একজোড়া কিশোর -কিশোরী ও প্রথম প্রেমের গল্প
লিখেছেন লিখেছেন ফয়সাল শেখ ০৮ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:৫৪:১৯ সকাল
১০ শ্রেনির ফাস্ট বয় সুজন। পড়াশুনা, খেলাধুলা, আড্ডাবাজি, মারামারি সব দিকেই সবার উপরে সে। ভাল ছাএ হিসেবে শিক্ষকরা সবাই তাকে আদর করে । আর ছাএরা ত তাকে ছাড়া কিছুই বুঝেনা। এক কথায় স্কুলের মুকুটহীন রাজা সে।
একদিন সুজন হটছে স্কুলের বারন্দা দিয়ে। হঠাৎ চোখ পরল একটা মেয়ের দিকে । তার দিকে ময়াবি নজরে তাকিয়ে আছে । এত সুন্দর মেয়ে জিবনেও দেখিনাই মনে মনে ভাবতে থাকে সুজন । কি করবে কিছু ভেবে না পেয়ে এক দৌড়ে যায় বন্ধু পলাশের কাছে ।
সুজনঃ দুস্ত ঐ মেয়েটা কে চিনিস .?
পলাশ ঃ হুম, ওর নাম নাদিয়া । ৮ম এ পড়ে ।
সুজন ঃ বাড়ি কই?
পলাশ ঃ আমাদের পাশের বাড়ি । কেন?
সুজন ঃ দুস্ত ওরে আমার খুব ভাল লাগছে । একটা ব্যাবস্থা করে দেনা।
পলাশঃ আচ্ছা দেখি কি করা যায় ।
এই বলে বিদায় নিল তারা.........
খেলাধুলা, পড়ালেখা আর আড্ডাবাজিতে এতই মেতে ছিল যে খেয়ালই করেনাই এত সুন্দর একটা মেয়ে তাদের স্কুলে পড়ে।সারা রাত নাদিয়া কথা ভাবতে ভাবতে ঘুম হলনা ওর।
পরের দিন সুজন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিল। এমন সময় নাদিয়া এসে বলল এই এদিকে আসেন ... নাদিয়াকে দেখে সুজনের অবস্থা পুরাই কাহিল ...
সুজন ঃ আমাকে ডাকছেন?
নাদিয়া ঃহ্যা, আপনি পলাশ ভাইরে কি বলছেন?
সুজন ঃ কই কিছু না ত...
নাদিয়া ঃ প্রেম করতে চান আর বলার সাহস নাই....
সুজন ঃ ইয়ে মানে.. মনে...
নাদিয়া ঃ এত মানে মানে করতে হবে না । কালকে আমার জন্য ১০ টা গোলাপ ফুল নিয়ে আসবেন ।
সুজন ঃ কেন? গোলাপ ফুল কেন?
নাদিয়া ঃ মুচকি হেসে বলল : বাহ.. প্রেম করবেন আর ফুল দিবেন না তাকি হয়?
সুজন ঃ তার মানে আপনি রাজি.... ইয়া হু...
নাদিয়া ঃ এই শুনেন আমাকে তুমি করে বলবেন। আপনি করে বললে চুল ছিড়ে ফেলব।
সুজন ঃ কি ডেন্জারাস মেয়ে রে বাবা( মনে মনে ভাবে সুজন)
নাদিয়া আজ অনেক খুশি। ১০ মাস হল সুজকে ফলো করে সে। ভালও বাসে অনেক। কিন্ত গাধা টা কিছুই বোঝে নি এতদিন। তাই সে সুজন কে ১০ টা গোলাপ আনতে বলেছে......
পরের দিন যথারিতি ১০ টা গোলাপ নিয়ে হাজির সুজন। শুরু হল দুই কিশোর কিশোরীর নয়া প্রেমের গল্প। কৈশরের প্রথম প্রেমে তারা আজ মত্ত। যে প্রেমের কথা মনে থাকে আজিবন..... অনন্ত কাল....
বিষয়: বিবিধ
৩১১৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন