আমি মইরা যামু, তবু ঢামেকের ১৫' ব্যাচের কোনও ছাত্রের কাছে ভবিষ্যতে চিকিৎসা নিমুনা
লিখেছেন লিখেছেন বিনো৬৯ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৪৮:০১ বিকাল
ছোট রোগ হলে নাপা-প্যারাসিটামল দিয়ে মানুষ কাজ চালিয়ে নেয়। একটু বড় রোগ হলে, নিজেদের গাও-গেরামের চিকিৎসকের কাছ থেকে দু-একটি পথ্য চেয়ে নেয়। দু-একদিন খায়। তারপর ডাক্তারকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কিনে আনা ওষুধের চৌদ্দটা বাজায়।
তবে মানুষ গুরুতর অসুস্থ হলে, সাধারণত হেলাফেলা করা যায়না এমন রোগ শরীরে দানা বাঁধলে, তখন চায়; কোনও ভাল হাসপাতালে, একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে। তখন মানুষ নিজেকে বাঁচাতে টাকার মায়া করেনা। যত দূর-ই হোক, ভাল চিকিৎসাকেন্দ্র ও অভিজ্ঞ ডাক্তারের মুল্য কখনো কমেনা।
কিন্তু, আমরা এখন জেনে গেছি, বাংলাদেশের অলিগলিতে হাজারো হাতুড়ে ডাক্তারদের পাশে আরো একটি বিরাট অংশ যুক্ত হতে যাচ্ছে। যদিও এরা সরকারি সার খেয়ে মোটা হবে। তবে এদের ভুঁড়ির ভেতরে ডাক্তারি বিদ্যার চেয়ে পচা ডিমের দুর্গন্ধ বেশি থাকতে পারে! কারণ এগুলো সব টু-টু কোম্পানির ম্যানেজার। নকল করে পাশ করেছে।
যারা যোগ্য, মেধাবী, কল্যাণকামী, ওদের কোনও জায়গা হয়নি ঢামেকের ১৫'সালের ব্যাচে। ময়লার ভাগাড়ে যেমন দু-একটি ভালো খাবারও পাওয়া যায়, তেমনই এই অকর্মার দলের মাঝে যদি সত্যিকারের দু-একজন মেধাবী ছাত্র ঢুকে গিয়ে থাকে, তবে তাদের দুর্ভাগ্য যে তারা এই ডাস্টবিনে ঢুকে গেছে!
আমি মুমূর্ষু হয়েও এই শঠ'দের চিকিৎসা নিতে চাইনা। কারণ, মরে যাওয়ার আগে আমি এই সন্দেহে দুলতে চাইনা যে আমাকে সুচিকিৎসার বদলে আরো মৃত্যুমুখে পতিত করা হয়েছে! এই নকলবাজ ডাক্তাররা ভবিষ্যতে এমনি করবে!
সবশেষে, যারা নিজেদের যোগ্যতায় পাশ করেছেন, তাদের প্রতি অভিনন্দন ও এই লেখার আওতাহীন করে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যারা পাশ করেছে, তাঁদের উচিৎ নিজেদেরকে অযোগ্য ঘোষণা করা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন