সোনার পাখি
লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লা আল মামুন ১০ মে, ২০১৬, ১১:১০:৫৩ সকাল
সোনার পাখিরা একে একে উড়ে যায়
ভেঙ্গে ভেঙ্গে হৃদয়ের সকল বাঁধন,
নেকড়ের উল্লাসে কাঁপে জনপদ
বঞ্চিত জনতার হৃদয়ে কাঁদন।
সবুজ -শ্যামলী, সুজলা - সুফলা, সুন্দরের কারুকার্যে ভরপুর জন্মভূমি বাংলাদেশ। বারোশ শতাব্দী তে ইখতিয়ারউদ্দিন বিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলযি এই জমিনে ইসলামি শরীয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ পথ চলার পর ১৭৫৭ সালে এসে শরীয়াহ আইন কিছু মুনাফিকের কারনে পরাজিত হয় ইংরেজ খৃস্টানদের কাছে। এরপর ১৯০ বছর গোলামী জিন্দেগীর অবসান হয় ১৯৪৭ সালে। আবার ১৯৭২ সালে এই বাংলা অলিখিত গোলাম হয়ে যায় ভারতের।
পরাজিত হওয়া মুসলিমদের গোলামীর জিন্দেগি খতম করে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ করার জন্য একটা কাফেলা মরণপণ চেষ্ঠা করে গেছে তার নাম বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাঁটাযুক্ত রাস্তা অতিক্রম করে এতদূর এসেছে। জামায়াত কে বিভিন্ন অপবাদ দেয়ার পরেও বর্তমান তরুণ, যুবক সমাজ তাদের ছায়াতলে অবস্থান নিচ্ছে। জামায়াতের সফলতা দেখে কিছু কুচক্রী মহলের সহ্য হয়নি। তারা জামায়াতের এমন সাফল্য মেনে নিতে পারেনি। তারা খুনের নেশায় মেতে উঠে। আদর্শিক ভাবে পরাজিত করতে না পেরে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ নামক নাটক মঞ্চত্ব করছে। এ নাটকের মধ্যদিয়ে একে একে শেষ করে দিয়ে সোনার পাখি গুলোকে। জামায়াতের উপর এত পরিমাণ অপবাদ, অত্যাচার, জেল-যুলুম, নির্যাতন করার পরও এর একজন কর্মীকে দলচ্যুত করতে পারেনি। ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাইদের অমানুষিক নির্যাতন করার পরও তাদের মনোবল ভাঙ্গতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করতে দিতে মূলত ছাত্রশিবিরের প্রচার করেছে। তাদের কারনে সাধারণ মানুষ আজ জানতে চায় জামায়াত /শিবির আসলে কে তারা কি কাজ করে। সরকার কেন তাদের বিরুদ্ধে এভাবে লেগেছে। এতে করে মানুষ জামাতের কাছাকাছি এসেছে।
সরকার একে একে ইসলামি আন্দোলনের সেনাপতি দের কে হত্যা করছে। তাদের রক্তের লেলিহান শিখা হয়ে যালিমদের জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ইসলামের পতাকা পত পত করে উড়াবে ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: রাজনীতি
১২৫৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন