বলার জায়গা থেকে বলা
লিখেছেন লিখেছেন দিগন্তের সূর্য ০৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৯:৪২:১৩ রাত
জনতার দাবি বলে আর কিছু নাই। সব কিছু নেতার দাবিতে পরিণত হয়েছে। আধুণিক গণতন্ত্রকেও এমনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে যে, জনতা নয়- নেতাই সব। ফলে জনতা এখন গৌণ নেতাই প্রধান। নেতার বলা জনতার বলা, নেতার খাওয়া জনতার খাওয়া, নেতার বসা জনতার বসা। নেতা-ই জনতা- জনতা কেউ নয়।
জাফরুল্লাহ বললে সেটা হয় বাক-স্বাধিনতার সীমালঙ্ঘন। কিন্তু ‘ধর্মকারী’ ব্লগ টিকে থাকবে স্বমহিমায়! কারণ এটাই প্রকৃত বাক-স্বাধিনতা। মাহমুদুর রহমান বললে সেটা হয় উস্কানী কিন্তু গাচৌ বললে সেটা হয় প্রজ্ঞা! অর্থাৎ এখানে নেতার ও নেতার চেলা সমর্থক হলে সমস্যা নাই কিন্তু মুসলিম স্বার্থ, জনতার স্বার্থ নিয়ে লিখলে- বললে সেটা হয় সীমালঙ্ঘন। ঐযে, নেতা-ই জনতা, নেতা-ই ধর্মনেতা। এর বাইরে কিচ্ছু নেই, থাকতেও নেই।
আমাদের বাংলাদেশে আজ সব কিছুকে নেতার আলোকেই ব্যাখ্যা এবং সজ্ঞায়িত করা হচ্ছে। ফলে নেতার বিরোধীরা আজ জনতার অংশ নয়। তারা পাকিস্তানী, তারা রাজাকার। এদের নির্মল করা জরুরী। নির্মল না করা পর্যন্ত ঘুষ, দূর্নীতি, ধর্ষণ, ক্রস ফায়ার, গুম, খুন সব কিছু বৈধ। চালিয়ে যাও সব অপকর্ম। নেতা তো আছেই। টিভির ঝকঝকাা পর্দায় নেতা আপনার পক্ষেই বলে দিবে “দেশের সব কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। দুই একটা যা হচ্ছে তা আমেরিকাতেও হয়।” ব্যস নেতার চেলা মুক্ত।
তবে, এ সবের বিপরীতে একদল তরুণ ক্রিটিক যোদ্ধা প্রস্তুত হয়ে গেছে সব কিছু ভেঙে ফেলতে। তারা স্বপ্ন দেখছে ভেঙে নতুন করে গড়ার।
এটাই কাম্য ছিল। বলার স্পেস যখন থাকে না তখন ভেঙে ফেলতে একদল প্রস্তুত হবেই। যুগে যুগে তাই দেখা গেছে। ভবিষ্যতেও তাই দেখা যাবে। এটাই নিয়ম। নিয়মে বাঁধা জগতে এটার পুনরাবৃত্তি ঘটে থাকে।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সত্যের বিজয় অনিবার্য,
মিথ্যার বিণাশ অবশ্যম্ভাবী,
সত্যের সাথে থাকা মানুষের কর্তব্য!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন