নিবন্ধ-৫:: মাহে শা’বানের মর্যাদা : শবে বরাত না লাইলাতুন নিস্ফে মিন শা’বান
লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ৩০ মে, ২০১৫, ০৭:১৬:২৯ সন্ধ্যা
শা’বান মাসের মর্যাদা :
শা’বান আরবী হিজরী সনের অষ্টম মাস। শা’বান শব্দটি আরবী শাব ধাতু থেকে উৎপন্ন। যার অর্থ দল, গোত্র, বংশ, প্রজাতি ইত্যাদি। শা’বান মাসের নামকরণ প্রসঙ্গে হাফেজ হাজার ইবনে আসকালানী তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ফতহুল বারী’তে বলেন, “জাহেলী যুগের লোকেরা গোত্রে গোত্রে ভাগ হয়ে পানির অন্বেষণে বেরিয়ে পড়ত অথবা নিষিদ্ধ রজব মাস শেষ হওয়ার পর ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিত বলে এক শা’বান মাস বলা হয়। রজব ও রমজান মাসের মধ্যবর্তী সম্মাণিত একটি মাস শা’বান, যা রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি নেয়ার মাস। রাসূল (সা) এ মাসে বেশি নফল সাওম পালন করতেন। উম্মুল মো’মেনীন হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা)কে মাহে রমজান ছাড়া অন্য কোন সময় পুরো মাসে রোজা রাখতে দেখিনি এবং শা’বান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে অধিকাংশ দিন তাঁকে রোজা রাখতে দেখিনি। আরেক বর্ণনায় এসেছে হযরত আয়েশা (রা) বলেন, কোন কোন সময় রাসূল (সা)পুরো শা’বান মাসেই নফল রোজা রাখতেন। আবার কোন কোন সময় শা’বান মাসের অধিকাংশ দিন রোজা রাখতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
আল্ল¬াহর রাসূল শা’বান মাসে বেশি রোজা রাখার কারণ হচ্ছে, এ মাসে বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। তাই তিনি কামনা করতেন রোজা অবস্থায় যেন তাঁর আমলনামা পেশ করা হয়। হযরত উসামা বিন যায়েদ থেকে বর্ণিত, আমি রাসূল (সা)কে জিজ্ঞেস করলাম, ওহে আল¬াহর রাসূল (সা)! আমি আপনাকে শা’বান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে বেশি রোজা রাখতে দেখিনি। এর কারণ কি? উত্তরে তিনি বললেন, রজব ও রমজান মাসের মাঝে অবস্থিত শা’বান মাস সম্পর্কে লোকেরা অবহিত নয়। এটি এমন এক মাস, যে মাসে আল¬াহতায়ালার নিকট বান্দার আমল পেশ করা হয়। আর আমি রোজা পালন করা অবস্থায় আমার আমল আল¬াহর কাছে পেশ করা হোক এটাই চাই।” (নাসায়ী)
হযরত আবু বকর বলখী (র) বলতেন, “রজব বীজ বপনের মাস, শা’বান পানি সেচের মাস এবং রমজান ফসল ঘরে তোলার মাস।” তিনি আরো বলতেন, ‘‘রজব, শা’বান ও রমজানের দৃষ্টান্ত যথাক্রমে বাতাস, মেঘ ও বৃষ্টির মত। অতএব যে ব্যক্তি রজবে বীজ বপন করল না, শা’বানে ফসলে পানি সেচ করল না, সে কি করে রমজানে ফসল ঘরে তোলার চিন্তা করে?’’ কাজেই শা’বান মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। রাসূল (সা)এর উম্মত হিসাবে এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজার রাখার চেষ্টা করা উচিত। এ মাসের ১৫ তারিখের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে মুসলিম ভাই-বোনদের কাছে। হাদীসে এ রাতকে লাইলাতুন মিন নিসফে শা’বান বা শা’বানের মধ্য রাত্রি বলা হয়েছে। কিন্তু উপমহাদেশের মুসলমানরা এ রাতকে শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হিসাবে পালন করে আসছে যুগ যুগ ধরে। প্রশ্ন উঠেছে, এ রাতকে কিভাবে পালন করতে হবে? ভাগ্যের রজনী শবে বরাত হিসাবে নাকি হাদীসে রাসূলের মতে লাইলাতুন নিসফে শা’বান হিসাবে। আমাদের কি জানা উচিত নয় এ ব্যাপারে কোরআন-হাদীস কি বলে? আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি।
শবে বরাত না লাইলাতুন নিসফে মিন শা’বান :
শবে বরাত কোরআন এবং হাদীস সমর্থিত কোন পরিভাষা নয়। ফারসী শব্দ শব মানে রাত এবং বরাত মানে ভাগ্য। এ হিসাবে অনেকে একে ভাগ্যের রজনী বলে। শবের স্থলে লাইলাতুল বসিয়ে লাইলাতুল বরাত বলাটাও কোরআন-হাদীস সমর্থিত নয়। বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ফারসীর প্রভাবটা অনেকখানি দখল করে আছে। যেমন আমরা সালাতকে বলি নামাজ, সাওমকে বলি রোজা, আল্ল¬াহকে বলি খোদা তেমনি শবে বরাত, শবে কদর ইত্যাদিও ফারসির দখলে। এভাবে শবে বরাত একটি শক্ত ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে গেছে উপমহাদেশের মুসলমানদের কাছে ইবাদতের ন্যায় এবং মত বিরোধ হচ্ছে সর্বত্রই। কেউ কেউ দলিল হিসাবে আল্ কোরআনের সূরা দুখানের নিম্নোক্ত আয়াতগুলোকে পেশ করছে।
“হা মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। নিশ্চয় এটা অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে। আমি তো সতর্ককারী মাত্র। এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়।” (আয়াত : ১-৪) আয়াতের লাইলাতুল মুবারাকা বা বরকতময় রাতকে তারা লাইলাতুল বরাআত বলতে চান। অথচ এত সরল আয়াত এখানে বলা হয়েছে এটা অবতীর্ণ করেছি বরকতময় রাতে। কোরআন নাযিলের মাস রমজান। সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “রমজান মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে আল্ কোরআন।” সূরা আল্ কদরে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় এই কোরআন নাযিল হয়েছে লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জান লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হল হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।”(আয়াত : ১-৩) এত সরল সুন্দর কথা আর কি হতে পারে? না বুঝার কি থাকতে পারে? কোরআন নাযিল হয়েছে এক বরকতময় রাতে। সেই রাতটি হল রমজান মাসে। আর শা’বানের মধ্য রাত্রিকে যদি শবে বরাত ধরা হয় তাহলে কি দাঁড়ায়? কোরআন নাযিলের রাত বা রমজান মাস বলা যাবে কি? তাবেয়ী ইকরামা (র)এর মত অনুসারে কেউ কেউ বরকতময় রাত বলতে শবে বরাত বুঝিয়ে থাকেন তাহলে কোরআন-হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা হবে। কারণ শবে বরাতের রাত্রে কোরআন নাযিল কোরআন-হাদীসের সুস্পষ্ট দলিলের পরিপন্থী। ইমাম কুরতুবী (র)তাঁর তাফসীরে বলেন, “কোন কোন আলেমের মতে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ উদ্দেশ্য হল মধ্য শা’বানের রাত। কিন্তু এটা একটা সম্পূর্ণ বাতিল ধারণা।”
ইমাম আবু বকর জাসসাস ‘আহকামুল কোরআন’ গ্রন্থে বলেছেন, “লাইলাতুল কদরের ৪টি নাম রয়েছে, তা হল : লাইলাতুল কদর, লাইলাতুল মুবারাকাহ, লাইলাতুল বারাআত এবং লাইলাতুল সিক।’’ (সূরা আদ-দুখানের তাফসীর) ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আলী আশ-শাওকানী তাফসীরে ফতহুল কাদীর এবং ইবনে জরীর তাবারীও তাফসীরে তাবারী শরীফে অনুরূপ কথাই লিখেছেন। শবে বরাতকে “ভাগ্য রজনী’ হিসাবে মেনে নিয়ে অনেকে বিশ্বাস করেন হায়াত, মওত ও রিজিক বন্টনের বিষয়ে ফয়সালা করা হয়। অথচ লাইলাতুল কদরেই তা হয়। আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাই হোক বা অজ্ঞতার কারণেই হোক কোন বিষয়ে মতভেদ হলে আল্ল¬াহ এবং রাসূলের কাছেই ফিরে যেতে হবে অর্থাৎ কোরআন-হাদীসের কাছে যেতে হবে।
কোরআন সাক্ষ্য দিচ্ছে, “হে ঈমানদারগণ! যদি তোমরা আল¬াহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তাহলে আল¬াহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। এবং তাদের, যারা তোমাদের মধ্যে কর্তৃত্বশীল; কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ হলে তা ন্যস্ত কর আল্ল¬াহ ও তাঁর রাসূলের উপর। এটাই উত্তম ও পরিণামে উৎকৃষ্টতর।” (সূরা নিসা-৫৯) অহেতুক ফিৎনা-ফ্যাসাদ, বাক-বিতণ্ডা, ঝগড়া-ঝাটি করে নিজের আমলকে বিনষ্ট করার কোন প্রয়োজন নেই। এতে কারো লাভ নেই, নিজেদের ক্ষতি ছাড়া। আকিদা মজবুত করতে কোরআন-হাদীসের জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই।
১৫ই শা’বানকে শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত না বলে “শা’বানের মধ্যরাত্রি” বললে সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। “শা’বানের মধ্য রাত্রি”র সম্পর্কে হাদীস গ্রন্থসমূহে কিছু কিছু উল্লে¬খ পাওয়া যায়। নিম্নে কয়েকটি হাদীস তুলে ধরা হল।
১) হযরত আবু মুসা আশয়ারী (রা) থেকে বর্ণিত, “রাসূল (সা) এরশাদ করেছেন, “মহান আল্ল¬াহপাক নিসফ্ শা’বানের রাতে আবির্ভুত হন। সেই রাত্রিতে মুশরিক অথবা হিংসুক ছাড়া সকলকেই ক্ষমা করে দেয়া হয়।” (ইবনে মাযা) বর্তমান বিশ্বের শ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদ আল¬ামা নাসিরুদ্দীন আলবানী তাঁর “সহীহ আত্ তারগীর ওয়াত তারহীব” গ্রন্থে হাদীসটি সংকলিত করেছেন।
২) হযরত মুয়ায বিন জবল (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল(সা) থেকে বর্ণনা করেছেন। রাসূল (সা) বলেছেন, “শা’বান মাসের মধ্য রাত্রিতে মহান আল্ল¬াহ (তাঁর রহমতের ভাণ্ডার নিয়ে) সকল সৃষ্টির প্রতি এক বিশেষ ভুমিকায় অবতীর্ণ হন এবং ঐ রাত্রিতে মুশরিক অথবা হিংসুক ব্যক্তি ছাড়া সকলকেই ক্ষমা করে দেন।” (তাবারানী)
৩) হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একরাত্রে আমার পাশে রাসূল (সা)কে না পেয়ে তাঁর খোঁজে বের হলাম। এক পর্যায়ে তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে পেলাম। তিনি আমাকে দেখে বললেন, আয়েশা! তুমি কি মনে করেছো যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা) তোমার প্রতি অবিচার করবেন? তখন আয়েশা বললেন, হে আল¬াহর রাসূল(সা)! আমি মনে করেছি হয়ত আপনি আপনার অন্য কোন স্ত্রীর নিকট গমন করেছেন। অতঃপর রাসূল(সা) বললেন, নিশ্চয়ই আল্ল¬াহ শা’বানের মধ্য রাত্রে প্রথম আকাশে অবতরণ করেন এবং বনু ক্বালব গোত্রের ছাগলের লোমের চেয়েও অধিক সংখ্যক লোককে ক্ষমা করে দেন।” (তিরমিযী) উক্ত হাদীসটি ইমাম বায়হাকী তাঁর “শুয়াইবুল ঈমান” গ্রন্থে সংকলন করেছেন। একটি কথা অবশ্য বলা প্রয়োজন যে, যারা শবে বরাতকে উপলক্ষ করে সম্মিলিতভাবে ইবাদত করেন, মাজারে যান, আগর বাতি-মোমবাতি জ্বালান, মসজিদে আলোক সজ্জা করেন, বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করেন, তারা কি এটা রাসূল (সা) বা সাহাবীদের জিন্দ্গেীতে দেখতে পেয়েছেন? যদি সম্মিলিত ইবাদতের কোন ব্যাপার থাকত, তাহলে কি তিনি তাঁর স্ত্রীদের, কন্যাদের, সাহাবায়ে কেরামদেরকে নির্দেশ দিতেন না? অথচ তিনি লাইলাতুল কদর এবং রমজানের শেষ দশ দিনে ইবাদত বন্দেগী করার জন্য মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করতেন।
৪) হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, “যখন শা’বানের মধ্যরাত আসে তখন তোমরা জেগে সালাত আদায় করবে আর দিবসে সাওম পালন করবে। কেননা আল্ল¬াহতায়ালা সূর্যাস্তের পর দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে ক্ষমা করব? কোন রিয্ক প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি তাকে রিয্ক দেব? কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি আছ কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করব? এভাবে ভোর পর্যন্ত ঘোষণা দিতে থাকে।” (ইবনে মাযা ও বায়হাকী) আলবানী এ হাদীসকে দুর্বল এবং অগ্রণযোগ্য বলেছেন। কারণ এটি অপর সহীহ হাদীসের বিরোধী হওয়ায় এটি পরিত্যাজ্য। সহীহ হাদীসটি হাদীসে নুযুল নামে পরিচিত, যা ইমাম বুখারী ও মুসলিম তাদের কিতাবে সংকলিত করেছেন। হাদীসটি হল : হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা) বলেছেন, “মহান আল্লাহপাক প্রতি রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকী থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন কে আছ আমার কাছে দু’আ করবে। আমি দু’আ কবুল করব। কে আছ আমার আছে চাইবে? আমি দান করব? কে আছ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।”(বুখারী ও মুসলিম) ৪নং হাদীসটির বক্তব্য শা’বানের মধ্য রাত্রিতে আল্ল¬াহ ঘোষণা করেন এবং হাদীসে নুযুলের বক্তব্য আল্ল¬াহ প্রতি রাতে এভাবে ঘোষণা করেন। সুতরাং সহীহ হাদীসের বর্ণনায় যেখানে আল্ল¬াহপাকের অবতরণকে আম করা হয়েছে, সেখানে দুর্বল হাদীস দিয়ে খাস করা যাবে কি? নিসফে শা’বানের হাদীস প্রায় একই ধরণের বিষয়বস্তু সম্বলিত আরো কয়েকজন সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে। তাদের মধ্যে হযরত আবদুল¬াহ বিন আমর (রা), হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা), হযরত আউফ বিন মালেক, হযরত উসমান বিন আবুল আস, হযরত আবুদল¬াহ বিন উমর, হযরত আবু সালা’বা আল খুশানী প্রমুখ উল্লে¬খযোগ্য। কাজেই নিসফে শা’বানে শরীয়ত সম্মত পন্থায় ইবাত বন্দেগী করা যাবে। তবে শরীয়ত নির্ধারিত আমল মনে করে শবে বরাত পালন করলে সেটা হবে অগ্রহণযোগ্য এবং তা নিয়ে অহেতুক মুসলিম সমাজের বাড়াবাড়ি করলে তা দ্বীন পরিপন্থী বলে বিবেচিত হবে।
সাধারণ মুসলি¬রা না জেনে অনেক কিছু করে থাকে, তাদের সতর্ক করতে হবে যারা জানে তাদেরকে। রাতে নফল ইবাদত করা (সালাত, কোরআন অধ্যয়ন, হাদীস অধ্যয়ন এবং ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করা), ওলী-পীর, বুজুর্গদের মাজারে না গিয়ে নিজের মা-বাবা, দাদা-দাদী, আতœীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করা, শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা, জিকির-আজকার করা এবং নিজের জীবনের কৃত গুনাহের জন্য আল¬াহর দরবারে ক্ষমা চাওয়া ইত্যাদি। অবশ্য নফল ইবাদত ঘরে বসে করাই উত্তম। আর কিছু কাজ আমাদের বর্জন করতে হবে। মসজিদ-মাজার আলোক সজ্জা না করা, আগরবাতি-মোমবাতি দরগাহে না জ্বালানো, টাকা-পয়সা দিলে মাজারে না ফকির-মিসকিনকে দেয়া। মনে রাখতে হবে টাকা-কড়ি দিয়ে মৃতের নয়, বরং জীবিতেরই লাভ। আতশবাজি, পটকাবাজি না করা। বিভিন্ন কুসংস্কার, শিরক, বিদআত ইত্যাদি বর্জন করে আল্ল¬াহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা-সাধনাই হোক লাইলাতুম মিন নিসফে শা’বানের অঙ্গীকার।
====
বিষয়: সাহিত্য
২২৬৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই বিষয়ে বাড়াবাড়ি কারিদের উপযুক্ত যুক্তির সাথে জবাব দেওয়া প্রয়োজন।
আলহামদুল্লিলাহ। ভাল লেগেছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন