টার্কি পালন বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভবনা ---- (পূর্ণাঙ্গ পোস্ট)

লিখেছেন লিখেছেন চুকচুক জৈব সার ০৯ মার্চ, ২০১৬, ১১:৪২:৪২ রাত



https://www.facebook.com/titirbd1/

আল্লাহ আমাদেরকে সৃস্টির সেরা জীব হিসেবে পৃথিবিতে পাঠিয়েছেন আর আমাদের বেচে থাকার জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের রিজিকের জন্য তৈরি করেছেন জীব বৈচিত্র। মানুষের নিয়ন্ত্রাধীন করেছেন অনেক প্রানি যা আমরা আমাদের গৃহে পালন করে থাকি। এগুলো ছাড়াও হাজারো প্রানী বন্য করে রেখেছেন । সে গুলোকে আয়ত্বে আনার কলা কৌশল মানুষকে তিনি শিখিয়ে দিয়েছেণ। আর আমরা এই কলা কৌশল রপ্ত করে বন্য প্রানীকে আমাদের নিয়ন্ত্রনাধীন করছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের জন্য তৈরি করেছেন বিশাল এক পক্ষীকুল যেখান থেকে আমরা আমাদের আমিষের ঘাটতি পুরন করে থাকি। দুনিয়াতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে। মানুষ এই চাহিদা মিটাতে নিত্য নতুন প্রানীকে তাদের বসে নিয়ে আসছে। পক্ষীকুলের মধ্যে তেমনি একটি প্রানীকে মানুষ আয়ত্ব করেছে । সেটা হলো মুরগী প্রজাতির মধ্যে সব থেকে বড় মুরগী টার্কি। টার্কি এক সময়ের বন্য পাখী হলেও এখন একটি গৃহ পালিত বড় আকারের পাখী । এটি গৃহে পালন শুরু হয় উত্তর আমেরিকায় । কিন্ত বর্তমানে ইউরোপ সহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশে এই পাখী কম – বেশী পালন করা হয় । বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টার্কি পাখির মাংস বেশ জনপ্রিয় । পাখীর মাংসের মধ্যে হাস, মুরগী, কোয়েল, তিতির এর পর টার্কির অবস্থান । টার্কি বর্তমানে মাংসের প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখছে । এর মাংসে প্রোটিন বেশী , চর্বি কম এবং আন্যান্য পাখীর মাংসের চেয়ে বেশী পুষ্টিকর ।পশ্চিমা দেশ গুলতে টার্কি ভীষণ জনপ্রিয় । তাই সবচেয়ে বেশী টার্কি পালন হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স,ইতালি,নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড সহ অন্যান্য দেশে । তবে বাংলাদেশেও এখন ব্যাক্তি উদ্যোগে টার্কি চাষ শুরু হয়েছে । যেটা আমাদের জন্য সুখবর । এবং বেকার যুবকদের টার্কি পালনে আগ্রহ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় আশা করা যায়, আগামী কয়েক বছরে এটা ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করবে ।

টার্কি পালনের সুবিধাসমুহ ---

১। মাংস উৎপাদন ক্ষমতা ব্যাপক ।

২। এটা ঝামেলাহীন ভাবে দেশী মুরগীর মত পালন করা যায় ।

৩। টার্কি ব্রয়লার মুরগীর চেয়ে দ্রুত বাড়ে ।

৪। টার্কি পালনে তুলনামূলক খরচ অনেক কম, কারন এরা দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি ঘাস,লতাপাতা খেতেও পছন্দ করে ।

৫। টার্কি দেখতে সুন্দর, তাই বাড়ির শোভা বর্ধন করে ।

৬। টার্কির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশী, চর্বি কম । তাই গরু কিংবা খাসীর মাংসের বিকল্প হতে পারে ।

৭। টার্কির মাংসে অধিক পরিমাণ জিংক, লৌহ, পটাশিয়াম, বি৬ ও ফসফরাস থাকে । এ উপাদান গুলো মানব শরীরের জন্য ভিষণ উপকারী । এবং নিয়মিত এই মাংস খেলে কোলেস্টেরল কমে যায় ।

৮। টার্কির মাংসে এমাইনো এসিড ও ট্রিপটোফেন অধিক পরিমাণে থাকায় এর মাংস খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।

৯। টার্কির মাংসে ভিটামিন ই অধিক পরিমাণে থাকে ।

টার্কি পালনের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট ----

১। ডিম দেয়া শুরুর বয়স = ৩০ সপ্তাহ ।

২। পরুষ ও স্ত্রীর অনুপাত = ১ :৫।

৩। বসরে গড় ডিম = ৮০ – ১০০ টি ।

৪। ডিম ফুটে বাচ্চা বেড় হয় = ২৮ দিনে ।

৫। ২০ সপ্তাহে গড় ওজন পুরুষ পাখী = ৭ – ৮ কেজি ।

স্ত্রী পাখী = ৪ – ৫ কেজি ।

৬। বাজারজাত করনের সঠিক সময় পুরুষ = ১৪ – ১৫ সপ্তাহ ।

স্ত্রী পাখী = ১৭ – ১৮ সপ্তাহ ।

৭। উপযুক্ত ওজন পুরুষ পাখী = ৮ – ১০ কেজি ।

স্ত্রী পাখী = ৫ – ৬ কেজি ।

ডিম উৎপাদন –

সাধারণত ৩০ সপ্তাহ বয়স থেকে টার্কি ডিম দেয়া শুরু করে । প্রয়োজনীয় আলো বাতাস, পরিষ্কার পানি এবং খাবার সরবরাহ করা হলে বসরে ৮০ – ১০০ ডিম দিয়ে থাকে । ৬০ – ৭০ শতাংশ টার্কি মুরগী বিকেল বেলায় ডিম দেয় ।

মাংস উৎপাদন –

টার্কি দ্রুত মাংস উৎপাদনশীল একটি পাখী । দেশী হাস – মুরগীর মত সাধারন নিয়মে পালন করলেও ২৮ -৩০ সপ্তাহে প্রতিটি গড়ে ৫-৬ কেজি ওজন হয় ।

টার্কি পালন পদ্ধতি –

মুক্ত অবস্থায় ও আবদ্ধ অবস্থায় পালন করা যায় ।

লিটার ব্যাবস্থাপনা ঃ

এই পদ্ধতিতে টার্কির জন্য সহজলভ্য দ্রব্য ব্যাবহার করা যায় । যেমন নারিকেলের ছোবড়া, কাঠের গুরা, তুষ, বালি । প্রথমে ২ ইঞ্চি পুরু লিটার তৈরি করতে হয় । পরে আস্তে আস্তে আরো উপাদান যোগ করে ৩ - ৪ ইঞ্চি করলে ভালো হয় । লিটারে সব সময় শুকনো দ্রব্য ব্যাবহার করতে হবে । ভিজা লিটার তুলে সেখানে আবার শুকনো লিটার দিয়ে পূর্ণ করতে হবে ।

* খাবার –

টার্কির খাবার সরবরাহের জন্য দুইটি পদ্ধতি ব্যাবহার করা যায় । যেমন ম্যাশ ফিডিং ও পিলেট ফিডিং ।

একটি আদর্শ খাদ্য তালিকা নিচে দেয়া হলো –

ধান --------------- ২০%

গম ---------------- ২০%

ভুট্টা --------------- ২৫%

সয়াবিন মিল ------- ১০%

ঘাসের বীজ -------- ৮%

সূর্যমুখী বীজ ------- ১০%

ঝিনুক গুড়া -------- ৭%

মোট = ১০০%

* সতর্কতা –

অন্যান্য পাখির তুলনায় টার্কির জন্য বেশী ভিটামিন, প্রোটিন, আমিষ, মিনারেলস দিতে হয় । কোন ভাবেই মাটিতে খাবার সরবরাহ করা যাবে না । সব সময় পরিষ্কার পানি দিতে হবে ।

* সবুজ খাবার –

সব সময় মোট খাবারের সঙ্গে ৫০% সবুজ ঘাস খেতে দিলে ভালো । সে ক্ষেত্রে নরম জাতীয় যে কোন ঘাস হতে হবে । যেমন – কলমি, হেলেঞ্চা ইত্যাদি । একটি পূর্ণ বয়স্ক টার্কির দিনে ১৪০ – ১৫০ গ্রাম খাবার দরকার হয় । যেখানে ৪৪০০ – ৪৫০০ ক্যালোরি নিশ্চিত করতে হবে ।

* প্রজনন ব্যাবস্থা –

একটি টার্কি মুরগীর জন্য ৪ – ৫ বর্গ ফুট জায়গা নিশ্চিত করতে হবে । ঘরে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের ব্যাবস্থা থাকতে হবে । ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে । একটি মোরগের সঙ্গে ৩ বা ৪ টি মুরগী রাখা যেতে পারে । ডিম সংগ্রহ করে আলাদা জায়গায় রখতে হবে । ডিম প্রদান কালীন সময়ে টার্কিকে আদর্শ খাবার এবং বেশী পানি দিতে হবে ।

* বাচ্চা ফুটানো –

টার্কি নিজেই ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায় । তবে দেশী মুরগী অথবা ইনকিউবেটর দিয়ে বাচ্চা ফুটালে ফল ভালো পাওয়া যায় । তাছাড়া বাচ্চা উৎপাদনের জন্য সময় নষ্ট না হওয়ার কারণে টার্কিও ডিম উৎপাদন বেশী করে ।

* রোগ বালাই –

পক্স, সালমোনেলোসিস, কলেরা , মাইটস ও এভিয়ান ইনফুলেঞ্জা বেশী দেখা যায় । পরিবেশ ও খমার অব্যাবস্থাপনার কারণে অনেক রোগ সংক্রমণ হতে পারে ।

* টিকা প্রদান----

১ম দিন ---------- এন ডি ( বি১ স্টেরেইন ) ।

৪ ও ৫ সপ্তাহে ---- ফাউল পক্স ।

৬ সপ্তাহে ---------- এন ডি ।

৮ – ১০ সপ্তাহে –- ফাউল কলেরা ।

যেহেতু আমাদের দেশে মুরগির রানিক্ষেত রোগ হ্য়। তাই রানিক্ষেত রোগের টিকা দিয়ে নিতে পারেন।

সতর্কতাঃ-- কোন অবস্থায় রোগাক্রান্ত পাখিকে টিকা দেয়া যাবে না। টিকা প্রয়োগ করার পূর্বে টিকার গায়ে দেয়া তারিখ দেখে নিবেন। মেয়াদ উরতিন্ন টিকা প্রয়োগ করবেন না ।

এছাড়া নিয়ম মাফিক, পরিচ্ছন্ন খাদ্য ও খামার ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে অনেক রোগ – বালাই এড়িয়ে চলা সম্ভব ।

* বাজার সম্ভবনা –

• টার্কির মাংস পুষ্টিকর ও সুস্বাদু হওয়ায় এটি খাদ্য তালিকার একটি আদর্শ মাংস হতে পারে । পাশাপাশি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মাংসের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে । যাদের অতিরিক্ত চর্বি যুক্ত মাংস খাওয়া নিষেধ অথবা যারা নিজেরাই এড়িয়ে চলেন, কিংবা যারা গরু / খাসীর মাংস খায়না , টার্কি তাদের জন্য হতে পারে প্রিয় একটি বিকল্প । তাছাড়া বিয়ে, বৌ –ভাত, জন্মদিন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাসীর/গরুর মাংসের বিকল্প হিসেবে টার্কির মাংস হতে পারে অতি উৎকৃষ্ট একটি খাবার । এবং গরু / খাসীর তুলনায় খরচ ও হবে কম ।

• বানিজ্যিক খামার করলে এবং মাংস হিসেবে উৎপাদন করতে চাইলে ১৪/১৫ সপ্তাহে একটি টার্কির গড় ওজন হবে ৫/৬ কেজি । ৪০০ টাকা কেজি দর হিসেব করলে একটি টার্কির বিক্রয় মুল্য দাঁড়াবে ২০০০/২৫০০ টাকা । ১৪/১৫ সপ্তাহ পালন করতে সর্বচ্চ খরচ পরবে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা । তাহলে কম পক্ষে একটি টার্কি থেকে ৫০০ টাকা লাভ করা সম্ভব ।

• তবে মাংস হিসেবে বানিজ্যিক খামার গড়ে উঠতে আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে । কারন তাতে বিদেশ থেকে আরো উন্নত জাত সংগ্রহ করতে হবে, অধিক বিনিয়োগ করতে হবে । কিন্তু বর্তমানে ছোট আকারের খামার করার যে চাহিদা দেশ ব্যাপী তৈরি হয়েছে, তাতে আগামী ৩/৪ বসরে কয়েক লাখ টার্কির প্রয়োজন হবে । এবং সে ক্ষেত্রে দাম ও বেশী পাওয়া যাচ্ছে । ৩০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত বয়স ও রং ভেদে টার্কির জোড়া কেনা – বেচা চলছে ।

আপনি কেন টার্কির খামার করবেন ??

• যারা বেকার বসে আছেন * যারা নতুন কিছু শুরু করতে চান * পোল্ট্রি ব্যবসা করে যারা লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন এবং আপনার স্থাপনা এখন কোন কাজে আসছে না * যারা কম ঝামেলা পূর্ণ কাজ পছন্দ করেন এবং ভালো আয়ের উৎস খুজছেন * যারা অল্প পুঁজি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা খুজছেন, টার্কির খামার তাদের জন্য আদর্শের । কারন হিসেবে আমার অভিমত – ১। একটি আদর্শ টার্কি খামার করতে খুব বেশী পুঁজির প্রয়োজন হয় না । ২। অন্যান্য পাখীর তুলনায় এর রোগ বালাই কম এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে এই খামারে ঝুঁকি অনেক কম । ৩। যেহেতু ৮০% পর্যন্ত ঘাস দেয়া যায়, তাই খবারে খরচ কম । ৪। বাজার চাহিদা প্রচুর । ৫। উচ্চ মুল্য থাকায় খরচের তুলনায় আয় অনেক বেশী ।

টার্কি (ইংরেজি: Turkey) মেলিয়াগ্রিডিডেই পরিবারের এক ধরণের বৃহদাকৃতির পাখিবিশেষ। এগুলো দেখতে মুরগির বাচ্চার মতো হলেও তুলনামূলকভাবে অনেক বড়। এক প্রজাতির বুনো টার্কি মেলিয়াগ্রিস গ্যালোপাভো উত্তর আমেরিকা ও মধ্য আমেরিকার বনাঞ্চলে বসবাস করে। গৃহপালিত টার্কি এই প্রজাতি থেকে ভিন্নতর। অন্য জীবিত প্রজাতির মধ্যে মেলিয়াগ্রিস ওসেলাটা বা চক্ষু আকৃতির চিহ্নবিশিষ্ট টার্কি আবাসস্থল হচ্ছে ইউকাতান উপ-দ্বীপের বনাঞ্চলে।[১] বিশ্বের সর্বত্র টার্কি গৃহপালিত পাখিরূপে লালন-পালন করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীরা সনাতনী ধারায় থ্যাঙ্কসগিভিং ডে'র ছুটির দিনে টার্কি ভোজন করে থাকে। এছাড়াও, ইউরোপীয় দেশগুলোয় বিশেষ খ্রীষ্টিয় পর্বের আহারেও টার্কি খাওয়া হয়। মূলতঃ টার্কি উৎপাদন মৌসুমভিত্তিক হলেও সারা বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাবারের উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে আছে। মেলিয়াগ্রিস গ্যালোপাভো জাতের টার্কি উত্তর আমেরিকায় খেলাধূলার বিনোদনে ব্যবহার করা হয়।

মেলিয়াগ্রিডিডেই পরিবারের একটি গণ হচ্ছে মেলিয়াগ্রিস। এ গণটি আবার দু'টি ধারায় বিভাজিত হয়েছে।

বন্য টার্কি (মেলিয়াগ্রিস গ্যালোপাভো)

চক্ষু আকৃতির চিহ্নবিশিষ্ট টার্কি (মেলিয়াগ্রিস ওসেলাটা)

পুরুষ টার্কি, স্ত্রী টার্কির তুলনায় অধিকতর বড় এবং অনেক বেশী আকর্ষণীয় রঙের হয়ে থাকে। বাস্টার্ড (অস্ট্রেলিয়ান টার্কি); মেগাপোড (ব্রাশ টার্কি); স্ন্যাকবার্ড (ওয়াটার টার্কি) জাতীয় সমজাতীয় পাখি হলেও টার্কিজাতীয় পাখি নয়।

গৃহপালিত টার্কি

পূর্ণাঙ্গ পুরুষজাতীয় টার্কির মাথা ন্যাড়া থাকে। সাধারণতঃ এর মাথা উজ্জ্বল লাল রঙের হয়। কখনো কখনো সাদা কিংবা উজ্জ্বল নীলাভ রঙেরও হয়ে থাকে। পুরুষজাতীয় টার্কি গবলার বা টম নামেও পরিচিত। এগুলো গড়ে লম্বায় ১৩০ সে.মি. বা ৫০ ইঞ্চি হয়। গড়পড়তা ওজন ১০ কেজি বা ২২ পাউন্ড হতে পারে। কিন্তু স্ত্রীজাতীয় টার্কি সাধারণতঃ পুরুষের তুলনায় ওজনে অর্ধেক হয়। প্রতিটি স্ত্রীজাতীয় টার্কি ৮ থেকে ১৫টি ছোট ছোট দাগের বাদামী বর্ণাকৃতির ডিম পাড়ে। ২৮ দিন অন্তর ডিম ফুটে বাচ্চা টার্কি জন্মায়।

বন্য টার্কি সাধারণতঃ বনভূমিতে পানির কাছাকাছি এলাকায় থাকতেই পছন্দ করে বেশী। ফসলের বীজ, পোকামাকড় এবং মাঝেমাঝে ব্যাঙ কিংবা টিকটিকি খেয়ে জীবনধারণ করেন। আত্মরক্ষার্থে দ্রুত দৌড়ে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু এটি কেবলমাত্র স্বল্প দূরত্বে উড়তে পারে। তখন এটি প্রায় ০.৪ কিলোমিটার বা ০.২৫ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে।

যখন ইউরোপীয়রা প্রথমবারের মতো টার্কিকে আমেরিকায় দেখতে পেল, তখন তারা ভুলবশতঃ ভাবল যে পাখিটি এক ধরণের গিনিয়া মুরগি (নুমিডা মেলিয়াগ্রিস)। পরবর্তীকালে তারা তুরস্ক দেশ থেকে মধ্য ইউরোপে পাখিটিকে নিয়ে আসে। গিনিয়া মুরগি বা গিনিয়াফাউল-কে টার্কি ফাউল নামেও ডাকা হয়। তাই, তুরস্ক দেশের নামানুসারে উত্তর আমেরিকার পাখিটির নামকরণ করা হয় টার্কি।১৫৫০ সালে উইলিয়াম স্ট্রিকল্যান্ড নামীয় এক ইংরেজ নাবিক টার্কি পাখিকে ইংল্যান্ডে নিয়ে আসেন।

সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য দলিলপত্র মোতাবেক ক্যালিফোর্নিয়া টার্কি (মেলিয়াগ্রিস ক্যালিফোর্নিকা)মানব বসতির শুরুতে যথেষ্ট সংখ্যায় শিকারে পরিণত হয়েছিল।[ ধারণা করা হয় যে, তুষার যুগের শেষদিকে জলবায়ুর পরিবর্তন ও ব্যাপক শিকারের ফলে এ প্রজাতির টার্কির বিলুপ্তি ঘটেছিল।

........................................................................................................

বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জে অনেক জায়গা অনাবাদী/ পতিত অবস্থায় পরে থাকে । যেখানে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে রয়েছে বভিন্ন ঘাস – লতা । এরকম উন্মুক্ত জায়গা টার্কি পালনের জন্য বেশী উপযোগী ।অন্য দিকে আমদের রয়েছে এক বৃহত্তর বেকার জনগোষ্ঠী । তাই একদিকে অব্যবহৃত জমিকে ব্যবহার এবং বেকার দের জন্য কর্ম সংস্থান, এই দুই এর মাঝে সেতু বন্ধন হতে পারে ছোট একটি টার্কি খামার ।

টার্কি মুরগীর ও তিতিরের খামার করতে আগ্রহিরা এই বিষয়ক সকলকিছু বিস্তারিত জানতে 01972221234 নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের কাছে সকল ধরনের টার্কি পাওয়া যায়। প্রয়োজনে আমাদের টার্কি ও তিতিতের খামার টি দেখে যেতে পারেন। প্রতি শুক্রবার টার্কি পালন পদ্ধতি দেখতে আমাদের খামারটি পরিদর্শন করতে পারেন। যারা টার্কি খামার করতে চান তাদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে আজ এই পর্যন্ত।

টার্কি (ইংরেজি: Turkey) মেলিয়াগ্রিডিডেই পরিবারের এক ধরণের বৃহদাকৃতির পাখিবিশেষ। এগুলো দেখতে মুরগির বাচ্চার মতো হলেও তুলনামূলকভাবে অনেক বড়। এক প্রজাতির বুনো টার্কি মেলিয়াগ্রিস গ্যালোপাভো উত্তর আমেরিকা ও মধ্য আমেরিকার বনাঞ্চলে বসবাস করে। গৃহপালিত টার্কি এই প্রজাতি থেকে ভিন্নতর। অন্য জীবিত প্রজাতির মধ্যে মেলিয়াগ্রিস ওসেলাটা বা চক্ষু আকৃতির চিহ্নবিশিষ্ট টার্কি আবাসস্থল হচ্ছে ইউকাতান উপ-দ্বীপের বনাঞ্চলে।[১] বিশ্বের সর্বত্র টার্কি গৃহপালিত পাখিরূপে লালন-পালন করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীরা সনাতনী ধারায় থ্যাঙ্কসগিভিং ডে'র ছুটির দিনে টার্কি ভোজন করে থাকে। এছাড়াও, ইউরোপীয় দেশগুলোয় বিশেষ খ্রীষ্টিয় পর্বের আহারেও টার্কি খাওয়া হয়। মূলতঃ টার্কি উৎপাদন মৌসুমভিত্তিক হলেও সারা বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাবারের উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে আছে। মেলিয়াগ্রিস গ্যালোপাভো জাতের টার্কি উত্তর আমেরিকায় খেলাধূলার বিনোদনে ব্যবহার করা হয়।

মেলিয়াগ্রিডিডেই পরিবারের একটি গণ হচ্ছে মেলিয়াগ্রিস। এ গণটি আবার দু'টি ধারায় বিভাজিত হয়েছে।

বন্য টার্কি (মেলিয়াগ্রিস গ্যালোপাভো)

চক্ষু আকৃতির চিহ্নবিশিষ্ট টার্কি (মেলিয়াগ্রিস ওসেলাটা)

পুরুষ টার্কি, স্ত্রী টার্কির তুলনায় অধিকতর বড় এবং অনেক বেশী আকর্ষণীয় রঙের হয়ে থাকে। বাস্টার্ড (অস্ট্রেলিয়ান টার্কি); মেগাপোড (ব্রাশ টার্কি); স্ন্যাকবার্ড (ওয়াটার টার্কি) জাতীয় সমজাতীয় পাখি হলেও টার্কিজাতীয় পাখি নয়।

গৃহপালিত টার্কি

পূর্ণাঙ্গ পুরুষজাতীয় টার্কির মাথা ন্যাড়া থাকে। সাধারণতঃ এর মাথা উজ্জ্বল লাল রঙের হয়। কখনো কখনো সাদা কিংবা উজ্জ্বল নীলাভ রঙেরও হয়ে থাকে। পুরুষজাতীয় টার্কি গবলার বা টম নামেও পরিচিত। এগুলো গড়ে লম্বায় ১৩০ সে.মি. বা ৫০ ইঞ্চি হয়। গড়পড়তা ওজন ১০ কেজি বা ২২ পাউন্ড হতে পারে। কিন্তু স্ত্রীজাতীয় টার্কি সাধারণতঃ পুরুষের তুলনায় ওজনে অর্ধেক হয়। প্রতিটি স্ত্রীজাতীয় টার্কি ৮ থেকে ১৫টি ছোট ছোট দাগের বাদামী বর্ণাকৃতির ডিম পাড়ে। ২৮ দিন অন্তর ডিম ফুটে বাচ্চা টার্কি জন্মায়।

বন্য টার্কি সাধারণতঃ বনভূমিতে পানির কাছাকাছি এলাকায় থাকতেই পছন্দ করে বেশী। ফসলের বীজ, পোকামাকড় এবং মাঝেমাঝে ব্যাঙ কিংবা টিকটিকি খেয়ে জীবনধারণ করেন। আত্মরক্ষার্থে দ্রুত দৌড়ে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু এটি কেবলমাত্র স্বল্প দূরত্বে উড়তে পারে। তখন এটি প্রায় ০.৪ কিলোমিটার বা ০.২৫ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে।

যখন ইউরোপীয়রা প্রথমবারের মতো টার্কিকে আমেরিকায় দেখতে পেল, তখন তারা ভুলবশতঃ ভাবল যে পাখিটি এক ধরণের গিনিয়া মুরগি (নুমিডা মেলিয়াগ্রিস)। পরবর্তীকালে তারা তুরস্ক দেশ থেকে মধ্য ইউরোপে পাখিটিকে নিয়ে আসে। গিনিয়া মুরগি বা গিনিয়াফাউল-কে টার্কি ফাউল নামেও ডাকা হয়। তাই, তুরস্ক দেশের নামানুসারে উত্তর আমেরিকার পাখিটির নামকরণ করা হয় টার্কি।[২][৩][৪] ১৫৫০ সালে উইলিয়াম স্ট্রিকল্যান্ড নামীয় এক ইংরেজ নাবিক টার্কি পাখিকে ইংল্যান্ডে নিয়ে আসেন।

সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য দলিলপত্র মোতাবেক ক্যালিফোর্নিয়া টার্কি (মেলিয়াগ্রিস ক্যালিফোর্নিকা)মানব বসতির শুরুতে যথেষ্ট সংখ্যায় শিকারে পরিণত হয়েছিল।[ ধারণা করা হয় যে, তুষার যুগের শেষদিকে জলবায়ুর পরিবর্তন ও ব্যাপক শিকারের ফলে এ প্রজাতির টার্কির বিলুপ্তি ঘটেছিল।

........................................................................................................

বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জে অনেক জায়গা অনাবাদী/ পতিত অবস্থায় পরে থাকে । যেখানে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে রয়েছে বভিন্ন ঘাস – লতা । এরকম উন্মুক্ত জায়গা টার্কি পালনের জন্য বেশী উপযোগী ।অন্য দিকে আমদের রয়েছে এক বৃহত্তর বেকার জনগোষ্ঠী । তাই একদিকে অব্যবহৃত জমিকে ব্যবহার এবং বেকার দের জন্য কর্ম সংস্থান, এই দুই এর মাঝে সেতু বন্ধন হতে পারে ছোট একটি টার্কি খামার ।

টার্কি মুরগীর ও তিতিরের খামার করতে আগ্রহিরা এই বিষয়ক সকলকিছু বিস্তারিত জানতে 01972221234 নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের কাছে সকল ধরনের টার্কি পাওয়া যায়। প্রয়োজনে আমাদের টার্কি ও তিতিতের খামার টি দেখে যেতে পারেন। প্রতি শুক্রবার টার্কি পালন পদ্ধতি দেখতে আমাদের খামারটি পরিদর্শন করতে পারেন। যারা টার্কি খামার করতে চান তাদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে আজ এই পর্যন্ত।

বিষয়: বিবিধ

৮৭৫৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

362002
১০ মার্চ ২০১৬ রাত ০১:১৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনেক দারুন তথ্যবহুল একটা পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
১০ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৫৯
300109
চুকচুক জৈব সার লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
362009
১০ মার্চ ২০১৬ রাত ০৩:১৩
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার খামারটা কোথায় তা বললে হয়ত গিয়ে দেখা যেত৷ অনেকেই আগ্রহী হতে পারে৷ ধন্যবাদ৷
১০ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৫৯
300110
চুকচুক জৈব সার লিখেছেন : খামার টা উত্তর বাড্ডা ঢাকাতে।
362021
১০ মার্চ ২০১৬ সকাল ০৯:২৬
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : প্রত্যেক বছর থ্যাংকস গিভিং এর সময় আমেরিকানরা টার্কি রোষ্ট করে। আর প্রেসিডেন্ড মহোদয় রোষ্ট করার জন্য নির্ধারিত ২ টা টার্কীকে মুক্ত করে টার্কী পার্ডন পালন করে থ্যাংকস গিভিং এর সময়।

আমি নিজে ও টার্কীর মাংস বেশ পছন্দ করি। আগামী জুলাইয়ের দিকে টার্কি শিকারে যাবার পরিকল্পনা আছে।
১১ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:০০
300111
চুকচুক জৈব সার লিখেছেন : ধন্যবাদ
362056
১০ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০৩:২৮
ছালসাবিল লিখেছেন : দেশি মুরগীর চেয়েও কি ভালো ভাইইইয়া Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming Big Grin
১১ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:০০
300112
চুকচুক জৈব সার লিখেছেন : টেস্টি
362087
১০ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষনিয় পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। টার্কি তো মার্কিন সংস্কৃতির অঙ্গ। দেশে কি এই পাখি পরিবেশ এর সাথে এডাপট করতে পারবে? টার্কির কাছাকাছি কোন দেশি মুরগির জাত আছে কি?
362142
১১ মার্চ ২০১৬ রাত ১২:০১
চুকচুক জৈব সার লিখেছেন : আমার খামারে ইতিমধ্যে ২০০ এর অধিক আছ্ এবং পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়েছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File