ধর্ষণ ইন বাংলাদেশ-কে পৃষ্টপোষক?
লিখেছেন লিখেছেন সেলিম উদ্দিন৭২১ ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:২৮:৩৬ রাত
ধর্ষণ বাংলাদেশে আশংকাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কিংবা সরকার কারো যেন গাত্রদাহ নেই বিব্দুমাত্র।বাংলাদেশ যেন নিউইয়র্ক সিটি । ধর্ষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ধর্ষকদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। ওরা ধর্ষক,ওরা নরাধম,ওরা নরকের কীট, ওরা ঘৃণিত,ওরা বেজন্মা,ওরা অপরাধী,ওরা সমাজের শত্রু, ওরা মা-বাবার কলঙ্ক এটাই ওদের পরিচয়। এর বাইরে যদি ধর্ষকের কোন পরিচয় থাকে তাহলে যার পরিচয়ে পরিচিত, যার আশ্রয়ে লালিত, যার অর্থে প্রতিপালিত, যার প্রশ্রয়ে বর্ধিত সে ও ধর্ষকের মতো সমান অপরাধী।
অতি সম্প্রতি সারা দেশে যে পরিমাণ ধর্ষনের সংবাদ দৈনিক পত্রিকাগুলোতে এসেছে তার প্রতি কেন জানি আমরা যারা শিক্ষিত বলে দাবী করি তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আমরা নির্বিকার। স্বঘোষিত ভাল নাপিতেরা(সুশীলরা) নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত।এসব নাপিতেরা আপাদমস্তক ভন্ড,তস্কর, পদলেহী,চরিত্রহীন এবং জন্মান্ধ।মুনতাসির মামুন, শাহরিয়ার কবির, আনোয়ার হোসেনের মতো স্বঘোষিত সুশীলদের জিহবায় কি ক্যান্সার হলো?
প্রশাসনের নাকের ডগার উপর ধর্ষকেরা ঘুরে বেড়ায় অথচ পুলিশ তাদের খুঁজে পায়না? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষনের সেঞ্চুরী করা সোনার ছেলে মানিক বহাল তবিয়তে ।এর দায় ভার কার? বুঝলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেডরুম পাহারা দিতে পারবেন না। কিন্তু দেশের রাস্তাঘাটে চলাচলের নিশ্চয়তা দিতে ও যদি না পারবেন তাহলে তার কি প্রধানমন্ত্রীর পদ আকঁড়ে ধরে থেকে সারা দেশকে ধর্ষনের অবাধ ক্ষেত্র করার অধিকার আছে?
সব কিছুতে জঙ্গীবাদ খোঁজার এক কমন রোগ আমাদের প্রশাসনের মস্তিস্কে ঢুকে পড়েছে। ধর্ষনের পেছেনে জঙ্গিবাদ জড়িত আছে একথা পোক্ত করার জন্য ইনু সাহেব আর ডঃ হাছান সাহেবকে ঠিকাদারী দিলে তো ল্যাটা চুকে যায়। রানা প্লাজার পিলার ধরে ঝাঁকুনী দেবার মতো ডারউইনীয় তত্ত্ব দিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর সহজ পন্থা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়রা অবলীলায় প্রচার করে হয়তো মনে মনে আহলাদ অনুভব করেন। কিন্তু ইবনে খালদুনের "প্রকৃতি ত্তত্ব" যারা জানেন তারা অপেক্ষায় আছেন প্রকৃতির প্রতিশোধ নেবার প্রহর গুনে।
ধর্ষনের এ বিভত্সতার শিকার নারীদের ,তাদের পরিবারের আর্তনাদ বৃথা যেতে পারেনা। আজ যারা এ বলে স্বস্তি ফেলছেন যে ধর্ষিতা আপনজন কেউ নয় অতএব এ বিষয়ে আমার গাত্রদাহ নেই। ভুলে যাবেননা ব্যঘ্র যখন একবার রক্তের স্বাদ পায় সে এ ছাড়া আর অন্য কিছুতে তৃপ্তি পায়না। ধর্ষনের এ মাত্রা বাড়তে বাড়তে একদিন এমন হবে যে ধর্ষনের জন্য নিয়ামক খুঁজে না পেলে ধর্ষকেরা আশ্রয়দতার গৃহে প্রবেশ করবে।এরচেয়েও মারাত্বক হচ্ছে যে হয়তো একদিন রুচি পরিবর্তনের কথা বলে আপনাকেও ধর্ষিত হতে হবে আপনার লালিত ধর্ষকের হাতে।
প্রশাসন না পারলে জনগন পারবে। ধর্ষন হতে জাতি মুক্তি চায়। এদের পৃষ্টপোষকদের হাত থেকে এ জাতি মুক্তি চায়। অতীতে এ জাতি পেরেছিল। ভবিষ্যতেও পারবে।দেশের ক্রান্তিলগ্নে এ জাতি প্রমাণ করেছে তারা পারে। অনতিবিলম্বে সমস্ত ধর্ষনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে আর কেউ এ ধরনের জগন্য কাজ করার ধৃষ্টতা দেখাতে না পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৪১০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
টোটাল নৈতিক অবক্ষয় এর একটি অংশই ধর্ষন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন