সাহিত্য চর্চা বিষয়ক প্রাসঙ্গিকতা -০১
লিখেছেন লিখেছেন সেলিম উদ্দিন৭২১ ২১ জুলাই, ২০১৫, ১২:২৫:৩৬ রাত
সাহিত্য বোদ্ধারা সাহিত্যকে জীবনের প্রতিচ্ছবি বলে আখ্যায়িত করেছেন।এ বিষয়ে দ্বিমত পোষন করার কোন অবকাশ নেই। জীবনের যেমন নানা উত্থান-পতন,সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি রয়েছে তেমনি সাহিত্যের ও নানা দিক রয়েছে।জীবনের নানা রঙের মতো সাহিত্যে ও নানা শাখা আছে। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি। যাঁরা সাহিত্য চর্চা করেন, তাঁরা নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী তাঁদের চর্চা অব্যাহত রাখেন। একজন সাহিত্যিক সাহিত্যের সবগুলো ক্ষেত্রে সাধারনত বিচরন করেননা। আবার অনেকের বেলায় এ কথা খাটেনা। স্বীকৃত ও প্রতিষ্টিত সাহিত্যিকদের বিচরন ক্ষেত্রের প্রতি আলোকপাত করলে তা সহজে অনুধাবন করা যায়। যাঁরা সর্বক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন, তাঁরা আমাদের কাছে নমস্য এবং অনুকরনীয়।
বাঙলা সাহিত্যে রবীন্দ্র নজরুলের পর এমন ধারা খুব কম পরিলক্ষিত হয়। ইদানিংকালে যাঁরা সাহিত্য চর্চা করেন, তাঁদের মাঝে সব্যসাচীত্য তেমন একটা নেই।তাছাড়া সাহিত্য চর্চার ধরন ধারনে ও কেমন জানি ভিন্নতা এসেছে। সাহিত্য যেহেতু জীবানাশ্রয়ী, সে কারনে এ পরিবর্তন হতে পারে। নগরকেন্দ্রিক সাহিত্য চর্চার প্রাধান্যতা এখন বেশি। সাথে যোগ হচ্ছে যান্ত্রিকতা।
বিশ্বায়নের সাথে সাথে মানুষ যেমন বিশ্বসাহিত্যকে সহজে হাতের মুঠোয় পাচ্ছে, তেমনি বিশ্বসাহিত্যের নানা উপকরন স্থানীয় সাহিত্যে স্থান পাচ্ছে। এটাকে সাহিত্যের বিশ্বায়ন বলা যাবে কিনা এ নিয়ে তর্ক করা গেলেও এর প্রভাব এড়ানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। সঙ্গতকারনে প্রসূত সাহিত্যের মেজাজেও ভিন্নতা পাওয়া যায়।
এখন যারা সাহিত্য চর্চা করেন, তাঁদের মধ্যে অল্প সময়ে খ্যাতি পাবার দিকে বেশি ঝোঁক রয়েছে। আর্থিক সচ্ছলতা এ ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।নজরুলের মত ঐশ্বরিক প্রতিভার অধিকারীকে ও আর্থিক অসচ্ছলতার মতো পরিস্থতি মোকাবেলা করতে আমরা দেখি। বর্তমানে নিজের ঢোল নিজে পেটাও তত্ব বেশি কাজ করে বিধায় সাম্প্রতিক সময়ে জন্ম নেয়া সাহিত্য সন্দেশ কতটুকু পাঠকের স্বাদ মেটাতে পারে তা নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই। সাহিত্য সমালোচকরা ও যেন পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়েছেন। আগে এ অভিযোগ ছিলনা এমন নয়। তবে বর্তমানের তুলনায় তা স্রেফ ধোয়া তুলসীপাতা ছিল বললে উত্যুক্তি হবেনা।
ভাল সাহিত্যের জন্ম নিচ্ছেনা এমনটি ভাবলেও ভুল হবে। তবে তা নগন্য। বেশির ভাগই অপসাহিত্য। সাহিত্য চর্চার জন্য ভাল সাহিত্যের পাঠক হওয়ার কোন বিকল্প নেই এ সত্যটা হালের অনেক সাহিত্যপ্রেমী কিংবা সাহিত্য চর্চাকারীরা জানেননা কিংবা মানতে চান না। দু'পাতা পড়ে চার পাতা লেখার জন্য উঠে পড়ে লেগে যান।ফলে সে লেখা কতটুকু সাহিত্যের মানদন্ড বজায় রাখতে, পারে তা বোদ্ধা পাঠক মাত্রই অনুধাবন করতে সক্ষম।
আগেই বলেছ, প্রিন্ট মিডিয়ার প্রসার এবং অর্থের প্রাচুর্যতা অনেক নিম্ন মানের সাহিত্যের জন্ম দিচ্ছে। তার উপর আছে দলীয় ব্যানার। এমন দলীয় ব্যানার যাদের গায়ে এঁটে আছে,তারা খুব সহজে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে যান যদিওবা তাদের প্রসবিত সাহিত্য কালোত্তীর্ণ হতে পারেনা শেষ পর্যন্ত। (চলবে-------)
বিষয়: বিবিধ
১২৫৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শব্দটা আপনার লেখার জন্য বেমানান সেলিম ভাই। ধন্যবাদ।
আপনাকে বুঝতে হবে নজরুল একজন রুটির দোকানের কর্মচারী ছিলেন। ওনি সাহিত্যে যা রেখে গেছেন তা আমরা অনুকরণ করি.... ওনার লেখার দারে কাছেও যেতে পারিনা।
ঐশ্বরিক এর বদলে আল্লাহ প্রদত্ব লিখলে ভালো হয়!
মন্তব্য করতে লগইন করুন