গাফফার টু গাদ্দার বনাম লাঙ্গল টু লন্ডন-মাহবুব সুয়েদ
লিখেছেন লিখেছেন সমশেরনামা ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:২৩:৫৬ রাত
##গাফফার টু গাদ্দার বনাম লাঙ্গল টু লন্ডন-মাহবুব সুয়েদ
সময়টা ২০১০র শুরুর দিকে।আমি তখন লন্ডনের ক্রিস্টাল পেলেসে একটি ওয়াশিং ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলাম।একরাতে হটাত করে পুর্ব লন্ডনের মাইক্রো বিজনেসে সেন্টারে 'সামাদ আজাদ স্মৃতি কমিঠির' আলোচনা সভায় গেলাম এক বন্ধুর সাথে।সেখানে দেখা পেলাম 'অমর একুশে গানের' রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরীর।স্বাভাবিক ভাবে তাকে দেখে অনেক আপ্লুত হয়ে পড়লাম।জন্মের পর থেকে তার রচিত 'অমর একুশে' গান শুনে আসছি।আর ইতিহাসের সেই কাল পুরুষকে(তখনকার অনুভুতি) কাছাকাছি পেয়ে তার সাথে ছবি তুলার লোভ সামলাতে পারলামনা।বেশ কয়টি ছবি তুলে নিলাম তার সাথে আর নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হতে লাগল।পরদিন সকালে কর্মস্থলে গেলাম আর সহকর্মীদের সাথে গতকালে আমার গাফফার সাহেবের সাথে দেখা এবং ফটো তুলার গল্প বললাম।বয়স্ক একজন যাকে আমি নানা ডাকতাম তিনি আমার ফটো তুলার কাহিনী শুনলেন আর হাসতে লাগলেন।অট্রহাসি যাকে বলে এবং নানা ব্যাঙ্গাত্মক কথাও বলতে লাগলেন।মনে মনে তখন নিজেকে অপমানিত মনে হচ্ছিল এবং এক পর্যায়ে একটু বড় গলায় ই তাকে বলে বসলাম আপনি হাসছেন কেন? আপনি কি জনাব গাফফারের ব্যক্তিত্বের ওজন সম্বন্ধে কোন ধারনা রাখেন? নানা আমার শুধু হাসতেছেন।অতপর তিনি যা বললেন তার সারকথা হল এ গাফফার চৌধুরির নামের সাথে মিলিয়ে লন্ডনের বাঙ্গালী কমিউনিটির প্রবিনেরা এবং আওয়ামীলিগের প্রবীন কর্মীরা যারা বঙ্গবন্ধুর সময় আওয়ামীলিগ করত আর একটু সচেতন ছিল রাজনৈতিকভাবে তারা তাকে 'গাদ্দার চৌধুরী' নামে ডাকতেন বা ডাকেন।আমি রাগে ক্ষোভে তাকে ব্যাঙ্গ করে বললাম নিজে করেন ওয়য়াশিং ফ্যক্টরিতে কাজ তাই বুজি একজন গুনি লোকের ওপর এমন অপবাদ দিচ্ছেন।সেদিনকার সেই সময় আমার কাছে জনাব গাফফারের ব্যাক্তিত্বের প্রভাব ছিল অনেক।কিন্তু আজ মাত্র কয় বছর পর এসে বুজতে পারছি গাফফারকে কেন গাদ্দার বলে ডাকেন বিলেতের বাঙ্গালী কমিউনিটির লোকেরা আর তাকে কেন ই বা সেখানে একটা কুত্তাসম মর্যাদা(বিলেতি কুত্তার আলাদা মর্যাসা) দেয়া হয়না।গাফফারের নামের সাথে গাদ্দার লাগানোর স্বার্থকতা বিশাল।
১-গাফফার তার সাংবাদিক জীবন শুরু করেছিলেন প্রবিন সাংবাদিক মরহুম সিরাজুর রহমান আর শফিক রেহমানের হাত ধরে।তিনি বেশ কিছুদিন যেতে না যেতে ই এই দুই বরেন্য সাংবাদিকের সাথে পল্টি দেন।
২-বঙ্গবন্ধু তাকে আদর করে 'বিপদ' নামে ডাকতেন।মুখে বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু বলে ফেনা তুললেও স্বাধীনতার পর তার বিরুধীতাকারিদের সাথে গোপন লিয়াজু রক্ষা করে চলতেন।গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে পেলে এ নিয়ে মরহুম শেখ সাহেবের সাথে তার সম্পর্ক ঢিলে হতে শুতু করলে এবং রক্ষী বাহিনীর ভয়ে তিনি তার এক লেখায় বঙ্গবন্ধুকে গালাগালি করে অর্থ্যাত গাদ্দারি করে তার ই জীবিদ্বশায় লন্ডনে চলে আসেন।আর দেশে ফিরে যাননি গাফফার।
৩-লন্ডনে তিনি সাপ্তাহিক নতুন দিন নামক পত্রিকার সাথে কাজ শুরু করেন।এ পত্রিকাটি মুলত এরশাদ বিরুধী আন্দোলনেত অংশ হিসেবে বিলেতে কাজ করবে মর্মে শুরু করলেও গাফফার গোপনে এরশাদের সাথে লিয়াজো রক্ষা শুরু করে দেন।ঢাকায় গোপনে তিনি আওয়ামীলিগপন্থি সাংবাদিকদের ভাঙ্গন ধরিয়র এরশাদপন্থি সাংবাদিক মহল গড়ার মিশনে হাত দেন।অবশ্য এখানে তিনি ব্যার্থ হন।পরবর্তিতে অনেক দেন দরবারের পর নতুন দিন কতৃপক্ষ তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
৪-গাফফার গাদ্দারীর হাজারো ইতিহাসের জন্মদাতা।বিলেতে আওয়ামীলিগের ও একাংশ তাকে দু-চোখে দেখতে পারেনা।তার কারন গাফফার সেখানে আরেকাংশের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে যুবনেতাদের অংশটিকে সাইজ করে দেন।
৫- লন্ডনে সারা জীবন 'সিলেটীদের' নেমক খাওয়া গাফফার মুলত প্রচন্ড সিলেট বিদ্বেষী একজন গন্ডার টাইপ বৃদ্ব।লাজ লজ্বাহীন কুকুরের মত তার স্বাভাব।নিজেকে আলোচনায় রাখার হীন মন নিয়ে সে প্রায় ই ধর্ম বাঙ্গালীত্ব রাজনীতি নিয়ে নানা কু কথা বলে। এবার সে সিলেটীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছে।তার কথার জবাব দেয়ার মত রুচীও আমার কাছে নেই। শুধু বলা যায়, কুকুর করেছে কুকুরের কাজ মানুষের কি তা শুভা পায়??
বিষয়: বিবিধ
১১৩৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন