মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেচো খুড়তে গিয়ে অযথা সাপ বের না করা ভালো-মাহবুব সুয়েদ
লিখেছেন লিখেছেন সমশেরনামা ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৭:২০:২০ সন্ধ্যা
এক-গতকাল ছিল আমাদের 'শহিদ বুদ্বিজীবি দিবস'।দ্বীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতার সুর্য যখন পুব আকাশে উকিঝুকি দিচ্ছিল ঠি-ক সেই মুহুর্তে আগের রাতে বাঙ্গালীদের মেধাশুন্য করার মানসে পশ্চিম পাকিস্তানের গাদ্দার বেঈমানগুলো এদেশে তাদের দোসরদের সাথে নিয়ে জাতীর শ্রেষ্টতম সুর্য সন্তানদের হত্যা করে।রায়ের বাজার বধ্যভুমি বা ঢাকার অন্যান্য কিছু এলাকায় জাতীর এ বিবেক গুলোকে নির্বিচারে নিহত করে দেয়।অভিশাপ মুসলিম নামধারী এ গাদ্দারদের প্রতি।যারা ধর্মের নামে রাষ্ট্র বানিয়ে অধার্মিক সব কাজ করত।যারা বৃহত জনরায়ের প্রতি নুন্যতম সম্মান ও দেখায়নি।উল্টো তাদের নিস্পেষনের মাধ্যমে শেষ করে দিতে চেয়েছিল।গাদ্দারগুলো তাদের চরম অপমান দেখেছিল সেদিন এবং আজ অবদি এরা নিজেদের ভুমিতে অভিশপ্তাবস্থায় আছে।পুর্বাংশের মানুষের হৃদয়ের সব অভিশাপ এরা পোহাচ্ছে।বুদ্বিজীবি হত্যার মত কুচিন্তা যাদের মাথা থেকে আসতে পারে এরা কোনক্রমে ভালো হতে পারেনা এরা অভিশপ্ত এবং গাদ্দার।
দুই-শহিদ বুদ্বিজীবি দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কথার যাদুকর তিনি।শ্রোতাদের হাসাতে ও পারেন আবার কাদাতে ও পারেন মুহুর্তে।তার মরহুম পিতার মত তুখোড় আর তেজস্বী বক্তা এ উপমহাদেশে দ্বিতীয় কেউ ছিল বলে জানা নেই।সেই বক্তার মেয়ে হিসেবে কথায় যাদু থাকবে তা খুবি স্বাভাবিক।অতি সাবলিলভাবে তিনি অনেক সাধারন জিনিষের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।ইতিহাসের কঠিন দিকগুলোকে তিনি নিজের মত করে আবেগ-উচ্ছাস দিয়ে বিবৃত করার মত অসাধারন গুনের অধীকারি মহিলা এটা সকলে জানে।গতকালের আলোচনা সভায় তার বক্তব্যের একটা পয়েন্ট আমায় ভাবিয়ে তুলেছে।আমি ব্যাক্তিগতভাবে ডানপন্থী এবং আস্তিক।সাথে গর্বের সাথে এটা ও বলতে পারি আমি মহান মুক্তিযোদ্বের একজন একনিষ্ট সমর্থক এবং এই জন্মযুদ্বে নিহতদের আমি জাতীর শ্রেষ্টতম সন্তান মনে করি।যাক,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই বুদ্বিজীবিদের স্মরনে ঢাকায় এক আলোচনা সভায় ৭৫পরবর্তি বাংলাদেশের রাজনীতির দিকে ইঙ্গিত করে বেশ কিছু কড়া ডোজের কথা বলেছেন।তিনি শহিদ জিয়া কতৃক শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর তীব্র সমালোচনা করেছেন।তার ভাষায় যেই শাহ আজিজ ৭১ এ জাতি সংঘে গিয়ে স্বাধীনতার বিরুধীতা করেছে তাকে কেন এবং কিভাবে জিয়ার মত একজন বীর যোদ্বা প্রধানমন্ত্রীত্ব দিলেন।জিয়া পত্নি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কতৃক জামায়াত নেতাদের গাড়িতে লাল সবুজের পতাকা পরানোর ও সমালোচনা তিনি করেন এবং পতাকা অবমাননার কথা বলে এর বিচার করার ঘোষনা ও তিনি দিয়েছেন।
তিন-বিচারের কথা বলছেন ভালো কথা।অনেক আবাল মার্কা নব্য লীগার আর মুক্তিযোদ্বা প্রেমীরা হয়ত তাতে লাফালাফি একটু করবে বেশি করে।কিন্তু আমি যদি বলি আপনি নিজে আর আপনার মরহুম পিতা মহান স্বাধীনতা যুদ্বের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও একি অভিযোগে অভিযুক্ত তখন কি খুব অন্যায় অত্যক্তি হবে?স্বাধীনতার এত বছর পর যদিও আপনি আজ নতুন সুরে কথা বলছেন আপনার রাজনৈতিক টার্গেটকে সামনে রেখে কিন্তু আপনার মরহুম পিতার উদার রাজনৈতিক মনোভাবকে আপনি খোদ প্রশ্নবিদ্ব করে দিচ্ছেন।আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশ স্বাধীনের অল্পদিন পরে ই ৭১ গন হত্যার মুল কারিগর ঘাতক রাজ জুলফিকার আলী ভুট্রোকে ঢাকায় এনে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছিলেন।নয় মাসে রক্তক্ষয়ি সংগ্রামের ফলে ঝরা শহীদানদের রক্তের দাগ শুকায়নি তখন ও সেই সময়ে ঘাতক প্রধান যখন ঢাকার মাঠিতে লাল গালিচা সংবর্ধনা নিয়েছিল তখন শহীদদের আত্মা আর্তচিতকার দিয়েছিল।লাখো মা-বোনের নির্যাতনের ক্ষত শুকায়নি তখনো আর ভুট্রো আপনাদের ধানমন্ডির লনে বসে গরম কফির মগে চুমুক দিয়ে বলছিল 'মুজিব,তুম ছাচমুচ ম্যারা দোস্ত হ্যায় ইয়ার'।সেই থেকে ই ৭১র চেতনার বারোটা বাজানো শুরু।দোষ শুধু জিয়াউর রহমানের?খান এ সবুর খানকে জেল থেকে বের করে দিয়ে বাসায় এনে ভাত কে খাইয়েছিল?জাসদের মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার হন্তক কে?জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছিলেন বানিয়েছে এরশাদ ও।তাকে নিয়ে তো কথা বলেননা।আপনার প্রথম মন্ত্রী সভার ধর্ম মন্ত্রী জামালপুরের কুখ্যাত মাওলানা নুরু রাজাকারকে কি পতাকা ছাড়া মন্ত্রী করেছিলেন?বর্তমানে আপনার বেয়াই মোশাররাফ বা গত টার্মে মহিউদ্দীন খান আলমগীরদের কথা কি ভুলে গেলেন?
বিচার করতে চান করুন কিন্তু মানুষ এত বোকা না এই যুগে।সব ই যে রাজনীতির তেলেসমাতি আর সব ই যে রাজনীতির অন্ধর মহলের ঘৃন্য খেলা তা আর না বুঝার মত বোধাই পাবলিক না। এরা সব বুঝে সব মানে।স্বাধীন বাংলায় এরা বিশ্বাসী।পিন্ডী থেকে নিয়ে আসা স্বাধীনতা এরা আর দিল্লীতে দেবার মত বোকা নয়।
বিষয়: রাজনীতি
১১০৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন