জন্মদিনের শুভেচ্ছা : প্রিয় কবি, লেখক ও গবেষক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ শ্রদ্ধাভাজনেষু..
লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:২৯:১৯ সন্ধ্যা
তাঁর সাথে দেখা হয় মাত্র কিছু দিন আগে অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর ২০১৫ চট্টগ্রামে, তখনও জানতাম না যে উনার জন্মদিন ২৮শে ডিসেম্বর। তিনি আর কেউ নন, তারুণ্য অহংকার বাংলাদেশের স্বনামধন্য গবেষক, শেকড় সন্ধানী লেখক, বহুগ্রন্থ প্রণেতা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ। তাঁর জন্মদিনে জানাই লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। আল্লাহর কাছে তাঁর দীর্ঘ জীবন কামনা করি। ১৯৭২ সালের ২৮শে ডিসেম্বর গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোজাফ্ফর রহমান আখন্দ এবং মাতার নাম মর্জিনা বেগম। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে সংসার যাপন করছেন।
তিনি ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্ষ্টক্লাশ ফার্ষ্ট হয়ে এম. এ করেছেন; অতঃপর ২০০০ সালে এম. ফিল এবং ২০০৫ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রীও অর্জন করেন। তাঁর বিশটির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ এবং দুই শতাধিক সাধারণ প্রবন্ধ-নিবন্ধ বিভিন্ন গবেষণা জার্নাল, জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক-সাপ্তাহিক পত্রপত্রিকা এবং অনলাইন ম্যাগাজিনসহ সাহিত্যের ছোট কাগজে ছাপা হয়েছে। তিন বাংলা একাডেমী ও এশিয়াটিক সোসাইট অব বাংলাদেশ-এর সদস্য;বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ ও পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদের জীবন সদস্য এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় লেখক ফোরামের সভাপতি। এর আগে আরও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ড. আখন্দ-এর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা-
ছড়াগ্রন্থ পাঁচটি :
১। ধনচে ফুলের নাও
২। মামদো ভূতের ছাও
৩। স্বপ্নফুলে আগুন
৪। জ্বীন পরী আর ভূতোং
৫। ছড়ামাইট, পদ্মাপাড়ের ছড়া;
অনুকাব্য- তোমার চোখে হরিণমায়া
লিমেরিক- গুমর হলো ফাঁস
শিশুতোষ গল্প- জ্বীনের বাড়ি ভূতের হাড়ি
গানের বই- হৃদয় বাঁশির সুর
গবেষণাগ্রন্থ- রোহিঙ্গা সমস্যা : বাংলাদেশের দৃষ্টিভংঙ্গী
আরাকানের মুসলমানদের ইতিহাস, সমকালীন বিশ্বে মুসলিম সংখ্যালঘু, হিস্টরি অব ইসলাম: প্রফেট মুহাম্মদ স. এন্ড খুলাফায়ে রাশিদীন প্রভৃতি। আবীর, সমন্বয়, বিজয়ের ছড়া ও আল ইশরাক নামে সাহিত্যের ছোটকাগজ সম্পাদনা করেছেন ইতোপূর্বে। বর্তমানে তার সম্পাদিত শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ছোটকাগজ ‘মোহনা’ ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
বরেণ্য এই লেখক ও গবেষকের দীর্ঘজীবন কামনা করি পরম করুনাময়ের কাছে। ইদানীং সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র চট্টগ্রামের পক্ষ থেকেও কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
কবিকে নিয়ে ১৭ নভেম্বরের পোস্ট পড়ুন..
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/11098/MinhazMasum/71549#.VoE6cLZ95kg
বিষয়: সাহিত্য
১৬৯৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শেখ সাহেব, আপনার জন্য ইদানীং ডিসেম্বর সংখ্যাটি কিভাবে প্রেরণ করতে পারি? আপনি তো এখন সাত সমুদ্র তের নদী দূরে আছেন।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ও আপনার জন্য একই দুয়া রইল । আমীন ।
অভিনন্দন উনাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন