নামাযে মনোযোগী হবার একটি পদ্ধতি ..

লিখেছেন লিখেছেন নিউজিল্যান্ড প্রবাসী ১৫ মার্চ, ২০১৫, ০৬:৪৯:০৫ সন্ধ্যা

আমরা যখন নামাজে দাড়াই তখন শয়তান আমাদের অন্তরে নানারকম প্ররোচনা দিয়ে নামাজে অমনোযোগী করে তুলা চেষ্টা করে, এতে অনেকের বেলায় শয়তান সফল হয় আবার অনেকের বেলায় শয়তান সফল হতে পারেনা।

এর থেকে বাঁচতে হলে ও নামাজ শুদ্ধভাবে পড়তে হলে আমরা যদি নামাযে যাহা পড়ি মেশিনের মতো না পড়ে বুঝে পড়ার চেষ্টা করতাম তাহলে ইন শা আল্লাহ্ শয়তান আমাদের নামাজকে নষ্ট করতে সফল হতে পারবে না ....

আজ আপনাদেরকে কিভাবে সুরা ফাতিহাতে মনোযোগ রাখবেন সেই সম্পর্কে আলোচনা করব ।

আপনাদের নিকট আমার অনুরোধ, যদি লেখাটি আপনার উপকারে আসে তাহলে অন্তত আপনার বন্ধু কিংবা আপনজনদের শেয়ার করবেন।

আল্লাহ এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় প্রদান করবেন।

নামাযে সূরা ফতিহা পড়ার সময় এ হাদীসটির কথা খেয়ালে রাখলে এক একটি আয়াত পড়ার পর আল্লাহর প্রেমময় জওয়াবটা মনের কানে শুনবার জন্য বান্দাহকে থামতেই হবে। আল্লাহর জওয়াবে যে তৃপ্তি ও শান্তি তা তারাই বোধ করতে পারে, যারা আয়াতগুলো ধীরে ধীরে মজা নিয়ে পড়ে।

এ হাদীসে মহব্বতের এমন অগ্নিকণা রয়েছে যে,

বান্দার দিলে ঈমানের বারুদ থাকলে এবং নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার সময় আল্লাহর আবেগময় কথার দিকে খেয়াল করলে আল্লাহর প্রতি ভালবাসার এমন আগুন জ্বলে উঠবে যে, জযবায় বান্দাহ নিজেকে মনিবের অতি কাছে বলে অনুভব করবে।

আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ...

পড়ে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করতে হবে।

হাদীসে আছে যে সূরা ফাতিহার এক এক অংশ তিলাওয়াত করার সাথে সাথে আল্লাহ এর জওয়াব দেন। এ হাদীসের কথাগুলো এমন আবেগময় ভাষায় বলা হয়েছে যা বান্দাহর মনে গভীর দোলা দেয়। হাদীসটি নিম্নরূপ :

হাদিসটির অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত।

তিনি বলেলন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি :

আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাযকে আমার ও আমার বান্দাহর মধ্যে দুভাগে ভাগ করেছি।

আর আমার বান্দাহ আমার নিকট যা চায় তাই পাবে।

বান্দাহ যখন বলে, ‘‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।”

অর্থ :যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল

সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

তখন আল্লাহ বলেন , “ আমার বান্দাহ আমার প্রশংসা করল।”

যখন বান্দাহ বলে “আর রাহমানির রাহীম”।

অর্থ :যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।

তখন আল্লাহ বলেন আমার বান্দাহ আমার গুণ গাইল”

যখন বান্দাহ বলে “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন ”

অর্থ :যিনি বিচার দিনের মালিক।

তখন আল্লাহ বলেন “আমার বান্দাহ আমার গৌরব বর্ণনা করল”

যখন বান্দাহ বলে, “ইয়্যাকা না বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন

অর্থ :আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

তখন আল্লাহ বলেন “এ বিষয়টা আমার ও আমার বান্দাহর মাঝেই রইল । আর আমার বান্দাহর জন্য তাই যা সে চাইল (অর্থাৎ আমার ও আমার

বান্দাহর মধ্যে এ চুক্তি হলো যে সে আমার কাছে চাইবে, আর আমি তাকে দেব)।

যখন বান্দাহ বলে “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম সিরাতাল্লাযীনা আন আমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ দোয়াললীন”

অর্থ :আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,

সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।"

তখন আল্লাহ বলেন এটা আমার বান্দাহর

জন্যই রইল আর আমার বান্দাহর জন্য তা ই যা সে চাইল।”

বিষয়: বিবিধ

১২২০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

309110
১৫ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০২
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমি যতবার নামাজে গভীর মনোযোগ দিতে যাই,ততবার ব্যর্থ হই। শয়তান একেবারে মনে,কানে মলম লাগিয়ে দেয়। এমনকি হাদীস পড়ার পরও দেখা যায় অধিক মনোযোগী হতে পারছি না। আপনি অারও বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব। আমার জন্যে দোয়া করুন,যাতে আমি আল্লাহর অনুগত বান্দা হতে পারি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File