রাষ্ট্রের কাছে নারীর শ্লীলতা ককটেলের চেয়ে কম দামী

লিখেছেন লিখেছেন এশিয়ান স্প্রিং ২০ এপ্রিল, ২০১৫, ১১:৩৮:৫৯ সকাল

বর্ষবরণ নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। মুর্দা কথা কেউ বলছেনা। বলবেই বা কিভাবে? আমাদের সমাজের শিক্ষক থেকে শুরু করে মসজিদের ইমামরাও আজ অন্ন বাচাতে সত্য বা হক কথা প্রচার থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে। কর্মব্যস্ততা শেষ হলে বাড়ি গিয়ে নিজেকে একটু বিশ্রামের জন্য তৈরী করে নিই। সারাদিন শরীর থেকে ঘাম ঝরানোর কারনে শরীর থাকে আঠালো। তাই দিন শেষে অথবা পরের দিন গোসল সেরে আবার কর্মব্যস্ততায় নিজেদের সপে দিই। কখনো কি ভেবেছেন ঘাম যুক্ত শরীরকে গোসল করে পরিষ্কার ছাড়া অন্য কোন উপায় আছে কি? আমাদের রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতি, মিডিয়ার আগ্রাসন, চ্যানেল গুলোর সেক্সুয়াল এক্সপোজার নাটক/সিরিয়াল, আইটেম গান নির্ভর বাংলা/হিন্দি ছবি সমাজের সবাইকে উগ্র করেছে। রাষ্ট্র ব্যবস্থাতো ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব গড়ে তুলেছেই। সমাজে আজ দ্বীনি শিক্ষা আর ইসলাম শিক্ষা মানেই জঙ্গী জঙ্গী ভাব।

ঢাকা সহ সারাদেশে রাস্তার পাশেই মিষ্টির সারি সারি দোকান আর লোভনীয় ফাস্টফুডের দোকান গড়ে উঠেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা শিশুর মানসিকতাকে প্রতিযোগী মনোভাব দিয়েই গড়ে তুলছে। কিন্তু তারপরও কি অর্থের বিনিময় ছাড়া কি মিষ্টি/আইসক্রিম/ফাস্টফুড গ্রহণ করতে পারছেন? না পারছিনা বা করছি না। এটাই তো জবাব হবে সবার। হ্যাঁ খাদ্য পণ্য আর নারী এক জিনিস নয়। লোভনীয় খাদ্য মনকে উগ্র করে কিন্তু নারীর দৈহিক সৌন্দর্য্য মন ও শরীরকে উগ্র করে। উগ্র করলেই বা কি। আপনার বিবেক কেন দিয়েছে আল্লাহ। পশু আর মানুষের মধ্যে অন্যতম পার্থক্য হলো বিবেক। বিবেক দিয়ে বিচার করুন আর নিজেকে সংযমী করলেই হয়ে যায়। আখেরাত আছে। বিচারের দিন নির্ধারিত আছে। বিচারের মালিক আল্লাহ।

এবার আসুন শিরোনামে কেন বললাম ‘রাষ্ট্রের কাছে নারীর শ্লীলতা ককটেলের চেয়ে কম দামী’। আসুন যুক্তির জন্য ধরে নিই-

কিছু ছেলে একজন বা কয়েকজন নারীর উপর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে উপস্থিত ছিল হাজারো। প্রতক্ষ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আক্রান্ত নারীরাই। এখন ধরুন বর্ষবরণের সময় ইসলামী মুল্যবোধের কিছু ছেলে একটি ককটেল নিক্ষেপ করলো। ককটেলের আঘাতে একজন বা কয়েকজন নারী আক্রান্ত হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের সনাক্ত করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারনকৃত ভিডিও রয়েছে। যা মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটার সাথে সাথে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সুলতানা কামাল গংরা হয়ে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো পরিস্থিতি গরম করে তুলতো। বিবৃতি আর বিবৃতি। শুরু হতো গ্রেপ্তার ও বিরোধীমত দমন পিড়ন। কিন্তু কেন এগুলোর কোন কিছুই এখন হলোনা।

না হওয়ার মূল কারন রাষ্ট্র ব্যস্থায় যারা আছে সেই আওয়ামী লীগের কাছে নারীর শ্লীলতাহানির চেয়ে রাজনৈতিক খেলাই মূল। যেই ঘটনা রাজনৈতিকভাবে আওয়ামীলীগ বা শেখ হাসিনা গংদের ক্ষমতা দির্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার হবে তাদেরকেই দালাল ও অন্ধ মিডিয়া এবং নারীর স্বাধীনতার ধ্বজাধারীরাই তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করবে।

দুঃখিত আমরা সবাই। যেই বোনটির উপর আ্ক্রমণ হলো আজ তাকে সমবেদনা না দিয়ে সবাই তাকেই বিদ্রুপ করছি। ধরেই নিলাম সেই বোনটির পোশাক খারাপ ছিলো তাহলে তার জন্য রাষ্ট্র ও শিক্ষা ব্যস্থাই মূলত দোষী। চিহ্নিত সকল নরপশুদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের মাধ্যমে সমাজকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।

বিষয়: রাজনীতি

১১৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File