নিবন্ধ-১ : রাসূলুল্লাহ (সা) এর মি'রাজের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য

লিখেছেন লিখেছেন মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ০৯ মে, ২০১৫, ০৮:৫৩:৩৪ রাত

রাসূলুল্ল্লাহ (সা) এর মি'রাজ :

সমগ্র বিশ্বমানবতার মুক্তির কান্ডারী মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা) এর নুবুওয়াতী জিন্দেগীর দ্বাদশ বর্ষে পবিত্র রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে (মতান্তর আছে) সম্পন্ন হয় মিরাজ। আমরা সাধারণভাবে যদিও মি'রাজ বলি আসলে এখানে দু'টি অংশ রয়েছে : এক. ইস্‌রা ও দুই. মি'রাজ।

ইস্‌রা : ইস্‌রা অর্থ নৈশভ্রমণ। যেহেতু মহানবী (সা)এর উর্ধ্বালোক ভ্রমণ হয়েছিল রাতে, তাই এর নাম ইস্‌রা। মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্‌সা পর্যন্ত ভ্রমণকে ইস্‌রা বলা হয়। আল্‌ কোরআনে আল্ল্লাহপাক এরশাদ করেছেন, "পরম পবিত্র ও মহামহিম সত্তা তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে (মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নৈশকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি। যাতে আমি তাঁকে কুদরতের নিদর্শনসমূহ দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।" (সূরা বনী ইসরাইল-১)

মি'রাজ : উরূজ শব্দ থেকে মি'রাজের উৎপত্তি। এর অর্থ : সিঁড়ি বা সোপান, আরোহণ করা, উপরে চড়া বা উর্ধ্বগমন করা। মসজিদুল আক্‌সা থেকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত ভ্রমণকে মি'রাজ বলা হয়। কোরআনে আল্লাহপাক এরশাদ করেছেন, "নিশ্চয়ই তিনি (মোহাম্মাদুর রাসূলুল্ল্লাহ সাল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে জিবরাইল আলাইহিস সালামকে আরেকবার দেখেছিলেন সিদরাতুল মুনতাহার কাছে। যার কাছে অবস্থিত জান্নাত। যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার তদ্ধারা আচ্ছন্ন ছিল। তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম হয়নি এবং সীমালঙ্ঘনও হয়নি। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছেন।" (সূরা আন্‌ নাজম : ১৩-১৮) ইসলামী শরীয়াতের পরিভাষায় পবিত্র রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে জিবরাইল (আ) মারফত আল্লাহতায়ালার অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে মহানবী (সা) জান্নাতী বাহন বোরাক দ্বারা আরোহন করে পবিত্র কাবা চত্বর তথা বায়তুল্লাহ শরীফ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসে উপনীত হয়ে সেখানে ফেরেশতা-নবী-রাসূলদের উপস্থিতিতে সালাতে ইমামতি করে সেখান থেকে সিদরাতুল মুনতাহা পেরিয়ে আরো উর্ধ্বে গমন করে মহান আল্লাহপাকের দরবারে উপনীত হয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ ও প্রয়োজনীয় আলাপ সেরে আবার ধূলির ধরায় ফিরে আসার ঘটনাকে মি'রাজ বলে। মি'রাজ রাসূল (সা) এর অন্যতম সেরা মুজিযা বা অলৌকিক ঘটনা।

মি'রাজের সমকালীন পরিবেশ-পরিস্থিতি :

রাসূল (সা) আল্ল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠাকল্পে মক্কাবাসীদের থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তায়েফে যান। সেখানে আরো প্রচন্ড বিরোধিতা ও হামলার শিকার হন। সঙ্গী-সাথীদের উপরও জুলুম-অত্যাচারের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। আগে কিছু লোককে আবিসিনিয়ায় হিজরত করানো হয়। তায়েফ থেকে মক্কায় ফিরে এসে অবস্থান করা আরো দুঃসাধ্য হয়ে উঠে। প্রাণপ্রিয় সহধর্মিনী হযরত খাদিজা (রা) ও বড় আশ্রয়স্থল পিতৃব্য আবু তালিবের ইন্তেকাল রাসূলের জন্য ছিল বড়ই প্রতিকুল অবস্থা ছিল। আল্লাহর কুদরতী ইশারা বুঝা বড় ভার। মক্কা থেকে দূরে মদিনায় শুরু হতে থাকে রাসূলের দাওয়াত কবুলের অনুকুল পরিবেশ। মক্কার চরম প্রতিকুলতা ও প্রতিবন্ধকতার যাঁতা কলে নিষ্পিষ্ট মুষ্টিমেয় ঈমানদার লোকদের মদীনায় হিজরতের মাধ্যমে আল্ল্লাহর দ্বীন নবী মোহাম্মদ (সা) এর নেতৃত্বে বিজয়ী হওয়াই কুদরতের ফয়সালা। সেই বিজয়ের আগে যে ঘটনাটি ছিল একান্তই প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য, সেটিই সংঘটিত হয়েছিল হিজরতের পূর্বে।

মি'রাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

শেষ নবী মোহাম্মদ (সা) শুধু নবী নন, নবীদের ও নেতা সাইয়্যেদুল মোরসালীন। তাই তাঁর রিসালাতের বিশেষ মর্যাদা আল্ল্লাহ প্রদত্ত সনদ প্রাপ্তির জন্যে পবিত্র মি'রাজ ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি বিশেষ উপহার। এ পরিভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বনী ইসরাইলে প্রথম আয়াতেই দেয়া হয়েছে যে, তৌহিদের নিদর্শনাবলী আল্লাহর আয়াতসমূহ চাক্ষুষ দেখিয়ে দেয়ার জন্যে এবং এই বিশ্বের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব যে একমাত্র আল্ল্লাহরই তা সরাসরি দেখা। তাঁর এই ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ নেই। অতএব তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই দ্বীনের বিজয় ঠেকানোর সাধ্য কারো নেই এই আস্থা, এই বিশ্বাস মজবুত ও সুদৃঢ় করাই মিরাজের মূল লক্ষ্য। মোটামুটিভাবে মি'রাজ সংঘটিত হওয়া কারণ হতে পারে, আল্ল্লাহতা'আলার একান্ত সান্নিধ্যে হাজির হওয়া, উর্ধ্বলোক সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা, অদৃশ্য ভাগ্যলিপি সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করা, ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা, সরাসরি বেহেশতের সুখ-শান্তি ও দোজখের আজাব দেখা, সুবিশাল নভোমন্ডল পরিদর্শন করা, নুবুওয়াতী পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ লাভ করা এবং এটি একটি অনন্য মুজিযা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা।

ঘটনাবহুল মি'রাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ :

মহানবী (সা) ঐ রাতে তাঁর চাচাতো বোন উম্মে হানী বিনতে আবি তালিব এর ঘরে (মতান্তরে কা'বা চত্বরে) নিদ্রিত অবস্থায় ছিলেন। এমনি সময় আল্লাহর নির্দেশক্রমে হযরত জিবরাইল (আ) এলেন, সাথে ছিলেন হযরত মিকাঈল (আ) ও হযরত ইসরাফিল (আ)। রাসূল (সা)কে জাগ্রত করে তাঁদের আগমনের হেতু জানালেন। রাসূল (সা) দু'রাকাত নফল নামাজ পড়েন। অতঃপর ফেরেশতারা তাঁকে জমজম কুপের কাছে নিয়ে শুইয়ে দিয়ে সীনা মোবারক থেকে কলব বের করে পবিত্র পানি দ্বারা ধৌত করলেন। দু'কাঁধের মাঝখানে নুবুওয়াতের সীল মেরে মহাশূন্যে ভ্রমণ উপযোগী করে বোরাকের উপর বসিয়ে বোরাককে চলা শুরুর নির্দেশ দিলেন। বোরাক ছুটে চলল মহানবী (সা)কে নিয়ে, প্রথমে মদীনা মনোওয়ারা, তারপর সিনাই পর্বত, হযরত ঈসা (আ) এর জন্মস্থান 'বায়তুল লাহম', হয়ে পবিত্র মসজিদুল আকসায় উপস্থিত হন। সেখানে নবী-রাসূলদের সাথে নিয়ে দু'রাকাত নামাজ আদায় করেন। তিনি নামাজের ইমামতি করেন, অতঃপর উপস্থিত সকল নবী-রাসূলগণের সাথে পরিচয় করে দেওয়া হয়। এইটুকু পর্যন্ত হল কোরআনের বর্ণিত ইসরার ঘটনা।

এরপর শুরু হয় মি'রাজ বা উর্ধ্বগমনের পালা। যাত্রাপথে রাসূল (সা) নভোমন্ডলে আল্ল্লাহর সৃষ্টির অপূর্ব নিদর্শন দেখে অভিভুত হন। তিনি প্রথম আসমানে হযরত আদম (আ), দ্বিতীয় আসমানে হযরত ঈসা (আ) ও হযরত ইয়াহইয়া (আ), তৃতীয় আসমানে হযরত ইউসুফ (আ), চতুর্থ আসমানে হযরত ইদ্রিস (আ) পঞ্চম আসমানে হযরত হারূন (আ), ষষ্ঠ আসমানে হযরত মুসা (আ) এবং সপ্তম আসমানে হযরত ইবরাহীম (আ)কে পর্যায়ক্রমে দেখেন। কুশল বিনিময় শেষে ফেরেশতাদের কিবলা বায়তুল মামুর এ গিয়ে উপস্থিত হলে তিনি দেখতে পান অসংখ্য ফেরেশতা তাওয়াফ করছেন। বায়তুল মামুরে প্রতিদিন ৭০ হাজার ফেরেশেতা প্রবেশ করে, কিয়ামত পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে। বায়তুল মামুর বরাবর নিচে পবিত্র কাবা ঘর অবস্থিত। এরপর হযরত জিবরাইল (আ) নবীজীকে সঙ্গে করে বেহেশত-দোজখ পরিদর্শন করে সিদরাতুল মুনতাহায় ফিরে আসেন। সেখান থেকে 'রফরফ' নামক বাহনে করে মহান প্রভুর সান্নিধ্যে লাভ করেন।

মি'রাজকালে মহানবী (সা) যা যা অবলোকন করেন তা সংক্ষেপে এই :

মসজিদুল আকসার পথে : ফরজ নামাজে অবহেলা কারীর শাস্তি, যাকাত অনাদায় কারীর শাস্তি, ব্যভিচারে লিপ্ত নর-নারীর শাস্তি, ডাকাতি ও ছিনতাইকারীর শাস্তি, মানুষের হক ও আমানত খিয়ানতের শাস্তি, গীবতকারীর শাস্তি, সুদখোরের শাস্তি।

উর্ধ্বলোকের পথে : বেহেশতের হুর, বেহেশতের নুর, দোজখ, আকাশ পথে সাত আসমান, জান্নাতের তিনটি ঝরণা, শিঙ্গা, কিয়ামতের আলামত, ভাগ্য ও জন্ম-মৃত্যু লিখার কলম।

মি'রাজকে নিয়ে সন্দেহ-সংশয় :

মি'রাজ থেকে ফিরে আসার পর সর্বসাধারণকে তিনি যখন তা অবহিত করলেন, তখন অনেকেই মি'রাজ অবিশ্বাস্য বলে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বলে উড়িয়ে দিল। এত কম সময়ের মধ্যে কিভাবে তা সম্ভব তার জন্যে সন্দিহান হল তো বটেই, একে মোক্ষম সুযোগ হিসাবে গ্রহণ করল কাফের-মুশরিকরা। তাদের অপপ্রচারের দূর্বল ঈমানের মুসলমানদেরও মনে সন্দেহ হল। মি'রাজের ঘটনা শোনা মাত্রই হযরত আবু বকর (রা) কোন সন্দেহ ছাড়াই বিশ্বাস করলেন, রাসূলুল্ল্লাহ (সা) সাথে সাথেই তাঁকে "সিদ্দিকে আকবর বা মহাসত্যবাদী" বলে উপাধি দিলেন। এছাড়া মি'রাজ কি স্বপ্নে না স্বশরীরে সংগঠিত হয়েছিল তা নিয়েও বির্তক হয়। বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তা সম্ভব কিনা তার সম্ভাব্যতা নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। আমরা না দেখে আল্লাহকে বিশ্বাস করি, তাঁর সৃষ্টি দেখে তার অস্ত্বিত্ব অনুভব করি। কোরআন আল্ল্লাহর কিতাব তাও বিশ্বাস করি। তাই কোরআনে যা আছে তা কি বিশ্বাস করতে হবে না? মি'রাজের কথা কোরআনে পাকে আছে, যেহেতু কোরআন বিশ্বাস করি, তাই কোরআনে যা আছে তাও বিশ্বাস করতে হবে। আল্ল্লাহ চেয়েছেন আল্ল্লাহর হাবীবকে কাছে পেতে, তিনি ডেকে নিয়ে গেছেন। কিভাবে নিয়ে গেছেন, সেটা মহান জাত পাকের ব্যাপার। যে আল্ল্লাহ এই বিশ্ব-পরিমন্ডল সৃষ্টি করতে পারেন, তাঁর জন্যে রাসূল (সা)কে মি'রাজ করানো কি কঠিন ব্যাপার। আল্লাহ তো কোনো কিছু করতে চাইলে শুধু মাত্র "কুন বা হও" বললেই তো হয়ে যায়? মানুষ আজ মহাশূন্যে মানুষ যাচ্ছে-তাই মি'রাজও অসম্ভব বা অবাস্তব কোনো ঘটনা ছিল না।

উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য মি'রাজের উপঢৌকন :

রাসূলুল্ল্লাহর মি'রাজ উম্মতের জন্য সুসংবাদ বয়ে এনেছেন। মি'রাজের রাতে আল্ল্লাহর সাথে তাঁর হাবীবের সাক্ষাতে মহামূল্যবান কিছু উপঢৌকন দেন। এক. পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, দুই. সুরা বাকারার শেষাংশ এবং তিন. যে ব্যক্তি আল্ল্লাহর সাথে কোন শরীক করবে না-তার কবীরা গুনাহ্‌ সমূহ মাফ করে দেবে। অর্থাৎ কাফের-মুশরিকদের মত চিরকাল দোজখে নিক্ষিপ্ত হবে না। মি'রাজ রাসূল (সা)এর অন্যতম সেরা একটি মুজিযা। যার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সুদুর প্রসারী। এতে কোনরূপ সন্দেহ না করা ঈমানের পরিচায়ক। মি'রাজে প্রাপ্ত উপহার সালাত মুমিন জীবনে অত্যন্ত গুরূত্ববহ। রাসূল (সা) আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি সালাত তরক করলো, সে কুফরী করলো। আর ঈমান আনার পর কুফরী করার পরিণতি কি হবে আল্লাহতা'আলা পরিষ্কারভাবে আল কোরআনে জানিয়ে দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, "যে ব্যক্তি ঈমান আনার পর কুফরী করল, কিন্তু এ কাজে তাকে বাধ্য করা হয়েছিল, অথচ মন তার ঈমানের উপর নিশ্চিত ছিল, তা হলে তাকে মাফ করা হবে। কিন্তু যে সন্তুষ্ট চিত্তে কুফরী অবলম্বন করবে, তার জন্যে আল্ল্লাহর গজব এবং শাস্তি রয়েছে।" (সুরা আন নহল-১০৪) অতএব রাসূলুল্ল্লাহ(সা)এর স্বচক্ষে দেখা মি'রাজের ঘটনাবলী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে কোরআনের পথে, ইসলামের পথে চলাই হোক আজকের দৃপ্ত অঙ্গীকার। আসুন রজবের এই পবিত্র মাসে রাসূলুল্ল্লাহ (সা)এর মি'রাজ হতে আনিত উপহার সামগ্রী আমাদের দ্বীনি জিন্দেগীতে কাজে লাগিয়ে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ হাসিল করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দিন। আমিন।

=====

বিষয়: সাহিত্য

১৩৭২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

319099
০৯ মে ২০১৫ রাত ০৯:৫৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শিক্ষনিয় পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মিরাজের বিশ্বাস মুসলিম আর মুনাফিকদের আলদা করতে সাহাজ্য করে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৯
295456
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : সবুজ ভাই ধন্যবাদ। পুরনো পোস্ট কখন যে উত্তর দিতে বাদ পড়ে গেছিল..

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File