বাঁশেরকেল্লা জুজু এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি

লিখেছেন লিখেছেন কমল ভৌমিক ১৬ মার্চ, ২০১৫, ০৯:৩৮:৪৮ রাত

হাতি-ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল। গত শুক্রুবার দেশেল প্রায় সব ক’টি গণমাধ্যমে বেশ ফলাও করে ফেসবুকে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক বাঁশেরকেল্লা পেইজের প্রধান সম্পাদকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বিস্তারিত খবরে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ফেসবুক ফ্যান পেইজ বাঁশেরকেল্লার এডমিনকে গ্রেপ্তারের করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতের নাম এ কে এম জিয়াউদ্দীন ফাহাদ (৩০)। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ ও দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তাকে আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।

আমরা এর আগেও একাধিকবার এরকম খবর শুনেছি। র‌্যাব-পুলিশ বেশ বড় গলায় বোমা ফাটিয়ে গেছেন, ক্যামেরার সামনে। বেশ উৎফুল্লতার সাথে তাদের ঘোষণা করতে শুনেছি, ‘অমুক স্থান থেকে ল্যাপটপ-মোবাইলসহ এক বা একাধিক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে ফেসবুকের বাঁশেরকেল্লাহ পেইজে এডমিন।” কিন্তু এরপর আর কোন খবর থাকে না।

কয়েক মাস আগে মুন্সিগঞ্জ থেকে এক যুবককে আট করে গোয়েন্দারা। ব্রেকিং নিউজে তাকে বাঁশেরকেল্লা পেইজে এডমিন বলায় বেশ মুখিয়ে ছিলাম বাঁশেরকেল্লা পেইজের এডমিনের চেহারা কেমন হয় দেখার জন্য। কিন্তু টেলিভিশনে যখন ঐ ছেলেকে দেখানো হল, তখন মাথায় একটা প্রশ্ন উদয় হল। ‘আসলে বোকা কে? আমি নাকি গোয়েন্দাবাহিনী?’

যে ছেলেকে বাঁশেরকেল্লা পেইজের এডমিন হিসেবে গ্রেফতার করে নিয়ে এল, সে ফেসবুক শব্দটাই ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারেনি। আর গোয়েন্দাদের মত সেও বাঁশেরকেল্লাকে ওয়েবসাইট হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর তার Attitude দেখে আদৌ মনে হয়নি, সে ভালভাবে কম্পিউটার চালাতে পারে।

শুধু এটিই নয়, গত বছর টাঙ্গাইলের মাঝিপাড়া থেকে রাসেল বিন সত্তার (২১) নামের এক যুবককে আটক করেছিল র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির কথিত ভিডিও বার্তা ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছিল। পরববর্তিতে দেখা গেছে তাকেও বাঁশেরকেল্লার সাথে সম্পর্কিত করে প্রচার করতে।

দু’একটি ঘটনা নয় হরহামেশায়ই এরকম খবর চোখে পড়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত যতবারই এডমিনকে আটক করা হয়েছে, ততবারই বাঁশেরকেল্লা থেকে অস্বিকার করা হয়েছে। সর্বশেষ ফাহাদ নামক ঐ ব্যক্তিকে আটক করা হয় তখনো পেইজটি অস্বীকার করেছে। গণমাধ্যমে গোয়েন্দাদের মহা সাফল্যগাথা প্রচারের পর বাঁশেরকেল্লা নামক পেইজটি তাদের ফ্যানদের উদ্দেশ্য নোটিশাকারে একটি পোস্ট আপলোড করে। যাতে দাবী করা হয়- “ লিশের দাবি অস্বীকার করে বাঁশেরকেল্লার পক্ষ থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন টেলিভিশনে ও অনলাইন নিউজে ব্রেকিং নিউজ দেয়া হচ্ছে- ‘বাঁশেরকেল্লা পেইজের প্রধান এডমিন আটক। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনাদের প্রিয় পেইজ বাঁশেরকেল্লার প্রধান এডমিনসহ সকল এডমিন নিরাপদ আছেন, আলহামদুলিল্লাহ।’

নোটিশে আরো লেখা হয়েছে, ‘এর আগেও কয়েকবার এরকম নাটক করে এডমিন গ্রেপ্তারের গুজব ছড়িয়েছিল সরকার। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রন করার সাথে সাথে তারা স্যোশাল মিডিওয়ার উপরও কালো থাবা ফেলার অপচেষ্টা করে আসছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু জনতার কথা কি আর আটকে রাখা যায়!! সকলের কাছে দোয়া চাই, যেন অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও সব সময় আমরা সত্যের পথে অবিচল থেকে সাহসিকতার সাথে সত্য উন্মোচনের কাজ চালিয়ে যেতে পারি। আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করুন। আমীন।’

গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি’র দাবীকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে বাঁশেরকেল্লা। কারন তাদের প্রধান এডমিন যে গ্রেফতার হয়নি তার প্রমাণ আজ অবধি পেইজটির কার্যক্রম বন্ধ করা যায়নি।

যেহেতু পেউজটি বন্ধ হয়নি, সেহেতু ধরে নিতে হয় গোয়েন্দাসংস্থা জনগণের সাথে মিথ্যাচার করেছে অথবা প্রতারণা করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই প্রতারণা?

আসল কথা হচ্ছে, সরকার সংশ্লিষ্ট সকলে কাছেই বাঁশেরকেল্লা নামটি একটি আতংকের নাম। তীতুমীরের বাঁশেরকেল্লা যেমন জনগণের জন্য ছিল, তেমনি ফেসবুকে বাঁশেরকেল্লা পেইজটি জনগণের মুখপাত্র হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছে। যখন দেশের মিডিয়াগুলো ফিল্টারিং হয়ে সরকারের হয়ে গোয়েবলেসীয় প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে, তখন বাঁশেরকেল্লার আবির্ভাব হয়েছিল। শুধুমাত্র আদর্শিক কারনে আদালত পাড়া যখন ষড়যন্ত্রকারিদের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে, শাহবাগ আন্দোলন নামক নগ্ন খেলায় যখন ইসলাম পন্থীদের হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে, তখন এই বাঁশেরকেল্লা পেইজটি সফল হয়েছিল তাদের নগ্ন মিথ্যাচারকে মোকাবেলা করতে। বাঁশেরকেল্লার অবিরত চেষ্টায় দেশের মানুষের কাছে সত্য প্রস্ফুটিত হয়েছে। মিথ্যবাদিদের সেই গণ আন্দোলন (!) আজ মাঠে মারা গেছে। সরকারের যত নীল নকশা, তার সবই জনগণের চোখের সামনে তুলে ধরেছে এই বাঁশেরকেল্লা। তাই সরকার সেই ২০১৩ সাল থেকেই বাঁশেরকেল্লার পেছনে লেগেছে। হেন কোন পন্থা বাকি রাখেনি, যা তার অবলম্বন করেনি।

এ পর্যন্ত কয়েকবার বাঁশেরকেল্লা বন্ধ করেছে সরকার। যখনই বাঁশেরকেল্লা বন্ধ করেছে করকার তার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই বাঁশেরকেল্লা আবার চালু হয়েছে এবং মূহুর্তেই তার ফ্যান সংখ্যা লাখ পেরিয়ে গেছে। তাই সরকার এই পেইজটি এখন আর বন্ধ না করে নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করছে। প্রথমে পেইজটিতে ফিল্টারিং করে এবং ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অর্থ এবং অনুরোধ করে এর পোস্ট সমূহ যেন ফ্যানদের কাছে না পৌঁছে তার ব্যাবস্থা করেছে। এজন্য একজন প্রতিমন্ত্রী একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক কার্যালয়ে গমন করেছিলেন।

কিন্তু তারপরও থামেনি এর কার্যক্রম। তাই সরকার আরেকটি পন্থা অবলম্বন করেছে। কিছু ছেলে-পেলেকে আটক করে তাকে পেইজটির এডমিন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমাণ্ডে নিয়ে নাটক করে তারা। সরকার মনে করছে এতে সরকারের দাবীকে মিথ্যা প্রমাণ করতে বাঁশেরকেল্লা সংশ্লিষ্টরা সামনে আসবে এবং তাদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু সেই আশা গুড়েবালি প্রমাণিত হয়েছে।

সর্বশেষ কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের জনৈক জিয়াউদ্দিন ফাহাদকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দারা। এবার একধাপ এগিয়ে তাকে বাঁশেরকেল্লা পেইজের প্রধান এডমিন এবং ছাত্রশিবিরের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত করা হয়।

বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো এতটাই বোকা অথবা নগ্ন দলান্ধযে, তারা এটা চিন্তা করলনা, একজন প্রধান এডমিন এরেস্ট হলে পেইজটি কিভাবে চলে অথবা একটি রাজনৈতিক দলের প্রচার বিভাগের প্রধান সমন্বয়কের সাথে সেই দলটি কোন নেতা যোগাযোগ নেই কেন? আসল কথা হচ্ছে, তারা যা পেয়েছে, তা সরকারের জন্য গোয়েবলেসীয় পন্থায় জনগণকে গিলানো জন্য ওঠে পরে লেগে গেছে। সত্যটি উদঘাটনের তাদের যে নৈতিক কর্তব্য সেটা তারা ভুলে গেছে।

এখন কথা হচ্ছে, কে এই জিয়া উদ্দিন ফাহাদ? কী তার পরিচয়? বাঁশেরকেল্লার সাথে তার কী সম্পর্ক?

এসব জানার আগে বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোরের গত ১১ মার্চ বধবারের একটি সংবাদের কথা বলতে হবে। এইদিন রাত ৯.৪৫ টায় “ডিবি পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে তুলে আনার অভিযোগ” শিরোনামে একটি নিউজ আপলোড করা হয়। এতে বলা হয়, চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান খোন্দকার মোহাম্মদ ছমিউদ্দিনের ছেলে খোন্দকার জিয়াউদ্দিন ফাহাদকে (২৪) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

সংবাদে বলা হয়, ফাহাদের বাবা ছমির উদ্দিন একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এবং বর্তমানে সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। ফাহাদের গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

সংবাদটি বুধবারে প্রচারিত হলেও ফাহাদকে আটক করা হয় ৯ তারিখ সোমবার। অথচ গোয়েন্দারা প্রথমে অস্বীকার করলেও অবশেষে শুক্রবার স্বিকার করে এবং বলে যে, তাকে বৃহষ্পতিবার কুমিল্লা থেকে আটক করা হয়। অর্থাৎ আটকের চারদিন পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই দিন তাকে আট দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

রিমান্ডে নেয়ার পর ধাপে ধাপে বিষয়টি বাঁশেরকেল্লা থেকে ডাইভার্ট করা হচ্ছে। বর্তমানে ফাহাদ এবং তার বাবা মুক্তিযোদ্ধ কমান্ডার ছমিরউদ্দিনকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালির দুর্গম লুটমনি পাহাড়ে এ জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণের বিষ্ফোরক দ্রব্রের সাথে সংযোগ স্থাপন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সময় নিউজে এটি নিয়ে ইভেন্ট কাভারেজও করা হয়।

আসলেই কি তারা এর সাথে সম্পর্ক যুক্ত? এটি খতিয়ে দেখতে হলে দেখতে হবে কেন ফাহাদকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার না করে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে?

এর একটি বিশেষ কারন রয়েছে। আগেই বলা হযেছে, বাংলা নিউজের তথ্য মতে ফাহাদের পুরো পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত। তার বাবা আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়েই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ফাহাদ চট্টগ্রামের বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। তার বড় ভাই বাঁশখালী উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। ঘটনার নাটকীয়তা এখানেই লুকানো রয়েছে।

যেহেতু ফাহাদের বড় ভাই বাঁশখালী উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী, সেহেতু ধরে নিতে হবে, এখানে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অবশ্যই রয়েছে।

ফাহাদের বাঁশখালির নিউজ নামক একটি নিউজ পোর্টাল রয়েছে। কমিউনিটি সাংবাদিকতায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে ফাহাদের মত কিছু তরুণ এই পোর্টালটি শুরু করে। এখানে কয়েক মাস আগে বাঁশখালি উপজেলার কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ চাপে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ বাশখালি নিউজ পোর্টালটির ব্যাপারে বিভিন্ন হুমকি এবং থানায় অভিযোগ করে। কিন্তু তারা তখনও জানত না এই সাইটটি মূলত কে চালায়।

পরবর্তিতে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ ষ্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের খেলা দেখতে যায় ফাহাদ এবং তার বন্ধুরা। সেখানে তারা ছবি তুলে সেটা তাদের বাঁশখালির নিউজে চাপে। সেখানে ফাহাদের ছবি দেখে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ফাহাদকে চিনে ফেলে। পরবর্তিতে বাঁশখালি ছাত্রলীগের ফেসবুক পেইজ থেকে তাদের সেই ছবি এবং তার সংবাদগুলোর স্কিনশর্ট নিয়ে ছবি পোস্ট করে তার এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে পোস্ট করা হয়। এতে পদ হারানো ভয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ফাহাদের ভাই। এটা নিয়ে পারিবারিক কলহের কারনে ফাহাদের বাবা ছমিরউদ্দিন তাকে কুমিল্লায় তার বোনের বাসায় পাঠিয়ে দেন।

অনেক দিন সেখানে অবস্থান করে ফাহাদ। কিন্তু তার বাবা ভাইয়ের প্রতিদ্ধন্ধি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অপর অংশটি মোক্ষম সুযোগটি কাজে লাগায়। তারা তাদের বিরুদ্ধে নিউজের প্রতিশোধ নিতে ফাহাদকে গ্রেফতার করায়। কিন্তু গ্রেফতার হয়ে নতুন ষড়যন্ত্রের শিকার হন ফাহাদ। এ ব্যাপরে নিউজ বিডি সেভেন এর অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাতে বলা হয়, ফাহাদকে আটকের পর তার পরিবার থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করা হয়। টাকা না পেয়ে শেষে তাকে সবচেয়ে স্পর্শকাতর মামলার আসামী করা হয়।

নিউজ বিডির সংবাদে বলা হয়, কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের একজন সদস্য জানান, ফাহাদকে আটকে রেখে তার বাবার কাছে বিশাল অংকের টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ফাহাদকে ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারপর কিভাবে কী হয়েছে আমি জানি না।

আসল কথা হচ্ছে, বাঁশেরকেল্লা জুজুটি সরকারকে পেয়ে বসেছে। উঠতে, বসতে সরকার বাঁশেরকেল্লার বাঁশ খাওয়ার ভয়ে কাঁপে সারাক্ষণ। আর এই জুজুটিকে পুঁজি করে একদল অসাধু তাদের দুরভিসন্ধি হাসিল করে নিচ্ছে। আর তাদের সেই দুরভিসন্ধি অপরাজনীতির শিকার হতে হয় ফাহাদের মত নিরপরাধীদের। এভাবে চলতে থাকলে একদিন নিজ ঘরের সদস্যরাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। সেই দিন খুবই নিকটে। কারন সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত। মিথ্যার বিনাশ সত্য দ্বারা হবেই হবে। সেই দিন ফাহাদরা বিজয়ীর বেসে পতাকা ওড়াবে।

বিষয়: বিবিধ

৮৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File