করণীয় কি : প্লীজ, জানতে চাই ?
লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ০৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:৪৩:৫২ সন্ধ্যা
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার ছেলেকে স্কুলে আনা নেয়া করি। স্কুল থেকে আনার সময় রিক্সা আসা-যাওয়ার জন্য কন্ট্যাক্ট করি। কারণ স্কুল ছুটি হলে রিক্সা পাওয়া সোনার হরিণের মতই। একদিন তো কড়া রৌদের মধ্যেও সমস্ত রাস্তা হেঁটে হেঁটে নিয়ে আসি। এ ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা। রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম ছিল, রিক্সা তো পাওয়ার কথাই উঠে না।
আজকে ১১টার সময় অফিসের পাশ থেকে ২০ টাকা দিয়ে রিক্সা ঠিক করি। রিক্সায় উঠে বললাম ছেলের ছুটি হয়েছে, আমি ওকে নিয়ে আসছি। একেবারে বাসায় পৌঁছে দিবেন এবং ভাড়া পঞ্চাশ টাকা দেব। ড্রাইভার রাজী হয়ে মাথাটা নড়লেন। স্কুলের কাছে গিয়ে দেখলাম সেই দম বন্ধ করা অসহনীয় যানজট। নেমে রিক্সাওয়ালাকে বললাম, রাস্তার বাম পাশে দাঁড়ান। আমি দু’মিনিটের মধ্যে ছেলেকে নিয়ে আসছি।
আমি গেলাম ছেলে আনতে, ঠিক ২/৩ মিনিটে হাজির। অবাক কাণ্ড রিক্সাওয়ালা নেই! যেখানে দাঁড়ানোর কথা সেখানে আরো ৮/১০টা রিক্সা বর্তমান। আমি চারদিকে দু,রাউন্ড দিলাম। হতাশ হয়ে গেলাম ওনাকে পাওয়ার বিষয়ে। এদিকে ছেলেও বিরক্ত করতেছে বাসায় চলে আসার জন্য। তার প্রাপ্য ২০ টাকা আমি কিভাবে দেব, সেই পেরেশানীতে মনটা খারাপ হয়ে গেল। ওনার হক আমি কিভাবে পৌঁছাতে পারি?
আর কোনদিন তার সাথে দেখা হলেও তো কেউ কাউকে চিনব-এমন নিশ্চয়তাও নেই। আমরা জানি, আল্লাহপাক আখেরাতে পরের অধিকার বা হক ক্ষমা করবেন না। আমি এখন কি করতে পারি? দয়া করে এই ব্লগে অনেক ইসলামী ব্যক্তিত্ব, লেখক ও গবেষক আছেন। একটু জানালে বাধিত হব।
=====
বিষয়: বিবিধ
১৩০৯ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ। কোন একাউন্ট, লোকমান ভাই?
আমার জানামতে এগুলো করতে হবে-
(১)ঐ লাইনে চলাচলকারী রিক্সাওয়ালাদের মাঝে আপনার ঘটনাটি প্রচার করে দিতে হবে, [কয়েকজনকে বলা, সুযোগ খুঁজে বলতে থাকা]
(২)সমপরিমান বা ততোধিক অর্থ ঐ ব্যক্তির জন্য সদকা করে দেয়া
(৩)ঐ ব্যক্তির জন্য দোয়া ইস্তিগফার করা
(৪)কখনো খোঁজ পেলে তার প্রাপ্য পরিশাধ করা ও ক্ষমা আদায় করা
(৫)নিজের জন্য দোয়া ইস্তিগফার করা
আল্লাহতায়ালা কাউকেই তার সামর্থের বাইরের কিছুর জন্য পাকড়াও করেননা
>>সমপরিমান বা ততোধিক অর্থ ঐ ব্যক্তির জন্য সদকা করে দেয়া
>>ঐ ব্যক্তির জন্য দোয়া ইস্তিগফার করা
>>কখনো খোঁজ পেলে তার প্রাপ্য পরিশাধ করা ও ক্ষমা আদায় করা
>>নিজের জন্য দোয়া ইস্তিগফার করা
জাযাকাল্লাহ খাইর
যদি নাপান তাহলে আর কিইবা করার আছে.... ওনার হয়ে আপনি কাউকে দান করে দেবেন, আশা করি আল্লাহ তা কবুল করবেন, কারন আপনার ইচ্ছায় এটা হয়নি। যদিও আমার কথা গুলো অনুমান কোরআন বা হাদিসের আলোকে নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন