দিগন্ত টিভি খুলে দেয়া হোক, সংহতি সম্মেলনে দাবী
লিখেছেন লিখেছেন তানভিরুল হাসান ২৮ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:২৭:০৫ সন্ধ্যা
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি উল্লেখ করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র দাঁড় করাতে হলে নির্বাচনের বিকল্প কিছু নেই।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে দিগন্ত টেলিভিশনের ৭ম বর্ষপূর্তিতে সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে এক সংহতি সম্মিলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচারপতি রউফ বলেন,‘সাধারণ মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ,দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র দাঁড় করাতে হলে নির্বাচনের বিকল্প কিছু হতে পারে না। আবার নির্বাচন এমনভাবে হতে হবে যাতে করে সাধারণ জনগণই এই নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন,‘আপনি দয়া করে একটু স্বস্তিতে কথা বলেন। চিন্তাটাকে একটু পরিষ্কার করেন। অতীতের কথা ভুলে যাবেন না। দেশকে একটু এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।’
তত্তাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যরিষ্টার মঈনুল হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপি আওয়ামী লীগ যে দলের কথাই বলেন তারা যে যখন ক্ষমতায় আসে তারা সঠিকভাবে গণতন্ত্রের দায়িত্ব পালন করে না। সাংবাদিক বলেন, আইনজীবী বলেন সব কিছুকেই তারা দুভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমার দাবিতে যদি দিগন্ত টেলিভিশন খুলে দিত তাহলে এই দাবি ভালোভাবেই করতাম।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘দেশের সকল স্তরের মানুষকে সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এই স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট জালিম সরকারকে গণবিস্ফোণের মাধ্যমে পতন ঘটিয়ে দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান যে সরকার রয়েছে এই সরকার দিগন্ত বা দৈনিক আমার দেশ খুলে দিবে এটা ভাবা উচিৎ নয়।’
তিনি আরো বলেন,‘এই সরকারের বিরদ্ধে শুধু সভা-সেমিনার করলে চলবে না, যেমন কুকুর তেমন মুগুর লাগবে।’
জামায়াতকে রাষ্ট্রের কাছে ‘পরিষ্কারভাবে’ ক্ষমা চাওয়া আহ্বান জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, জামায়াতের পূর্বপুরুষেরা ভুল করলে তার খেসারত তো বর্তমান নেতাকর্মীরা দিতে পারে না। তাই নতুনভাবে চিন্তা করে তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
এসময় দিগন্তসহ সকল বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
‘শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করে দিয়েছেন’ দাবি করে বিশিষ্ট সমাজচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘ব্রিটিশরা ২০০ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে যতটা না পিছিয়ে দিয়ে ছিল শেখ হাসিনা এবং তার দল তার চেয়ে বেশি পিছিয়ে দিয়েছে। তাদের ক্ষমা নাই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কি হওয়া উচিৎ, বিচার ব্যবস্থা কি হওয়া উচিৎ- সকল ক্ষেত্রেই অস্পটতা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। এ রকম অন্ধকারে অনেক জাতিই পড়েছে আবার শেষ পর্যন্ত তাদেরই বিজয় হয়েছে।’
দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন বলেন,দিগন্ত টেলিভিশন বন্ধ রেখে সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারে না।
সংহতি সম্মিলনে আরো বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিএফইউজের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।
সূত্র: মন্তব্যে:
বিষয়: বিবিধ
১০৬৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/1/3/118119
মন্তব্য করতে লগইন করুন