@ আহমদ মুসার দ্বীতিয় বিয়ে, আমার কিছু ভাবনা @
লিখেছেন লিখেছেন নিউজিল্যান্ড প্রবাসী ১৮ মার্চ, ২০১৫, ০৩:৫১:৫৮ দুপুর
আহমদ মুসার দিতীয় বিয়ে সত্যিই দুঃখ জনক...আমি সাইমুম সিরিজ পড়া শুরু করি সেই 1999 সালে. তখন আমি সেভেনে পরি..তার পর আজ অব্দি প্রতেকটা বই কয়বার করে পড়েছি তার কোন হিসাব নেই.আমার জীবনে যতো বই পরেছি এটাই সম্ভবত সবচেয়ে ভালো লেগেছে. সাইমুম সিরিজের লেখক আবুল আসাদ সর্বশেষ খণ্ডে বহু জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আহমদ মুসাকে ডোনাজোসেফাইনকে রেখেই দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করালেন সারা জেফারসন কে।
আচ্ছা ইসলামে অনুমোদন আছে বলেই কি আরেকটি বিয়ে করতে হবে.?? যদিও প্রথম জনের অনুমতি ছিলো. কিন্তু তারতো গ্রহনযোগ্য কোন সমস্যা ছিলো না..
আসলে প্রত্যেক পুরুষের মনে একটা অব্যক্ত আশা থাকে, একখানা হারেমের।তারা মেয়েদের কাছে এই 'উদারতা'টা চান যে, মেয়েরা সতীনকে বোন মেনে নিবেন। বাহ!!ইসলামের এই যে 'অনুমোদিত' হালালের প্রতি তাদের যত আড় নজর, অবশ্য করণীয় ফরয, জামায়াতে নামাজ পড়ার জন্য তাদের এই তাড়না লক্ষ করা যায় না...আমি দেশে থাকতে কমবেশি ভাবলেও নিউজিল্যান্ড আসার পর এই বইটি ইংরেজীতে অনুবাদ করে বিধর্মী তরুণদের হাতে তুলে দেয়ার বিষয়ে সক্রিয় ভাবে চিন্তা ভাবনা করছিলাম. এখন মনে হয় আরেকটু ভাবতে হবে. কারন দ্বীতিয় বিয়ে নিয়ে মুুসলমানদের যতোই খায়েস এবং ভালো ধারনা থাকুক না কেন, বিধর্মীরা অবশ্যই খারাপ ধারণা পোষন করে .(চলব)....
বিষয়: বিবিধ
১৮৮২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবু আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না কারন ইসলামে যেটা এ্যালাও আমরা তার বিরুধীতা করতে পারি না ।
ইসলামে পুরুষদের জন্য চার বিয়ে জায়েজ প্রয়োজন সাক্ষেপে ।
আমার ধারনা এই বইয়ে নিশ্চয় দুই সতীনের চুলাচুলি নিয়ে লিখবে না , দুই সতীন যে দুই বোন হতে পারে এরকমই তুলে ধরবে । সেটা ইসলাম ধর্মেই সম্বব ।
তাই আমি মনে করি এটাও একটা দাওয়াত ।
কাজেই আপনার পক্ষে যদি সম্বব হয় ইংরেজী অনুবাদ করুন খারাপ হবে না । এটাও মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকার ।
কোন বইটাতে আছে?
কত নাম্বার???
যারা এক স্ত্রীর প্রচারক,সমর্থক, তারা কি প্রকৃত ‘একক জরায়ুগামী (মনোগাইনাস’)? অফিসিয়ালী এক স্ত্রী থাকলেও, বিয়ের পূর্বের গার্লফ্রেন্ড, সহকর্মী, এক রাতের মজা – ইত্যাকার অসংখ্য ‘পর্দার অন্তরালের ঘটনা এখানে রয়েছে। সেখানে দায়িত্ববোধ নেই, আছে মোহ আর ভোগ বাসনা! মুসলিমদের ‘প্রয়োজন ও সামর্থ থাকলে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের নিয়ম- রয়েছে, এটা ইসলামের দুর্বলতা নয়, বরং নারী সংখ্যা বৃদ্ধিতে, ‘ক্রমবর্ধমান সামাজিক সমস্যার এক সমাধান ও বটে। আর অনুমোদন অর্থ তো বাধ্যতামূলক নয়। অনুমোদন থাকলেই, কয়জন পুরুষের একাধিক স্ত্রী রয়েছে? কয়জনের ‘সামর্থ রয়েছে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের? ইসলামের একাধিক বিয়ে অনুমোদনের বৈধ আইনকে ‘চেপে না গিয়ে, বরং এর কার্যকর দিক গুলো ব্যখ্যা করাই উত্তম বলে আমার মনে হয়। ধন্যবাদ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন