মুসলমানরা কেন সৌর বর্ষপঞ্জিকার পরিবর্তে চন্দ্র বর্ষপঞ্জিকা অনুসরন করে ?
লিখেছেন লিখেছেন এনামুল ২২ জুলাই, ২০১৫, ১১:৫২:০১ সকাল
সৌরবর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে একটি নির্দিষ্ট মাস প্রতি বছরই একই ঋতু নির্দেশ করে। যেমন ভারতে মার্চ , এপ্রিল , মে প্রতি বছরই গ্রীষ্মকাল ..জুলাই, আগষ্ট , সেপ্টেম্বর বর্ষাকাল ..নভেম্বর , ডিসেম্বর , জানুয়ারী সব সময়ই শীতকাল !
চন্দ্র ববর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে একটি নির্দিষ্ট মাস প্রতি বছরই ভিন্ন ভিন্ন ঋতু নির্দেশ করতে পারে । চন্দ্র বর্ষ সৌরবর্ষ থেকে ১১ দিন কম । এজন্য প্রতি বছর চন্দ্রবর্ষে সবকিছু আগের সৌরবর্ষ থেকে ১১ দিন আগে ঘটে। এভাবে একজন মানুষ একটি নির্দিষ্ট স্থানে ৩৩ বছরের চন্দ্রবর্ষে একটি নির্দিষ্ট মাসে সবগুলো ঋতু উপভোগের সুযোগ পায়। এটি এজন্য গুরুত্বপুর্ন যে মুসলমানদের বাৎসরিক কার্যপ্রনালী চন্দ্রবর্ষের উপর নির্ভরশীল।
নির্দিষ্ট কিছু মাস যেমন রমজান বা হজ্ব মুসলমানদের কাছে অনেক গুরুত্বপুর্ন। রমজানের সময় একজন মুসলমানকে সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া এবং পান করা থেকে বিরত থাকতে হয়। যদি আরবি মাসগুলো সৌরবর্ষ অনুযায়ী নির্দিষ্ট থাকত যেখানে মাস অনুযায়ী ঋতু নির্দিষ্ট, তাহলে পৃথিবীর কোন কোন অন্চলে মানুষকে সবসময়ই গ্রীষ্মকালে রোজা করতে হত, আবার কোথাও কোথাও প্রতি বছরই শীতকালে রোজা হত !! কোন কোন মুসলমানকে অধিক সময় না খেয়ে থাকতে হত, আবার কেউবা অল্প সময় !! যদি ঋতু পরিবর্তন না হত, তাহলে কোন কোন স্থানের মুসলমান মনে করত যে তারা সারাজীবন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে !!
কিন্তু চন্দ্রবর্ষ অনুসরন করার ফলে প্রতিটি মুসলমান তার ৩৩ বছরের জীবনে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে, ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে রোজা করার সুযোগ পায় !!!!
(অনুবাদকৃত)
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৫ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাল লাগল........
A quarter of Finland's territory lies north of the Arctic Circle and at the country's northernmost point the sun does not set at all for 60 days during summer. In Svalbard, Norway, the northernmost inhabited region of Europe, there is no sunset from approximately 19 April to 23 August.
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন