মৌসুমি ফলের পুষ্টিগুন
লিখেছেন লিখেছেন তাসনুভা ০৯ মে, ২০১৫, ১২:১৩:১৯ রাত
“যেকোনো মৌসুমি ফলের পুষ্টিগুণ অন্য মৌসুমের প্রক্রিয়াজাত করা ফল বা বিদেশি ফল থেকে বেশি হয়ে থাকে”, বলেন পান্থপথে অবস্থিত অ্যাস্থেটিক স্কিন লেজারের পুষ্টিবিদ তায়েবা সুলতানা। তাই সুস্থ থাকতে খেতে হবে মৌসুমি ফল।
এই সময়ের ফলের বৈশিষ্ট্য নিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমীন বলেন, “সাধারণত রসালো ফলগুলোই গ্রীষ্মকালে বেশি পাওয়া যায়।”
আর ফলের মধ্যে প্রধানত আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, আনারস ও পেয়ারাই বেশি পাওয়া যাবে। পাশাপাশি বাঙ্গি, আতা, জলপাই, লেবু, সফেদা, ডেউয়া, গাব, চালতা, মাখনা, জামরুল, আমলকী ও গোলাপজামেরও দেখা মিলবে বলে জানান এই অধ্যাপক।
গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর পুষ্টি উপাদান ও শরীরে এর উপকারিতা সম্পর্কে পুষ্টিবিদ সুলতানা বলেন, “এই মৌসুমের ফলগুলোতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিঙ্ক।”
তিনি আরও জানান, এসব ফলে জলীয় অংশের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যা অতিরিক্ত গরমে শরীরে পানির বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে।
একজন মানুষের দৈনিক ফল খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বা চাহিদা নির্ভর করবে তার বয়স, পুরুষ বা নারী, শারীরিক পরিশ্রম ও দৈনিক ক্যালরি চাহিদার ওপর।
এক্ষেত্রে প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি ফল খাওয়া উচিত বলে মনে করেন এই পুষ্টিবিদ। তবে দুটি ফল খাওয়া সম্ভব না হলেও অন্তত একটি ফল অবশ্যই খাওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
গ্রীষ্মের গরমে সাধারণত হিটস্ট্রোক, সাধারণ ঠাণ্ডা-কাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। আর এসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে বেশি করে ডাবের পানি, আনারস ও তরমুজসহ অন্যান্য রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
পাশাপাশি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভালো রাখতেও সহায়তা করবে এসব ফল।
আম, জাম, কাঁঠাল, লেবু, বাঙ্গি, পেয়ারা ইত্যাদি ফলে থাকা ভিটামিন এ ও সি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর এসব ফলে থাকা ভিটামিন এ, শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি ত্বক সুন্দর রাখতেও বেশ কার্যকারী ভিটামিন এ।
অন্যদিকে ভিটামিন সি রক্তকণিকা (হিমোগ্লোবিন) তৈরির জন্য আয়রন শোষণে সহায়তা করে। পাশাপাশি দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও যেকোনো ক্ষত দ্রুত শুকাতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
ফলে থাকা আয়রন অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করার পাশাপাশি রক্তকণিকা গঠনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখে। আর গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান সুলতানা। কারণ আয়রন শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালোভাবে বেড়ে উঠতে ভূমিকা রাখে।
আম, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা ইত্যাদি ফলে থাকা জিঙ্ক উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি সন্তান ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে, বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকার। স্বাদ, গন্ধজনিত ইন্দ্রিয়ের ক্ষমতাও বাড়াবে এই উপাদান। অন্যদিকে ত্বক, চুল ও নখ ভালো রাখতে সাহায্য করবে জিঙ্ক।
আর ফলে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে সহায়তা করবে।
তবে ফল শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও নির্দিষ্ট কিছু রোগের ক্ষেত্রে ফল খেতে হবে পরিমিত।
এক্ষেত্রে বেশি শর্করা আছে এমন ফল যেমন— আম, কাঁঠাল, লিচু, আতা ইত্যাদি দিনে একবারের বেশি খাওয়া উচিত নয়। আর যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এসব ফল পরিমাণে কম খাওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শে ফল খাওয়ার কথা বলেন সুলতানা।
তবে লেবু, পেয়ারা, আমলকী ও ডাবের পানির মতো কম শর্করার ফল ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
যাদের কিডনি সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে গাব, আমলকী, আম, আনারস, ডাবের পানির মতো উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত ফল এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি জাম, কাঁঠালজাতীয় ফল পরিমাণে বেশি খেলে পেট ফেঁপে যেতে পারে বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তাই বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ক্ষেত্রে এই ফলগুলো পরিমাণে কম খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সবশেষে, কিছু চর্ম রোগ যেমন— সোরাইসিস রোগীদের লেবুজাতীয় ফল এড়িয়ে চলতে হবে বলে জানান এই পুষ্টিবিদ।“যেকোনো মৌসুমি ফলের পুষ্টিগুণ অন্য মৌসুমের প্রক্রিয়াজাত করা ফল বা বিদেশি ফল থেকে বেশি হয়ে থাকে”, বলেন পান্থপথে অবস্থিত অ্যাস্থেটিক স্কিন লেজারের পুষ্টিবিদ তায়েবা সুলতানা। তাই সুস্থ থাকতে খেতে হবে মৌসুমি ফল।
এই সময়ের ফলের বৈশিষ্ট্য নিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমীন বলেন, “সাধারণত রসালো ফলগুলোই গ্রীষ্মকালে বেশি পাওয়া যায়।”
আর ফলের মধ্যে প্রধানত আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, আনারস ও পেয়ারাই বেশি পাওয়া যাবে। পাশাপাশি বাঙ্গি, আতা, জলপাই, লেবু, সফেদা, ডেউয়া, গাব, চালতা, মাখনা, জামরুল, আমলকী ও গোলাপজামেরও দেখা মিলবে বলে জানান এই অধ্যাপক।
গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর পুষ্টি উপাদান ও শরীরে এর উপকারিতা সম্পর্কে পুষ্টিবিদ সুলতানা বলেন, “এই মৌসুমের ফলগুলোতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিঙ্ক।”
তিনি আরও জানান, এসব ফলে জলীয় অংশের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যা অতিরিক্ত গরমে শরীরে পানির বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে।
একজন মানুষের দৈনিক ফল খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বা চাহিদা নির্ভর করবে তার বয়স, পুরুষ বা নারী, শারীরিক পরিশ্রম ও দৈনিক ক্যালরি চাহিদার ওপর।
এক্ষেত্রে প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি ফল খাওয়া উচিত বলে মনে করেন এই পুষ্টিবিদ। তবে দুটি ফল খাওয়া সম্ভব না হলেও অন্তত একটি ফল অবশ্যই খাওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
গ্রীষ্মের গরমে সাধারণত হিটস্ট্রোক, সাধারণ ঠাণ্ডা-কাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। আর এসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে বেশি করে ডাবের পানি, আনারস ও তরমুজসহ অন্যান্য রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
পাশাপাশি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভালো রাখতেও সহায়তা করবে এসব ফল।
আম, জাম, কাঁঠাল, লেবু, বাঙ্গি, পেয়ারা ইত্যাদি ফলে থাকা ভিটামিন এ ও সি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর এসব ফলে থাকা ভিটামিন এ, শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি ত্বক সুন্দর রাখতেও বেশ কার্যকারী ভিটামিন এ।
অন্যদিকে ভিটামিন সি রক্তকণিকা (হিমোগ্লোবিন) তৈরির জন্য আয়রন শোষণে সহায়তা করে। পাশাপাশি দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও যেকোনো ক্ষত দ্রুত শুকাতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
ফলে থাকা আয়রন অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করার পাশাপাশি রক্তকণিকা গঠনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখে। আর গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান সুলতানা। কারণ আয়রন শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালোভাবে বেড়ে উঠতে ভূমিকা রাখে।
আম, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা ইত্যাদি ফলে থাকা জিঙ্ক উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি সন্তান ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে, বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকার। স্বাদ, গন্ধজনিত ইন্দ্রিয়ের ক্ষমতাও বাড়াবে এই উপাদান। অন্যদিকে ত্বক, চুল ও নখ ভালো রাখতে সাহায্য করবে জিঙ্ক।
আর ফলে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড় গঠনে সহায়তা করবে।
তবে ফল শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও নির্দিষ্ট কিছু রোগের ক্ষেত্রে ফল খেতে হবে পরিমিত।
এক্ষেত্রে বেশি শর্করা আছে এমন ফল যেমন— আম, কাঁঠাল, লিচু, আতা ইত্যাদি দিনে একবারের বেশি খাওয়া উচিত নয়। আর যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এসব ফল পরিমাণে কম খাওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শে ফল খাওয়ার কথা বলেন সুলতানা।
তবে লেবু, পেয়ারা, আমলকী ও ডাবের পানির মতো কম শর্করার ফল ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
যাদের কিডনি সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে গাব, আমলকী, আম, আনারস, ডাবের পানির মতো উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত ফল এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি জাম, কাঁঠালজাতীয় ফল পরিমাণে বেশি খেলে পেট ফেঁপে যেতে পারে বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তাই বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ক্ষেত্রে এই ফলগুলো পরিমাণে কম খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সবশেষে, কিছু চর্ম রোগ যেমন— সোরাইসিস রোগীদের লেবুজাতীয় ফল এড়িয়ে চলতে হবে বলে জানান এই পুষ্টিবিদ।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তোমাকে সু স্বাগতম! ফল আমার ভীশন পছন্দ! আল্লাহ অনেক নিয়ামত দিয়ে আমাদের ধন্য করেছেন বেশি করে আমাদের শুকরিয়া করা উচিত!
জাযাকিল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন