প্রতিযোগিতা : বিষয়-আমার প্রিয় বই
লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ২৬ মে, ২০১৫, ১২:৫৯:৫২ দুপুর
যে কোন ব্যক্তির জন্য আরেকজন প্রিয় মানুষের বই-ই প্রিয়। জগতের বড় বড় লেখক, কবি, সাহিত্যিকদের প্রিয বইটি জনপ্রিয়তার কারণে বেস্ট সেলার হয়। দিনে লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হয়। বইগুলোর জনপ্রিয়তা এবং লেখার আবেদন কিন্তু সমসাময়িক। ভবিষ্যত সম্পর্কে কোন দিকনির্দেশনা দিতে পারে না,অনেক সমং হং কল্পনাশ্রিত। কিন্তু আমি যে বইয়ের কথা বলব তা মানুষের ইহকাল ও পরকালের জন্য অর্থাৎ উভয় জগতের জন্য আলোকবর্তিকা। যা সর্বাধিক পঠিত, বিক্রিত, যা অন্তরে মধ্যে গাঁথা আছে কোটি কোটি মানুষের। যে বই সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে পরজীবনের শাস্তির ভয়াল অগ্নি থেকে রক্ষার জন্য মহামহিম আল্লাহ অত্যন্ত দয়া পরবশ হয়ে প্রদান করেছেন। এই বইটি আমরা প্রতিনিয়ত পড়ছি, অধ্যয়ন করছি, করতে হবে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত। ছোটবেলায় দাদীর হাতে শেখা এই বইটির সম্পর্কে কিছু বলার আগে সঠিকভাবে লেখার যোগ্যতার জন্য আল্লাহর কাছে দয়া ভিক্ষা করছি।
আমার প্রিয় বই (কিতাবের বাংলা অর্থ বই) নাম হচ্ছে আল কুরআন। ‘কুরআন’ এর অর্থ হলো যা পড়া উচিত, যা পড়তে হবে, যা পড়ার মত, যা বারবার পড়তে হয়, যা পড়তে থাকতে হয়, যা পড়ার শেষ শেস নেই। বইয়ের লেখক হচ্ছেন এই সমগ্র বিশ্বজগতের মালিক স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। আল্লাহর সাম্্রাজ্যের কর্মকর্তা, অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফেরেশতা হযরত জিবরাইল (আ)এর মাধ্যমে প্রিয়নবী (সা)এর কাছে ২৩ বছর ব্যাপী তা নাযিল হয়। পৃথিবীর বুকে এমন বইও কি আছে যার সম্পর্কে সুনিশ্চিত করে বলা যায় যে তাতে কোন ভুল নেই। পৃথিবীতে কুরআনই একমাত্র বই যাতে কোন সন্দেহ নেই বলে এর রচয়িতা প্রথমেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। সূরা বাকারার ২নং বাক্যেই তা বলা হয়েছে।
“যালিকাল্ কিতাবু লা রাইবা ফীহি, হুদাল্লিল মুত্তাকীন।”
অর্থাৎ, এটা সেই কিতাব বা বই-যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য আলোর দিশা।
এই বইতে যা আলোচনা করা হয়েছে তা, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের কল্যাণের জন্য। এরশাদ হয়েছে,
“এই কিতাবে বা বইতে সব মানুষের জন্য ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। আর পথ নির্দেশ ও নসিহত রয়েছে মুত্তাকীদের জন্য।” (সূরা আলে ইমরান-২)
এই বই থেকে হেদায়েত লাভ সহজ করা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে,
ওলাকাদ্ ইয়াস্ সারনাল কুরআনা লিয্ যিকরি ফাহাল মিম্ মুঁদ্দার্কি।
অর্থাৎ, “আমি কুরআনকে হেদায়েত লাভের জন্য সহজ করে দিয়েছি, কেউ আছ কি নসিহত গ্রহণকারী?”
(সূরা আল্ কামার-১৭)
এই বই থেকে আমরা বিশ্ব জগতের পরিচালক আল্লাহর পরিচয়, তাঁর রাসূলের পরিচয়, অন্যান্য নবীগণের পরিচয়, ফেরেশতাকুলের পরিচয়, তাকদীরের পরিচয়, ভাল মন্দের পরিণাম, আখেরাতে পরিচয়, হালাল-হারামের পরিচয়, অভিশপ্ত শয়তানের পরিচয়, জিন জাতির অস্তিত্ব জানতে পারি। আমাদের মৌলিক ইবাদতসমূহ সালাত, যাকাত, সাওম, হজ্জ সম্পর্কিত নির্দেশ সরাসরি লাভ করি। জীবনকে সাফল্যমন্ডিত করতে হলে এই বই সবাইকে পাঠ করতেই হবে। এই বইকে সবার পাঠ্যসূচি হিসাবে নিতে হবে। তবেই মানব জীবন সার্থক এবং আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য হাসিল হবে। তাই এই বইটি আমার অত্যন্ত প্রিয়।
আমার প্রিয় বইয়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য :
১। এই বই সর্বকালের, সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ ঐশী গ্রন্থ। মানব জাতির মুক্তির সনদ।
২। এই বই পাঠ করার পূর্বে অভিশপ্ত শয়তান থেকে রক্ষার জন্য লেখকের শিখিয়ে দেয়া নির্দিষ্ট দোয়া প্রার্থনা করতে হয়, যা অন্য কোন বইয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় না।
৩। অন্যান্য বই অপবিত্র অবস্থায় স্পর্শ করা যায়, কিন্তু এই বই অপবিত্র অবস্থায় স্পর্শ করা যায় না।
৪। এই বেশ কতকগুলো নাম আছে, যেমন-আল ফুরকান, আল হুদা, আন নুর, আল হিকমা, আল মুবীন, আয্ যিকর ইত্যাদি। অন্য কোন বইয়ের এত নামকরণ নেই।
৫। এই বইয়ের আরও কতকগুলো বিশেষায়িত নাম আছে, যেমন-আল্ কুরআনুল হাকিম, আল্ কুরআনুল কারীম, আল্ কুরআনুল মজীদ।
৬। এই বইয়ের চেয়ে অধিক পঠিত বই আর নেই। যা বিশ্বজুড়ে সর্বক্ষণ পাঠ হচ্ছে এবং হবে।
৭। এই নশ্বর পৃথিবীটা চিরস্থায়ী নয়, পরকালও আছে তা যে বই আমাদের জানিয়েছে তা হল কুরআন।
৮। এই বইতে কতকগুলো বাক্য আছে যা পাঠ করলে, মহান আল্লাহর কাছে সিজদাবনত হতে হয়। এরকম ১৪/১৫টি বাক্য আছে। যা অন্য কোন বইতে নেই।
৯। এই বইয়ের ভাব-ভাষা সম্পূর্ণ আল্লাহর। যদি আল্লাহর না হত তাহলে বিভিন্ন মত পার্থক্য এবং পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে দেখা যেত। (সূরা নিসা-৮২)
তাই মানুষের কল্যাণের জন্য, মুক্তির জন্য, অন্যের সাথে সুন্দর আচরণ শিক্ষাদান কারী এবং পরকালীন জীবনের অনুপ্রেরণাদানকারী বইটি আমার খুবই প্রিয়।
আমার কাছে বইটি কেন এত প্রিয়?
১। যেহেতু এই বই মানুষের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির দিকনির্দেশনা দেয়।
২। যেহেতু এই বইয়ের নির্ভুলতার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। যেহেতু আজ পর্যন্ত কেউ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারেন নাই।
৩। যেহেতু এই এমন এক ব্যক্তির উপর অবতীর্ণ হয়েছে, যার তুলনা পৃথিবীতে কারো সাথে হতে পারে না। তিনি হচ্ছেন সাইয়্যেদুল মরসালীন হযরত মুহাম্মদ (সা)। যার চরিত্রের সাটির্ফিকেট স্বয়ং আল্লাহই দিয়েছেন। যার সত্যবাদিতা এবং আমানতদারিতার ব্যাপারে তাঁর ঘোরতর শত্র“ও দিয়েছেন।
৪। যেহেতু এই বই সংরক্ষণের দায়িত্ব, তার রচয়িতা নিয়েছেন। যার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার যায়। ৫। যেহেতু এই বইয়ের রচনাশৈলী, শৈল্পিক সৌন্দর্য এবং বর্ণনার বাচনভঙ্গী অন্যান্য বইয়ের চেয়ে পৃথক।
৬। যেহেতু এই বইয়ের পাঠক এবং হাফেজ পৃথিবীর যে কোন বইয়ের চেয়ে বেশী। অবশ্য অন্যান্য বইয়ের কোন হাফেজ বা মুখস্থকারী নেই বলে নিশ্চিত বলা যায়।
৭। যেহেতু অন্য কোন বই পাঠ করলে নেকী হবে এমন কথা কোন বই নেই। একমাত্র এই বইয়ের ব্যাখ্যাগ্রন্থ হাদীসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি এই বইয়ের (কুরআনের) একটি অক্ষর পাঠ করবে তার জন্য রয়েছে বিশেষ নেকী। আর নেকী দেয়া হবে ১০ গুণ। আমি (মুহাম্মদ স.) বলছি না যে ‘আলিফ-লাম-মীম’একটি অক্ষর। বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর এবং মীম একটি অক্ষর।”
৮। যেহেতু এই বই অপরিবর্তনীয়। কোন সংস্করণ, সংযোজন এবং বিয়োজন চলবে না। কিয়ামত পর্যন্ত যা টিকে থাকবে।
এই বইয়ের মূল চরিত্র :
আমার প্রিয় বইয়ের মুল ভুমিকায় আছেন বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা)। যাকে কেন্দ্র করে মানবজাতির হেদায়েতের জন্য এই বই অবতীর্ণ হয়। মানুষ অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার জন্যে, মানুষের জীবনাচারকে পরিশুদ্ধ করার জন্যে, মানুষকে হিকমত ও গঠনমূলক উপদেশ দেয়া জন্যে। যাকে প্রেরন করা হয়েছে মানবতার শিক্ষকরূপে, শ্রেষ্ঠতম আদর্শরূপে এবং সিরাজাম মুনীর বা আলোর প্রদীপ হিসেবে। এই বইটি বিশেষ বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে, প্রয়োজনানুসারে অবর্তীর্ণ হয়েছে। ৪০ বৎসর বয়সের নিরবিচ্ছিন্ন ধ্যানের সময় রাসূলের কাছে অহিকৃত সূরা আলাকের প্রথম ৫টি বাক্য তাঁর প্রতি নাযিল হয়। এর পরপরই মানুষকে দাওয়াত দিতে থাকেন কুরআনের। তখন থেকেই পৃথিবীর মানুষ এই কিতাব বা বই সম্পর্কে জানতে পারেন। এছাড়া এ বই মুহাম্মদ সা.সহ মোট ২৫ জন আল্লাহর প্রিয় নবীর নাম উল্লেখ রয়েছে। যারা যুগে যুগে মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিতে এই বইটির লেখক প্রেরণ করেছিলেন।
এই বইয়ের মূল কপি মহান আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত আছে। যা ‘লাওহে মাহফুজ’ নামে আমরা জানি। কিন্তু অন্যান্য বইয়ের সর্বসত্ত্ব লেখকের কাছে থাকে এবং নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে। কিন্তু আল কুরআন কখনো নষ্ট হবে না, তা অবিনশ্বর।
এই বইয়ের আলোচ্য বিষয়সমূহ :
১। এতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচনা করা হয়েছে।
২। মানুষের যে কোন সমস্যার যথাযথ সমাধান আছে, যেমন-বিবাহ-তালাকের আইন।
৩। এতে শরীয়তে অনেক হুকুম-আহকাম আছে।
৪। দণ্ড প্রয়োগ বিধি আলোচনা করা হয়েছে।
৫। যুদ্ধ নীতি, শান্তি-চুক্তি, বন্দী নীতি, কুটনৈতিক সম্পর্ক, আচরণ বিধি ইত্যাদি বর্ণিত আছে।
৬। এতে হালাল, হারাম (আদেশ-নিষেধ) সম্পর্কে আলোচনা আছে।
৭। এতে সংগঠন, দেশ-পরিচালনা সম্পর্কিত বিধি আছে।
৮। এতে পারিবারিক নীতি, সামাজিক নীতি, নারী নীতি, অর্থনীতি, ভুমি নীতি সর্ম্পকিত আলোচনা আছে।
৯। তাওহীদ, রেসালাত এবং আখেরাতের অতি সুন্দর বর্ণনা আছে।
১০। কি করলে জান্নাত পাবে? এবং কি করলে জাহান্নাম অনিবার্য তা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
১১। পূর্ববর্তী জাতিসমূহের ধ্বংসের কাহিনী বর্ণনা আছে।
এই বইয়ের কতিপয় পরিসংখ্যান বা তথ্য :
মোট পারা বা অধ্যায় আছে = ৩০টি
কব্দ = ৭০,৪৩৯
রুকু = ৫৪০
অক্ষর বা হরফ = ৩,৪০,৭৪০
সূরা বা শ্লোক = ১১৪
মনযিল = ৭টি
আয়াত বা বাক্য = ৬,৬৬৬টি
সিজদা = ১৪ (মতান্তরে ১৫টি)
এই বইয়ের সমকক্ষ কোন বই নাই বা চ্যালেঞ্জ :
আজ পর্যন্ত আল্ কুরআনের চ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করে নাই। এরশাদ হয়েছে,
“কুলম ফা’তু বি’আশ্রি সুওয়ারিম মিছলিহী মুফতারাইয়াতিওঁ ওয়াদ’উ মানিস্ তাত্বা’তুম মিন দুনিল্লাহি ইন্ কুন্ তুম ছদিকীন।” অর্থাৎ, (হে নবী) আপনি বলুন, এই সূরার ন্যায় ১০টি স্বরচিত সূরা রচনা করে আন এবং আল্লাহ ছাড়া যদি তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকে তবে তাদের সঙ্গে ডেকে নাও-যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক। (সূরা হুদ-আয়াত : ১৩)
শুধু তা-ই নয়, ১০টি সূরার পরিবর্তে ১টি সূরার চ্যালেঞ্জও কেউ গ্রহণ করেননি। (সূরা আল্ বাকারা : ২৩)
উপসংহার :
এই বই সম্পর্কে উপরোক্ত আলোচনা সংক্ষিপ্ত মাত্র। বইটি জ্ঞানের মহাসমুদ্র। ঈমান বা বিশ্বাস, আমল বা কর্ম এবং ইলমা বা জ্ঞানের নিবিড় চর্চার সমন্বয়ে এই থেকে জ্ঞানার্জন করে কল্যাণ লাভ করতে হবে। এই কুরআন নামক কিতাব বা বইটির অনন্য কিছু কথা কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রিয়নবী সা. দিয়েছেন। যেমন-এটি আল্লাহর রজ্জু, হেকমতপূর্ণ উপদেশ, সরল পথ, নফসকে সরল পথে পরিচালিত করে, জিহ্বা যার দ্বারা সিক্ত থাকে, জ্ঞানীগণ প্রেরণা লাভ করে থাকে, বারবার পাঠ করলে স্বাদ আরো বাড়তে থাকে এবং যার রহস্যের কোন শেষ নেই। পরিশেষে বলা যায়, আমার কাছে তাই এই বই-ই প্রিয় কারণ এই বই পড়লে অসারধারণ জ্ঞান লাভ করা যায়, বিধানসমূহ মেনে চললে সম্মাণিত হওয়া যায়, শিক্ষাদান করলে সর্বোত্তম ব্যক্তি বলে রাসূল সা.কর্তৃক ঘোষিত হয়, পরকালে মুক্তির গ্যারান্টি পাওয়া যায়। তাই বই হচ্ছে সমগ্র মানব জাতির জন্য আলোর মিনার। এমন বইয়ের তুলনা অন্য কোন বইয়ের সাথে হতে পারে না। তাই এই বইটি আমার এত প্রিয়। আল্লাহপাক আমাদের সে-ই কালামী রব্বানী মোতাবেক জীবন গঠন এবং হেদায়েতের তৌফিক দান করুন। আমিন।
=====
বিষয়: বিবিধ
২৬৮৩ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার লেখা থেকে আল্লাহ আমাদেরকে উপকৃত করুন।
থাক তবু ভাল লাগছে আমি আপনার মত সুন্দর করে লিখতে পারতাম না,ভাইয়া আমার প্রিয় বই সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন ।
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া ।
কারন কোরআন সম্পর্কে বেশিরভাগ মুসলমানের জ্ঞান নেই অথবা জ্ঞান অত্যন্ত সিমিত!! লজ্জার বিষয় বেশিরভাগ মুসলমান কোরআন সম্পর্কিত কোন লেখাও পড়ার প্রতি আগ্রহী নয়!!!
ব্লগ বা ফেসবুকে দেখা যায় ১৮+ শিরোনাম দিয়ে কিছু মিথ্যা কেচ্ছা লিখলেই পড়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন, লাইক কমেন্টের স্রোত বয়ে যায়.....!
কোরআনের পোস্ট দেখলে ভাবে শরিরে নাপাক!! এই হলো অবস্থা.....
আপনার পোস্টটি পড়লাম হূদয়ের অন্তস্তলে ঠাঁই দিলাম..... লেখাটির প্রতিটি শব্দ যেন আমার না বলা কথা প্রিয়তে যুক্ত করলাম লেখাটি।
মানব জীবনের সেরা বইটি নিয়ে লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি বিশ্বাস করি, কুরআন কারীম আল্লাহ তা‘আলার কালাম। সর্বশেষ আসমানি কিতাব। কিয়ামত পর্যন্ত এই কিতাবে কোনও রকমের পরিবর্তন-পরিবর্ধন হবে না। কুরআন কারীম লওহে মাহফুযে সংরক্ষিত আছে। কুরআন কারীম হেফাযতের দায়িত্ব আল্লাহর নিজের।
আমি এও বিশ্বাস করি, কুরআন কারীম মাখলুক নয়। আল্লাহর সৃষ্টি নয়। কুরআন আল্লাহর কালাম। আর ‘কালাম’ আল্লাহর একটা সিফাত। আল্লাহ তা‘আলা যেমন চিরস্থায়ী, তার সিফাত-বৈশিষ্ট্যও চিরস্থায়ী।
কিন্তু ভাই এটা প্রতিযোগিতায় দেওয়া ঠিক হইল না!! কারন সব মুসলিমএর ই প্রিয় কুরআন। কিন্তু সবাই তা লেখার মত যোগ্যতা রাখেনা। যেমন আমি আমার পোষ্ট এর শুরুতেই তা স্বিকার করছি!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন