নেপালিদের অহংকারবশত পাকিস্তানী মুসলিমদের খাদ্য প্রত্যাখান প্রসঙগ- এটা একটি অন্ধধর্মবিশ্বাস।
লিখেছেন লিখেছেন কিং ফাহিম ০২ মে, ২০১৫, ০৪:৪৮:১২ বিকাল
অবাক হতে হয় অন্ধবিশ্বাস মানুষকে এখন আর মানুষ রাখেনি,মনুষ্যত্ব ভুলে গিয়ে মানুষ অন্ধবিশ্বাসে নিমগ্ন। ফলে সাম্প্রদিয়কতা বেড়েই চলেছে।এই অন্ধবিশ্বাসের কারণেই ''নেপালিরা মুসলিমদের খাদ্য না খেয়ে মরতে রাজি কিন্তু তারা খেতে রাজি না''
(সূত্র)সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক :....(বিস্তারিত)
গত শনিবার নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর চারদিকে লাশের গন্ধ, আহতদের আর্তনাদ। এছাড়া, বেঁচে যাওয়া মানুষেরা খাবারের জন্য হাহারকার করছে। প্রতিবেশি দেশটির এমন সঙ্কট অবস্থায় কারণে নেপারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ। এসব দেশের মধ্যে পাকিস্তান একটি।
কিন্তু হিন্দুপ্রধান দেশ নেপালে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে পাকিস্তান ‘বিফ মশলা’র প্যাকেট পাঠানোয় দেশটিতে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। হিন্দুপ্রধান দেশ নেপালে শুধু গরুর মাংসই নিষিদ্ধ নয়, গরু জবাই করারও দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে ক্ষুব্ধ নেপালিরা বলছে, ‘খাবারের অভাবে মারা যাব তবে পাকিস্তানি ত্রাণ স্পর্শ করবে না তারা। এমনকি অনেক নেপালি না বুঝেই এই প্যাকেটগুলো নিলেও যখন বুঝতে পেরেছেন যে এগুলো গরুর মাংস, তখন তা খাওয়া থেকে বিরত থাকছেন।’
কাঠমান্ডু বীর হাসপাতালের ভারতীয় চিকিৎসকরা বুধবার ডেইলি মেইলকে জানান, নেপালের দুর্গত লোকদের ত্রাণসামগ্রীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার পাকিস্তান ‘বিফ মশলা’ পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যখন পাকিস্তানের ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম, আমরা সেখানে প্রস্তুতকৃত খাবারের প্যাকেটের সঙ্গে বিফ মশলার প্যাকেটও পেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা ওই খাবার স্পর্শ করিনি।’ (সময়ের কন্ঠসর)
নেপাল সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মতকর্তা বলেছেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার কানে দেয়া হয়েছে। আমরা নিজেরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি ঘটনা সত্য হয়, তাহলে নেপাল বিষয়টি পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক পর্যায়ে তুলবে।
বিফ মাসালার চিত্রঃ
তাহলে দেখা যাচ্ছে, তারা(রাজনৈতিক দল) এই অভাবের সময় খাবার নিয়েও রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত খাবার খেয়ে তার উপকার না নিয়ে অর্থ্যাৎ এখন যদি তারা এই বিফ মাসালার খাবারের জন্য 'মিডিয়া মিছিল' করতে পারে তাহলে নেতাদের পরেরবার নির্বাচন জেতার সুযোগও সহজ হবে যেভাবে মোদি সরকার জিতেছে ভারতে।মোদি সরকার গুজরাটে দাঙ্গা করিয়ে বলেছে আমি ক্ষমতায় গেলে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করবে তাই ভোটে জিতেছেও বটে এবং ইতিমধ্যে নিষিদ্ধও করা হয়েছে।
রাহুল গান্ধী ও সাক্ষী মহারাজঃ
এদিকে আবার নেপালে ভূমিকম্পের জন্য কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে দায়ী করেছে বিজেপি এমপি সাক্ষী মহারাজ। রাহুল সম্প্রতি নেপালের পবিত্র কেদারনাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন। সাক্ষী মহারাজের অভিযোগ, গরুর গোশত খাওয়ার পর নিজেকে পবিত্র না করেই ওই ধর্মগুরুর কাছে গিয়েছিলেন তিনি(রাহুল)। তাই নেপালে এই ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ ঘটনায় এ ধরনের উদ্ভট মন্তব্য করায় রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভূমিকম্পের মত মানবিক বিপর্যয় নিয়ে সাম্প্রদায়িক এবং রাজনৈতিক দিক দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে কংগ্রেসের কক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
কংগ্রেসের মুখপাত্র সুস্মিতা দেব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহের কতিপয় সঙ্গী অত্যন্ত দুর্ভাগ্যপূর্ণভাবে এবং 'সংকীর্ণ মনোভাব নিয়ে একটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কে সাম্প্রদায়িক এবং রাজনৈতিক রঙ দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রসঙ্গ টেনে সুস্মিতা দেব বলেন,
‘নারীদের ১০ সন্তানের জন্ম দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিখ্যাত হওয়া বিজেপি নেতা এবং এমপি সাক্ষী মহারাজ এবার নেপালে ভূমিকম্পের জন্য রাহুল গান্ধীর ভগবান কেদারনাথ মন্দির দর্শনকে দায়ী করেছেন।’
কংগ্রেস মুখপাত্র সুস্মিতা দেব জানান, ‘এ রকম মন্তব্য করে তিনি শুধু কেদারনাথ মন্দিরদের উপর বিশ্বাস রাখা মানুষদেরই অপমান করেননি বরং ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্তদের প্রতিও উপহাস করেছেন।’ (সূত্র)
এরকম সব অন্ধধর্মবিশ্বাস ছড়িয়ে রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত কংগ্রেস,বিজিপি ও অন্যান্য মুসলিমরাও।বাংলাদেশের মানুষকে গরুর মাংস খাওয়াও বন্ধ করাতে চাচ্ছেন রাজনাথ সিং বিজিপি নেতা।
রাজনাথ সিংঃ
তাদের চক্রান্ত হলো, বাংলাদেশে আর পাঠাবে না গরু এমনকি পাচার করেও নয়, ফলে বাংলাদেশে যাতে গরুর মাংসের দাম ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়ে যায়, যাতে করে দেশটির মানুষ গরুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
অন্ধবিশ্বাস ও ইসলামঃ
ইসলামে অন্ধবিশ্বাসের কোনো জায়গাই নেই এতক্ষণ আমার লেখাটি পরে হয়তোবা বলবেন ''যদি পাকিস্তানে খাদ্যাভাব দেখাদিত আর যদি নেপাল,ভারত,অ্যামেরিকা শূকরের মাংস পাকিস্তানে ত্রাণ হিসেবে পাঠাত তাহলে কি অন্ধধর্মবিশ্বাস হয়ে যেত না যে জীবন যাবে তবু শূকর খাবো না?'' হ্যাঁ,অবশ্যই অন্ধধর্মবিশ্বাস হত কারণ জীবন বড়,আর জীবন না থাকলে ধর্মই বা পালন করব কিভাবে। আল্লাহ শূকর খাওয়া আমাদের জন্য হারাম করেছেন এই আয়াতে তথাঃ
''তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস,_ _ ''[সূরা মায়িদা ৩]
বাট আল্লাহ অন্য দুই আয়াতে বলেনঃ
''আপনি(মুহাম্মদ সা) বলে দিনঃ যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার(মুহাম্মদ সা) এর কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ; যবেহ করা জন্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়। অতপর যে ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে এমতাবস্থায় যে অবাধ্যতা এবং সীমালঙ্গনের উদ্দেশ্য ব্যতীত নিরূপায় হয়ে পড়ে (তার পক্ষে ওটাও খাওয়া বৈধ)। কেননা নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল ও দয়ালু।''[সূরা আনআম ১৪৫ ও ১১৯]
গরু নিয়ে হিন্দু ও মুসলিমদের মতবাদ সম্পর্কে আরও জানতে নিচের ডিডিওটি পরিষ্কার ধারণা দিবে আশা করিঃ
অথবা,
''হিন্দুদের গোড়ামি ও অন্ধধর্মবিশ্বাস'' সম্পর্কে আরও জানতে দেখতে পারেন ''PK'' মুভি(অনেকে দেখেছেন হয়তো) সেখানে অবশ্য ''মুসলিমদেরও কিছু গোড়ামি,অন্ধবিশ্বাস'' সম্পর্কে জানতে পারবেন যা আসলেই ত্যাগ করা উচিত যেমন মাজার পূজা,দরগাহ,খানকা পূজা,চাদঁর চড়ানো ইত্যাদি।
কারণ হিন্দুরা দুধ দিয়ে শিবজীকে স্নান না করিয়ে গরিব কে খাদ্য হিসেবে দিতে পারত আর মুসলিমও শুধুমাত্র যারা মাজারে চাদঁর চড়ায় তারা গরিবের গাঁয়ে চাদঁরকে কাপড় হিসেবে দিতে পারত।
অতএব ভাইবোনেরা এখনই সময় অন্ধধর্মবিশ্বাস ত্যাগ করা ও নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করা।
আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ নাস্তিক হোন বা আস্তিক মুসলিম কি হিন্দু, খ্রিষ্টান কি বৌদ্ধ সম্পূর্ণ নিজে পড়ুন ও গবেষণা নিজে করুন বর্তমানের সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ধর্ম ও ২০৭০ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্মের স্রষ্টা প্রদত্ত কিতাব কুরআন।(প্লিজ)
আপনাদের সুবিদার্থেঃ
কুরআনের পেইড অ্যাপস ফ্রীতে এতে বাংলাসহ সকল ভাষায় কুরআন অনূদিত আছে।আপননি জার্মান ইটালিয়ান ভাষাও পড়তে ও শিখতে পারবেন এর মাধ্যমে যেমন ''Lis Namen denies haren'' জার্মান ভাষা এর অর্থ ''পড় তোমার রবের নামে''।এরকম আরও ইন্টারেস্টিং জিনিস পাবেন এই পেইড অ্যাপস এ যা আমি প্রথমে ডাউনলোড করে আপলোড করেছি এবং আপনাদের ফ্রীতে ডাউনলোড করার সুযোগ দিচ্ছি(অনেকে হয়ত পদ্ধতি জানেন)।
একটি হাদীস অ্যাপস ফ্রীতে নিচে এতে সকল হাদীস রয়েছে যেমন বুখারী,মুসলিম,আবু দাউদ সার্চ ইন্জিনও রয়েছে আরও বেশ কিছু বইও রয়েছে যেমন কেয়ামতের আলামত,সহীহ নামাজের পদ্ধতি ইত্যাদি।
১ঃঅ্যান্ড্রয়েডের পেইড কুরআন অ্যাপস ফ্রীতে পেতে [link|http://www.mediafire.com/download/mw3irw4k0pf1ejt/com.guidedways.iQuran.apk|(এখানে ক্লিক করুন)] এবং ২ঃঅ্যাপস বাংলা সকল হাদীস ফ্রীতে পেতে [link|http://www.mediafire.com/download/2o0as6gawpye04s/BanglaHadith2.0.1.apk|(এখানে ক্লিক করুন)] অথবা ভাইয়েরা বাজার থেকে কিনে বাংলা কুরআন পড়ুন আর ওযু জরুরী নয় কুরআন কিন্তু আপনি ওযু করলে, না করব না যেভাবেই হোক সম্পূর্ণ অনুবাদ নিজে পড়েন।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন