দ্বীনের একাজ কখনো থেমে থাকবেনা

লিখেছেন লিখেছেন ক্রসফায়ার ০৫ জুন, ২০১৫, ১০:২৪:২৬ রাত

২০১৩ সালের কথা, দেশে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন এক অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি। জামায়াতে ইসলামীকে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে যুদ্ধাপরাধ ইস্যু দিয়ে । ইসলামী সাহিত্য দূরের কথা কুরআন হাদীস সাথে নিয়ে থাকাটাই তখন খুবই ঝুকিঁপূর্ণ। কেউ একজন ইসলামের পক্ষে কথা বলতে গেলেই তার গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে যুুদ্ধাপরাধীর তকমা। আলেম সমাজ খুব জড়োসড়ো অবস্থার মধ্যে সময় অতিবাহিত করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর নেতাদেরকে একের একের এক ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্র তখন তুঙ্গে। শাহবাগে জড়ো হয়েছে এক শ্রেনীর ইসলামবিদ্ধেষীরা, তারা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ইসলামপন্থীদের উচ্ছেদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। গোলক ধাঁধার মধ্যে দিন কাটছে নানান শ্রেনীর পেশার মানুষদের। একদিকে নাস্তিক্যবাদী শক্তির দৌরাত্ব, অন্যদিকে কোনঠাসা ইসলামপন্থীরা। কোন দিকে যাবে দেশের মধ্যমপন্থী ইসলামভীরু মানুষেরা? সত্যের পক্ষে কথা বললেই হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহী আবার মিথ্যার পক্ষ নিলেই হারাতে হচ্ছে মূল্যবান ঈমান।

দ্বীনের পক্ষে কথা বলার মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। মনে হচ্ছে পীপিলিকার মতো ঘরে ঘরে জন্ম নিচ্ছে নাস্তিক আর খোদাদ্রোহী। এই বুঝি দেশ থেকে ইসলাম চিরতরে মুছে যাচ্ছে। কিন্তু ইসলাম কি হারিয়ে যাবার জন্য এসেছে? ইসলাম এসেছে বিজয়ী হবার জন্যই। দ্বীনের কাজ থেমে থাকতে পারে না কখনো থামবেওনা। আল্লাহ ইসলামকে বিজয়ী করার জন্যই মনোনীত করেছেন। তাহলে এই কাজ করবে কারা? যারা এই কাজে ছিলো তারা আজ নির্যাতিত, নিষ্প্রেষিত, বাতিলের কারাপ্রকোষ্ঠে বন্দী জীবন কাটাচ্ছে, কেউবা পালিয়ে বেড়াচ্ছে, কেউবা ঘুমানোর জন্য একটু আশ্রয় খুঁজেও না পেয়ে বনে জঙ্গলেই রাত কাটাচ্ছে। কারা ডাকবে মানুষকে ন্যায়ের পথে? কারা সত্যের আহবান জানাবে? দ্বীন প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রামে কারা নিয়োজিত থাকবে তাহলে? কিন্তু দ্বীনের কাজতো থেমে থাকার নয়। বাতিলের দম্ভ চূর্ণ করতেই আবির্ভাব হলো হেফাজতের। পঙ্গপালের মতো মানুষ আসতে থাকলো হেফাজতের পতাকাতলে। হেফাজত ঝড়ে খড়খুটার মতো হারিয়ে গেলো শাহবাগী নাস্তিক্যবাদীর দোসরেরা।

কিন্তু সহজেই কি হয়ে গেছে সবকিছু? অনেকে ঈমানের দাবীতে প্রান দিয়েছে, আহত হয়েছে হাজার হাজার, নিঁখোজ হয়েছে অগনিত। রক্ত দিয়েই তারা বন্ধ করেছে ধর্মদ্রোহীদের জবান, নাস্তিক ধর্মবিদ্ধেষীদের উঁচু মাথা নিচু করে দিয়েছে আল্লাহ ও রাসূৃল(সাঃ) প্রেমী মুসলমানরা। আর এই কাজ আল্লাহ তায়ালা হেফাজতে ইসলামীর মাধ্যমেই করেছেন যেমনটি ফেরাউনকে ধ্বংশ করেছিলেন নীল নদে ফেলে।

দ্বীনের এই কাজ চলবে, থামবেনা কখনো। কখনো সেটা জামায়াতে ইসলামী হয়ে, কখনো হেফাজত হয়ে, কখনো মুসলিম ব্রাদারহুড হয়ে, কখনো হামাস হয়ে। আমরা চেষ্টা করে যাবো দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য, বাকীটুকু আল্লাহর ইচ্ছে। আল্লাহ চাইলেই বাংলাদেশের জমীনে ইসলাম বিজয়ী হবে। আল্লাহ জালিম শক্তিকে উচ্ছেদ করে বাংলার জমীনে দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করে দেবেন ইনশাল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সকলকে ইসলামের জন্য কবুল করে নিক এবং ইসলামী আন্দোলনের সকল বীর শহীদদের শাহাদাতকে কবুল করে নিক এবং সকল আহত পঙ্গুত্ব ভাইদেরকে ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন । (আমিন)

বিষয়: বিবিধ

১১৬২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

324921
০৫ জুন ২০১৫ রাত ১০:৫৯
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : চমৎকার লেখা, ইসলামী আন্দোলন করলে
যে কোন সময়ে জানটা চলে যেতে পারে।
তাই ঈমান হতে হবে শক্ত। ১৪০০ বছর আগেও ঈমান আনলে,বাতিলের আঘাত পেতে
হতো। আজও তাই।
324941
০৬ জুন ২০১৫ রাত ০২:০৩

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : সারা বিশ্বে আল্লার মোমিনরা ইহুদীদের এত কিলগুতা খাওয়ার পরও ইসলামের আল্লা লেজগুটিয়ে মাথা হেট করে রেখেছে। ২১ শতকের বিজ্ঞান সভ্যতায় আল্লার কাল্পনিক আবাবিল পাখির ঝাক হাওয়ার মিলে গেছে।
০৬ জুন ২০১৫ সকাল ০৫:২৭
266958
রক্তলাল লিখেছেন : সারাবিশ্বে ঈহুদীদের কিলগুতা খাচ্ছে নাকি ঈহুদীদের এখনো সর্ব স্বীকত কোনো দেশ নেই। diaspora যাকে বলা হয় তার মধে আছে? হিজবুল্লাহ আর হামাস, (বাকি দেশ লাগতেছেনা) এর চাপেই ইসরায়েলের নাকানি চুবানি - এমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর স্পেশাল ফোর্স মাত্র একটা দেশের দুতবাসকে নিরাপত্তা দেয় আর তা হল মুসলমানদের সৌদি আরব।

কোনো কিছু না জেনে লোযারদের হাগু মুতু খেয়ে অভ্যেস হয়ে গেছে গন্ডমূর্খ্যের মত কথা বলা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File