রাজনীতিবিদের বয়স
লিখেছেন লিখেছেন ক্রসফায়ার ১৭ জুন, ২০১৫, ০৫:৩৬:০৪ বিকাল
১৮ বছর না হলে দেশের তালিকাভূক্ত নাগরিক হওয়া যায় না কিন্তু আঠারো বছর হবার পূর্বেই রাজনৈতিক দলের বড় বড় পদ পাওয়া যায়। ৬০ বছরের পর সরকারী চাকুরী করার যোগ্যতা হারায় একজন মানুষ কিন্তু মুখের পাটি থেকে সব দাঁত খসে গেলেও রাজনীতি করতে পারে মানুষ। কি আজব দেশ আমাদের এখানে রাজনীতি করতে হলে কোন মানদন্ডের দরকার হয় না, এখানে রাজনীতি করতে যেমন চোর লুটেরা খুনি ধর্ষকরা পারে আবার তেমনি পারে অনেক ভালো মানুষ তবে তাদের স্থায়ীত্ব ক্ষণস্থায়ী। সরকারী চাকুরী থেকে অবসর বা বাতিল হওয়া লোকগুলো হয় আমাদের নেতা মন্ত্রী তাহলে এরা দেশ চালালে দেশের পরিণত কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। দেশের বর্তমান অবস্থার আলোকে রাজনীতিকের বয়স বিবেচনার দাবী রাখে। বয়সের ভারে ন্যুজ হওয়া নেতারা যেহারে বেফাঁস কথাবার্তা বলে চলেছেন তাতে বুঝা যাচ্ছে অন্য সবখানের জন্য অযোগ্য ব্যাক্তিটি শেষ আশ্রয় হিসাবে রাজনীতিতে যোগ দেয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ুষ্কাল যেখানে ৬৭ বছর সেখানে আশির কোটা পার করা একটা লোক কিভাবে মন্ত্রনালয় সামলাবে? ৫০ পেরুলেই দেখা যায় নানা রকম শারীরিক সমস্যা যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা ইত্যাদি। এগুলো মানুষের কমন রোগ, এই রোগগুলোর পিছে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে তারা সময় পাবে কখন দেশের জন্য কাজ করার ? যার দরূন আমাদের রাষ্ট্রপতিকে দেখা যায় মাসে একবার বিদেশ যেতে শুধুমাত্র শারীরিক চেকআপ করাতে। বর্তমান মন্ত্রীসভার দুই একজন ছাড়া বাকী সবার ৫০ এর উপরে বয়স। দেশ কেমন চলছে সেই তর্কে যাচ্ছি না তবে ষাটোর্ধ মন্ত্রীরা সবাই প্রায় বেসামাল কথাবার্তার জন্য বিতর্কিত হয়েছেন। স্বয়ং আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও বেসামাল কথাবার্তার জন্য একবার আদালত কর্তৃক রং হেডেড ঘোষিত হয়েছিলেন।
একটি লোক যখন বয়সের কারণে চাকুরীতে অযোগ্য ঘোষিত হয় সেই লোক কিভাবে দেশের এমপি মন্ত্রী হয় তা নিশ্চয়ই আপনার মনে ভাবনার জন্ম দিবে। সারা বিশ্বে যেখানে তারুন্যের জয়গান চলছে সেখানে আমরা চলছি এখনো পুরনো মডেলের আমলা আর রাজনীতিবিদদের দিয়ে যারা ৫ মিনিটের বক্তব্যে ৫০টা কাশি দেয়। এটা আমাদের দূভার্গ্য যে আমাদের দেশের সকল ক্ষেত্রই চলছে এই ব্যাকডেটেট লোকগুলো দিয়ে। আর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, দেশকে প্রতিহিংসার রাজনীতির কালো থাবা থেকে মুক্তি দিতে হলে, দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে বুড়োদের বিষাক্ত রাজনীতির হাত থেকে রাজনীতিকে মুক্ত করতে হবে। আসবে নতুন নেতৃর্ত্ব, খুলবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার এই আশাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের বয়সের সীমা নির্দিষ্ট করে আইন পাশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়: বিবিধ
১১২১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ উদাহরন দিন ।
এটা একমাত্র সম্ভব হাসিনা বা খালেদার পরিবারের কেউ হলে ।
জয় / কোকো / তারেক/ পুতুল / ববি/ টিউলিপ - এদের মধ্যে কে ১৮ বছরের আগে বড় বড় পদ পেয়েছে?
কি যোগ্যতায় হাসিনা দলের প্রধান হয়েছিলো কোন পূর্ব রাজণীতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই?
-আপনার এখনও মনে আছে? কিন্তু দেশের মানুষ কবে গেছে ভুলে? ধন্যবাদ।
অনেক আগে দেখা এক হিন্দি মুভির ডায়ারগ ছিল এটা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন