জামাতে ইসলামীর কর্মধারা

লিখেছেন লিখেছেন Sayed The Great ১৮ মার্চ, ২০১৫, ০১:০২:১৫ দুপুর

আসুন জামাতে ইসলামীর

কর্মধারাগুলো জেনে নেই:-

১। দাওয়াত ও তাবলীগ-ইসলাম প্রচার ও

আল্লাহর দিকে আহবান :

(ক) কোরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে

মানুষের চিন্তার বিশুদ্ধিকরণ ও সঠিক

ইসলামী চিন্তাধরা গড়ে তুলবার

ব্যাপক আন্দোলন চালানো।

(খ) আধুনিক গবেষণা ও জ্ঞান-

বিজ্ঞানের ফসলকে ইসলামের কষ্টি

পাথরে যাচাই করে গ্রহণ ও বর্জনের

নীতি চালু করা। অন্ধভাবে সবই গ্রহণ

বা সবই ঘৃণাভরে বর্জন না করে জ্ঞান,

যুক্তি ও কল্যাণের দৃষ্টিতে বিচার

করে গ্রহণ বা বর্জন করা।

(গ) বর্তমান যুগের যাবতীয় সমস্যার

ইসলামী সমাধান পেশ করে প্রচলিত

অন্যান্য মতবাদের ভুল ধরিয়ে দেয়া।

এ তিন ধরনের কাজের মাধ্যমে

মানুষকে ইসলামের জ্ঞান-বিতরণ ও

সে জ্ঞান ভিত্তিক আন্দোলনে

সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের দাওয়াতই

জামায়াত দিয়ে থাকে।

২। তানযীম ও তারবীয়াত-সংগঠন ও

প্রশিক্ষণ :

(ক) ইসলামের প্রতি আগ্রহশীল, সমাজ

সচেতন, সৎলোকের সন্ধান ও সংগঠন।

(খ) বাস্তবমূখী কার্যক্রমের মারফতে

তাদেরকে আল্লাহর খাঁটি গোলাম ও

দ্বীনের যোগ্য খাদেম বানাবার জন্য

উপযোগী তারবিয়াত বা ট্রেনিং

দান।

(গ) চরিত্রবান কর্মী বাহিনী তৈরী

করে সমাজকে সৎ নেতৃত্ব দানের

ব্যবস্থা করা।

৩। ইসলাহে মো‘য়াশারা- সমাজ

সংস্কার :

(ক) সমাজ গঠন ও সমাজ সেবায় সকল রকম

কাজের মাধ্যমে দেশকে এবং

দেশবাসীকে উন্নত করার চেষ্টা।

(খ) সকল পেশা, শ্রেণী ও স্তরের

লোকদেরকে গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে

সমাজ সচেতন করা ও ব্যক্তি কেন্দ্রিক

মনোভাব পরিত্যাগ করতে উদ্বুদ্ধ করা।

(গ) জনগণকে সমাজ বিরোধী

কার্যকলাপ প্রতিরোধ

নিয়মতহান্ত্রিকভাবে নিয়োজিত

করা।

৪। ইসলাহে হুকুমাত- সরকার ও শাসন

ব্যবস্থার সংস্কার :

(ক) অভন্তরীন শাসন শৃংখলা, বৈদেশিক

নীতি, আইন-কানুন, জাগণের নৈতিক-

পার্তিব উন্নতি, শিক্ষা ব্যবস্থা,

উন্নয়নমূলক কাজ ও দেশের সঠিক উন্নতি

সম্পর্কে ইসলামের আলোকে

সরকারকে উপযুক্ত পরামর্শ দান করা।

(খ) খোদাদ্রোহী, ধর্ম নিরপেক্ষ,

অসচ্চরিত্র নেতৃত্বের অপসারণ ব্যতীত

সমাজের পূর্ণরূপ সংশোধন অসম্ভব। তাই

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আরম্ভ করে সকল

সরকারী দায়িত্ব থেকে এ ধরনের

ব্যক্তিদেরকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে

অপসারণের উদ্দেশ্যে নির্বাচনের

মাধ্যমে সৎ নেতৃত্ব কায়েম করা।

(গ) যুক্তি ভিত্তিক রাজনীতির প্রচলন,

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শক্তি প্রয়োগ ও

অস্ত্রের ব্যবহার রোধ এবং

গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে

একনায়কত্বের অবসান ঘটাবার জন্য

নিয়মান্ত্রিক উপায়ে গণ আন্দোলন

করা।

(ঘ) রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদেরকে

ইসলামী আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা এবং সকল

স্তরের নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য

লোককে বিজয়ী করার চেষ্টা করা।

যেখানে জামায়াতে ইসলামীর

তৈরী লোককে অন্যদের চেয়ে

অধিকতর যোগ্য মনে করা হবে সেখান

তাকেই নির্বাচিত হবার সুযোগ দান

করা।

বিষয়: রাজনীতি

৯১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File