বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেমন জমিদার ছিলেন?
লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ০৭ মে, ২০১৬, ০৯:১০:২৯ রাত
আজ ৭ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫ জন্মবার্ষিকী। কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের ১৮৬১ সালের ২৫শে বৈশাখ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নি:সন্দেহে অনেকের কাছে তিনি বিশ্ববিখ্যাত, নন্দিত ও বড় মাপের কবি। সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় তার বিচরণ ছিল ঈর্ষনীয়। কবি, লেখক, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার সঙ্গীতজ্ঞ ও সুরকার হিসেবে তিনি অতুলনীয়। আমি তার প্রতিভাময় জীবনের অনেক দিক আছে। তাঁর প্রতিভার ধারে কাছেও কেউ নেই। আমি ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথকে জমিদারের চরিত্রে কেমন ছিলেন তার স্বরূপ যতদূর পারি উল্লেখ করতে চাই। তাঁকে নিয়ে ভারত বাংলাদেশ দু’দেশেই আবেগ-উচ্ছ্বাসের অন্ত নেই। ক্ষেত্র বিশেষে তিনি বাংলাদেশে সর্বাধিক আলোচিত। আমাদের দেশের চ্যানেল ও সংবাদপত্র যেভাবে তুলে ধরেন কিন্তু ভারতে তা দেখা যায় না। এদেশের চ্যানেলগুলো রবীন্দ্রনাথের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে যে হুজুগ দেখা যায় তা ভারতে বিরল। আপনি আমার লেখা বিশ্বাস না করলে হাজার হাজার চ্যানেল আছে ইন্ডিয়ার একটু রির্মোটটা প্রেস করুন। তাতে রবীন্দ্রনাথের অস্তি¡ত্ব খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। তিনি তো ভারতীয়দের নমস্য, কিন্তু আমাদের দেশে কেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে এক শ্রেণীর দাসানুদাস! সেটাই মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন?
“এমন একটি দিন অতিবাহিত হয় না যেদিন বাংলার কোথাও না কোথাও তাঁর জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা হয় না। প্রতিনিয়তই তার গান, কবিতা ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, পর্যালোচনা অব্যাহত রয়েছে। রেডিও-টেলিভিশনেও প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো চ্যানেলে প্রচারিত হয় তাঁর গান কবিতা ও সাহিত্যনির্ভর নাটক সিনেমা। বাঙালির জীবনে তিনি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন।...... তিনি জমিদার ছিলেন, ব্যবসা করেছেন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন করেছেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার নোবেল পেয়েছেন, এমনকি তিনি ধর্মগুরুও ছিলেন। ”(১) তিনি বাঙালীর প্রাণ। তাকে ছাড়া নাকি বাঙালীর অস্তি¡ত্ব অকল্পনীয়। আবার অনেকের কাছেই তিনি দেবতুল্য। (২)
রফিক হাসান তার লেখায় রবীন্দ্রনাথকে অনেক গুণে গুণান্বিত করে বলেছেন জমিদার-ব্যবসায়ী-নোবেল জয়ী এবং ধর্মগুরু। কিন্তু এর অভ্যন্তরে যাননি। বৃটিশদের শাসনকে ১৯০ বৎসর দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য রবীন্দ্রনাথের পরিবারকে জমিদার বানিয়েছিলেন, বৃটিশ বন্দনা করে তিনি নোবেল হাতিয়ে নিয়েছেন, আর ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ ছিল তার মজ্জাগত এদিকটার স্বরূপ তিনি ধরতে পারেন নি-পারলেও এড়িয়ে গেছেন। আর বাঙালীর জীবন নাকি আষ্টে-পৃষ্টে জড়িয়ে আছেন। ভাল কথা, রবীন্দ্রনাথ কি মুসলমানদের বাঙালী ভাবতেন? আমাদের বিশ্বকবি কুষ্টিয়াসহ বিরাট অঞ্চলের জমিদার ছিলেন, ইতিহাস থেকে জানি। দেখুন ইতিহাস কী বলে, “কলকাতা ভিত্তিক তৎকালীন হিন্দু বুদ্ধিজীবিদের একটা কমন ডায়লগ ছিল ‘আপনি বাঙালী না, মুসলমান’। পূর্ব বাংলার মানুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাঙালী কবি ভাবলেও, রবীন্দ্রনাথ কিন্তু তাদের বাঙালী ভাবতেন না, ভাবতেন- ‘মুসলমান’ ও ‘প্রজা’। তাদের চোখে উচ্চবর্ণের হিন্দুরাই ছিলো প্রকৃত ‘বাঙালী’। রবীন্দ্রনাথ ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিলেন, কারন বাংলা ভাগ হয়ে গেলে পূর্ব বাংলার প্রজাদেরকে জমিদারীর মাধ্যমে শোষনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে এবং পূর্ব বাংলার প্রজাগণ আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল হয়ে উঠবে! এ ভয়ে দেশপ্রেমের ধোঁয়া তুলেছিল রবীন্দ্রনাথ সহ কলকাতার শিক্ষিত হিন্দু সমাজ। বাংলাদেশীদের অতি প্রিয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কুষ্টিয়ায় দীর্ঘদিন জমিদারী করলেও সেখানে একটি প্রাথমিক স্কুলও সে কোনোদিন প্রতিষ্ঠা করেনি, শান্তি নিকেতন করেছে কলকাতায়, এমনকি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও বিরোধিতা করেছিলেন। ‘রীতিমত নভেল’ নামক ছোটগল্পে তিনি মুসলমান শব্দের সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করেছেন ‘যবন’ (অসভ্য) ও ‘ম্লেচ্ছ’ (অপবিত্র) প্রভৃতি শব্দ।(৩)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারীতে পদার্পণ করার চমকপ্রদ কাহিনী শুনুন। “তার পিতা বুড়ো বয়সে জমিদারীর বিশাল ভার কোন ছেলের হাতে অর্পণ করবেন তা নিয়ে মহাভাবনায় পড়ে যান পিতা। তিনি কবে মারা যান কে জানে? তিনি ভাবলেন, রবিকে জমিদারী কাজের মধ্যে টানতে না পারলে তার চলবে না। এতো বড়ো জমিদারী সব ছারখার হয়ে যাবে। বড়ো ছেলো দ্বিজেন্দ্রনাথ দার্শনিক মানুষ, বিষয়-কর্ম বুঝেও বুঝে না, দেখেও দেখে না। কোনো দিকে খেয়াল নেই তার। হয়তো বলা হলো, জমিদারিতে গিয়ে খাজনা আদায় করে আনো। তিনি গিয়ে প্রজাদের দু:খে ব্যথিত হয়ে খাজনা মওকুফ করে তো লিনেই, এমনকি নিজের পকেট থেকে টাকা-পয়সা দিয়ে এলেন তাদের। সত্যেন্দ্রনাথ সরকারি কাজে আজ এখানে কাল ওখানে, হয়তো ছুটিতে কেবল দিন কয়েক বাবা-মা আত্মীয় স্বজনের সাথে কাটিয়ে যান। তার পক্ষে জমিদারি দেখা মোটেই সম্ভব নয়। জ্যোতিন্দ¿নাথের সংসারের কাজে টান কম। হেমেন্দ্র মারা গেছেন;অন্য দুই ছেলে অসুস্থ। সুতরাং রবীন্দ্রনাথ ব্যতীত জমিদারি দেখবার উপযুক্ত আর কোনো ছেলেই তো তার নেই। পাক্কা জহুরীর যেমন খাঁটি স্বর্ণ-হীরে চিনতে কষ্ট হয়না, ঠিক তেমনি পাক্কা জহুরীর ন্যায় মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জমিদারী চালানোর জন্য বেছে নেন।
আমরা জানি, কবিদের হৃদয় অত্যন্ত কোমল ও আকাশের ন্যায় উদার থাকে। কিন্তু জমিদারদের হৃদয় অত্যন্ত কঠিন ও সংকীর্ণ মনা হয়। হয়তো ব্যতিক্রম কিছু থাকে। কিন্তু ইতিহাসে এদের সংখ্যা খুবই কম। সুতরাং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংকীর্ণমনা ছিলেন কিনা জানি না; কিন্তু তিনি যে কঠিন হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন-মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক তাকে জমিদারী তদারকি করার মনোননয়নই তা প্রমাণ করে।” (৪)
বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণ জমিদারের জমিদারী বন্ধ হয়ে যাবে তাই। অন্য কোন কারণ হয়ত গৌণ। “বঙ্গভঙ্গ হলে তাঁদের জমিদারীর ক্ষতি হয়ে যাবে। যেটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি সে। এ অঞ্চলের মানুষের রক্তচুষে খেয়ে বেঁচে থাকতো ঠাকুর পরিবারের মত জমিদাররা। তারা নানান অজুহাতে প্রজাদের থেকে খাজনা আদায় করতেন। যেমন: গরুর গাড়ি করে মাল নিলে ধূলো উড়তো, তখন ‘ধূলট’ নামক কর দিতে হতো
প্রজারা নিজের জায়গায় গাছ লাগলেও একপ্রকার কর দিয়ে গাছ লাগাতে হতো। সেই করের নাম ‘চৌথ’। গরীব প্রজারা আখের গুড় বানালে এক প্রকার কর দিতে হতো। তার নাম ‘ইক্ষুগাছ কর’। প্রজাদের গরু-মহিষ মরে গেলে ভাগাড়ে ফেলতে হলে কর দিতে হতো। তার নাম ‘ভাগাড় কর’। নৌকায় মাল উঠালে বা নামালে দিতে হতো ‘কয়ালী’ নামক কর। ঘাটে নৌকা ভিড়লে যে কর দিতে হতো তার নাম ‘খোটাগাড়ি কর’ জমিদারদের সাথে দেখা করলে দিতে হতো ‘নজরানা’। জমিদার কখন জেলে গেলে তাকে ছাড়িয়ে আনতে উল্টো প্রজাদের দিতে হতো ‘গারদ সেলামি’। (৫)
রবীন্দ্রনাথের জমিদারি সম্পর্কে অধ্যাপক অমিতাভ চৌধুরী লিখেছেন:
“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সামন্তবাদী প্রজাপীড়ক জমিদার ছিলেন। তার দফায় দফায় খাজনা বৃদ্ধি এবং জোর জবরদস্তি করে আদায়ের বিরুদ্ধে ইসমাইল মোল্যার নেতৃত্বে শিলাইদহে প্রজাবিদ্রোহ হয়েছিলো।(৬)
১৭৫৭ সালে পলাশীতে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যাওয়ার পর ইংরেজরা মুসলমানদের উপর বর্ণবাদী হিন্দুদের সহযোগিতায় দমন, নিপীড়ন ও নির্যাতনের স্টীম রোলার চালায়। জমিদার বাবুদের প্রভু ভক্তির কারণে তাদের জমিদাররিত্ব দিয়েই বৃটিশ শাসন দীর্ঘস্থায়ী রূপ নেয়। প্রজাদের উপর কত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছিলেন ঐতিহাসিকরা চেষ্টা করেছেন তার কিঞ্চিত মাত্র তুলে ধরতে।
খাজনা অনাদায়ে প্রজাদের উপর জমিদাররা কিভাবে শারীরিক নির্যাতন চালাত তার কয়েকটি ভয়ানক তথ্য তৎকালীন “তত্ত্ববোধিনী” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রিকাটি লিখেছেন : “১। দন্ডাঘাত বা বেত্রাঘাত ২। কর্মপাদুকা প্রহার বা জুতাপেটা ৩। বংশ কাঠাদি দ্বারা বক্ষস্থল দলন ৪। খাপরা দিয়ে কর্ণ-নাসিকা দলন ৫। ভুমিতে নাসিকা ঘর্ষণ ৬। পিঠে দুই হাত মোড় দিয়ে বেঁধে বংশ দন্ড দিয়ে মোড় দেয়া ৭। গায়ে বিছুটি দেয়া ৮। হাত-পা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা ৯। কান ধরে দৌড় করা ১০। কাঁটা দিয়ে দলন করা ১১। গ্রীষ্মকালে প্রখর রোদে ইটের উপর পা ফাঁক করে দু’হাত ইট দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা ১২। গোনীবন্ধ করে জলমগ্ন করা ১৩। গাছে বা অন্যত্র বেঁধে টান দেওয়া ১৪। ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে ধানের গোলায় পুরে রাখা ১৫। চুনের ঘরে বন্ধ করে রাখা ১৬। কারারুদ্ধ করে উপবাসী রাখা ১৮। ঘরের মধ্যে বদ্ধ করে লঙ্কা মরিচের ধোঁয়া দেওয়া। ইত্যাদি”(৭)
রবীন্দ্রযুগে প্রজা নিপীড়নের ঘটনা উনিশ শতকেও বিদ্যমান ছিলো। ঘন ঘন খাজনা বৃদ্ধি, হিন্দুদের বিয়ে, শ্রাদ্ধ, পূজা-পার্বণ ও পূণ্যাহের ইত্যাদি সম্পর্কিত খরচ আদায়ে সাধারণ জনগণ সাংঘাতিকভাবে অতীষ্ঠ হয়েছিলো। এদের নির্মমতা দেখে লেখক মুন্সী রিয়াজ উদ্দিনের কলম গর্জে উঠে। তিনি লিখেছেন :
“নির্দয় জমিদার পীড়ন করিয়া
খাজনা ছাড়াও অর্থ লইছে কাড়িয়া।।
পিতৃমাতৃ শ্রাদ্ধ বলি করিছে শোষণ
যে শোষণ তাদের পক্ষে চিরন্তন।।
পূজা-পার্ব্বনের নামে টংকা আদায়
করিছে নায়েবগণ বিষম আদায়
গোমস্তা পেয়াদা মৃধা তহশীলদার
সবাই নবাবজাদা জুলুম সবার।।” (৮)
ঠাকুর পরিবার প্রজা নিপীড়নের অভিযোগ থেকে মুক্ত নয়, বৃটিশ পত্রিকা লিখেছে: “পৃথিবীর অন্য কোন দেশে কৃষকরা জমিদারদের দ্বারা এ দেশের মত নির্যাতিত হয় না। এইসব জমিদারেরা অনেকেই দারিদ্র্য থেকে উঠে এসেছে, এদের নীতি লুটে নাও যা পারো। (৯) তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের জমিদারীতেও অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন-জুলুম, শঠতা, প্রতারণা ও ব্যবসায়িক হীন মনোবৃত্তি সবই পুরো মাত্রায় বিদ্যমান ছিলো-এতে সন্দেহের লেশ মাত্র নেই বলে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।
তথ্যসূত্র :
১। রবীন্দ্রনাথের প্রাসঙ্গিকতা-লেখক : রফিক হাসান-নয়া দিগন্ত, ৭মে ২০১৬
২। ইতিহাসের নিরিখে রবীন্দ্র-নজরুল চরিত-লেখক : সরকার সাহাবুদ্দীন আহমদ
৩। হিন্দুরা ছিল ব্রিটিশদের সহচর ভারতীয় রাজাকার-লেখক : ফারুক সালাউদ্দিন
৪। ইতিহাসের নিরিখে রবীন্দ্র-নজরুল চরিত-লেখক : সরকার সাহাবুদ্দীন আহমদ-পৃষ্টা-২৭০-২৭১
৫। গণঅসন্তোষ ও উনিশ শতকের বাঙালী সমাজ-লেখক : ড. স্বপন বসু
৬। জমিদার রবীন্দ্রনাথ- দেশ ১৪৮২ শারদীয় সংখ্যা, লেখক : অধ্যাপক অমিতাভ চৌধুরী
৭। বাংলার সামাজিক ইতিহাসের ধারা(১৯৬৮), পৃষ্টা : ২৩-২৪ লেখক : বিনয় ঘোষ
৮। ইতিহাসের নিরিখে রবীন্দ্র-নজরুল চরিত-লেখক : সরকার সাহাবুদ্দীন আহমদ পৃষ্টা -২৫৯
9| The morning chronicle-26th September 1850
=====
বিষয়: সাহিত্য
৩০৬২ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঢাবির বিরোধীতা করে মক্কা বিশ্ববিদ্যালয় বলা, বঙ্গ ভঙ্গের বিরোধীতা সত্তেও তাকে বাংলাদেশের কবিগুরু আখ্যায়িত করা হাস্যকর ব্যাপার, যারা এগুলো করছে তারা আসলেই মালাউনের বাচ্চা মালাউন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
শেখের পোলা লিখেছেন : রবীন্দ্র বাবুর সারাজীবনের লেখায় ব্রিটিশ বিরোধী কোন কিছুই পাওয়া যায়না। তিনি সেই অর্থে রাজাকার ছিলেন। ধন্যবাদ।
জাতি হিসেবে আমরা কতটা Back Bone সমৃদ্ধ সেটা এ ব্যাপারে ভালই বোঝা যায় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন