বর্তমান যুগের কিছু কিছু নামদারী আলেম দেখলে সত্যিই বড় আফসোস হয়৷
লিখেছেন লিখেছেন বাহা উদ্দিন ২০ মে, ২০১৫, ১০:৫৪:৩৫ রাত
আব্বাসীয় শাসনামলে কুতাবা বিন বাক্কার নামের একজন যুগশ্রেষ্ট আলেমের ওয়াজে আহমদ বীন ত্বলুন নামের আব্বাসীয় সম্রাট আসা - যাওয়া করত তার ওয়াজ ভাল লাগত৷
সেই সম্রাট প্রত্যেক বৎসর আসত এবং প্রত্যেক বৎসর হাজার দীনার হাদিয়া দিত মাওলানাকে।
এ ভাবে আঠার বৎসর এসেছে আঠার হাজার দীনার হাদিয়া দিয়েছে , যা বতর্মান বিশ্বের কয়েক কোটি টাকা । একদিন সম্রাট একটি নাজায়েজ কাজে ফতোয়া দেয়ার জন্য একটি চিঠি পাঠালেন মাওলানার কাছে , তিনি পড়ে দেখলেন সেটা নাজায়েজ কাজ । মাওলানা বলেন , আমি কখনো এখানে সাক্ষর করব না , সম্রাট বলল, আচ্ছা ! আমার পোষা বিড়াল আমাকে মেউ করেছে । এখানে সাক্ষর কর নতুবা আমি আঠার বৎসর যে হাদিয়া দিয়েছি তা ফেরত দাও । সম্রাট মনে মনে ভাবেছে মাওলানা কোথায় পাবে টাকা , সব খেয়ে ফেলেছে । সুতরাং বাধ্য হয়ে সাক্ষর করতেই হবে । উনি ঘরের ভিতর গিয়ে আঠারটা দীনারের থলে যে ভাবে সম্রাট দিয়েছিল ঠিক এভাবেই এনে তার চেহারায় নিক্ষেপ করল আর বলল , আঠার হাজার দীনার দিয়ে আমার ঈমান কিনতে এসেছ ! তোমার মত বাদশাহ কে আমি মাছির সমান দাম ও দেই না । সম্রাট আশ্চযর্ হয়ে বলল এটা কি করে সম্বভ ? অথচ বতর্মান জামানার কত আলেম - ওলামা হাদিয়া - তোহফা আওয়ামীলীগ এর ধমর্নিরপেক্ষতাবাদ ও নান্তিক্যবাদ ও মস্কোবাদের কাছে নিজের ঈমান বিক্রি করে দিচ্ছে । হিংস্র ঘাতক ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে ইসলামএর শিকড় বাংলার মাটি থেকে চিরতরে উপড়ে ফেলার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে । সুতরাং আল্লাহর দ্বীন প্রচারের দীর্ঘ অভিযাত্রায় বাধা বিপত্তি থাকবে অনেক কিন্তু বিশাল অভিযাত্রির ইচ্ছা শক্তির সকল প্রতিবন্ধকতা হার মানতে বাধ্য
ইনশাআল্লাহ্ ।
বিষয়: বিবিধ
১২১৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
আমরা এখন মুর্তি বিক্রেতার জাতি হয়ে গেছি। মুর্তি ধ্বংস করতে ভুলে গেছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন