জাল দলিল সৃজন, ভূমিদস্যু তৎপরতা এবং হত্যার হুমকির অভিযোগ, পিএইচপি চেয়ারম্যান সূফী মিজানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি। (আইনের ধারায় রয়েছে বিখ্যাত ৪২০ ধারা!!!)
লিখেছেন লিখেছেন লেন্দুপ দর্জি ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:০০:২২ দুপুর
জাল দলিল সৃজন, ভূমি দস্যু তৎপরতা এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে পিএইচপি চেয়ারম্যান সূফী মিজানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গত ১৫/০৯/২০১৫ তারিখে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (সীতাকুন্ড) এর আদালতে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।- সূত্র দৈনিক আমাদের চট্রগ্রাম (১৬/০৯/২০১৫)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সীতাকুন্ড রিয়েল এষ্টেট এর মালিক ১৯৯৯ সালে স্থানীয় দেলদার আহাম্মদ, দেলশাদ আহাম্মদ ও জসিম আহাম্মদ চৌধুরী হতে ১৪১ একর জমি বিক্রয় চুক্তিতে বায়না দলিল সম্পাদন করে এবং তার বরাবরে দখল ত্যাগ করে। উক্ত বায়নার অনুকূলে সীতাকুন্ড রিয়েল এষ্টেট এর মালিক ও অপর ৫ জন ৩০ একর জমি উল্লেখিত মালিকদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রি দলিল সম্পাদন করেন। একই তারিখে একই মালিক হইতে পুনরায় ৪০ একর জমির বায়না দলিল সম্পাদন করেন। পরবর্তীতে বায়নাকৃত সমূদয় সম্পত্তির অবশিষ্ট সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি নেওয়ার জন্য বার বার উকিল নোটিশ প্রদান করা স্বত্বেও রেজিষ্ট্রি দাতা দিলদার আহম্মদ গং নানা অজুহাতে রেজিষ্ট্রি দেওয়া থেকে বিরত থাকে। রেজিষ্ট্রি দলিল নং ৪৪৭২, ৪৪৭৩, ৪৪৮১ তারিখ ১২/১১/২০০১ মূলে উল্লেখিত ব্যক্তিদের সম্পাদিত রেজিষ্ট্রি দলিল সম্পাদনের পর দলিল গ্রহীতা (মালিক সীতাকুন্ড রিয়েল এষ্টেট) ভূমি পরিমাপ করে দখল বুঝে নিয়ে জানতে পারে যে উক্ত সম্পত্তিতে দেলদার আহম্মদ গং দের জেঠাত ভাই ফোরক আহম্মদ গং দের সম্পত্তি বিদ্যমান রয়েছে। পরবর্তীতে সীতাকুন্ড রিয়েল এষ্টেট এর মালিক ফোরক আহম্মদ গং হতে বায়না ও ছাফ কবলা মূলে তাদের সমূদয় সম্পত্তির দখল বুঝে নেয়। অতি লোভের বশবর্তী হয়ে দেলদার আহম্মদ গং ফোরক আহম্মদ গং দের বঞ্চিত করার মানসে ২০০২ সালে হাইকোর্টে একটি নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। ১৭/০৪/২০০২ সালে মহামান্য হাইকোর্ট তা খারিজ করে।
পরবর্তীতে দেলদার আহম্মদ গং সীতাকুন্ড রিয়েল এষ্টেট এর মালিকের সাথে প্রতারণা করে গোপনে পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সূফী মিজানের যোগসাজসে ২৫/০২/২০০৫ তারিখে ভুয়া দলিল সৃজন করে সীতাকুন্ড রিয়েল এষ্টেট এর মালিককে দখলীয় ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার মানসে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে। এক পর্যায়ে সীতাকুন্ড রিয়েল এষ্টেট এর মালিকের সমূদয় সম্পত্তি দস্যুতার ভিত্তিতে পিএইচপি চেয়ারম্যান সূফী মিজান দখল করে নেয় এবং ঐ সম্পত্তিতে আনসার নিয়োগ করে। নিরুপায় হয়ে সীতাকুন্ড রিয়েল এষ্টেট এর মালিক সূফি মিজানসহ ৩৪জন সন্ত্রাসীকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে যার মেমো নাম্বার ৪০৩/০৫ এবং বর্তমান নাম্বার সি,আর ৬৮/০৮ (Criminal penal code numbers are- 466, 467, 468, 471, 420, 406, 109 & 38)।
চট্রগ্রাম ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টের বিজ্ঞ হাকিম মামলাটির তদন্তের জন্য সিআইডি'কে দায়িত্ব প্রদান করে এবং তদন্ত শেষে সিআইডি অফিসার আতাহার আলী একই কোর্টে রিপোর্ট দাখিল করেন।
সিআইডি'র তদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, সূফী মিজান ও তার শয়তান সহযোগীরা ভূয়া মানুষকে দেখিয়ে একটি জাল দলিল সৃজন করে এবং বাদীকে নিজ জায়গার দখল থেকে উচ্ছেদ করে। বিজ্ঞ হাকিম সিআইডি রিপোর্টটি সত্য হিসেবে গ্রহণ করে।
তারপর সূফী মিজানের সহযোগীরা সিআইডি রিপোর্টটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে কিন্তু সেখানেও সিআইডি রিপোর্টটি সত্য হিসেবে গৃহীত হয়। ফলে ১১ মে ২০১৪ তারিখে হাইকোর্ট একটি আদেশ জারি করেন। এখানে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কে.এম. কামাল কাদের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট চট্রগ্রামকে আদেশ দিয়ে তাদের রায়ে বলেন- “Court concern is directed to dispose of the case expeditiously as soon as possible”
এর প্রেক্ষিতে গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর ২০১৫ মামলাটির অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (সীতাকুন্ড) এর আদালতে ধার্য তারিখ ছিল। আসামীরা আদালতে হাজির না থাকায় আদালত সূফি মিজানসহ ৩৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
এই সংক্রান্ত পত্রিকা লিঙ্ক-
১. http://www.dainikamaderchattagram.com/?p=4129
২. http://www.gssnews24.com/?p=12332
নিউজটি ছড়িয়ে দিয়ে ভন্ড সূফীর মুখোশ উন্মোচনে সাহায্য করুন।
বিষয়: বিবিধ
২০০৬ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন