আদর্শ সেনাপতি হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম...
লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ১২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৮:০৩:৪৭ রাত
সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব চিরন্তন। পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই তা দৃশ্যমান। এরা পাশাপাশি অবস্থান করতে পারে না। যেমন আলোর আগমনে অন্ধকার বিদুরিত হয়, তেমনি সত্যের আগমনে মিথ্যা অপসারিত হয়। পৃথিবী সৃষ্টির শুরুতেই আমরা দেখি হাবিল-কাবিলের দ্বন্দ্ব। নবী-রাসূলদের আগমন ঘটে সত্য নিয়ে। মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে, মিথ্যা পথ থেকে সত্য পথে, জাহান্নাম থেকে জান্নাতের দিকে পরিচালিত করার উদ্দেশ্যেই নবীদের হেদায়াত সহকারে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রেরণ করেন। এ পৃথিবীতে নবী-রাসূলরা কায়েমী শক্তির কাছ থেকে সবসময়ই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক নবীকে হত্যা করা হয়েছে। সীরাতগ্রন্থে দেখা যায়, বনী ইসরাইলীরা প্রায় চার হাজার নবীকে হত্যা করেছে। তেমনি মোহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (সা)এর জীবন ইতিহাসও ছিল দ্বন্দ্ব-সংঘাতে পরিপূর্ণ। সত্যকে বিজয়ী করার মহান সংগ্রামে তাঁেক মুখোমুখি হতে হয়ে অনেক যুদ্ধে। চরম অধঃপতিত আরব জাতিকে সত্যপথ দেখাতে “সিরাজুম মুনীর’’ হিসাবে এগিয়ে আসলেন মোহাম্মদ (সা)। তাঁর দাওয়াত ছিল, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। এর মানে বুঝতে পেরেছিল মক্কার কোরাইশ নেতৃবৃন্দ। আবু জেহেল, আবু লাহাব, আবু সুফিয়ান, শাইবা, উৎবা, মুগীরা, উমাইয়া ইবনে খালফ প্রমুখরা। তারা তৌহিদের এ বাণীকে সহ্য করলেন না। শুরু হল হক-বাতিলের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। নবীজী এবং যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল তাদের উপর ভয়ানক অত্যাচার-নির্যাতন তারা চালিয়েছিল। নবীজীর উপর সালাতরত অবস্থায় পিঠে উঠের নাড়ীভুড়ি চাপিয়ে দিয়েছে, শিআ’বে আবু তালেবে দীর্ঘ তিন বৎসর অবরোধ করে রেখেছে, তায়েফে নবীকে হত্যার জন্য উচ্ছৃংখল যুবকদলকে লেলিয়ে দিয়ে পাথর বর্ষণ করেছে, এমনকি জীবননাশ করার সর্বশেষ প্রচেষ্টাও করেছে। অবশেষে আল্লাহর নির্দেশে মক্কা থেকে হিজরত করে মদীনা চলে গেছেন।
হিজরত করে মদীনায় চলে যাওয়াও কাফেররা বরদাশ্ত করলো না। ইসলামকে সেখানেই অংকুরে বিনষ্ট করে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কোরাইশ বাহিনী। রণপ্রস্তুতি নিয়ে ছুটলো মদীনার দিকে। বদরের প্রান্তরে এই অসম লড়াইয়ে মুসলমানদের খতম করে এমন ভাব নিয়ে উপস্থিত। নবীজী (সা)ও জানবাজ ৩১৩ জন সাহাবী নিয়ে ছুটে চললেন তাদের রুখে দিয়ে নবপ্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রকে রক্ষায়। অপর দিকে কোরাইশ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা এক হাজার। রাসূল (সা) সাহায্য চাইলেন মহান জাত পাকের দরবারে। “প্রভুর আজ যদি তোমার প্রতি ঈমান আনয়নকারীরা পরাজিত হয়, তবে তোমার নাম বুলন্দ করার আর কোন লোক থাকবে না, তুমি আমাদের প্রতি সাহায্য করো।” প্রিয় হাবীবের এই মোনাজাত বিফলে যায়নি। যুদ্ধে দামামা বেজে উঠলো এবং আল্লাহর সাহায্যও এসে গেল। অবশেষে কাফেররা পরাজিত হল। ৭০ জন কাফের জাহান্নামে চলে গেল এবং ৭০ জনকে বন্দী করা হল। মুসলমানদের ১৪ জন শাহাদাত বরণ করে জান্নাতে চলে গেলেন। এভাবে উহুদ, খন্দক, হুনায়ুন, আওতাস, তাবুক এবং মুতার যুদ্ধ অন্যতম। নবীজীর সংগ্রামমুখর জিন্দেগীতে প্রায় ৮০টির মত যুদ্ধ করতে হয়েছে। ২৭টি তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বাকীগুলোতে তিনি না গিয়ে সাহাবাদের পাঠিয়েছেন। হিজরতের পর ১০ বৎসরের মাদানী জিন্দেগীতে বৎসরে ৮টি করে যুদ্ধ করতে হয়েছে। অবশ্য জিহাদের ময়দানে রাসূল (সা) এর ২৩ বৎসরের জিন্দেগীই নিয়োজিত ছিল।
ইসলামের শত্রুরা প্রায়ই একটি অভিযোগ করে থাকেন যে, ইসলাম তরবারীর জোরেই প্রচার হয়েছে। অথচ প্রতিটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, মূলতঃ সবগুলোই ছিল আত্মরক্ষামূলক। আর আল্লাহর নির্দেশ ব্যতীত কোন যুদ্ধ করেন নাই। আল্ কোরআনে এরশাদ হয়েছে, “যুদ্ধ কর আল্লাহর পথে, যারা যুদ্ধ করে তোমাদের বিরুদ্ধে।” অন্যত্র বলা হয়েছে, “তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক ততক্ষণ, যতক্ষণ না ফিতনা দূর হয়ে না যায় এবং দ্বীন আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট হয়ে না যায়।” (ত’রা বাকারা-১৯৩) আরো এরশাদ হয়েছে, “যারা মু’মিন তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। আর যারা কাফের তারা লড়াই করে তাগুতের পথে।” (সূরা নিসা-৭৬) সূরা তাওবার ১১১ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় আল্লাহপাক মু’মিনদের জান-মাল জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন, তারা লড়াই করে আল্লাহর পথে, অতঃপর দুশমনদের মারে এবং নিজেরাও মরে (শহীদ হয়)। এভাবে আল্ কোরআনের অনেক স্থানে জিহাদ তথা যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ(সা)এর হাদীসেও জিহাদের গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে।
হযরত আবুযর গিফারী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর নবী! কোন্ আমলটি সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাঁর পথে জিহাদ করা। হযরত মুয়ায বিন জবল (রা) হতে বর্ণিত, একদা নবী (সা) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তার স্তম্ভ এবং চুড়ার সন্ধান দেব না? আমি বললাম হ্যাঁ, অবশ্যিই আপনি তা দেবেন। তখন হুজুর (সা) বললেন, দ্বীনের মূল বিষয় হল ইসলাম, স্তম্ভ হল, নামাজ এবং তা সর্বোচ্চ চুড়া হল জিহাদ। (তিরমিযী, ইবনে মাযা) হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত , রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি জিহাদে শরীক হল না কিংবা জিহাদের সম্পর্কে কোন চিন্তা-ভাবনাও করল না, সেই অবস্থায় মারা গেল, সে যেন মুনাফিকীর মৃত্যুবরণ করল। (মুসলিম) হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, যখন যুদ্ধ প্রাণপণে লেগে যেত সাহাবারা তখন নবী করীম (সা)এর আশ্রয় নিতেন, যুদ্ধের এই সংকটময় মুহুর্তে তিনি আরো এগিয়ে যেতেন শত্রুর নিকটবর্তী হতেন। এভাবে অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সেনাপতি হিসাবে বেশ কিছু যুদ্ধ করতে হয়েছে, যা ইতিহাসখ্যাত হয়ে আছে। একজন আদর্শ সেনাপতি হিসাবে তাঁর রণ কৌশল ছিল সর্বযুগে অনুসরণীয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সেনাপতি হিসাবে ইতিহাসে যার তুলনা নেই।মহানবী (সা)এর শৌর্যবীর্যের কাছে তৎকালীন পৃথিবীর পরাশক্তিগুলো পরাভুত হয়েছিল। পৌত্তলিক কোরাইশ, রোমশক্তি, পারস্যশক্তির মোকাবেলায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছিল। এ মোকাবিলা আসলে ছিল শিরক ও কুফরের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অসত্যের বিরুদ্ধে, অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে, সর্বোপরি শয়তানী শক্তির বিরুদ্ধে। ময়দানে শত্র“র নির্মম আঘাতের পর আঘাতেও তিনি পর্বতের ন্যায় অটল ও বজ্রের মত কঠিন ছিলেন। তিনি নিরস্ত্র কারো উপর আঘাত হানেন নি এবং আঘাত হানতে নির্দেশ দেননি। ইতিহাসে অন্যকোন সেনাপতির ন্যায় নির্বিচারে হত্যার আদেশ কখনও দেননি। বিজয়ের পর বন্দীদের সাথেও চমৎকার ব্যবহার করেছিলেন। এভাবে তিনি সকলেন মন জয় করে একটি শতধা বিভক্ত, বিশৃঙ্খল ও নৈরাজ্যময় সমাজকে ইসলামী বিপ্লব সাধনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করে শ্রেষ্ঠশক্তিতে পরিণত করেছিলেন। আদর্শ সেনাপতি হিসাবে তাঁর যুদ্ধ নীতিতে দারুণ দূরদর্শিতার প্রমাণ মিলে। যুদ্ধপরবর্তী যে নৈরাজ্য, লুন্ঠন, হত্যা, লুঠতরাজ, নারী-শিশুদের উপর নির্যাতন, সম্পদহানি, কুকুর দিয়ে বন্দী নির্যাতন প্রভৃতি নিষ্ঠুরতা দেখি আমরা তৎকালীন এবং বর্তমান বিশ্বের সর্বত্রই। রাসূল (সা) যুদ্ধনীতি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। বৃদ্ধ, নারী, শিশুদের উপর নির্যাতন করা যাবেনা। বন্দীদের উপর নির্যাতন করা যাবে না। ধর্মস্থান, পর্যটক, অসুস্থ রোগী, পাগল, ভিক্ষুক, সংসারত্যাগী, সন্ন্যাসী, অন্ধ ব্যক্তির উপর আক্রমণ করা যাবে না। কোন লুটতরাজ করা যাবে না। ক্ষেতের ফসল, বৃক্ষাদি ধ্বংস করা যাবে না। কোন কিছু আগুনে পুড়িয়ে দেয়া যাবে না। লাশকে বিকৃত করা যাবে না। প্রতিপক্ষের সাথে ওয়াদা ভঙ্গ করা যাবে না। কোন দুত বা প্রতিনিধিকে হত্যা করা যাবে না। শত্রুর প্রতি অশালীন ভাষায় কথা বলা যাবে না। শত্র“কে তিনটি প্রস্তাব পেশ করতে হবে : ১) ইসলাম গ্রহণ, ২) জিজিয়া প্রদান ও ৩) যুদ্ধ। রাসূল (সা)এর ১০ বৎসরের সামরিক জীবনে প্রায় ৩০ লক্ষ বর্গমাইল এলাকার শাসক হয়েছিলেন। এই যুদ্ধগুলোতে মাত্র ২৫১ জন প্রতিপক্ষ সৈন্য নিহত এবং মুসলমানদের পক্ষে শহীদ হয়েছিলেন মাত্র ১২০ জন মুজাহিদ। মক্কা বিজয় হয়েছিল বিনা রক্তপাতে। এভাবে রাসূল (সা) এমন যুদ্ধনীতি অবলম্বন করেছিলেন যাতে রক্তপাত কম হয় এবং যুদ্ধ প্রস্তুতিকালে সৈনিকদের থেকে কৌশল নিয়ে পরামর্শও নিতেন, যেমনটি আমরা দেখতে পাই খন্দকের যুদ্ধে হযরত সালমান ফারসী (রা)এর পরিখা খননের ব্যাপারে।
রাসূলুল্লাহর যুদ্ধনীতি সম্পর্কে আবু দাউদ শরীফের হাদীস থেকে জানা যায়, হযরত আনাস ইবনে মালেক(রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, (শত্র“র বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময়) বিসমিল্লাহ বলে, আল্লাহর উপর ভরসা করে এবং আল্লাহর রাসূলের দ্বীনের উপর অবিচল থেকে রওয়ানা হও। কিন্তু অতিশয় বৃদ্ধ, অল্প বয়সী শিশু এবং নারীদেরকে হত্যা করো না। গণীমতের সম্পদ আত্মসাৎ করোনা। যুদ্ধলদ্ধ সম্পদ একস্থানে জমা করো এবং সংস্কার-সংশোধন ও কল্যাণের পথ অবলম্বন করো। কারণ আল্লাহ কল্যাণকামীদের ভালবাসেন। তিরমিযী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা) বলেছেন, আল্লাহর নাম নিয়ে যাও এবং তাঁর পথে যুদ্ধ করো। যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, কিন্তু প্রতিশ্র“তি ভঙ্গ করোনা। মৃতদেহকে বিকৃত করোনা এবং কোন শিশুকে হত্যা করো না। যুদ্ধবন্দীদের সাথে ব্যবহার সম্পর্কে আল্ কোরআনে বলা হয়েছে, “অতঃপর হয় অনুগ্রহ করে ছেড়ে দিতে হবে, নতুবা বিনিময় গ্রহণ করে ছেড়ে দিতে হবে-যতক্ষণ না যোদ্ধারা অস্ত্র ত্যাগ করে।” (সূরা মোহাম্মদ-৪) এই আমাদের রাসূলের যুদ্ধনীতি। যার সুমহান নীতির পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধের ময়দানে অনেক শত্র“ সৈন্য ইসলামে দীক্ষিত হয়েছে।
বর্তমানে আমরা কি দেখতে পাই, স্বঘোষিত বিশ্বমোড়ল আমেরিকা ও তার লালিত কুসন্তান ইসরাইল বিশ্বব্যাপী যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে যথেচ্ছভাবে। যুদ্ধের নামে চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন। ভিন্ন মতাবলম্বীদের ধরে নিয়ে মানবতার বন্দীশালা, বিতর্কিত গুয়ান্তানামো বে’তে। কুকুর লেলিয়ে দিয়ে বন্দীদের নির্যাতন করা হচ্ছে, ইলেকট্রিক শক দিয়ে দেহকে ক্ষত-বিক্ষত করা হচ্ছে, নারীদেরকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইরাকের আবু গারিব কারাগারকে পৃথিবী পৃষ্ঠে জাহান্নামে পরিণত করেছে। এমন কোন হীন কার্যকলাপ নেই যা মার্কিন-বৃটিশ-ইসরাইলী সৈন্যরা করছে না। আজ পৃথিবীতে চারদিকে শুধু কান্না আর আহাজারি ছাড়া আর কিছু নেই। বিংশ শতাব্দরী শেষ ও একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে মানবতার একনম্বর শত্র“ খোদাদ্রোহী ইবলিশ ও তার অনুসারীরা ইসলামের বিরুদ্ধে, সত্য ও ন্যায়ের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের থাবা বিস্তার করেছে তার মোকাবেলায় আমাদেরকে আল্ কোরআন বিঘোষিত নীতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শত্রুর অস্ত্রের বিপুল বিক্রম দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ইতিহাস জ্বলন্ত সাক্ষী ঈমানের মোকাবেলায় কুফরী শক্তি কখনো বিজয় হয় নি।
আজ আত্মপর্যালোচনা, আত্মোপলব্ধি ও আত্মজিজ্ঞাসার সময় এসেছে আমরা কি আমাদের ঈমানের দাবী অনুযায়ী কাজ করছি নাকি শত্র“র ভয়ে চুপ করে আছি! আমরা মুসলিম জাতির সোনালী দিনের বীরত্ব গাঁথা বীর সেনানীদের কি ভুলতে বসেছি? হযরত হামযা (রা), হযরত আলী (রা), হযরত খালিদ বিন ওলিদ, মুহম্মদ বিন কাসিম, সালাউদ্দিন আয়ুবী, টিপু সুলতান ও তিতুমীরের উত্তরসুরী নই? আল্লাহর পথে জিহাদের মর্মবাণী কি বর্তমান সময়ে অনুধাবন করতে পারছি না? মজলুম, অসহায় নারী পুরুষের আহাজারি কি আমরা শুনেও না শুনার ভান করছি না? আমরা আল্লাহর রাসূলের কেমন উম্মত? অথচ আল্ কোরআন আমাদের ডাকছে এই বলে,
“কি হয়েছে তোমাদের! তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করবেনা অসহায় নারী ও শিশুদের জন্যে? যারা ফরিয়াদ করছে, হে আল্লাহ, “এ জনপদ যার অধিবাসী জালিম হতে আমাদেরকে অন্যকোথাও নিয়ে যাও; তোমার নিকট হতে কাউকে আমাদের অভিভাবক করো এবং কাউকে সাহায্যকারী পাঠাও।”(সূরা নিসা-৭৫)
========
বিষয়: সাহিত্য
২১২২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
'জিহাদ' ইসলামের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপুর্ণ বিষয়! একে নিয়ে অনর্থক মিথ্যা বিভ্রান্তিও কম নয়!
এ বিষয়ে সুন্দর নান্দনিক উপস্হাপনা কাজে আসবে!
জাযাকাল্লাহু খাইর!!
শুকরিয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন