ছেলের সামনে মা-কে ধর্ষণঃ একরাশ ক্ষোভ ও বেদনা
লিখেছেন লিখেছেন বিনো৬৯ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৫৫:০৬ রাত
কোনও ছেলের সামনে তার মাকে ধর্ষণ করা, কথাটি বলতে গেলেও লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে আসে। ভাবা যায়না, শোনা যায়না, কল্পনাও কেমন বীভৎস হয়ে ওঠে!
এমনটি যদি ঘটে, ছেলেটি নিতান্ত 'হিজড়া' না হলে, নপুংশক না হলে, সে তার মায়ের অসম্মানের প্রতশোধ নেবেই। সবচেয়ে কঠিন উপায়ে, সবচেয়ে নিকৃষ্টভাবে। এবং মানুষ হিসেবে আমি সেই ছেলেকে সমর্থন করব। বরং তাকে সহায়তা করব। আমি তো জানোয়ারের বাচ্চা না যে, যার তার লিঙ্গ এসে যে কোনও গুহায় ঢুকে যাবে- আর সেটা শুনেও আমি অথর্ব হয়ে বসে থাকব।
ঘটনাটি টাঙ্গাইলে ঘটেছে। ইন্টারনেট, ফেসবুক, সংবাদপত্র, টেলিভিশন; এসবের কল্যানে আপনারা সবাই সেটা শুনেছেনও! এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেছে। থানা ঘেরাও করতে গিয়েছে। পরিণামে পুলিশ কী করল? যারা ধর্ষিত হয়েছে, যে ছেলের সামনে তার মাকে নির্যাতন করা হয়েছে, তাকে ও তার সমর্থনকারীদের বুকে গুলি চালিয়েছে। অলরেডি ৩ জনকে মেরেও ফেলেছে।
ধর্ষকদের পক্ষে অস্ত্রধারী পুলিশেরা (পড়ুন সন্ত্রাসীরা) দাঁড়িয়েছে। তাহলে কী বুঝা গেল? পুলিশ নিজেও ঐ ধর্ষণ কে সমর্থন জানিয়েছে!
আমার মতে, যে পুলিশগুলো ওই ধর্ষকদের পক্ষে নির্যাতিত এলাকাবাসীর বুকে গুলি চালিয়েছে, তাদের মা-কে ও তাদের সামনে ধর্ষণ করা হোক। তারপর দেখি ওই হারামজাদাদের কী অনুভূতি হয়!
বাংলাদেশ কী সত্যিই পাগলের দেশ হয়ে গেল? জন্তু জানোয়ার ছাড়া আর কেউ এখানে বসবাস করেনা?
মিডিয়ার বাস্টার্ডগুলো পর্যন্ত ওই ধর্ষণের সংবাদ ভালোভাবে প্রচার করেনি! 'ক্রিমিনাল' পুলিশ আর কুত্তা মার্কা সাংবাদিকগুলোকে আমার মতে লাত্থি দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা দরকার। অবশ্য লাথি খাওয়ার পরও ওদের কোনও ভাবান্তর হবে কিনা আমার জানা নেই।
নির্যাতিতদের জন্য সান্ত্বনা রইল! এছাড়া আর কী-ইবা জানাতে পারি!
বিষয়: বিবিধ
১১০৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন