হজ্বের গুরুত্ব এবং আল্লাহর মেহমান হাজী সাহেবানদের করণীয়
লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ০৩ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:২২:২২ দুপুর
মুুসলমান মাত্রই আল্লাহপাকের পবিত্রতম ঘর “খানায়ে কাবা” এবং নবীজী (সা)এর “রওজায়ে মদীনা” জিয়ারত করার বাসনা আজীবন হৃদয়ে লালন করেন। যারা পবিত্র দু’টি স্থান জিয়ারত করার সুযোগ লাভ করেন তারা তো সৌভাগ্যবান। ইসলামের অন্যতম মৌলিক ইবাদত হচ্ছে হজ্ব। শারীরিক সুস্থতা, সফরের নিরাপত্তা এবং আর্থিকভাবে যারা সচ্ছল তাদের জন্যই জীবনে একবার হজ্ব করা ফরজ। আল্লাহতায়ালা আল্ কোরআনে এরশাদ করেছেন, “বায়তুল্লাহ হজ্ব করা সেই মানুষের উপর আল্লাহর হক, যার সামর্থ্য রয়েছে সেই পর্যন্ত পৌঁছার, আর যে এটা অস্বীকার করে, তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ সারা বিশ্বের মানুষের কোন পরওয়া করেন না।” (সূরা আলে ইমরান-৯৭) হাদীস শরীফে আছে, হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি নবীজীকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহপাকের উদ্দেশ্যে হজ্ব করলো এবং হজ্ব সমাপন কালে কোন প্রকার অশ্লীল কথা-বার্তা ও গুনাহর কাজে লিপ্ত হল না, সে সদ্যভুমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে প্রত্যাবর্তন করল।” অন্য হাদীসে আছে, “মকবুল হজ্বের বিনিময় জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই নয়।” তাই হাজী সাহেবরা যাতে পূর্ণরূপে ও নির্ভুলভাবে হজ্ব সম্পন্ন করতে পারেন-সেই লক্ষ্যে কিছু জরুরী পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করছি।
হজ্বে যাওয়ার পূর্বের প্রস্তুতি :
হজ্ব মানে ইচ্ছা বা সংকল্প করা। আল্লাহপাকের উপর ভরসা করে হজ্বের প্রস্তুতি নিবেন। এটা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অশেষ নিয়ামত মনে করে নিম্নলিখিত জরুরী কাজসমূহ সম্পন্ন করবেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর আদেশ পালনের লক্ষ্যে খাঁটিভাবে নিয়ত করবেন, পিতামাতার কাছ থেকে অনুমতি নিবেন (কারো পিতা-মাতা না থকেলে ভিন্ন কথা), ঋণ থাকলে তা পরিশোধ করবেন, হজ্ব থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষনের ব্যবস্থা করে যাবেন, কারো কোন আমানত থাকলে তা ফেরত দিবেন, আল্লাহওয়ালা তথা পরহেজগার সঙ্গীর সাথে থাকার চেষ্টা করবেন, কোন ভাল আলেমের কাছে মাসলা-মাসায়েল জেনে নিবেন, কোন ভাল কাফেলার সাথে থাকতে সচেষ্ট হবেন। সৌদি আরবে গিয়ে সেখানে কি কি লাগতে পারে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিবেন আগে থেকেই এবং আল্লাহর কাছে প্রতি ওয়াক্ত সালাতের পর ইস্তেগফার করবেন। আশাকরি এভাবে নিয়ম মাফিক কাজগুলো করলে নির্ভুলভাবে হজ্ব সমাধা করার প্রত্যাশা করা যায়।
ইহরাম বাঁধা :
বাংলাদেশের সকল হাজীগণই আশাকরি আকাশ পথে বিমানযোগে হজ্বে যাবেন। এয়ারপোর্টে যাওয়ার আগে বিমানের সিডিউল ঠিক আছে কিনা ভালভাবে জেনে নিয়ে এয়ারপোর্টে যাবেন। কারণ অনেকেই বাসা থেকে ইহরামের কাপড় পড়ে এয়ারপোর্টে যান। যদি বিমানের সিডিউল সমস্যা হয় অথবা ফ্লাইট ২/১দিন পিছিয়ে যায় তাহলে না জেনে অনেকেই ইহরামের কাপড় খুলে ফেলে। মাসআলা মতে, ইহরামের কাপড় খুলে ফেললে দম ওয়াজিব হয়। যারা প্রথমে মদীনা শরীফ যাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে বিমানযোগে রওয়ানা হন, তাদের ইহরাম না করলেও চলবে। তারা পরবর্তীতে মদীনার “বীরে আলী” নামক স্থান থেকে ইহরাম বেঁেধ মক্কায় আসবেন। ইহরাম বাধাঁর আগে গোসল করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ, ইমাম আবু হানীফার মতে, গোসল সম্ভব না হলে অজু করলেও চলবে। ইহরাম বাঁধার আগে শারীরিক পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য। নির্দিষ্ট নিয়মে ইহরামের কাপড় পরিধান করে যদি মাকরুহ ওয়াক্ত না হয়, তবে হজ্বের প্রকার অনুসারে নিয়ত করে দু’রাকাআত নফল সালাত আদায় করবেন এবং তালবিয়া পাঠ করবেন। (বাংলাদেশের হাজীগণ তামাত্তু হজ্ব করে থাকেন)
উমরা কিভাবে আদায় করবেন?
হজ্ব শুরুর আগে মক্কায় আবস্থান কালে উমরা সম্পন্ন করে নিবেন। ৮ই জিলহজ্ব থেকে ১৩ই জিলহজ্ব ছাড়া বছরের যে কোন সময় উমরা করা যায়। বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ী করাই হল উমরা। উমরা শেষে চুল ছেঁটে বা মুণ্ডন করে নিবেন। নির্দিষ্ট নিয়মে বায়তুল্লাহ শরীফ ৭ চক্কর দিতে হয়, একে তাওয়াফ বলে। হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) হতে ডান দিক দিয়ে তাওয়াফ শুরু করে হাতিমসহ কাবা ঘরের চারপার্শ্বে ঘুরে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত আসলে এক চক্কর হয়। কালো দাগ বরাবর দাঁড়িয়ে দু’হাত কাঁধ পর্যন্ত তুলে “আল্লাহু আকবর” বলে তাওয়াফ শুরু করবেন। তাওয়াফ কালে যে কোন মাসনুন দোয়া পাঠ করলে হবে। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহীমের সামনে অথবা আশে পাশে দু’রাকাত নফল সালাত আদায় করবেন। এরপর সাফা-মারওয়া সায়ী করবেন। সাফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত গেলে এক চক্কর হবে। সাফা থেকে সায়ী শুরু করে মারওয়ায় গিয়ে সপ্তম চক্কর শেষ করবেন। সায়ী শেষে মাথা মুণ্ডন করে নিবেন। মহিলারা চুলের অগ্রভাগ সামান্য পরিমাণ ছেঁটে ফেলবেন। এভাবে উমরার কাজ সমাপ্ত হবার পর ইহরামের কাপড় খুলে সেলাই করা কাপড় পরিধান করে স্বাভাবিক চলাফেরা করবেন। ৮ই জিলহজ্ব থেকে হজ্বের অনুষ্ঠান শুরুর অপেক্ষা করবেন। সাথে সাথে ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত থেকে সুষ্ঠু ও নির্ভুল হজ্ব সম্পদন করার জন্য আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করে সাহায্য চাইতে থাকবেন।
হজ্বের দিনগুলিতে কি করবেন?
হজ্বের মূল দিবস সমূহ হচ্ছে ৮ই জিলহ্জ্ব থেকে ১৩ই জিলহজ্ব পর্যন্ত সময়কাল। ৮ই জিলহজ্বে হজ্বের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে সুর্যোদয়ের পর মিনা অভিমুখে রওয়ানা হবেন তালবিয়াহ পাঠ করতে করতে। জোহরের পূর্বে মিনায় পৌঁছে জোহরের সালাত আদায় করবেন। অতঃপর আছর, মাগরিব ও এশা এবং ৯ই জিলহজ্ব ফজরের সালাত আদায় করবেন। ৮ই জিলহজ্বের পূর্বে যদি আপনি মুকীম হিসাবে মক্কা শরীফে অন্ততঃ ১৫ দিন অবস্থান করেন, তবে মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতে পুরা সালাত পড়বেন। তা না হলে এসব স্থানে চার রাকাত বিশিষ্ট সালাত কসর পড়বেন। মিনাতে অবস্থানকালে বেশী বেশী কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর কাছে রহমত ও মাগফিরাত কামনা করে দোয়া চাইতে থাকবেন। ৯ই জিলহজ্ব মিনা থেকে ফজরের সালাত আদায় করে সূর্যোদয়ের পর তালবিয়া পাঠ করতে করতে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের জন্য রওয়ানা হবেন। অকুফে আরাফা হজ্বের অন্যতম ফরজ। রাসূল (সা) বলেছেন, “অকুফে আরাফাই হচ্ছে হজ্ব।” আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করতে হয়। সেখানে জোহর ও আসরের সালাত প্রথম ওয়াক্তে এক আযান ও দু’ইকামাতে কসর করে পড়তে হয়। আরাফাতের অবস্থান কালে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে অবস্থান সঠিক হয়। কারণ আরাফাত ময়দান সংলগ্ন “আরানা উপত্যকা” অবস্থিত। সেখানে মসজিদে নামিরা অবস্থিত হাজীরা ভুল করে ঐ উপত্যকায় অবস্থান করতে দেখা যায়। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থান করা ওয়াজিব। সূর্যাস্তের পর মুজদালিফায় রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে এক আযান ও দু’ইকামাতে এশা ও মাগরিবের সালাত আদায় করবেন। এশার সালাত কসর এবং মাগরিব সালাত কসর হবে না। মুজদালিফায় অবস্থান কালে মিনায় অবস্থিত জামারাতে নিক্ষেপের জন্য (যাকে সাধারণ ভাবে শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর মারা বলা হয়) ৪৯টি বা ৭০টি ছোট আকারের কঙ্কর সংগ্রহ করবেন। রাত্রি যাপন শেষে ফজরের সালাত আদায় করে প্রত্যুষে আকাশ ফর্সা হতে থাকলে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।
১০ই জিলহজ্ব বড় জামারাতে ৭টি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার পূর্বে। কঙ্কর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব এবং নিক্ষেপের সময় তাকবীর বলবেন। নিক্ষেপ করার সময় স্তম্ভের গায়ে নয়, বৃত্তের মধ্যে পড়লে হবে। সতর্কতার সাথে করবেন কারণ ঐ সময় প্রচণ্ড ভীড়ের কারণে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কঙ্কর নিক্ষেপের পর কোরবানী করবেন। অতঃপর মাথা মুণ্ডন করে, গোসল সেরে ইহরামের কাপড় খুলে স্বাভাবিক কাপড় পরিধান করবেন। এরপর তাওয়াফে জিয়ারতের উদ্দেশ্যে মিনা থেকে খানায়ে কাবা যেতে হবে। তাওয়াফে জিয়ারত ফরজ, বাদ গেলে হজ্ব শুদ্ধ হবে না।
১১ই জিলহজ্ব দুপুরের পর (সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়লে) প্রথমে ছোট জামারাত, তারপর মধ্যম জামারাত এবং বড় জামারাতে ৭টি করে মোট ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন।
১২ই জিলহজ্বে পূর্বের দিনের ন্যায় করবেন। জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য সমান বিধান। তবে মহিলাদের জন্য রাতেও নিক্ষেপ করা জায়েজ। নিজ হাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। বিনা ওজরে অন্য কারো মাধ্যমে নিক্ষেপ করা জায়েজ নাই।
কোরবানী প্রসঙ্গে :
কিরান ও তামাত্তু হজ্ব পালনকারীদের উপর কোরবানী করা ওয়াজিব। হজ্বকারীর উপর ওয়াজিব বা হজ্বের অংশ বিশেষ হল দম। হজ্বকারী আল¬াহর সন্তুষ্টি ও কোরবানীর উদ্দেশ্যে গরু, উট, দুম্বা, ভেড়া ও ছাগলের যে কোন একটি বা একাধিক জবেহ করে যে রক্ত প্রবাহিত করেন কোরবানী বলে। অবশ্য সৌদি কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে অনুমোদিত ব্যাংকের বুথ স্থাপন করেছে। সেখানে জমা দিয়ে কুপন সংগ্রহ করলে দম বা কোরবানীর ব্যবস্থা হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কোন আলেমের কাছ থেকে বা হজ্ব কাফেলার প্রধানের সাথে পরামর্শ করে মাসয়ালা জেনে নিবেন। সর্বশেষ বিদায়ী তাওয়াফ করে মক্কা শরীফ থেকে বিদায় নিবেন। এভাবে হজ্ব সমাধা হয়ে গেলে দেশে ফিরে আসতে পারেন। অনেককে দেখা যায় হজ্বের পর অবৈধভাবে থেকে যেতে, এমনটা করবেন না। যারা মদীনাতে যাননি, তারা নবীজীর রওজা জিয়ারতের উদ্দেশ্যে মদীনা যাবেন।
জিয়ারতে সোনার মদীনা :
নবীজীর রওজা মোবারক ও মসজিদে নববী (সা) জিয়ারত অত্যন্ত ফজীলতের। রাসূল (সা) বলেছেন, তোমরা তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদ ভ্রমণ করো না। সেগুলি হল : মসজিদে বায়তুল্লাহ, মসজিদে নববী ও মসজিদে আকসা। রাসূল (সা) মদীনায় বসবাস করার জন্য উম্মতগণকে বিশেষভাবে তাগিদ করেছেন। তিনি পবিত্র মদীনা শরীফকে নিরাপদ ও হারাম অঞ্চল ঘোষণার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন, আল্লাহপাক তাঁর হাবীবের দোয়া কবুলও করেছেন। মসজিদে নববীতে এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করা হাজার ওয়াক্ত সালাত পড়ার সমান সওয়াব বলে হাদীসে উল্লেখ আছে। হাজী সাহেবানরা হাদীসে বর্ণিত ৪০ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকেন। মসজিদে নববীতে বিনয় ও আদবের সাথে প্রবেশ করবেন। বিশ্বনবী (সা)এর রওজার সামনে গিয়ে আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু বলে সালাম দিবেন। এরপর সাইয়্যেদেনা হযরত আবু বকর সিদ্দিীক (রা) এবং হযরত উমর ফারুক (রা)কে সালাম দিবেন। সময়ের ফাঁকে ফাঁকে ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমণ করবেন।
আরো জরুরী কিছু পরামর্শ :
যতদিন পর্যন্ত সৌদি আরবে থাকতে হবে, ততদিন সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে। সঠিক এবং পরিমিত আহার করবেন। হজ্ব কাফেলার সাথে গেলে যারা পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন তাদেরকে যেকোন সমস্যার কথা জানাবেন। উনাদের সহযোগিতা নিবেন এবং যে কোন অনাকাঙিখত ঘটনা থেকে দুরে থাকবেন। হজ্বের আহকাম সহীহ ভাবে পালন করার চেষ্টা করবেন। মনে রাখতে হবে, অতীত জীবনের গুনাহ মাফের উদ্দেশ্যে আপনি আল¬াহর ঘরে গেছেন। বিদআত ও শিরকমুক্ত ইবাদত আল¬াহর পছন্দনীয়। বিদআত ও শিরকের সংস্পর্শে যাবেন না। হজ্বে যাওয়ার সময় অনেকে জিয়ারতের উদ্দেশ্যে টাকা-পয়সা দেন, এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন। বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণার্থে সব সময় দোয়া করবেন। নিজের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য দোয়া করবেন। হজ্ব শেষে দেশে প্রত্যার্বতনের পর নিজেকে আলহাজ্ব বা হাজী হিসাবে প্রচার করবেন না। প্রাত্যহিক জীবনে ইসলামের বিধি-নিষেধ অবশ্যই মেনে চলবেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকে লক্ষ্য হিসাবে নিয়ে দ্বীন কায়েমের চেষ্টায় ব্রতী হবেন। পরিশেষে আল্লাহর নিকট মোনাজাত করি যেন সবাইকে সুষ্ঠুভাবে হজ্ব সমাপন করে দেশে ফিরতে পারেন। আল¬াহ্ আমাদের সকল কর্মতৎপরতাকে কবুল করুন। আমিন।
=======
বিষয়: সাহিত্য
৩৪৩০ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহর অশেষ রহমতে গত বছর হজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল ।
আমারও এ নিয়ে লিখার ইচ্ছে আছে ইন শা আল্লাহ ।
মহান আল্লাহ যদি তাওফীক দেন হজ্ব করার....! আল্লাহর কাছে দোয়া করি জীবনে অন্তত একবার হজ্ব করার সুযোগ যেন আল্লাহ করে দেন, আমিন।
২০১২ সালের রমজান মাসে আমার মতো একজন নালায়েক আল্লাহর গোলামকেও ওমরাহ পালনের সুযোগ দিয়েছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালা। মক্কাতে ২৪ দিন এবং মদিনাতে ৪ দিন থাকার অনেক মধুর স্মৃতি মনে পড়ছে। মন চায় বার বার যেতে। কিন্তু প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্বেও সুযোগ ও সামর্থ্যের অপেক্ষায় আছি। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন সবাইকে মহান আল্লাহর ঘর জিয়ারতের বার বার তাওফিক দেন।
*তওয়াফে যিয়ারত এবং বিদায়ি তওয়াফ এর সময় কি ইহরাম পড়তে হয়?
*জামরাতে কন্কর নিক্ষেপ এর আগেই যদি কুরবানি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কি হবে?
পরামর্শ থেকে একটা মজার ঘটনা মনে পড়ল। আমার আব্বা-আম্মা হজ্জে যান ২০০৮ সালে আমার এক খালাত বোন ্র তাদের সাথে যান । চট্টগ্রামের একজন নামকরা সুন্নি আলেম যিনি আপার আত্মিয় হন মদিনাতে যিয়ারত এর নামে তার কাছ থেকে টাকা নেন!!!
২। উ:ইমামগণ তরতীব রক্ষা করার তাগিদ দিয়েছেন। কিছু ইমাম কুরআনী আগে হয়ে গেলে দম ওয়াজিব বলেছেন।
(বিস্তারিত সাক্ষঅতে আলাপ হতে পারে)
৩। জিয়ারাতের টাকা নেয়া ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়..অনেক ধন্যবাদ..
পোষ্টটা প্রিয়তে রাখলাম।
প্রিয়তে রাখলাম
আল্লাহ তায়ালা কোন সময় হজ্জ্বের তাওফীক দিলে লিখাটি আবার পড়ে ইন শা আল্লাহ। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
জাযাকাল্লাহ খাইর
প্রিয়তে রাখলাম...... ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন