ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন
লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লা আল মামুন ১৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:১৭:৪৮ বিকাল
আমাদের পাশ্ববর্তি দেশ ভারত। একটি বহুজাতিক দেশ। অনেক গুলো রাজ্য এবং ধর্ম নিয়ে দেশটি গড়ে উঠেছে। তারা ক্ষমতা, যোগাযোগ মাধ্যম সর্বদিক থেকে আমাদের চেয়ে অকেন উন্নত একটি দেশ। তারা সাংস্কৃতিক দিক থেকেও আমাদের চেয়ে ভিন্ন। ভারতের প্রধান ধর্ম হচ্ছে সনাতন হিন্দু ধর্ম। পক্ষান্তরে আমাদের দেশের প্রধান ধর্ম হলো ইসলাম। আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা তাদের সমাজ ব্যাবস্তা থেকে আলাদা। জীবন-যাপন সহ প্রায় অনেক ক্ষেত্রেই বৈসাদৃশ্য। ভারত এখন প্রায় অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ম নিরপেক্ষ হয়ে গেছে। যা আমরা তাদের পরিচালিত ছবি, নাটক এবং টিভি সিরিয়াল দেখে অনেকাংশে বুঝতে পারছি। সাম্প্রতিক প্রকাশিত মুভি পিকে, বজরঙ্গী ভাইজান সহ অন্যান্য মুভি গুলো। সেখানে প্রধান চরিত্র ছিল যার সে কিন্তু একজন মুসলমান। অথচ তাকে অভিনয় করতে হয়েছে হিন্দু চরিত্রে। এখানে শেষ নয়, কাহিনীকার এমন ভাবে কাহিনী সাজালেন যে মনে হচ্ছে হিন্দু এবং মুসলমানের মধ্যে কোন ফারাক নেই। তারা আল্লাহ এবং ভগবানের মধ্যে কোন পার্থক্য করে না। BAJRANGI BHAIJAN মুভিতে বজরঙ্গীদের এমনভাবে প্রকাশ করেছে যেন তারা অনেক ভালো মানুষ। আসলে বজরঙ্গীরা হচ্ছে উগ্র হিন্দুবাদি সন্ত্রাসি সংঠন।যারা গুজরাটে তিন হাজারের বেশি মুসলমানকে হত্যা করেছে। এখানে হনুমানের মত একটা প্রাণী কে এমন ভাবে দেখানো হয়েছে যেন সে সর্বশক্তিমান। তাকে ডাকা হয়েছে হনুমান জি বলে। কত সম্মান দেখানো হয়েছে। একজন ইমাম সাহেব তার ছেলে মেয়েদের নিয়ে গেল চিড়িয়াখানায় পশুপাখি দেখার জন্য। হঠাৎ করে ওনার ছেলে ডাক দিয়ে বলে বাবা ঐ যে হনুমান জি। তাহলে এই যে শিক্ষাটা সে পেল এটা কি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন না। এখন যেভাবে সিরিয়াল দেখানো হচ্ছে তা দেখে কি শিক্ষা নিচ্ছে দেখেন। বিপদে পড়লে হায় আল্লাহ! না বলে বলে হায় ভগবান। ঘর থেকে বের হতে বলে নারায়ণ! সমস্যা দেখলে ইন্নালিল্লাহ বলে না বলে ধুজ্ঞা, ধুজ্ঞা! ভারতীয় সিরিয়াল দেখার জন্য স্বামি ঝগড়া করে দু'জনে হাসতাপালে ভর্তি হয়েছে। এভাবে যদি বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের পরিবার তো পরে আগে আমাদের ঈমান রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
চলবে
বিষয়: বিবিধ
১৩০৬ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন