পালিয়ে যাবার গল্প
লিখেছেন লিখেছেন ক্রসফায়ার ২৫ মে, ২০১৫, ১০:২২:০২ রাত
প্রথম প্রথম যখন তানিয়া তার মায়ের মোবাইল ঘাটাঘাটি করত তখন কেউ খুব একটা পাত্তা দিতোনা। বাচ্চা মেয়ে সবেমাত্র ক্লাস ১০ এ উঠেছে, হয়তো গেমস খেলার জন্য নিয়েছে। মেয়ে মোটামুটি মেধাবীই বলতে হবে আর নিয়মিত পড়তেও বসে তাই তার মা খুব একটা মনযোগ দেননা মেয়ের পড়ার প্রতি। প্রতিদিন সময়মত পড়তে বসে, ইদানীং আবার শুরু করেছে রাত জেগে পড়াশোনা। মায়ের খুশি আর কে ধরে রাখে মেয়ে তার অনকে পরিশ্রমী হচ্ছে। তানিয়ার বাবা বিদেশ থাকে, এক ছোট ভাই আছে ক্লাস ৫ এ পড়ে। তানিয়ার মা তেমন শিক্ষিত মানুষ না, মেয়ে পড়তে বসে পড়তেছে নাকি পড়ার অভিনয় করতেছে সেটা বুঝার সামর্থ্য ছিলো না। সারাদিনের ক্লান্ত শরীর নিয়ে সন্ধ্যার পর খানিক মেয়ের সামনে বসে ঘুমাতে চলে যেতেন। মোবাইলও তেমন একটা চালাতে জানেন না শুধুমাত্র রিসিভ করা ছাড়া। তাছাড়া কাউকে কল দিতে গেলে মেয়ের সাহায্য নিতে হত তাকে। মেয়ে আবার মোবাইল চালানোতে মাসা্ল্লাহ পটু। ইদানীং তানিয়া পড়ার সময়ও কানের মধ্যে মোবাইলের হেডফোন লাগিয়ে রাখে। তার মা তাকে অনেক নিষেধ সত্ত্বেও অনেকটা আবদারের সুরে মাকে বলেছে সে গান না শুনলে নাকি তার পড়ালেখায় তেমন একটা মনযোগ আসেনা। এরপর থেকে মেয়ের কানে হেডফোন লাগানো থাকলেও কিছু বলতো না তার মা। এভাবে পরীক্ষা প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে । রাত জেগে পড়াশোনার কারণে মেয়ের চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে। মেয়ের কিছু কিছু অসংঙ্গতিও চোখে লাগে তানিয়ার মার। খাওয়া দাওয়া অনিয়মিত, বিমর্ষ হয়ে বসে থাকা সবই দেখা যাচ্ছে মেয়ের মধ্যে । বুঝতে পারেনা তানিয়ার আম্মা, ব্র্যাকের কর্মীর বলা সেই বয়সন্ধিকালের সমস্যা নাকি পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ এইসব চিন্তাকে চাপিয়ে যায় আসল সমস্যা। অবশেষে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলো, প্র্যাকটিকেল পরীক্ষার দিন পরীক্ষা দিয়ে আর ঘরে ফেরেনি তানিয়া।
এ কান ও কান হয়ে একসময় তানিয়ার মায়ের কানে আসে তানিয়া এক ছেলের সাথে মোটর সাইকেলে করে পালিয়ে গেছে। এখন কি করবে তানিয়ার মা?
বিষয়: বিবিধ
৯৩০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন