নব্য-কসাই
লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লা আল মামুন ১৪ আগস্ট, ২০১৫, ০৭:১৯:২০ সন্ধ্যা
ডাক্তার আমাদের সমাজের একটা সম্মানজনক পেশা। আমাদের সমাজের মানুষেরা এ পেশাকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখে। ডাক্তার সে যেমনি হোক। আসুখ হলে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে ছুটে যায়।
ডাক্তারি পেশা একটি সেবা মূলক পেশা এবং হাসপাতাল একটি সেবা আয় মূলক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে ডাক্তাররা এক এক জন কসাই/দালাল। আর হাসপাতাল গুলো হচ্ছে এক একটা ভাগাড়। এখন আহরহ রোগ নির্ণায়ক প্রতিষ্ঠান বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যাঙেরছাতার মত গড়ে উঠছে। আর ডাক্তার সাহেবরা হচ্ছেন এ সমস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল। যে প্রতিষ্ঠান যত বেশি কমিশন দিবে এরা সেখানে রোগী পাঠাবে রোগ নির্ণয় করার জন্য। সে প্রতিষ্ঠানের কেমিষ্ট কেমন, তারা কতটুকু দক্ষ সে ব্যাপারে তাদের কোন মাতাব্যাথা নাই।
তার দরকার কমিশন।
আজ দুপুরে আমি যখন এই লেখাটা লিখছিলাম মাইজদির একটি বেসরকারি হসপিটালের ওয়েটিংরুমে বসে। তখন বাহিরে তাকিয়ে খেয়াল করলাম একজন রোগীকে নিয়ে আসল অটোতে করে। তাকে দ্রুত স্ট্রেচারে শোয়ানো হলো। জরুরি বিভাগ থেকে ডাক্তার আসল। সে তার বিপি টেষ্ট করল। সিরা চ্যাক করল। কিন্তু বলছে না লোকটা কি মারা গেছে না বেঁচে আছে। এরপর আর একজন ডাক্তার আসল সে তার সিরা দেখে মাথা নেড়ে ইশারা করল সে মারা গেছে। তৎক্ষণাৎ পাশে থাকা ডাক্তার বলল না আরো টেষ্ট করতে হবে। সাথে সাথে ইসিজি, ব্লাড টেষ্ট, X-Ray ইত্যাদি টেষ্ট করার জন্য নির্দেশ করা হলো। আমি বসে বসে তামাশা দেখছি। কিছুক্ষণ পর রেজাল্ট আসল He is no more!!! লাশের মালকেরা লাশ নেয়ার জন্য বললে হাসপাতাল কতৃপক্ষ লাশ দিতে আস্বিকার করে। তাদের মতে, আগে টেষ্ট গুলোর ফি তারপর লাশ নিতে পারবেন। দেখলাম কিভাবে মৃত মানুষের উপর অত্যাচার করে তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিতে হয়। দেখলাম একজন ডাক্তারের তার রোগীর প্রতি আন্তরিকতা। শেষ পর্যন্ত লাশের মালিকেরা টাকা দিয়ে লাশ নিতে হয়েছে। আসলে ডাক্তারদের কি দোষ। যত দোষ আমাদের সিস্টেমের। রাষ্ট্রীয়ভাবে যতদিন এর সমাধান না হবে ততদিন চলতেই থাকবে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৭ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ ই.সি.জি. করাতে পারে । যদি কনফিউশন থাকে । একেবারে অচেতন রুগীকে যে এক্স-রে করাবে সে জন্য তো তাকে দাঁড়িয়ে রাখার জন্য কাউকে দিয়ে ধরিয়ে রাখতে হবে । ব্লাড টেস্ট করাতে পারে আঙ্গুল প্রিক করে , ব্লাড সুগার ফল করে গেলে এরকম অচেতন অবস্থায় চলে যেতে পারে ।
একজন রোগীকে মৃত ঘোষনা করার আগে ২-৩ বার তার ভাইটাল সাইন চেক করতে হয়।
টাকা না পে করে ডেড বডি নিয়ে যেতে দেয় না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এটা ঢাকার বড় বড় বেসরকারী হাসপাতালেও করে ।
আপনি যতই ভাল ছাত্র হোন না কেন কোন বেসরকারী ভার্সিটি আপনার কাছ থেকে কম ফিস নেবে না । তাতে সমস্যা হবে না ।
আপনি যতই বার্গেইন করেন না কেন কোন ফিক্সড প্রাইজের দোকান আপনার কাছ থেকে তার পণ্যের দাম কমাবে না । দিনের পর দিন বেড়েই যাবে । কোন সমস্যা হবে না ।
মাছ বিক্রেতা তার মাছের দাম আপনার নাগালের বেশ বাইরেই রাখবে । এই সপ্তাহে যে দাম হবে পরের সপ্তাহে তার চেয়ে বেশী হবে । কোন সমস্যা হবে না
রাজনীতিবিদেরা প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা না করলে কোন সমস্যা হয় না ।
সমস্যা হয় ডাক্তাররা যখন কিছু করে।
দেখুন তারা প্রথম বার যখন দেখে বুঝল যে লোকটা মৃত। তাহলে এ তামাশা করার কি প্রয়োজন ছিল
মন্তব্য করতে লগইন করুন