আফসোসনামা-
লিখেছেন লিখেছেন সমশেরনামা ১০ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৩২:৪৩ সকাল
২০০৭সালে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ি আব্দুল আউয়াল মিণ্টুর ততকালীন আওয়ামীলিগ সাধারন সম্পাদক মরহুম জলিলের সাথে একটি যৌথ রিমান্ডের ভিডিও নিশ্চয় সকলে দেখেছেন।সেখানে মিণ্টু বিস্তারিতই বলেছেন কিভাবে বিএনপি সরকারকে ৩০এপ্রিলের ট্রামকার্ড ব্যবহারের প্লান নেয়া হয়েছিল এবং তাতে উনার ভুমিকা কি তাও উনি বলেছেন।সেই মিণ্টু ই ২০০৯ সালে বিএনপির উপদেষ্টা হয়ে যান কোন এক যাদুর টানে।শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন হিসেবে সারা জীবন ধরে পরিচিত এই মিণ্টু এবার সিটি নির্বাচনে আরেক খেলা দেখালেন।তার অপরিচিত পুত্র যার নামও জীবনে শুনিনি তাকে আজ বিশদলের মেয়র প্রার্থি করাচ্ছেন।বিগত এতগুলা বছর ধরে নেতাকর্মীদের এত নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করার ফল আজ তারা পাচ্ছে।জানিনা বিএনপি কে চালাচ্ছে তবে বুঝা যাচ্ছে যে,এই দলের পরিনতী মুসলিম লীগ হতে বেশি বাকি নেই।মিণ্টুর ছেলেকে না দিয়ে ব্যবসায়ি আনিসুলকে ই বিএনপি সমর্থন দিলে কি হত?হাসিনার উপদেষ্টা গওহরের জামাই মিণ্টুর ছেলেকে না দিয়ে আনিসকে দিলে কিছু ক্ষতি ছিলনা।মাহি কে দিলেতো অন্তত একজন এণ্ট্রি লীগার ই আসত।চিটাগংয়ের মঞ্জু আর উত্তরে তাবিথ দুইটা ই তো অন্তরে আওয়ামীলিগ।আসলে ই শেখ হাসিনার কাছ থেকে রাজনীতির শেখার অনেক কিছু আছে।বলা যায়,একই তিনি আওয়ামীলিগ,বিএনপি আর জাতীয় পার্টিকে নিয়ন্ত্রন করছে।আর একটু বেয়াদাব জামাতকে বাগে আনতে না পারায় নেতাদের ফাসিতে ঝুলাচ্ছেন তাও আইনি প্রক্রীয়ায়।স্যালুট নেত্রী!!
বিষয়: বিবিধ
৮৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন