মাওলানা সাঈদীকে যুদ্ধাপরাদী সাজানোর নেপথ্যের কারণ..

লিখেছেন লিখেছেন সূফি বরষণ ৩১ মে, ২০১৫, ০৪:০৫:০১ রাত

মাওলানা সাঈদীকে যুদ্ধাপরাদী সাজানোর নেপথ্যের কারণ..

সূফি বরষণ

জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে মূলত সরকার বিরোধী আন্দোলন ঠেকাতেই যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে অভিযুক্ত করে নাটক সাজানো হয়েছে॥ আমি দৈনিক সংগ্রামে দীর্ঘদিন স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলাম ॥ ঢাকায় কর্মরত প্রায় সব সাংবাদিকই জানেন যে দৈনিক সংগ্রামে একটি সমৃদ্ধ বিষয় ভিত্তিক লাইব্রেরী রয়েছে ॥ যেটা বাংলাদেশের আর কোনো পত্রিকা অফিসে আশা করা যায় না ॥ দীর্ঘদিন সেই লাইব্রেরীতে অনেক বিষয়ের তথ্য উপাত্ত নিয়ে পড়াশুনা এবং গবেষণার আল্লাহ সুযোগ দিয়েছিলেন ॥ ৭১ সালের দৈনিক ইত্তেফাক দৈনিক পাকিস্তান দৈনিক সংগ্রাম দৈনিক সংবাদসহ অন্যান্য কোনো সংবাদ সাময়িকীতে এমনকি ইংরেজী সংবাদপত্র গুলোতেও কোথাও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে মাওলানা সাঈদীর নাম পাইনি ॥ এমনকি তিনি স্বাধীনতার প্রথম একদশক কোনো পরিচিত সম্পূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন না॥ তিনি আশির দশকে জামায়াতের রাজনীতিতে যোগদান করার পর থেকে দেশে পরিচিত বাড়তে থাকে॥ আর উল্লেখ যে আমি মুক্তিযুদ্ধের উপরে অনেক গুলো বই পড়েছি সেখানে কোনো বইয়ের পৃষ্ঠায় মাওলানা সাঈদীর নাম কিংবা ইংগিতও পাইনি ॥॥ আল্লাহ শপথ করে বলছি কোথাও আমি মাওলানা সাঈদীর নাম যুদ্ধাপরাধী হিসেবে পাইনি আমার ব্যক্তিগত গবেষণায়॥

আসল কথা হলো মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রাজাকার নন ॥ এটা সম্পুর্ণ বানোয়াট মিথ্যা অভিযোগ তিনির উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ॥ ওনার এলাকার মানুষসহ মুক্তিযাদ্ধাদের সাথেও আমি কথা বলেছি, এমনকি হিন্দু ভাইদের সাথেও কথা বলেছি কেউ বলেনি যে বর্তমান সাঈদী ৭১ এর দেলোয়ার সিকদার বা দেইল্যা রাজাকার ছিল ॥

হলুদ মিডিয়া আর আগ্গাবহ তদন্ত দল এবং বিচারক দিয়ে হাসিনা ক্ষমতার জোরে অনেক কিছুই করতেছে , কিন্তু আল্লাহর আদালতের জন্যে এইসব জুলুমের বিচার তুলে রাখা হলো॥

তিনি যদি সত্যিকার অর্থেই রাজাকার হতেন তবে সেখানে আমার কোনো কিছুই বলার ছিল না॥ কিন্তু একটা নির্দোষ নিরাপরাধ মানুষকে এভাবে বিনা দোষে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে আমি কোনো ভাবেই একমত হতে পারছি না॥ এটা একটা বড় জুলুম বড় অন্যায় করা

হয়েছে ॥

আল্লাহ আদালতে একদিন সবাইকে এর জন্য কঠিন জবাবদীহি করা হবে ॥

মাওলানা সাঈদীর এতো জনপ্রিয়তা ও জামায়াতের রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত থাকার কারণেই সরকার ভীষণ ভীত হয়ে ওনাকে কারাবন্দি করেছে ॥ বানানো হয় একেরপর এক সাজানো মিথ্যা মামলা ॥

মাওলানা সাঈদীর হাতে সারা দেশে অসংখ্য মানুষ মুসলিম হয়েছে ॥ তবে কেউ এই কথা বলতে পারবে না যে তিনি কাউকে জোর করে মুসলিম বানিয়েছেন?॥ অনেক হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসরণকারীরা রাত জেগে ওনার ওয়াজ শুনতো ॥ যার প্রমান হিসেবে দেশের অনেক মানুষ প্রতক্ষ্যদর্শী ॥

বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ এবং ইসলামী চিন্তাবিদের মধ্যে তিনি একজন শ্রেষ্ঠবাগ্মী ॥ এটা একটি খোদা প্রদত্ত বিশেষ নেয়ামত যা আল্লাহ তাকে দিয়েছে ॥ মাওলানা সাঈদীর তাফসির মাহফিলে যেমন থাকে অনেক তথ্য সমৃদ্ধ আলোচনা তেমনি থাকে ধর্ম ও রাজনৈতিক বক্তব্য ॥ আর এইসব বিষয়ের থাকে খুব সুন্দর সরল উপস্থাপনা ও অসাধারন উপমা ॥ তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন শক্তিশালী ধর্মীয় নেতা॥

তিনি যদি আজ মুক্ত অবস্থায় থেকে বক্তৃতা শেষে সবাইকে ডাক দেন রাস্তায় নামতে, তবে সবাই আল্লাহু আকবার বলে জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমে পড়তো ॥ তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি, কুড়িগ্রাম নীলফামারি লালমনির হাট জেলা গুলোতে কি ভাবে নারী পুরুষ শিশুরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছিল একমাত্র সাঈদীকে ভালোবেসে ॥ এতে প্রমাণ করে তিনি সত্যিই কুরআনের খাদেম॥ কুরআন প্রেমি একই পরিবারের অনেক সদস্য শহীদ হয়েছে কিন্তু তারা আন্দোলন বন্ধ করেনি॥॥

আরও প্রমাণ মিলে মিথ্যা মামলায় মাওলানা সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেয়ার পরও আবার জনতার আন্দোলনের ভয়ে সরকার যাবৎজীবন কারাদন্ড দেয় ॥  এই অবৈধ ডিক্টেটর সরকার ভালো করেই জানে যে, তাদের পতনের জন্য একজন সাঈদী যথেষ্ট ॥

দেশে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সংঘটিত করার মতো নেতার অভাব ॥ তাই আজ এই অবৈধ সরকার জগ্ধল পাথরের মতো জনগণের উপরে চেপে বসে দুঃশাসন চালাচ্ছে॥ মাওলানা সাঈদী যদি আজ মুক্ত থাকতো তবে জামায়াতও অনেক চাঙ্গা হয়ে দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক দল হতো এবং অবৈধ সরকারেরও পতন হয়ে যেতো॥

আর এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কোন সুযোগই দিবে না হাসিনা, এইটা আজ দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার ॥ এই অবৈধ সরকারের বড় আতঙ্কের নাম সাঈদী॥ বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে সাঈদীর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে॥ অনেক আওয়ামী নেতাও ওনার তাফসির শুনে॥ 

মাওলানা সাঈদীর জনপ্রিয়তা এবং জনগণকে আন্দোলনে সংঘটিত করার অসম্ভব ক্ষমতায় ভীষণ ভীত হয়ে অবৈধ খুনী ডিক্টেটর হাসিনা ওনাকে কারাগারে বন্দি করে ॥ দেশকে হাসিনার দুঃশাসন আর ভারতীয় আধিপত্ত্যবাদের বিরুদ্ধে আজ জনতার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করতে হবে॥ আগামী দিনের বাংলাদেশ

ইসলামের রাজ হবে যদি ধৈর্য ধরে পরিস্হিতি মোকাবিলা করা যায় ॥ আর জনগণের পক্ষে সরকার বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে ॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে

সূফি বরষণ

বিষয়: বিবিধ

১৪৬৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

323557
৩১ মে ২০১৫ সকাল ০৫:৩৪
শেখের পোলা লিখেছেন : এ কথা তারাও জানে যারা তাকে আটক রেখেছ আর অন্যদের বিনা দোষে ফাঁসীর রশিতে ঝুলিয়ে চলেছে৷ আল্লাহ এদের হেদায়েত দিক৷ ধন্যবাদ৷
323578
৩১ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ পিলাচ
323595
৩১ মে ২০১৫ দুপুর ০১:৫০
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : লেখককে ধন্যবাদ। আমরা কি আমাদের নয়নের কাজলকে ভুলে গেছি? হে আল্লাহ!কুরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীকে কুরআনের ময়দানে ফিরিয়ে দাও। আমিন।
323607
৩১ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৪৫
জেদ্দাবাসী লিখেছেন :
হতে পারে সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমেছিল বলেই ভারতের 'র'এর ইশারায় সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ কেটে যাবৎজীবন কারাদন্ড দিতে বাধ্য হয়েছিল,কারন বন্দি সাঈদীর চেয়ে মরা সাঈদীকে ভারতের ভয় বেশি। আপনি সাংবাদিক এবং গবেষক আর একটা গবেষনা আপনি করতে পারেন ভারতের মুর্শিদাবাদের নাগরিক বর্তমানে সউদি রাজদরবারের দরবারি আলেম বেতন ভুগি দায় মতিউর রহমান মাদানি নামের লোকটা মজলুম বন্দি সাঈদীর বিরুদ্ধে খুব জুরেশোরে বিদ্ধেষ প্রচারনা চালাচ্ছে। জনপ্রিয় জনন্দিত সাঈদীকে কলংকিত করার তার এই আপ্রান প্রচেষ্টা যথেষ্ট সন্দেহ জনক । সে গয়েন্দা সাস্থা 'র'এর কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে কিনা খোঁজ খবর নেওয়া উচিত।
জাযাকাল্লাহ খায়ের।
323614
৩১ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৫৮
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : মতি. সাহেব আহলে হাদীসের মূকোশ পড়েই সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে বিদ্ধেষ চালাচ্ছে। আমি পনের বছর সউদি আহলে হাদিস ও সালাফিদের খুব কাছ থেকে দেখেছি তাঁরা একতেলাপের ব্যপারে সচেতন আছে এগুলু নিয়ে দলাদলি পঁছন্দ করেনা। ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File