হজ্জ শেষে, অবশেষে-প্রিয় জন্মভুমি বাংলাদেশে (পর্ব : ২)
লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ০২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:১৬:১২ সন্ধ্যা
পর্ব:২
ক্রেন দুর্ঘটনা :
১১ সেপ্টেম্বরের ক্রেন দুর্ঘটনা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে এক বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়। যার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। মরু প্রান্তর বেষ্টিত দেশটিতে আসলে খুব একটা ঝড়-বৃষ্টি হয় না। শতাধিক আল্লাহর মেহমান হাজী এভাবে নিহত হবে কেউ কল্পনা করতে পারেন নি। আমরা সেদিন আসরের সালাতের পর হারামের মাঠে ঘোরাঘুরি করছিলাম। এদিকে আকাশও ক্রমাগত মেঘাচ্ছন্ন হচ্ছিল, বাতাসও বইছিল অশান্তভাবে। মামা ক্যাপ্টেন নুর শফি এবং কয়েকজন নানী সম্পর্কের আত্মীয়বর্গ আমাদের কাফেলা হতে হজ্জে গিয়েছিলেন। আমাদের সাথে মক্কা প্রবাসী আরো কয়েকজন মামা থেকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন। একজন নানী একটু আগে চা খাওয়ার কথা বলেছিলেন। আমি প্রস্তাব লুফে নিয়ে মামাকে বললাম চলুন জমজম টাওয়ারের দিকে যাই। উনারা দ্বিমত করলেন না। বাতাসের বেগ বাড়তে থাকায় আস্তে আস্তে আমরা মার্কেটের ভিতরে ডুকি। তৃতীয়/চতুর্থ তলার ফুড জোনে গিয়ে ফাঁকা একটি টেবিলে সবাই বসি। প্রবাসী একজন মামা (নামটা মনে পড়ছে না) গিয়ে নাস্তা নিয়ে আসে। আস্তে আস্তে বাতাস প্রচণ্ড রূপ নেয়, এমন তুফান-বৃষ্টি শুরু হয় তা সাংঘাতিক রূপ ধারণ করে। সবাই কিন্তু হাস্যোজ্জ্বলভাবে মোবাইল, ক্যামেরা অত্যাধুনিক ডিভাইসের মাধ্যমে বৃষ্টি এবং তুফানের কর্মকাণ্ড ছবির তুলে, ভিডিও করে সংরক্ষিত করছে। ছড়িয়ে দিচ্ছেন নেটে। শুনেছি বৃষ্টি হলেও আরব দেশের মানুষ দারুণভাবে উপভোগ করে। সবাই হৈ-হুল্লোড় করছে যে যার মত।
মিনিট দশেকের তান্ডবের পর বৃষ্টি-তুফান কমে আসলে সবাই হাঁফ ছাড়ে। কিন্তু ভয়াল তান্ডব তার স্বাক্ষর রেখে গেছে। আমরা তো মার্কেটের ভেতরেই ছিলাম, ফলে জানতে পারিনি বাইরে কী হয়েছে? খবর আসতে থাকে ক্রেন পড়ে মানুষ নিহত হওয়ার। আমরাও আৎঁকে উঠি ফেসবুকে ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করি। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। দেশের মিডিয়াতে ব্রেকিং নিউজ চলছে ক্রেন বিপর্যয়ের। আমরা আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জানাই নিরাপদে রাখার জন্য। প্রথমে শুনি কয়েকজন মারা গেছে, ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়তে থাকে নিহতের। চারদিক থেকে ফোন আসতে থাকে। ঘটনার জানার এবং নিরাপদে আছি কি না সংবাদের জন্য। দেশের কয়েকজন বন্ধু (ব্লগার সবুজ ভাই, সীতাকুণ্ডের তৈয়ব ভাই) ম্যাসেজ এবং ফোনে পরিস্থিতি জেনে নেয়। আমিও ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে অবস্থা জানিয়ে দিই। এদিকে বাসায় ফোন করে আশ্বস্ত করি। সবার কন্ঠ ছিল কান্না জড়িত। এরকম অবস্থায় না পড়লে আসলে বুঝা যায় না মানুষ একজন আরেকজনের নিরাপত্তার জন্য কী দারুণ উদ্বেগ প্রকাশ করে!
আসলে এটা ছিল প্রাকৃতিক একটা বিপর্যয়। যার জন্য দু:খ করা ছাড়া আর কি উপায় আছে! অনেকে সৌদি আরবের প্রচণ্ড সমালোচনাও করছেন। যারা করছেন সমালোচনা তাদের মুখ বন্ধ করা তো আর যাবে না করুক। কিন্তু যারা উপস্থিত ছিলেন এবং হজ্জে গিয়ে বাস্তব অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছেন তারাই বাস্তবতা বুঝতে পারেন। হারামাইন শরীফের বর্ধিতকরণের জন্য যে কনষ্ট্রাকশানের কাজ চলছে তা হাজীদের সুবিধার্থেই করছেন সৌদি গর্ভনমেন্ট। তা সারা বছরই চলছে , অবশ্য বর্তমানে কাজ প্রায়ই সমাপ্তের পর্যায়ে আছে। তারপরও আসলে যেকোন ঘটনা সহজে কেউ মানিয়ে নেয়, ভুক্তভোগীরা তা পারে না।
মিনার মর্মান্তিক ঘটনা :
মিনার মর্মান্তিক ঘটনা কি আসলেই দুর্ঘটনা না পরিকল্পিত ভাবে ঘটানো হয়েছে তা বিভ্রান্তির শধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে এখনও। প্রচার হয়েছে সৌদি যুররাজ সেখানে পরিদর্শনে যাওয়ায় রোড ব্লকের ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আসলে সেদিন সৌদি যুবরাজ ওখানে যান নি। কেন জানি এটা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে নতুন এক ষড়যন্ত্র বলে প্রতীয়মান হচ্ছে আমার। সৌদি কর্তৃপক্ষ ইরানের একদল উচ্ছৃংখল হাজীকে এজন্য দায়ী করেছেন। উল্টো ইরান সৌদি অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন এবং রাজনীতিকরণ করে একটা ফায়দা নেয়া চেষ্টা করেছেন। বাদশাহ সালমান ক্ষমতার মসনদে বসার পর পূর্ববর্তী বাদশাহ আবদুল্লাহর অনেক কাজের মধ্যে পরিবর্তন এনেছেন। এটা পাশ্চাত্য, শিয়াপন্থী এবং ইয়াহুদীবাদের দোসরদের মাথা-ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বাদশাহ, তাঁর পরিবার এবং ছেলেকে অপসারনের জন্য জোটবদ্ধভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
একটি গ্রহণযোগ্য খবরে জানা যায়, “ প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান " সময়ের আলোচিত একটি নাম । তিনি সৌদি আরবের যুবরাজ। ছোট বেলায় তার পিতা যিনি বর্তমান সৌদি বাদশাহ ] অনেক আবেগ আর ভালবাসা নিয়ে পুত্রের নাম নবীজী সা. এর নামের সাথে মিল রেখে মুহাম্মাদ রেখেছেন। বাদশাহ সালমান নিজেও একজন হাফেজে কোরআন। নিজের সন্তানকেও দ্বীনী শিক্ষা দিয়েছেন। প্রিন্স মুহাম্মাদের পাশ্চাত্যের কোন সার্টিফিকেট নেই, তিনি কাবা শরীফের ইমাম সাহেবদের নিকট পড়া লেখা করেছেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি দেশ জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেন। তিনিই সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে আছেন । তিনি বাদশাহ সালমানের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেও নিয়োজিত আছেন। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সৌদি আরবের ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা পূণরুদ্ধারে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
এরই ধারাবাহিকতায় ইখওয়ানুল মুসলিমীন, ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠন হামাস, তুরস্কের আশা জাগানিয় নেতা ও মুসলীম উম্মাহর গর্ব প্রেসিডেন্ট এরদোগানসহ বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা হয়েছে ।
এবং হামাস প্রধান খালেদ মিশালসহ সংগ্রামী ব্যক্তিদের সাথে গুরুত্বপুর্ণ বৈঠক করা হয়। আর এ সকল মতবিনিময় ও বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রিন্স মুহাম্মাদ। তিনি আরবীয় খান্দানে এক ভিন্ন চিন্তার মানব হিসাবে খ্যাত। তার সর্বদা একটাই চিন্তা, তা হল বিশ্ব মুসলিমের হারানো গৌরব ফের আদায় করা। বর্তমান বাদশাহর আমলে সৌদী নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে । আর এ সব কিছুই সাধিত হয়েছে যুবরাজ মুহাম্মাদের পরামর্শে। কারণ, তার চেতনা একেবারেই স্বচ্ছ । হারাম শরীফের ইমাম সাহেবগণ ছোটবেলা থেকে তাকে আপোষহীনতার শিক্ষাই দিয়েছেন। তিনিই সৌদির শত্রু মিত্র নির্ধারণ করে দিয়েছেন । বর্তমান সৌদি জনগণ আশার প্রহর গুনছেন, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যত নেতৃত্ব হিসেবে সৌদির বুকে আশার প্রদীপ জ্বালাবেন যুবরাজ 'মু হা ম্মা দ'। তার পরামর্শেই ইরানী হিংসুক শিয়াদের হাত থেকে ইয়ামেনকে বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়ে ইয়েমেনে বিমান হামলা করে সৌদি আরব। সৌদিতে এরকম সাহসী ও সংগ্রামী ব্যাক্তির অস্তিত্বের জন্যই শিয়াগোষ্ঠী ও ইহুদীরা সবচেয়ে আতঙ্কে আছে প্রিন্স মুহাম্মাদকে নিয়ে। তাই তাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে মিনা ট্রাজেডী ঘটানো হয় এবং যুবরাজের ইমেজ ধ্বংসের অপচেষ্টা করা হয়। আজ সৌদি মিডিয়া এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রকারী ইরানীদের হুশিয়ার জানানো হয়েছে এবং আরো জানা গেছে, সৌদি সরকার ঘটনার তদন্ত করতে বজ্রকঠিন শপথ নিয়েছেন এবং শত শত সিসি ক্যামেরার চূলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। অপরাধীদের কড়া শিক্ষা দেয়া হবে। শীর্ষ নিউজ জানিয়েছে, হাজীদের মৃত্যুর ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র। মুসলিম উম্মাহর হৃদস্পন্দন মক্কাকে কলুষিত করতেই এই অপচেষ্টা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যত সৌদির শক্তিশালী নেতৃত্বের অবসান ঘটানোর জন্যই একাজ করেছে শত্রুরা। জানা গেছে, সৌদি আরব শুধু মাত্র হাজীদের সম্মানে হজ্জের সময় যে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও ব্যবস্থাপনা করে থাকে, তা দিয়ে ৫০ টি ফুটবল বিশ্বকাপ একবারেই আয়োজন করা যাবে অনায়াসেই। এত নিরাপত্তার পর ও এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা রহস্যময় ইতিহাস হয়েই থাকবে। বিশ্ব জনমত সে কথাই বলে। এরপর ও সৌদি আরবকে কলঙ্কিত করতে ও মুসলিম বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে । আর এতে নাটের গুরু হিসেবে কাজ করছে ইহুদী, খৃষ্টানদের সাথে হাত মিলানো শিয়াগোষ্ঠী ।”
অনেকেই এ লেখাটি পড়েছেন নেটের কল্যাণে, আমি আবারও তুলে ধরলাম। কারণ এ ঘটনা নিয়ে আমি যা ভেবেছি তার সাথে এবক্তব্য অনেকাংশে মিলে গেছে। আমি সৌদি পক্ষে কোন সাফাই গাচ্ছি না। আমি বেশ কয়েক বার হজ্জ করেছি। যে জামারাত নতুনভাবে তৈরির পর পাথর নিক্ষেপে কোন সমস্যা হত না, যেখানে একজনের গায়ে একজন লাগে না সেখানে কীভাবে এত বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে? কোন ষড়যন্ত্র না হলে সম্ভব না! তবে জামারাতে ঘটে নাই, যাওয়ার পথেই তা ঘটে।
সেদিন আমরা সকালে ফজরের সালাত জামায়াতসহ আদায় করে মুজদালিফা থেকে পুরো কাফেলা রওয়ানা হই জামারাতে পাথ নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে। যারা একটু দুর্বল তাদের মিনার তাঁবুতে পাঠিয়ে দিই। কাফেলার বাকী হাজীদের নিয়ে আমি ঝান্ডা হাতে এগিয়ে যাই। সবার আমাকে অনুসরণ করে চলতে থাকে। আমরা জামারাতে পৌঁছি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এবং ৮টার মধ্যে সবাই রমী জিমার বা পাথর নিক্ষেপ সমাপ্ত করি। প্রথম দিন বড় শয়তানকে ৭টি নিক্ষেপ করতে হয়। পাথর মেরে যারা পথ চিনে তাদের কেউ কেউ মক্কায় তাওয়াফে জিয়ারাতে চলে যায় এবং অন্যরা তাবুতে ফিরে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেয়। তাবুতে পৌঁছতে প্রায় সকাল ১১টা বেজে। আমাদের তাঁবুর কাছাকাছি যখন ছিলাম তখনই শুনতে পাই গরমে অনেক হাজী মারা গেছে। চারদিকে এম্বুলেন্সের এমাগত হুইসেল চলছে। হাজীরাও তটস্থ হয়ে গেছে কী হয়েছে জানার জন্য? পরবর্তীতে জানতে পারি পায়ে পিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক ঘটনাটি। তখন বিশ্বাসই হচ্ছিল না আমাদের পাশে কয়েকশত মিটার দূরে শয়তানের তাণ্ডব চলছে! মিডিয়ার কল্যাণে সেই পুরনো কৌশলে সারা বিশ্ব তোলপাড়। ফোন আর ফোন আসছে , একদিকে ক্লান্ত, শ্রান্ত অবস্থা অন্যদিকে পরিবারের উৎকন্ঠা। সাংঘাতিক গরমে কাহিল অবস্থা! যার সাথে কথা বলছি সবারই একই অবস্থা কান্না জড়িত কন্ঠ, হৃদয় গলিত আবেগ। সেদিন কিয়ামতের নমুনার কিছুটা রূপ প্রত্যক্ষ করছে যেন হাজীরা!
প্রায় হাজারোধিক হাজী নিহত পায়ে দলে! অবিশ্বাস্য! সৌদি কর্তৃপক্ষ এবং যুবরাজকে করছে যে যার মত তুলোধুনো করছে। অথচ সেখানে যুবরাজ যায়-ই নি! তারপরও কেন এত অপপ্রচার, ফলত প্রশ্ন উদয় হয়েছে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের? আরে এটা বাংলাদেশ না, যেখানে নেতা-মন্ত্রী যাওয়ার সময় রোড ব্লক করা হয়? সেদেশে কোন কিছুর ভিত্তি প্রস্তর হয় না, সরাসরি কাজ করা হয়। কোন কিছুর উদ্বোধন করা হয় না, সরাসরি উন্মুক্ত! তারপরও এই বাংলাদেশীরাই সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তির শিকার হয়েছে। এদেশের মিডিয়াও অনেকটা সৌদির বিরুদ্ধে বিরাগ, পাশ্চাত্য কী বলে সৌদি সম্পর্কে হুবহু তা-ই প্রচার করা হয়। যা শুনবে তা যাচাই-বাছাই না করে প্রচার করার মত মিথ্যা কি আছে এ দুনিয়ায়?
[i]তারপরও পানি কম ঘোলা হয়নি। খবর রটে পাশ্চাত্য দুনিয়ায়, বাদশাহর বিরুদ্ধে সবাই একাট্টা। আসলে ষড়যন্ত্রের বীজ বপন তো অনেক আগেই হয়েছে। জানি না বাদশাহ নামদার কতটুকু দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পারেন এবং সৌদি আরবকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে পারেন। মুনাফিকরা অনেকটাই ঐক্যবদ্ধ, শয়তানি শক্তির চাইতে মুনাফেকীর ষড়যন্ত্র বড় ভয়ংঙ্কর! কারণ শয়তান তো প্রকাশ্য শত্র“ আর মুনাফেকের কাজ পিছনে থেকে অগোচরে চলে। /i]
(২য় পর্ব সমাপ্ত)
বিষয়: সাহিত্য
১২৫৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক কিছু জানা হলো আপনার লিখা থেকে। দুর্ঘটনা সম্পর্কে অনেক কিছু রটেছে, জানি না তার কতোটুকু আসলেই ঘটেছিলো! তবে বিপদে আসলেই মানুষ খুব স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে যা শুনে তাই বিশ্বাস করে!
পরের পর্বের অপেক্ষায়!
শুকরিয়া
পরের পর্বে ইতি টানব হজ্জের এই লেখাটির।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আমার এক পরিচিত লোকও বলেছেন যে নিয়মিত পথে না গিয়ে পুলিশের লোক তাকে বিকল্প পথে যেতে বলছিল । এখন কথা হল পুলিশকে এই অর্ডার কে দিল?
ধন্যবাদ আপনাকে...
ধন্যবাদ....
ধন্যবাদ..
মন্তব্য করতে লগইন করুন