বিবিধ- ৫ : বইয়ের সাথে পরিচিতি (১) : আখেরাতের পাসপোর্ট (passport to the day of judgement)
লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ১০ জুন, ২০১৫, ১২:২৩:০২ দুপুর
যে বই পড়ে আমার ভাল লাগে এবং যে বই পড়ে দ্বীন-দুনিয়ার জ্ঞান আহরণের অবারিত সুযোগ থাকে-সে বই অন্যদের পড়তে, পড়ার পরামর্শ দিতে এবং পারত পক্ষে কিনে গিফট দিতে আমার ভাল লাগে। ছেলেবেলা থেকেই বই পড়া, কেনা এবং গিফট দেয়ার অভ্যাস আছে। বর্তমানে দাওয়াহ্র কাজ ছড়িয়ে পড়েছে ইথারে-পাথারে, ইয়াহু-গুগলে, নেটে-মেইলে, ফেসবুকে-ব্লগে সর্বত্রই। বইটি হয়ত ইতিমধ্যে অনেকেই পড়ে থাকতে পারেন। ছোট অথচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমান সমাজে অশিক্ষা-কুশিক্ষার প্রভাবে মানুষ ত্র“টিযুক্ত ঈমান এবং পরকালকে না জেনে নাস্তিক্যবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যে আল্লাহ আমাদের জন্য এই ধরণী এত সুন্দররূপে সৃষ্টি করে এত বড় নেয়ামত দান করেছেন, তাকে কিভাবে অস্বীকার করা যায? ভোগ-বিলাসে লিপ্ত হয়ে ধ্বংস করছি জীবন-যৌবন। বর্তমান বিশ্বের সর্বশেষ জীবন বিধান যা সর্বাধুনিক এবং ফিতরাতেরও ধর্ম সে-ই যে কত বিজ্ঞান ভিত্তিক তা আমরা না জেনেই বিরোধিতা করছি। যাক আজ যে বইটির কথা বলছি প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা তার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, অন্তত কিছু ঈমানদারের আমলকে হয়ত এর মাধ্যমে মজবুত করতে সহায়তা করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
নাম- আখেরাতের পাসপোর্ট
লেখক-আকরামুল্লা সাঈদ
অনুবাদক-নাঈম সিদ্দিকী
প্রকাশক-প্রফেসর’স বুক কর্ণার, ঢাকা।
বইটিতে প্রথমেই একটি হাদীস দিয়ে শুরু হয়েছে-
হযরত সালমান ফার্সী(রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূল (সা) বলেছেন, “কোন ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না পাসপোর্ট ব্যতীত। যাতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা যুক্ত ভিসা থাকবে। এই পাসপোর্টটি অমুকের পুত্র অমুকের জন্য। তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে স্তরে প্রবেশ করাও, তাঁর জন্য ফলফলাদিও গাছগুলো কাছেই ঝুঁকে থাকবে।” (আহমদ)
আমরা জানি, ঈমানের অন্যতম বিষয় আখেরাত বা পরকালে বিশ্বাস। আখেরাতে ভ্রমণের কোন অন্ত নেই। সেই জীবনের কোন শেষও হবে না। দুনিয়ার এ জীবন স্বল্পকালীন। মৃত্যুর পর সে পরকালের জীবন শুরু হয়। তাই সে জীবনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য কুরআন-হাদীসে বারবার সতর্ক তাগিদ এসেছে। ভাল কাজ করলে বিনিময় ভাল পাবে, আর মন্দ কাজ করলে সে চির অশান্তির জাহান্নামে যাবে-এটা অবধারিত।
যে কোন ভ্রমণকালীন সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নিতে হয় মানুষকে। বইটিতে মানুষের
আখেরাতে অনন্ত ভ্রমণে কি কি পাথেয় নিতে হবে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আছে। এই ভ্রমণে তাকে কি কি কাজ বা পরীক্ষার সমূহের মুখোমুখি হতে হবে তা বলা হয়েছে কুরআন ও হাদীসের আলোকে। সংক্ষেপে তা এই :
-কবরের জীবন
-ধ্বংস, পুণরুত্থান ও হাশর
-হিসাব ও প্রতিফল
-মিযান
-সিরাত
-শাফা’আত
-হাউযে কাউসার
-জান্নতা ও জাহান্নাম
-আল্লাহর দর্শন লাভ
লেখক অত্যন্ত সুন্দরভাবে ভ্রমণের জন্য সময় থাকতে পূর্ব প্রস্তুতি নেয়ার জন্য অত্যন্ত দরদপূর্ণভাবে তুলে ধরেছেন ছোট এই বইখানিতে। না পড়ে থাকলে সংগ্রহ করে আজই পড়ে আমল করুন পরকালে পাথেয় হিসেবে ফলপ্রসু হবে নিশ্চিতভাবে। আমরা লেখক এবং পাঠকের জন্য দোয়ার আবেদন করছি মহান আল্লাহপাকের কাছে। হে আল্লাহ! আমাদের যাবতীয় কার্যক্রম কবুল করুন। আমিন।
<) <)==== <) <)
বিষয়: বিবিধ
১৭৮২ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার খুবই প্রিয় একটা বই। ধন্যবাদ।
জলদি
মন্তব্য করতে লগইন করুন