খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতি নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতিশ্রুতি
লিখেছেন লিখেছেন REZAUL HAQUE ২৯ অক্টোবর, ২০১৬, ০৯:৫৮:৩৬ সকাল
মিসরের সিনাই পর্বতের পাদদেশে সেন্ট ক্যাথেরিন গীৰ্জায় রক্ষিত আছে নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর সই এবং সীল মোহরকৃত এক চিঠি যা প্রকৃতপক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অধিকার এবং সুযোগ সুবিধা বিষয়ক বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদের পক্ষ থেকে নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর এক অঙ্গীকারনামা (Charter of Privilege)।
৬২৮ খৃষ্টাব্দে সেন্ট ক্যাথেরিন গীর্জা থেকে একদল মিশনারি মদিনায় মসজিদে নববীতে মুহাম্মদ (সঃ) এর সাথে দেখা করতে আসেন এবং তাদের অধিকার এবং নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেন। মুহাম্মদ (সঃ) তাদেরকে এই অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন যার বাংলা অনুবাদ নিম্নরূপ।
১. ইহা মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহর পক্ষ থেকে বর্তমান এবং আগামীদিনের সমস্ত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতি মুসলমানদের এক অঙ্গীকারনামা।
২. অবশ্যই আমি , আমার কর্মচারীবৃন্দ , এবং আমার অনুসারীগণ তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে দায়ীত্বশীল ; কেননা খ্রিষ্টান সম্প্রদায় আমার নাগরিক। আল্লাহর শপথ , তাদের জন্য পীড়াদায়ক এমন কিছু থেকে তাদেরকে দূরে রাখাই আমার কর্তব্য।
৩. এবং কোনো ব্যাপারেই তাদের উপর কোনো রকম জোর জবরদস্তি করা যাবেনা।
৪. তাদের বিচারালয় থেকে তাদের কোনো বিচারককে বরখাস্ত করা যাবেনা ; এবং তাদের পাদ্রীগণও তাদের উপাসনালয় সমূহে নিজ নিজ পদে বহাল থাকবেন।
৫. কেউ তাদের উপাসনালয় সমূহ ধ্বংস অথবা কোনো প্রকার ক্ষয় ক্ষতি করতে পারবেনা এবং তাদের উপাসনালয় থেকে কোনো কিছুই তাদের ঘরে নিয়ে যেতে পারবেনা।
৬. কেউ যদি এরূপ করে সে যেন ঈশ্বরের সাথে তার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করলো এবং তার নবীকে অমান্য করলো। নিশ্চয়ই তারা আমার মিত্র এবং যা কিছু ঘৃণ্য তা থেকে তাদেরকে রক্ষা করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
৭. তাদেরকে কোনোরকম স্থানান্তর অথবা যুদ্ধে যোগদানে বাধ্য করা যাবেনা। মুসলমানদেরকে তাদের যুদ্ধ নিজেদেরকেই করতে হবে।
৮. যদি কোনো মুসলমান কোনো খ্রিষ্টান মহিলাকে বিয়ে করতে চায় তা সেই মহিলার অনুমোদন সাপেক্ষেই হতে হবে। এবং সে যদি প্রার্থনার উদ্দেশ্যে গীর্জায় যেতে চায় তাকে কোনো প্রকার বাধা দেয়া যাবেনা।
৯. তাদের উপাসনালয় সমূহের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে , এবং তাদের উপাসনালয় সমূহের মেরামতিতে এবংএবং তাদের উপাসনা জ্ঞাপনে কোনো প্রকার বাধা দেয়া যাবেনা।
১০. পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত কোনো মুসলমান আমার এই অঙ্গীকারনামা ভঙ্গ করতে পারবেনা।
শতাব্দী জুড়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমান শাসকেরা তাদের অধিকারভুক্ত দেশসমূহ এই অঙ্গীকারনামা অনুসারেই শাসন করে এসেছেন তবে ব্যক্তি বিশেষে এর কিছুটা হেরফের হতেই পারে।
রেজাউল হক
টরোন্টো , কানাডা
E-mail:
বিষয়: বিবিধ
৭২৯৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"কেউ যদি এরূপ করে সে যেন ঈশ্বরের সাথে তার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করলো..." এখানে ঈশ্বর শব্দের ব্যবহার আরবীতে আছে কি?
"১. ইহা মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহর পক্ষ থেকে..." নবী এবং শাসক হিসাবে তিনি যদি অঙ্গীকারনামা করে থাকেন, সেখানে নবী উল্লেখ না করে পিতার নামে অঙ্গীকার করবেন কেন? এটার কোন যুক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত খুঁজতে যাওয়ার প্রশ্ন নাই যতক্ষণ না এইরকম চুক্তির সত্যতা সম্পর্কে শিওর হওয়া যায়।
রেফারেন্স সুস্পষ্টভাবে পেশ করুন। নতুবা মানুষ শুধু শুধু বিভ্রান্ত হবে।
তারা কি ঈসা (আঃ)কে আল্লাহর পুত্র বলতো (নাউজুবিল্লাহ) ?
এরকম মহিলারা কি আহলে কিতাব এর অনুসারী থাকে , না তারা মুশরিক ?
৯. ইব্রাহীম (আঃ) মূর্তি ভেঙ্গেছিলেন , নবীজীও শুনেছি প্রায় শ' তিনেক মূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছিলেন ।
কেমনে কি ?
এরই কোনো একটা থেকে বাঙালী পাঠকদের জন্য আমি বাংলায় অনুবাদ করেছি মাত্র। বাংলা অনুবাদে শব্দ চয়নে
কিছু হেরফের হতেই পারে।
নিম্নলিখিত লিঙ্কটিতে গেলে আপনারা বিস্তারিত জানতে
https://www.onfaith.co/onfaith/2009/12/30/prophet-muhammads-promise-to-christians/125
In fact Majority of the Non-Muslims and Muslims as well don’t believe the authenticity of this document because of their own set of prejudiced beliefs.
The main reason Non Muslims don’t believe it - that this kind of generosity only may come from a true prophetic king (though in fact he was) which doesn’t match with the Muhammad they know and believe.
Majority of the Muslims don’t believe either – the reasons – they don’t find anything like Jizya imposed on them, Ahle Kitab are not to be taken as ‘friends’, , they are 'Mushreks etc., etc. and many more.
In 1517 AD, the original document was taken to Royal Treasury of Ottoman Empire- Istanbul for safe keeping and since then, a copy is there at St. Catherine Monastery.
The mark of the hand you see on this document is of one of the Sultans of later years ; he put his hand mark there to authenticate it.
To know more please go to the following link:
http://www.lastprophet.info/covenant-of-the-prophet...
মন্তব্য করতে লগইন করুন