সাহিত্যাঙ্গনের নতুন সংযোজন : “আমি মেঘ হবো”.....

লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ০৫ এপ্রিল, ২০১৬, ০৫:০৭:৪৭ বিকাল



সাহিত্য চর্চা নিয়ে অনলাইন জগতে লেখালেখির মাধ্যমে বর্তমানে উঠে আসছে এক একটি বিরলপ্রজ প্রতিভা। একে লেখালেখির অনলাইন বিপ্লব চলছে বললেও অত্যুক্তি হবে না। যেখানে আগের সময়ের লেখকরা ছিল প্রযুক্তিগত সুবিধা বঞ্চিত এবং একটি লেখা চাপাতে কত যে হিমশিম খেত বা উপযুক্ত প্রকাশক পেত না! বর্তমানে সেই সমস্যা যেন অনেকটাই কম। সেই সময়ের লেখকদের কত পান্ডুলিপি হারিয়ে গেছে কালের গর্ভে ছাপার অক্ষরে আলোর মুখ দেখার পূর্বে তার হিসেব কে রেখেছে? আল্লাহ কত মেহেরবান যিনি মানুষকে জ্ঞান দিয়েছেন এবং কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। এই কলম দিয়ে কেউ তাঁর প্রশংসা করে, কেউ করে নিন্দা। মহাসত্য ইসলাম সম্পর্কে কত নিন্দাই রচিত হচ্ছে দিনের পর দিন! অথচ মানবতার শিক্ষক মুহাম্মদ (সা) নিজেই সাহিত্য চর্চাকে নিয়ত উৎসাহিত এবং পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তিনি কবি ও কবিতা সম্পর্কে বলেছেন,

“কিছু কিছু কবিতায় আছে দর্শন।”

“যে দু’টো চমৎকার অলঙ্কার দিয়ে আল্লাহ কোন বিশ্বাসীকে সুসজ্জিত করে থাকেন, কবিতা সেই অলংকারেরই একটি।”

“যে কবিতায় করা হয়েছে সত্যের অপলাপ, সে কবিতায় কোন মঙ্গল নেই।”

“কবিদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা আপন পিতা-মাতার সাথে সদ্বব্যবহারের সমতুল্য।”


কবিতা নিয়ে তাঁর এ উক্তিগুলো কয়জন জানে। আমরা না জেনেই তার কপট বিরোধিতায় লিপ্ত।

”আমি মেঘ হবো” কাব্যগ্রন্থে রয়েছে সকল ধরনের কবিতা-বিশেষ করে প্রেম-ভালবাসা, বিরহ, দেশ-মাতৃকা, সংসার-সমাজ-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ইতিহ্য, বীরত্বগাঁথা, মানবতার কল্যাণ ও গুণীজনদের কথা ইত্যাদি। কবিতা সম্পর্কে বাংলা ভাষার প্রধান কবি আল মাহমুদ বলেন, কবিতা মানুষের হৃদয় নি:সৃত আনন্দঘন রসায়ন মাত্র, যা ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে যাচ্ছে মহাকালে পাত্রে। যে ১০জন কবির কবিতা নিয়ে “আমি মেঘ হবো” নামের যৌথ কাব্যসংকলনটি বইমেলা-২০১৬তে প্রকাশিত হয়েছে তারা সবাই আপন মহিমায় উজ্জ্বল এবং সাহিত্য নিয়ে নিরন্তর চর্চায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তরুণ প্রজন্ম। তাদের সবার জন্মস্থান সাহিত্য চর্চাও পাদপীট বীর চট্টগ্রামে। আশা করি এই প্রকাশনা তাদের জন্য আলোকবর্তিকারূপে আগামীতে দিশা দেবে। যৌথ সংকলনে যাদের কবিতা স্থান পেয়েছে তাদের সবার একেকটি কবিতার থেকে কিয়দংশ তুলে ধরা প্রয়াস রইল।

কবি সেলিম উদ্দিনের কবিতাগুলো হলো :

আমার আছে ঘৃণা, মানবাধিকার, নামাজী, হালদা, সহযাত্রী হবার প্রার্থনা, এক শীতের রাতে, বৃষ্টির কান্না, প্রসূত হোক আলোকধারা, সাহিত্যের সাথে পথ চলা, না ফেরা ইত্যাদি। কবিতাগুলোতে কবি তথাকথিত মানবাধিকারের ফেরিওয়ালাদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন সার্থকভাবে। কর্ণফুলী-হালদার জোয়ার-ভাটায় তারুণ্য উদ্দামের মাঝে বড় হয়ে উঠা কবির সমাজের নানা অসঙ্গতি নীরবে সহ্য করার মানসিকতা যে নেই তার পরিস্ফুটন ঘটেছে। ”সহযাত্রী হবার প্রার্থনা”য় তিনি লিখেন :

“হে রব,

লাব্বাইক বলে যাঁরা হাজির হয়েছিল

তোমার দরবারে, তাঁরা সৌভাগ্যবান, তুমি বলেছিলে

তাই তাঁরা গিয়েছিল তোমার দুয়ারে। আপন করে নিলে তুমি

তাদের, কয়জনের ভাগ্যে জুটে এমন? এই ভূমি

পবিত্র, তুমি দিয়েছে স্থান দয়া করে

তাদের, অথচ আরো অনেকে ছিল অদূরে

কিন্তু তুমি তাদের নিলে না কাছে টেনে।”


কবি মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুমের কবিতাগুলো হলো :

ভাল কিছু করতে হলে, গোলাপ কুঁড়ি, থামাও মায়ের ক্রন্দন, বন্ধুবরেষু, জরুরী অবস্থা প্রেমে, চাই নির্ভেজাল মানবাধিকার সাম্য-স্বাধীনতা, পদ্ম পাতার পদ্য, যা হবার তা-ই হয়, নৈতিক শিক্ষা, হে মনোনীতা ইত্যাদি। তার প্রেম, নৈতিকতকা-মানবাধিকার, শিশু নির্যাতন, এসিড সন্ত্রাস এবং সমাজের নতুন উপদ্রব ইভটিজারদের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে কবিতাগুলোতে। “ভাল কিছু করতে হলে” কবিতায় তিনি লিখেন:

“ভুবন কাঁপানো কীর্তি সাধন, প্রয়োজন দুরন্ত সাহস

ধন-জন কিছুই না থাকুক, করে নাকো আপোষ।

সুষ্ঠু পরিকল্পনা নেই যার, কাজে নেই সফলতা

সেন্ট পার্সেন্ট সফল হতে চাই নিখুঁত আন্তরিকতা।

কারো ওপর নির্ভর করা বীরের সাজে না

এগিয়ে যায় বীরদর্পে পিছনে ফিরে তাকায় না।

করে না চিন্তা, করে না শঙ্কা-সংকোচ তারা

মিথ্যা-ই ভয় পায়, সত্যের সামনে দিশেহারা।”


কবি বাদশা আতাউর রহমানের কবিতাগুলো হলো :

ভালবাসি বলে তোমাকে, কুলহারা মাঝি, প্রকৃতির রঙ, নতুন চাঁদের আহ্বান, হরিনীর চলন, ব্যর্থতা তুমি পাজরের ভাঁজে, অস্থির ছুটে চলা, আমাদের বাড়ী, আমার বেড়ে ওঠা, একটি স্বপ্নের মৃত্যু, চল্লিশের উপহার ইত্যাদি। তিনি পেশায় আইনজীবী হলেও মননে চিন্তায় জীবন আবহে কবিতার প্রেম প্রতিনিয়ত আন্দোলিত করে প্রতিনিয়ত। “ভালবাসি বলে তোমাকে” কবিতা তিনি লিখেন :

“মানুষ ভাবে বাঁচায় যেন জীবনের সফলতা,

হিসাবের চাকায় নুন আনতে পান্তা ফুরায়,

একান্তবর্তী পরিবার কি হবে ভেবে ভেবে

ক্লান্তির মেঘলা আভা সোনার বরণ মুখে,

দানবীয় পুঁজিবাদ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট

আকর্ষণ বিকর্ষণে ইলেকট্রিশিয়ান ইসকান্দর

কবুল করল মৃত্যুকে, বিদায় পৃথিবী!”


কবি কাজী শারমিন নাহার নিশুর কবিতাগুলো হলো :

স্রষ্টার গুণগান, প্রেম, তুমি আছো বলেই, ইচ্ছে করে, ইরাক যুদ্ধ, উপদেশ, হ্যাপী ভ্যালেন্টাইনস্, আমি খুঁজি, তুমি সুন্দর ও মনোহর, মা ইত্যাদি। তার কবিতাগুলো অত্যন্ত দরদ দিয়ে লেখা। এতে স্রষ্টার প্রতি প্রেম, মানব প্রেম এবং মায়ের প্রতি ভালবাসা ফুটে উঠেছে। “স্রষ্টার গুণগান” কবিতায় তিনি লিখেন:

“হে মহাশক্তিমান প্রজ্ঞাবান সদা বিদ্যমান

হে স্নেহপরায়ণ চির বর্তমান ক্ষমতাবান

তুমি অতি মহান, করো মোরে মেহেরবান।

হে হিসাবরক্ষক ন্যায়বিচারক সত্য প্রকাশক

হে পথপ্রদর্শক মহারক্ষক এক ও একক

তুমি অভিভাবক, বিশ্বসত্তার ধারক ও কারক।

হে অতিশয় দাতা সর্বজ্ঞাতা বিজয় দাতা

হে আকৃতি দাতা জীবন দাতা নিরাপত্তা দাতা

তুমি মোদের একমাত্র দয়াবান সৃষ্টিকর্তা।”


কবি আজাদ আলাউদ্দিন-এর কবিতাগুলো হলো :

বঙ্গ-পূর্ব বাঙলা- বাংলাদেশ, আর্তনাদ, গাঁ যে আমার, বর্ষা, নশ্বর, ধুসর ফটোগ্রাফি, চিঠি, রক্ত! লাশ! আর্তনাদ! যবনিকাপাত, সেই ক্ষণ ইত্যাদি। মূলত: তিনি ব্যাংকার হলেও, কিন্তু কাব্য প্রতিভার আলোক বিচ্ছুরণে তিনি স্বমহিমায় উজ্জ্বল। “বঙ্গ-পূর্ব বাঙলা-বাংলাদেশ” কবিতায় তিনি লিখেন:

“হে বাংলাদেশ একাত্তরে জন্ম তোমার

স্বপ্নীল সবুজমাখা রূপ তোমার

দিয়েছিস যত স্নেহ বুকে আছে তোর,

গেঁথেছিস এক বাঁধন দিয়ে সব সুখ

তাই ভালবাসি তোরে দিয়ে মোর বুক।”


কবি হাসান বিন নজরুল-এর কবিতাগুলো হলো:

স্বাধীনতার খোঁজে, স্বপ্ন পরী, চব্বিশ বসন্তের কান্না, সুপ্ত আশা, আত্ম চাওয়া, প্রেম সন্ধি, অনিবার্য সংগ্রাম, ঐক্যের ডাক, আশার স্বীকারোক্তি, চাণক্য প্রেম ইত্যাদি। মূলত তিনি একজন সব্যসাচী কবি ও গল্পকার। তিনি প্রেম, দ্রোহ, সমালোচনা ও টিপ্পনী জাতীয় ছড়া, কবিতা, রম্য ও গল্প লিখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত সাহিতাঙ্গনে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। “অনিবার্য সংগ্রাম” কবিতায় তিনি লিখেন :

তুমি-প্রেম চাও ? মায়া চাও? চাও কাম সিদ্ধি ?

বিয়েটাই সোজা পথ-এখানেই জোর দি।

আসুক আজ প্রচারে বিয়ে মুখী যৌনতা,

আলগা প্রেমকে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলি মৌনতা।

এসো-পাল্টে ফেলবো কিছু ভোগবাদী সূত্র,

পুঁজিবাদী দর্শনে ঢেলে দেবো মূত্র।

বাড়ী গাড়ী নারী নয় নব এই সূত্রে,

বৈধ নারীরা আগে চাহিদার ক্ষেত্রে।”


কবি আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ-এর কবিতাগুলো হলো :

এই শরতে, দুঃসাহসীর দল, রাহমাতুল্লিল আলামীন, ক্লান্তিময় হাসি, নীলুফার, বিজনেস, গাঁয়ের ছবি আঁকি, দহন-যন্ত্রণা, রহস্যময়ী রাত, একটি মৃত্যু ইত্যাদি। তার কবিতায় মানবীয় প্রেমের উপস্থিতি লক্ষ্মণীয়, তার স্বপ্নের নীলুফারের দেখা মেলেছে কি না আমরা সেই অপেক্ষায় রইলাম। সিরিয়ান শিশু আইলানের জন্য তার হৃদয় প্রতিনিয়ত রঞ্জিত হচ্ছে। “একটি মৃত্যু” কবিতায় তিনি লিখেন :

একটি মৃত্যু ভয়াবহ ভূমিকম্পের মতো

মুহূর্তেই নাড়িয়ে দিয়েছে বিকৃতির ক্রমশ বৃদ্ধিতে

বিশেষত্ব হারানো বিশ্ববিবেক।

টর্ণেডোর মতো প্রচ- আঘাতে ল-ভ- করে দিয়েছে

ক্ষমতাধরদের গোয়ার্তুমি।

বিদীর্ণ করে দিয়েছে ‘বিশ্বমোড়লদের’ রঙ্গমঞ্চে বস্ত্রহারানো ‘জাতিসংঘ’,

‘উন্নত বিশ্ব’-সাইনবোর্ডধারী ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের’

পক্ষপাতদুষ্ট আর্টিফিশিয়াল আবেগ।


কবি খোরশেদ মুকুল-এর কবিতাগুলো হলো :

চরমপত্র, পিরামিড কবিতা'৫২, সিনপসিস, মা, কালো খাম, অবাস্তব প্রতিবিম্ব, তাকওয়ার সুউচ্চ মিনার, নিশ্চিত গন্তব্য, বাবা, কল্পজীবন ইত্যাদি। তার কবিতা যেন এক একটি মানুষের কষ্ট জীবনের প্রতিরূপ। মানুষের সুখ-দু:খের চিত্রকে তুলে ধরেছেন সার্থকরূপে।

তাকওয়ার সুউচ্চ মিনার” কবিতায় তিনি লিখেন :

“আত্মশুদ্ধি, আত্মসংযম, আত্মগঠনের পয়গাম নিয়ে

প্রতীক্ষার প্রহর অবসানে রমজান ঘনিয়ে।

রহমত, বরকত, মাগফেরাতের অনন্য সমষ্টি

জাহান্নামে মুক্তি, জান্নাত লাভের প্রস্তুতি।

সিয়াম, কিয়াম, সেহরী, ইতিকাফ, ইফতার

লাইলাতুল কদর,ক্বিয়ামুল লাইলে সমাহার।

তাকওয়া অর্জন, চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধন

রহমতে ভরপুর, সামষ্টিক সম্প্রীতি বর্ধন।”


কবি হামিদ হোছাইন মাহাদীর কবিতাগুলো হলো :

জিসানের শৈশব, নির্বিষয় জীবন, অজানা এক স্বপ্ন, বাবার সাথে বায়না, ক্ষণিকের জীবন, বন্ধু যদি বানাও, সোনার বাংলাদেশ, আর কতো ঘুমাবি হে মুসলিম, মানুষ, কবি নজরুলের স্মরণে ইত্যাদি। তার লেখায় আদর্শবাদিতার প্রকাশ সুষ্পষ্ট, কোন রাখ ঢাক নেই। “ক্ষণিকের জীবন” কবিতায় তিনি লিখেন :

জীবনের এই ধাপে ধাপে,করছি কতো পাপ ;

স্রষ্টা আমায় জানিনা কি,করবে কিনা মাফ।

মাঝে মাঝে যায় পড়ে যায়,শয়তানেরই ফাঁদে ;

ভুল হয়ে যায় যখন আমার, মন যে তখন কাঁদে।

পাপের বুঝা করবো কতো, করবো ভারী আর ;

শেষ দিবসে কারো আমল, কেউ দিবেনা ধার।

যাওয়ার আগে করতে হবে, সকল ভালো কাজ ;

দুনিয়াতে মানলে তাকে দিবেন তিনি তাজ।”


কবি আলমগীর ইমন-এর কবিতাগুলো হলো:

তারুণ্যই ধর্ম, বৃষ্টি ভেজা দুপুর, দেখছি তোমাকে, বৃষ্টি, হবি কি, শিল্পী, আমি মেঘ হবো, আমিহীন পৃথিবী উপহার, উষ্ণতার সাজ, ব্যবধান ইত্যাদি। এই যৌথ সংকলনের টাইটেল কবিতা “আমি মেঘ হবো”। “আমি মেঘ হবো” কবিতায় তিনি লিখেন :

“বর্ষার কদম তলায় খোঁপায় কদম ফুল গুজে লাবণ্যময়ী বৃষ্টিস্নানে মাতাতে-

আমি মেঘ হবো তোমার আকাশের।

তোমার বিষন্ন বিকেল আঁধার থেকে আঁধার করে অভিমানের সাগরে ভাসাতে-

আমি মেঘ হবো তোমার আকাশের।

বিদায়ী সূর্যের সাথে লুকোচুরি খেলে আলো-ছায়ার খেলায় তোমার অভিমান ভাঙ্গাতে-

আমি মেঘ হবো তোমার আকাশের।

অগণিত তারার ভীড়ে ঘোমটার আড়ালে পূর্ণিমা চাঁদের রূপ দেখাতে-

আমি মেঘ হবো,

মেঘ হবো শুধু তোমার আকাশের।”


যৌথ কাব্য সংকলনের প্রতিটি কবিতায় পরম মমতা দিয়ে লেখা। কাব্যপ্রেমী মাত্রই তা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারবেন। ১০০টি কবিতা সমৃদ্ধ, চার কালারের প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছেন আতিকুল ইসলাম বাপ্পী, ৭০ গ্রাম পেপারের গ্রন্থটি প্রকাশ করেছেন সালফি পাবলিকেশন্স। গ্রন্থটির মুল্য মাত্র ১৫০ টাকা এবং এর বহুল প্রসার ও লেখকদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং দীর্ঘাযূ কামনা করি। সাহিত্যঙ্গানের এই নবতর সংযোজনের কবিগণ যাতে আরো পাকাপোক্ত আসন গড়তে পারে সেই শুভ কামনা রইল।

======

বিষয়: সাহিত্য

২১১৪ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

364742
০৫ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : মাশা'আল্লাহ খুবই চমৎকার আল্লাহ সকলকে আরো প্রতিবা বৃদ্ধি করে দিন। যে দুটো চমৎকার অলঙ্কার দিয়ে আল্লাহ কোন বিশ্বাসীকে সুসজ্জিত করে থাকেন, কবিতা সেই অলংকারেরই একটি। লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
302877
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে সু্ন্দর ও প্রীতিপূর্ণ মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
364744
০৫ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:০২
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনাদের প্রচেষ্টা সফল হোক৷ নতুন লেখকেরা এগিয়ে আসুক এই কামনায় ধন্যবাদ৷
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
302878
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : এটা নতুনদের ফ্ল্যাটফর্ম। নবাগতদের স্বাগতম। আমাদের পরবর্তী উদ্যোগের জন্য দোয়া চাই।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
364749
০৫ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:১৮
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

কোটেশন আকারে নিচের বাক্যগুলো সম্পর্কে আপনি বলেছেন-
..মানবতার শিক্ষক মুহাম্মদ (সা) নিজেই ... কবি ও কবিতা সম্পর্কে বলেছেন


“কিছু কিছু কবিতায় আছে দর্শন।”


“যে দু’টো চমৎকার অলঙ্কার দিয়ে আল্লাহ কোন বিশ্বাসীকে সুসজ্জিত করে থাকেন, কবিতা সেই অলংকারেরই একটি।”


“যে কবিতায় করা হয়েছে সত্যের অপলাপ, সে কবিতায় কোন মঙ্গল নেই।”


“কবিদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা আপন পিতা-মাতার সাথে সদ্বব্যবহারের সমতুল্য।”



কিন্তু সূত্র উল্লেখ না করাতে বাক্যগুলোর যথার্থতা যাচাই করা দুষ্কর! Whew!

মেহেরবানী করে সূত্র উল্লেখ করে নিশ্চিত হতে সাহায্য করবেন- এ অনুরোধ রাখছি!
Good Luck
প্রকাশিত গ্রন্থ এবং কবি ও কবিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অভিনন্দন Rose Rose ও দোয়া রইল! Praying Praying
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
302879
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : সূত্র উল্লেখ না করার জন্য দু:খিত। কোটেশনগুলো আমি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে নিয়েছি ও এ সম্পর্কে অনেক হাদীস পড়েছি।
১। মতিউর রহমান মল্লিকের "নির্বাচিত প্রবন্ধ " এবং ২। সাম্প্রতিক নয়াদিগন্তের একটি সাহিত্য পাতা থেকে।
তবে সামনে সতর্ক থাকবো। সময় সাপেক্ষ হওয়ার কারণে পারছি না। ধন্যবাদ দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।
364764
০৫ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:১১
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : কবিদের সহায়তা করতে হবে! কয় টাকা লাগবে বলেন। পকেট থেকে এখনো হাত বাহির করি নাই কিন্ত

এখানে আলমগীর সিরাজ আর মাছুম সাহেবকে শুধু চিনি।

জীবনে কত লিখলাম, একটা টাকা কেউ দিলনা, অথচ কবিরা কত টাকা পকেট ভর্তি করে, একটু চা নাস্তাও করায়না!
আমারে দাওয়াত দিয়ে দোয়া অনুষ্ঠান করিয়ে কিছু হাদিয়া দিলেই সাফল্য কামনা করতে পারি।
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
302881
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ঈমানদার কবিদের তো ভাতে মরতে হয়-আমাদের পরিণতিও তাই হবে বৈকি! সবাই ব্লগে সক্রিয় নন। আমি এবং আলমগীর সিরাজ ছাড়া যারা আছেন-সেলিম উদ্দিন/হাসান বিন নজরুল মোট ৪ জন আছি। আপনাকে দাওয়াত দিলে আসবেন তো?ধন্যবাদ।
364805
০৬ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
আফরা লিখেছেন : আমি মেঘ হব আপনাদের বইয়ের নামটা শুনলেই কেমন যেন লাগে । এই নামে খুব পাজি একজন ব্লগার ছিল ।

ভাইয়া আপনাদের বইয়ের নাম হো্যা উচিত ছিল আমরা মেঘ হব ।
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
302885
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আমাদের মধ্যে কেউ পাজি ব্লগার নেই। মাত্র ৪ জন ব্লগে সক্রিয় অন্যরা নন। আমি এবং আলমগীর সিরাজ, সেলিম উদ্দিন ও হাসান বিন নজরুল মোট ৪ জন সক্রিয় আছি।ধন্যবাদ আপনার নামকরণমূলক পরামর্শের জন্য। বই প্রকাশ হওয়ার আগে নামটা মাথায় আসে নি কেন তাই তো ভাবছি!
364812
০৬ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০২:৪১
আবু জান্নাত লিখেছেন : “কিছু কিছু কবিতায় আছে দর্শন।”

“যে দু’টো চমৎকার অলঙ্কার দিয়ে আল্লাহ কোন বিশ্বাসীকে সুসজ্জিত করে থাকেন, কবিতা সেই অলংকারেরই একটি।”

“যে কবিতায় করা হয়েছে সত্যের অপলাপ, সে কবিতায় কোন মঙ্গল নেই।”

“কবিদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা আপন পিতা-মাতার সাথে সদ্বব্যবহারের সমতুল্য।”

এগুলো কি? হাদিস নয় তো!

আমার ভয় হচ্ছে কিন্তু, বর্তমানে যেভাবে হাদিস নিয়ে টানাটানি চলছে। সম্ভব হলে রেপারেন্স দিবেন। ধন্যবাদ
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
302882
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : সূত্র উল্লেখ না করার জন্য দু:খিত। কোটেশনগুলো আমি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে নিয়েছি ও এ সম্পর্কে অনেক হাদীস পড়েছি।
১। মতিউর রহমান মল্লিকের "নির্বাচিত প্রবন্ধ " এবং ২। সাম্প্রতিক নয়াদিগন্তের একটি সাহিত্য পাতা থেকে।
তবে সামনে সতর্ক থাকবো। সময় সাপেক্ষ হওয়ার কারণে পারছি না। ধন্যবাদ দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।
364830
০৬ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৭
বার্তা কেন্দ্র লিখেছেন : দারুণ পোস্ট তো!
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
302883
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck
364867
০৭ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১২:০৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. Excellent initiative mashallah. Jajakallahu khair.
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৫১
302887
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম। দোয়া করবেন কলম যেন বন্ধ না হয় এবং সত্য ও সুন্দরের জয়গান গাওয়ার জন্যই চলতে থাকে। ধন্যবাদ।
364890
০৭ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:২১
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। যদিও কবিতা বুঝিনা কিন্তু বিষয়বস্তু পড়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো লেগেছে। আপনি দারুন কবিতা লেখেন। আপনার চিন্তাধারাও অনেক সুন্দর...দোয়া রইলো
০৯ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪
302888
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আপনার অসাধারণ চরিত্র পুটির মায়ের কোন খবর নেই কেন? ভাল কবিতা লিখি কই? আপনার কাছে ভাল লাগে তা আমার জন্য খুবই অণুপ্রেরণার। জাযাকাল্লাহ!
১০ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ০৭:০৫
302969
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বাস্তবেই তো খবর হবে...Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১০
365137
০৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ১১:৪৮
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : চমতকার
অনেক ধন্যবাদ
১৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১১
303334
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও।
১১
365552
১৩ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০১:০৫
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আপনি আসলেই অনেক গুণী একজন মানুষ। মাশাআল্লাহ
১৩ এপ্রিল ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১২
303335
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু! অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File