল টি এখন ইসলাম বিরোধী বামপন্থী দল। তাই শেখ হাসিনা তিনিও এখন আর আওয়ামী নেত্রী নন । তিনি এখন ইসলাম বিরোধী বামপন্থী দলের নেত্রী । অর্থাৎ শেখ হাসিনা তিনিও শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ করতে পারলেন না । আপনি আশরাফ সাহেব মাত্র হারিয়াছেন মন্ত্রিত্ব ।কিন্তু আপনার নেত্রী হারিয়াছে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব ।
মাহাবুব আলম
বিষয়: বিবিধ
১১৩৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন