প্রতিক্ষায় রইলাম দুনিয়াতেই ওদের করুণ পরিনতির জন্য
লিখেছেন লিখেছেন ফুটন্ত গোলাপ ২২ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:০৮:০৬ রাত
প্রত্যেক মানুষই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করবে এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু তারপরও মৃতুকে এড়িয়ে চলার আপ্রাণ চেষ্টা করে কেউ কেউ । তাই তো একটি মানুষকে বা মতবাদকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য তারা মৃত্যু নামক এই ঘৃণ্য পথটিই বেছে নেয় ।
আর তারই অংশ হিসেবে কিছুক্ষণ আগে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করে এ পৃথিবী থেকে চির বিদায় জানানো হল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের একজন আলোচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং রাজনৈতিক অঙ্গনের আরেক আলোচি্ত, সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে ।
কিন্তু এমন প্রহসন আর কত ! এভাবে আর কত মিথ্যাচার, অন্যায় ও জুলুম সহ্য করতে হবে ? আর কত সন্তানকে এভাবে নিজের চোখের সামনে তার বাবাকে হত্যা নির্মম দৃশ্য অবলোকন করতে হবে ? আর কত স্ত্রীকে চোখের জলে এভাবে তার স্বামীকে চির বিদায় জানাতে হবে ? আর লাখো কোটি মানুষকে নিরবে অশ্রুপাত করতে হবে তাদের প্রিয় নেতার জন্য ?
শুনেছি রাত যত গভীর হয় ভোর হওয়ার সময় নাকি তত ঘণিয়ে আসে । কিন্তু রাতের গভীরতা তো আর শেষ হয় না । ভোর হতে আরও কত দেরী ? হে মাবুদ ! তুমি আমাদের আর কত পরীক্ষায় ফেলবে ? তোমার মদদ ছাড়া আমাদের আর কি বা আছে ? তোমার কাছেই সব অন্যায়ের বিচারের ভার অর্পণ করলাম । আর প্রতিক্ষায় রইলাম দুনিয়াতেই ওদের করুণ পরিনতির জন্য যেমন পরিনতি হয়েছিল ফিরাউন, নমরুদ, কারুন, সাদ্দাদ আর আবু জেহেলদের ।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩০ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাদের এখন যেমন লাগতেছে ঐ সময়ে ঐসব নিরীহ মানুষদের ও তাদের আপনজনদের কেমন লেগেছিল সাকাদের তান্ডবে সেটা নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পারতেছেন ?
তখন আপনাদের ৭১ সালের নিরীহ মানুষদের প্রতি দরদ কোথায় ছিল যখন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সেই ১৯৫ জন পাকিস্তানী আর্মিকে মুক্তি দিয়েছিলেন ? ১৯৭৩ সালের ৩০ নভেম্বর শেখ মুজিব সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করার সময় আজকের এই চেতনাদোয় না হওয়ার কারনটাই বা কি ?
যেমন তেমন করে কিছু শোনা সাক্ষী তৈরী করলেই ফেয়ার ট্টায়াল হয় না ভাই । আশা করি বিষয়গুলো নিয়ে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন ।
-সকলের মনের আকুতি অতি সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন