আফগানিস্তান ও তালেবান জঙ্গীদের নিয়ে কিছু পর্যালোচনা॥ শিশুদের কে বাধ্য করা হচ্ছে পপি চাষে ??!!

লিখেছেন লিখেছেন সূফি বরষণ ৩১ মে, ২০১৫, ১১:১৫:১৩ রাত

আফগানিস্তান ও তালেবান জঙ্গীদের নিয়ে কিছু পর্যালোচনা

সূফি বরষণ

তালেবানদের নিয়ে কিছু বলার আগে আফগানদের নিয়ে কিছু বলার দরকার॥আফগানরা দুটি ভাষা গোষ্ঠীতে বিভক্ত একটি হলো পশতুন আর অপরটি হলো

ধারি বা ফার্সী ভাষা॥ দু ভাষাগোষ্ঠীই জনসংখ্যার দিক থেকে প্রায় সমান॥ দু গোষ্ঠীই চাই দেশ শাসন করতে॥ এই ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের॥ উল্লেখ যে

আফগানদের মাঝে যারা ধারি বা ফার্সী ভাষাভাষাী তাদের অধিকাংশ শিয়া মতাবলম্বী ॥ পশতুনরা সুন্নী॥ এই দু ভাষা

গোষ্ঠীর মধ্যেই এক মহামারি আকারে ভেরাম আছে তা হলো সমকামিতা॥ যাদের কে বলা হয় নব্য লুত আঃ এর জাতির লোকদের মতো॥ শিক্ষা ফরজ

হলোও আফগান সমাজে নারীদের তেমন কোন শিক্ষার অধিকার নাই॥ অল্প বয়সেই

বাল্যবিবাহের শিকার হয় ছোট ছোট বাচ্চা মেয়েরা॥ আর আপনারা ভালো করেই জানেন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান দেশ

হলো আফগানিস্তান যারা হোরোইন ও গান্জা উৎপাদন করে॥ সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে আট শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামে

যাবে যারা মদ ও মাদক দ্রব্যের সাথে সংশ্লিষ্ট ॥ সবাই জানেন হোরোইন হলো একমাত্র ভয়ংকর মাদক॥

আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসন শুরুর পর থেকে মাদক উৎপাদন ৫০ গুণ বেড়েছে। রাশিয়ার জাতীয় মাদক বিরোধী কমিটির প্রধান ভিক্টর ইভানভকে উদ্ধৃত করে রুশ বার্তাসংস্থা ‘স্পুটনিক’ এ তথ্য জানিয়েছে।

ভিক্টর ইভানভ বলেছেন, ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েন করার পর থেকে মাদক উৎপাদন ক্রমেই বাড়ছে। গত কয়েক বছরে সেখানে মাদক উৎপাদন ৫০ গুণ হয়েছে। বর্তমানে সেদেশে দুই লাখ ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে পপি চাষ করা হচ্ছে। পপি থেকেই প্রাণঘাতী হেরোইন উৎপাদিত হয়।

 জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের ৯০ ভাগ মাদক দ্রব‍্য উৎপাদিত হয় আফগানিস্তানে। বিশ্বে প্রতি বছর মাদক সেবনের কারণে প্রায় এক লাখ ব্যক্তি মারা যায়। এছাড়া মাদকের কারণে নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অর্থেরও উৎস হচ্ছে মাদক চোরাচালান।-তেহরান রেডিও॥ এছাড়াও আফগানিস্তানে বিপুল হারে বাড়ছে পপি ফুলের চাষ। এই পপি ফুল থেকে তৈরি করা হয় আফিম এবং হেরোইনজাতীয় নেশাদ্রব্য। ২০১৩ সালে আফগানিস্তানের ২ লাখ ৯ হাজার হেক্টর জমিতে পপি ফুলের চাষ করা হয়। বিশ্বের ৯০ শতাংশ পপি ফুল উৎপাদিত হয় এই দেশের মাটিতেই। পপি ফুল চাষে আফগানিস্তানকে বিশ্ব নেতা বলা হয়। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক প্রয়োজনে পপি ফুল উৎপাদন করা হয়, এমনটি নয়। উৎপাদনের সঙ্গে আসক্তিও জড়িত। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ লাখ শিশুসহ আফগানিস্তানের ১৫ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। প্রতিনিয়ত দেশটিতে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে শিশুরাই বেশি মাদকাসক্ত হচ্ছে॥..,প্রশ্ন হলো যারা এতো পাপাচারে জড়িত তাদের

ভাগ্যে দূর্গতী ছাড়া আর কি থাকতে পারে॥ এবার তালেবানদের ব্যাপারে কিছু বলি॥

১৯৭৯_৮০ সালের দিকে রাশিয়ার

আক্রমণ ঠেকাতে সীমান্তবর্তী এলাকা সুবেহ সারহাদ ওয়াজেরিস্তানে সিআইএ

এফবিআই জনে জনে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধে নামায়॥ রাশিয়াকে পরাজিত করতে আমেরিকা তালেবানদের কে

অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে॥ যুগের

আবর্তনে তালেবান জঙ্গীদের কে

সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে নির্মূলের ঘোষণা দেয় আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব॥ আপনারা যারা নিয়মিত সংবাদ পড়েন তারা কি কখনও পড়েছেন ? যে তালেবান

বা আমেরিকান সৈন্যরা হোরোইন বা পপি ক্ষেত ধ্বংস করেছে বা গান্জা ক্ষেত ধ্বংস করেছে॥॥ এদের কেউ বড় কোন হোরোইনের চোরাচালান আটক করেছে॥

হাদীসে মাদককে হারাম করলেও তালেবানরা কেন এসব অব্যাহত রাখছে॥ কেন তারা নারী শিক্ষার বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে॥ কেন

তারা ঘোষণা করে নাই শিয়ারা মুসলিম নয়॥ এরা ইহুদীরের চর॥ তালেবানরা যে জিহাদ করছে তা কতটা ইসলাম সম্মত ॥ আমি আমার আগের পোষ্টে জিহাদের

কথা বলেছিলাম ॥ এই তালেবানরা আমেরিকার সহায়ক শক্তি হিসাবে সারা বিশ্বে ইসলাম কে জঙ্গী ধর্ম হিসেবে প্রচার করতে সহায়তা করছে ॥

আজ এই তালেবানরা বিশ্বব্যাপী অস্ত্র হোরোইন গান্জা মাফিয়া চক্রের সাথে মিলে ব্যবসা করছে॥ নিজেদের কথিত যুদ্ধের রসদ যোগানের জন্যে ???!! এই তালেবানরাই ভুল জিহাদের কথা

বলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে জঙ্গী সংগ্রহ করছে॥ তালেবানদের এই কথিত জিহাদ কতটা ইসলাম সম্মত ??

আর এদেরকে সহায়তা করতে

বাংলাদেশের মুফতী হান্নানসহ বিশেষ করে কাওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকরা আফগান যুদ্ধে গিয়াছিলেন তারা যে ভুল করেছে এবং এখনও করছে তা আমি পরিষ্কার বুঝতে পারছি॥ কোন

ইসলাম রক্ষার ভিত্তিতে আমি আপনি তালেবান বা আল কায়দার জিহাদকে সমর্থন করবো??? যারা সমকামী, মাথা

গরম জাতি জনে জনে অস্ত্র , ভয়ংকর হোরোইন উৎপাদন করে মরণ নেশা বিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে , নারীদের শিক্ষার

অধিকার নাই , যারা আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত॥ এতো পর এবার সিদ্ধান্ত আপনার ?? কথিত জিহাদের বিরুদ্ধে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে এই আন্দোলন চলবে॥

আমি সূফি বরষণ আপনাদের কে

পাশে চাই॥

বিষয়: বিবিধ

১৯৩১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

323743
৩১ মে ২০১৫ রাত ১১:৫১
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : প্রথম কথা এটাকে ভাল মানে ফেলতে পারছিনা, ভাল মানের কোন লেখা বলতে পারছিনা। ব্লগপোস্ট এমন হতে পারেনা। যখন কিছু লিখবেন কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠাবেন তখন সেই অভিযোগটি সত্য প্রমাণের জন্য সঠিক তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে হয়। রেফারেন্স দিতে হয় গলার জোড়ে কোন কিছু প্রচার করা বোকামি। আপনার লেখাটা অনেকাংশেই সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত। কিছু ঠিক আবার কিছু নিতান্তই এর ও কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বা নিজের মস্তিষ্ক উদ্ভুত। আপনি তালিবান, আফগান, আফগানের সামাজিক অবস্হা, রাশিয়ান আগ্রাসন ও আমেরিকান আগ্রাসন, শিয়া-সুন্নী কনফ্লিক্ট ইত্যাদি সব কিছু লেজে-গোবড়ে করে ফেলেছেন। আপনি এমনভাবে লিখছেন মনে হচ্ছে আপনি একাধারে আলেম, আপনিই ইতিহাসবিদ, আপনিই রাজনৈতিক বিশ্লেষক আপনিই মানদন্ড আর তাই আপনার মুখের কথাই প্রমাণ হিসাবে যথেষ্ট, এটা কি হাস্যকর ব্যাপার না? রাগ করবেননা। ব্লগ লিখতে এসেছেন একটু আকটু কটু কথা তো শুনতে হবেই এটাতো ফেসবুক না যে, যা খুশি লিখে পার পেয়ে যাবেন আর ১০০ জন না পড়েই লাইক দিয়ে সটকে পরবে। আমি কারো পক্ষে বা বিপক্ষে বলছিনা আমি জাস্ট আপনার ভুলটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম। আশা করব নিজেকে শুধরে নিবেন।
323754
০১ জুন ২০১৫ রাত ০১:০২
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : তালেবান জঙ্গীদের সাথে বুঝি,আপনার চলাফেরা।
তাই এত কিছু জানেন।
323758
০১ জুন ২০১৫ রাত ০১:৩৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : লিখা থেকে আপনার মূল চাওয়াটা কি বুঝাতে পেরেছেন? আপনি লিখেছেনঃ মুফতি হান্নানের কথা, আপনি কি জানেন যে, মুফতি হান্নানের চৌদ্দ গোষ্ঠীও কাওমী মাদরাসায় পড়েনি।
বিশেষ করে কাওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকরা আফগান যুদ্ধে গিয়াছিলেন তারা যে ভুল করেছে এবং এখনও করছে তা আমি পরিষ্কার বুঝতে পারছি
পরিষ্কার করে আপনিও বুঝেন নি, অন্যদের কিভাবে বুঝালেন! চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অনেক সাধারণও পাকিস্থান থেকে আফগানে গিয়েছে, শুধু কাওমী উল্লেখ করে কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাননি তো!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File