বুয়েটে শিক্ষক হামলায় উস্কানি যুগিয়েছে 'বুয়েটে আড়িপেতে শোনা' ফেসবুক গ্রুপটি

লিখেছেন লিখেছেন আর্বানা নাহিন ২১ এপ্রিল, ২০১৫, ০৬:৩৮:১৪ সন্ধ্যা



প্রায় ১৪ হাজার সদস্যের (বুয়েট এলামনাই ও ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে গড়া) ফেসবুক সিক্রেট গ্রুপটি বুয়েটের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য হুমকী হয়ে দেখা দিয়েছে। এখানে মডারেটরদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং ভিন্নমত দলন করার হীন প্রক্রিয়া সুস্পষ্ট। এ থেকে শিক্ষকসহ কোন এলামনাই বাদ পড়ে না, যা বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানে তো বটেই, বিশ্বে নজিরবিহীন।গ্রুপ পরিচালনার কোন ধরনের সুষ্ঠু এবং স্বাভাবিক নীতিমালা নেই। তারা অনুমান, কমেন্টের ভাষা দেখে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়াই কারো কারো সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অ্যালামনাইদেরকে জামাত-শিবির আখ্যায়িত করে তালিকা তৈরি করে এবং তাদেরকে গ্রুপ থেকে ব্যান করে দেয়। সেই তালিকা প্রকাশ্যে ডকুমেন্ট আকারে গ্রুপের মধ্যে সংরক্ষণ করে। এমন অনেকের নাম সেই তালিকায় লিপিবদ্ধ করা আছে যারা নিজেরাই হয়ত জানেনও না। এভাবে তাদের করা তালিকার ব্যক্তিদের নিরাপত্তাহীণতার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সম্প্রতি বুয়েটের সিভিল বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার পিছনে এ গ্রুপের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে ।

১. সাম্প্রতিক ঘটনা

সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি হয় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডিত হয়ে। এ নিয়ে গ্রুপে গত শনিবার (১১/০৪/২০১৫) রাত ১০টা ২৫ মিনিটে ‘কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর’ শিরোনামে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সংবাদ গ্রুপে শেয়ার করেন দীপু সরকার(সিএসই’০৯)। সেখানে চন্দ্র নাথ নামের এক অ্যালাম্নাই প্রথমে ‘জয় বাংলা’ লিখে মন্তব্য করেন। এর নিচে বুয়েটের সিভিল বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে ‘জয় মা কালী, জয় ইন্ডিয়া’ লিখেন এবং পরে তা সংশোধন করে ‘জয় ইন্ডিয়া, জয় মাসল পাওয়ার, জয় পলিটিকস’ লিখে মন্তব্য করেন।

ফেসবুকে অন্যরা এ কথার ব্যাখ্যা চাইলে ড. জাহাঙ্গীর বিভিন্ন সময়ে লেখেন, ‘জয় বাংলা শুধু একটি দলকেই উপস্থাপন করে’, ‘জয় বাংলাদেশ বলুন। এটা অরাজনৈতিক। জয় বাংলা দুটি দেশকে উপস্থাপন করে।’ সবশেষে একটি মন্তব্য করেন, ‘কারেক্টেড: জয় ইন্ডিয়া, জয় মাসল পাওয়ার, জয় নেসটি পলিটিকস, জয় ইনজাস্টিস। সূত্র: প্রথম আলোর রিপোর্ট, এপ্রিল ১৩, ২০১৫ ।

সেখানে তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘এটা কখনোই হবে না। অপেক্ষা কর ও দেখ। দিন দিন তোমরা সবাই রাজাকারদের চেয়েও খারাপ হবে। অবিচার কখনোই ভালো হয় না’। উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই বিচারের স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মান নিয়ে নানা সময়ে বিশ্বের সব বড় মানবাধিকার সংস্থাগুলি (এইচআরডব্লিউ, ইইউ, এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রমুখ) প্রশ্ন তুলে আসছে।

পরবর্তীতে ড. জাহাঙ্গীরের মন্তব্যের ধরণ দেখে তাঁকে ‘জামাত-শিবির’ (গ্রুপের ভাষায় কাঁঠাল পাতা টেস্ট পজিটিভ) আখ্যায়িত করে গ্রুপ থেকে ব্যান করেন অন্যতম এডমিন মিশকাত আল আলভী (০৭ ব্যাচ, ইলেকট্রিক্যাল)। এধরনের পরিভাষা এডমিন প্যানেলের নিজেদের আবিস্কার যা যেকোন বিবেকবান মানুষকে আহত করবে। ছবি-১ এ দেখুন।



ছবি-১: বুয়েটের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীরকে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে গ্রুপ থেকে ব্যান করা হয়।

ব্যান করার আগে ও পরে তাঁকে নিয়ে নানারকম মুখরোচক আলোচনা চলতে থাকে। যারা ঘটনা চাক্ষূষ অবলোকন করেন নাই তাদেরকে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে উস্কানি দেয়া হতে থাকে। তাদের অব্যাহত প্রচারণার ফলে আড়ালে থেকে যায় যে ড. জাহাঙ্গীর তাঁর করা প্রথম মন্তব্য থেকে সরে এসেছেন। এভাবে তাঁকে সামাজিকভাবে নাজেহাল করার সুপরিকল্পিত পরিবেশ তৈরি করা হতে থাকে। ব্যান করার কারণে ড. জাহাঙ্গীর পরবর্তীতে তাঁর নিজের বক্তব্য উপস্থাপনেরও সুযোগ হারান এবং তাঁকে নিয়ে কি আলোচনা হচ্ছে তা তাঁর অগোচরেই থেকে যায়।

বিভিন্ন কমেন্টে তাকে অশ্রাব্য গালি ও অপমান করা হয় যা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করতে উস্কানি প্রদান করে এবং দুঃখজনকভাবে পরেরদিন তা বাস্তব রূপ লাভ করে।

বুয়েটের স্বনামধন্য এলামনাই ও সাবেক শিক্ষক বর্তমানে বার্মিংহামে আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রাগিব হাসানও অপূর্ণাঙ্গ স্ক্রিনশট দিয়ে এ প্রচারণায় শামিল হন (ছবি-২ দেখুন)। যেখানে তিনি নিজেই ড. জাহাঙ্গীরের উক্ত মন্তব্যকে অসতর্কতা হিসাবে উল্লেখ করছেন। এরকম একটা অসতর্কতা ও অপরিকল্পিত মন্তব্য এবং সেখান থেকে সরে আসা সত্ত্বেও প্রায় ৪০টির মত পোস্টে (ড. জাহাঙ্গীরকে মারার আগে ও পরে) তাঁকে খুবই হীনভাবে নাজেহাল করা হয় গ্রুপে। (সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।)



ছবি-২: ড. জাহাঙ্গীরকে (৯১ব্যাচ, সিভিল) 'ছাগু' আখ্যায়িত করে মন্তব্য করেছেন ড. রাগীব হাসান (৯৬ব্যাচ, সিএসই)

গ্রুপে জামাত-শিবিরের পক্ষে যায় এমন কোন কমেন্টকারিকে বিনা নোটিশে ব্যান করার নিয়ম থাকায় কেউ তার পক্ষে কিছু বলারও সাহস পায় না। (সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।)

২. ড. জাহাঙ্গীর শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত

এধরনের আলোচনা ও উস্কানির পরের দিন কিছু উগ্র ছাত্র অধ্যাপক জাহাংগীর আলমের উপর হামলা চালায়। সিভিল ০৯ ব্যাচের প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র আজিজ অনিক ফেসবুকে ঘটনার নির্মমতার বিবরন দেন এভাবে। (সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।)

১) দুপুর ০১:২৫-এর সময় সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর পঞ্চম তলায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের রুমে একদল ছাত্র প্রবেশ করে এবং স্যারকে ভেতরে নিয়ে দরজা আটকে দেয়। রুমের ভেতর গণ্ডগোল এর শব্দ শুনে সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্ররা খোঁজ নিতে যান। এসময় সিনিয়র শিক্ষকদেরকেও সেখানে অপমান করা হয়। সাথে সাথে হামলাকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এটা আপনাদের কোন ইস্যু না, আমরা দেখছি ব্যাপারটা।”

২) সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে এরপর কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে রুম থেকে বের করা হয়। ছাত্ররা তখন সবাই অবাক হয়ে দেখছিলো এই দৃশ্য। রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে, স্যারের মাথায় ভেঙ্গে দেয়া হয় পঁচা ডিম, মুখে লেপে দেয়া হয় হামলাকারীদের সঙ্গে নিয়ে আসা মিষ্টি। সেসময়ে চারপাশ থেকে করা হচ্ছিলো অশ্রাব্য গালিগালাজ। সেখানে উপস্থিত সকলেই তখন বিস্ময়ে নির্বাক।

৩) পাঁচতলা থেকে সেই শিক্ষককে এরপর ডিপার্টমেন্টের সকলের সামনে দিয়ে টেনে হিঁচড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। ক্যাফেটেরিয়ার সামনে নিয়ে স্যারকে আবার শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়। সাথে চলছিলো অশ্রাব্য সব গালমন্দ।

৪) ক্যাফের সামনে একজন শিক্ষকের এই অবস্থা দেখে উপস্থিত অনেক ছাত্রই তখন বাধা দিতে গিয়ে উল্টো তোপের মুখে পড়ে। অতঃপর স্যারকে আবার টেনেহিঁচড়ে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং-এ নিয়ে যাওয়া হয়। ততোক্ষণে জড়ো হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষক বারবার হামলাকারীদের থামতে বলা সত্ত্বেও, তারা থামছিলো না, বরং সম্মানিত শিক্ষকদের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছিলো উত্তপ্ত বাক্যবাণ।


৩. ড. জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার দায়ে মামলা

বৃহস্পতিবার (১৬.০৪.২০১৫ তারিখ) ঢাকা সিএমএম আদালতে বুয়েটের ড. এম এ রশিদ হলের ০৯ ব্যাচের যন্ত্রকৌশল বিভাগের আবাসিক ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী সিয়াম হোসেন পেনাল কোডের 124A এবং 295A ধারা মোতাবেক ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি নির্দেশ জারি করেছেন। বুয়েটের একাধিক শিক্ষার্থী নিশ্চিত করেন যে মামলাকারী সিয়াম ড. জাহাঙ্গীরকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নিজেও জড়িত।

৪. ড. জাহাঙ্গীরের বক্তব্য

অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অনেকটা অসচেতনভাবে তিনি কমেন্টটি করছিলেন বলেই পরবর্তীতে তিনি সেটি এডিট করেন। এর পরে তাকে গ্রুপ থেকেও এডমিনরা ব্যান করে দেয়ায় আর কোন উত্তর দেয়ার বা গ্রুপে কি হচ্ছে তা জানার কোন সুযোগ তার ছিল না। গ্রুপটির এডমিনদের স্বেচ্ছাচারীতার কথাও জানান তিনি।

৫. হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্য

হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা হামলার ঘটনা অস্বীকার করে। বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্রজ্যোতি টিকাদার ও সেক্রেটারী আবু সাইদ কনক হামলার এ ঘটনাকে অস্বীকার করলেও শিক্ষকের রুমে তারা গিয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছে স্বীকার করেন। সূত্র: প্রথম আলোর রিপোর্ট, এপ্রিল ১৩, ২০১৫। [আপডেট: ছাত্রলীগ সভাপতি-সেক্রেটারীকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ-২১.০৪.২০১৫]

ডঃ জাহাংগীরের বিরুদ্ধে মামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা সিয়াম হোসেন ফেসবুক কমেন্টে মিষ্টি লেপ্টে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। (সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।)

'বুয়েটে আড়িপেতে শোনা' ফেসবুক গ্রুপটি এক সময় বুয়েট ছাত্র এবং এলামনাইদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে এটিকে নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সেটা ফ্যাসিস্টদের একটি প্লাটফর্মে রুপ নেয় যার ফলশ্রুতিতে সম্প্রতি শিক্ষক লাঞ্ছিতের মত দুঃখজনক ঘটনা ঘটলো।

এটা খুবই নিন্দনীয় যে গ্রুপটিতে বুয়েটের মত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের একজন অধ্যাপককে অতি নিকৃষ্ট ভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে, যাদের মধ্যে অনেকে তার ক্লাসের বর্তমান ছাত্র। শিক্ষককে কিভাবে অপমান ও সরাসরি হেয় প্রতিপন্ন করা যায় সে অনৈতিক শিক্ষার চর্চার সুযোগ করে দিচ্ছে গ্রুপটি। এ থেকে অন্যরা শিখছে যে শুধুমাত্র ভিন্ন মতের শিক্ষক হলেই বেয়াদবীর সুরে কথা বলা যায়, ধমক দেওয়া যায়, গালি দেওয়া যায়। পরের দিন ছাত্রলীগের যে ছেলেগুলো হামলা ও বেয়াদবী করেছে তার সাহস তারা ঐ গ্রুপের এডমিন এবং কিছু ছাত্রদের কাছ থেকে পেয়েছে। এর আগে ছাত্রলীগ বুয়েটের কোন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার সাহস করেনি। কিন্তু গ্রুপের পরিবেশ ও এডমিনদের স্বেচ্ছাচারীতা, ভিন্নমতকে কথা বলার সুযোগ না দেওয়া তাদেরকে সেই সাহস যুগিয়েছে।

এ অবস্থায় গ্রুপটি এ ধরনের আচরন থেকে সরে না আসলে বুয়েটের সুনাম ও শিক্ষার পরিবেশ আরও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা রয়েছে।

সাপ্লিমেন্টারি স্ক্রিনশটসমূহঃ



ছবি-৩: ড. জাহাঙ্গীরকে (সিভিল,৯১ ব্যাচ) কোন ছাড় না দিতে ড. রাগীব হাসান (৯৬ ব্যাচ, সিএসই) এর উস্কানিমূলক কমেন্ট



ছবি-৪: অ্যালামনাইদেরকে জামাত-শিবির আখ্যায়িত করে তালিকা তৈরি করে এবং তাদেরকে গ্রুপ থেকে ব্যান করে দেয়।



ছবি-৫: শ্রদ্ধেয় একজন শিক্ষককে ছাগল বলে গালি দিয়েছেন বেশ কয়েকজন অ্যালাম্নাই ও ছাত্র।



ছবি-৬: শিক্ষকের উপর হামলার বর্ননা দিয়ে সিভিল’০৯ ব্যাচের আজিজ অনিকের ফেসবুক স্ট্যাটাস।



ছবি-৭: শিক্ষকের উপর এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার পরে আড়িপাতা গ্রুপের মাধ্যমে তা জাস্টিফাই করার চেষ্টাও চলে।



ছবি-৮: হামলা ও পরবর্তীতে মামলা প্রদানকারী সিয়াম হোসেনের (মেক্যালিকাল’০৯ ব্যাচ) স্বীকারোক্তি।



ছবি-৯: আরেক হামলাকারী আবু আনাস শুভম (মেকানিকাল’০৯ ব্যাচ) শিক্ষকের উপর হামলায় লজ্জিত না হয়ে জাস্টিফাই করার চেষ্টা চালায়।



ছবি-১০: হামলাকারীরা অস্বীকারের চেষ্টা করলে প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিবাদ জানায়।



ছবি-১১: হামলাকারী প্রতিক দত্ত শূভ (১১ ব্যাচ) লজ্জিত না হয়ে জাস্টিফাই করার চেষ্টা চালায়।



ছবি-১২: হামলাকারী প্রতিক দত্ত শূভ (১১ ব্যাচ) শিক্ষকের উপর হামলার কথা অস্বীকার করলে সাথে সাথে প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিবাদ জানায়।



ছবি-১৩: শিক্ষক পেটানোর পিছনে যে গ্রুপের কর্মকান্ড দায়ী তা গ্রুপের মেম্বার এ কে আযাদ কল্লোল (ইলেকট্রিক্যাল’৯১ ব্যাচ) উপলব্ধি করেছেন।



ছবি-১৪: গ্রুপের এডমিনদের স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ী করছেন অ্যালাম্নাই আবু বকর সিদ্দিক (সিএসই’০১ ব্যাচ)



ছবি-১৫: শিক্ষক হামলার জন্য গ্রুপটিকে সরাসরি দায়ী করেন সিএসই বিভাগের শিক্ষক অনিন্দ্য তাহসিন (সিএসই’০২ ব্যাচ)

ডাউনলোড PDF

Cফেসবুক নোট

ব্যাক-আপ কপিঃ - এখানে

বিষয়: বিবিধ

৩৯৩৬ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

316151
২১ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : একটা প্রাক্তন শিক্ষার্থিদের নিয়ে গঠিত গ্রুপ এর কান্ড কারখানা দেখে তথাকথিত আওয়ামি বাম দের চরিত্র নিয়ে সন্দেহই বাড়িয়ে তুলে।
316162
২১ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৩
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
316170
২১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:২১
নয়ন খান লিখেছেন : বুয়েট তো আর বাংলাদেশের বাইরে না। মাথায় পচন ধরলে কোন প্রাণীই বাঁচে না। বুয়েট তার চিরাচরিত ঐতিহ্য হারিয়েছে অনেক আগেই। সারা দেশের শিক্ষক সমাজকে অপমানিত-লান্চ্ঞিত করছে জংগী ছাত্রলীগ। ড: জাহাংগীরকে যে কান্ডটি করল এটা তাদের আরেক সংযোজন। তবে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ সাহস করে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।
শয়তানেররা যে কোন কালেও শেখেনা এটা তার আরেকটা প্রমাণ। রাগিব আর কয়েকজন নাটের গুরু এডমিন দীর্ঘদিন থাকে প্রাশ্চাত্যে, কিন্তু প্রাশ্চাত্যের উদার গনতন্ত্র তাদের কিছু শেখাতে পারল না। অভদ্র, ইতরই রয়ে গেল।
কি ভাষার ব্যবহার!ওদের বাবা-মায়েদের কেউ স্ক্রীণশটগুলো দেখালে তাঁরা বুঝতেন কি অসভ্য সন্তান তাঁদের!
316176
২১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৫৯
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : শিক্ষকদের সম্মান করার মত ছাত্র আজকাল আছে নাকি! আমাদের রাজনীতিবিদদের টিকে থাকার জন্য গুন্ডা পালার প্রয়োজন হয়। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় হবে পড়ার জায়গা। এখানে দাদাগিরি, হলদখল, সন্ত্রাসের জন্য ছাত্র রাজনীতির আদৌ প্রয়োজন আছে কি?
সাহসী উচ্চারণের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। লিখবেন নিয়মিত Good Luck Good Luck
316192
২১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:১৭
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ হলো বুয়েট!সেখানের ছেলেরা কিভাবে এই হীন কাজ করলো? আর এই সব তথ্য ওরা পায়ই বা কিভাবে?

এত প্রমানাদি থাকার পরেও কতৃপক্ষের নীরবতা কিসের প্রমান করে?

শুকরিয়া কলম ধরার জন্য! আশাকরি আরো লিখা পাব! Good Luck

অভিনন্দন স্টিকি পোস্ট! Thumbs Up
316200
২১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৪৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক আগ থেকেই নষ্ট হয়ে গেছে, নষ্ট বিদ্যা পড়ে তো নষ্টই তৈরী হবে। যে শিক্ষায় শিক্ষকদের সম্মান করতে শিখায় না, তাতো অশিক্ষা বা কুশিক্ষা।
অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সুন্দর পোষ্টটি উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
316202
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:৩৪
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : যে ছেলে টিচারের গায়ে হাত তুলতে পারে তাকে আর যাই হওক "ছাত্র" বলা যায় না।
316208
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:১৬

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : এসো শিবির করি, তালেবানের পথ ধরি।
316236
২২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:৪২
জহুরুল লিখেছেন : ভাল গাছে ভাল ফল। (সব ক্ষেত্রে প্রযোয্য নহে)
১০
316263
২২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৪
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : যতদিন ছাত্রলীগ আর বেজন্মা বামদের হাতে দেশ
ততদিন পথ হারাতেই থাকবে বাংলাদেশ।
১১
316266
২২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:২০
egypt12 লিখেছেন : আল্লাহ এদের হাত থেকে এই জনপদকে মুক্ত করুন
১২
316278
২২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:৫১
সালাম আজাদী লিখেছেন : আসলে বাংলাদেশি সাইকি টাই এমন। আমি যখন এর ইসলামিস্ট দের কেও অন্যান্য দেশের ইসলামিস্টদের মাঝে তুলনা করেছি, শায়খ কারাদ্বাওয়ীর পাশে বসেছি, নাদাওয়ী কে কাছে পেয়েছি, ইবনে বাযের সাথে কত সময় কাটিয়েছি, ইবন উসাইমিনের কাছে সপ্তাহ কাটিয়েছি, কামাল হিলবাওয়ী তো কাছেই আছেন, ছিলেন। নিক আযিয আব্দুল হাদি অওয়াং দের কথা তো ভোলা যায়না। আবার শায়খুল হাদীস, মাওলানা উবায়দুল হক সাহেবদের কাছে বসেছি। একেএম ইউসুফ গোলাম আযম সাহেবরা তো আমার অফিস বস ছিলেন। আমি দেখেছি বাংলাদেশি উন্নাসিকতা বড় বেশি কষ্টদেয়। আমাদের রক্তে আছে এক শক্ত কোড়াপোকা। আছে বিদ্রোহী জিন।
১৩
316298
২২ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৪২
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ”জয় বাংলা’র” বিরোধীতা করলেই কেপি টেষ্টে পাশ!!
কাঁঠাল পাতা খোর ছাগল কারা একটু চিন্তা করলেই বেরিয়ে আসে যে, যারা ‘জয় বাংলা’ বলে দুই বাংলার কোন বাংলাকে বোঝায় নাকি দু’টোকে একসাথে বোঝায় তা বুঝতে পারে না তারা, নাকি ‘জয় বাংলাদেশ’ বা ’বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে নির্দিষ্ট আমার স্বাধীন বাংলাদেশকে বুঝায় তারা?
১৪
316363
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:২৩
নিরবে লিখেছেন : ধৈর্য দেখে আশ্চর্য না হয়ে উপায় নেই। যিনি এই তথ্যগুলো খুজে বের করেছেন তাকে পুরস্কার দেয়া হোক।
১৫
316376
২২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৪৪
মৃনাল হাসান লিখেছেন : চেতনার ঠিকাদার, শুভ্রজোতি টিকাদার।
এই চেতনা জীবিরা আমার সোনার বাংলাদেশটাকে ধ্ংস করে ফেলেছে। এরাই প্রতিক্রিয়াশীল, উগ্র এবং জঙ্গী।
১৬
316439
২৩ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৩
এনাম বিন আব্দুল হাই লিখেছেন : খুবই দুঃখ লাগলো।
১৭
316480
২৩ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:২২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। অসাধারণ শিরোনাম নির্বাচন, সুন্দর শব্দচয়ন ও আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় পাঠক সমীপে খুবই হৃদয়গ্রাহী লিখাটি নিবেদন করার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর। ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। বেশী বেশী লিখার অনুরোধ রইলো।
ষ্টিকি পোষ্টে অভিনন্দন।
Rose Rose Rose Rose Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Bee Bee Bee Bee Cheer Cheer Cheer Cheer Cheer Rose Rose Rose Rose Rose Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Star Star Star Star Star Rose Rose Rose Rose Rose
১৮
316485
২৩ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৬
ববি_জি লিখেছেন : পিলাচ,চমৎকার লেখা।
কথায় আছে দুর্যন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য। ঠিক আওমীলীগ‍ারা বুয়েট ষ্টুডেন্ট হলেও স্বভাব অপরিবর্তিত।
১৯
316486
২৩ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৬
ববি_জি লিখেছেন :

২০
317103
২৭ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:৩৮
মুসা বিন মোস্তফা লিখেছেন : ভালো লিখেছেন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File