রাজনৈতিক হত্যাকান্ড
লিখেছেন লিখেছেন দিগন্তের সূর্য ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:৩০:৩৭ রাত
জীবনের খেলাঘরে মানুষ কত কিছুই না দেখে! কখনো কখনো কোন মিথ্যাকে এমন তীব্র সত্যাকারে দেখে যে, প্রকৃত সত্যটা জানার তৃষ্ণা নিয়ে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে। যেমন, আমার বড়ই সাধ হয় তিরিশ লাখ তেলেসমাতি সত্যটি সরকারীভাবে জানতে!
আমার কাছে তিরিশ লাখের তেলেসমাতির মতই বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ইস্যু। যুদ্ধাপরাধে বিচার হয়, ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু বাংলাদেশে যাদের বিচার করা হলো এবং হচ্ছে এটা কি আসলেই বিচার নাকি হত্যাকান্ড? এই প্রশ্ন থাকবে ইতিহাসের সত্য নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত।
যুদ্ধাপরধীরা কখনই সমাজের সাথে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে চলতে পারে না। নাৎসীরা পারে নি, বসনিয়ার কসাইরা পারে নি। কিন্তু অদ্ভুত হলেও সত্য বাংলাদেশের কথিত কসাইরা পেরেছে! স্বাধীনতার পর এরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছে, কলেজে শিক্ষকতা করেছে! প্রেসক্লাবে দায়িত্ব পালন করেছে! জন-প্রতিনিধি হয়েছে! এমন কি, এদের একজন আমৃত কারাদন্ড প্রাপ্ত কসাইটা যদি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ পায়, তাহলে নিশ্চিত বলা যায়-----! এরা আশ্চার্য অপরাধী, অদ্ভুত কসাই! এই বিচার থেকে পৃথিবী নিশ্চিত নতুন এক অভিজ্ঞতা লাভ করল।
আমাদের মিডিয়া মুহাম্মদ কামারুজ্জামান সাহেবের জীবনী সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছে। তাঁর জম্ম তারিখ, একাডেমিক পড়া-লিখা, প্রাথমিক শিক্ষা তিনি কোথায় শেষ করেছেন, গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন কি-না ইত্যাদি বিষয়গুলি আমাদের মিডিয়াগুলি সযত্মে এড়িয়ে গিয়ে তাকে কসাই প্রমাণ করতে তাদের মেধার সবটুকু ব্যয় করেছে।মিডিয়ার লোকেরা জানে, তার জীবনী যদি আলোচনা করা হয় তাহলে তাঁকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং বামপন্থী কট্টোর সমর্থকরাও মেনে নিবে না।
মুহাম্মদ কামরুজ্জামান স্বাধীনতার পর বীরদর্পে তার স্টাডি চালিয়ে গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টাডি করেছেন!! ১৯৬৭ সালে এসএসসি দিয়েছেন! ১৯৬৭ সালে এসএসসি!? এই লোক নাকি গণত্যার নায়ক! তারপরও ইতিহাসের দিকে তাকালে কয়েকজন বীর বালক সম্পর্কে জানা যায়। ধরেই নিলাম, বালক কামারুজ্জামান একজন গণহত্যাকারী, একজন ধর্ষক! কিন্তু প্রশ্ন চলে আসে, গণহত্যার নায়ক হিসেবে পরিচিত একজন বালক কোন শক্তিবলে স্বাধীনতার পর রাজধানীর বুকে বিচরণ করতে পারে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে পারে? একই প্রশ্ন প্রযোজ্য কথিত কসাই কাদের ওরফে কাদের মোল্লার ক্ষেত্রেও।
খুব সহজ সমীকরণ। ওরা রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার।এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত শক্তিশালী মিডিয়া বাহিনী।ওরা ইসলাম বিরোধী এক বলয় তৈরি করতে চেয়েছে, অনেকাংশে সফলও বটে। একজন বোধ শক্তি সম্পন্ন মানুষ খুব সহজেই বলে দিতে পারে, কাদের মোল্লা এবং মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার।
লক্ষ লক্ষ আওয়ামী সমর্থক আছে যারা শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সাহেব এবং মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদানের কারণে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। এরা যদি একবার কোন কারণে আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই তাহলে দলটির পতন অনিবার্য। আর আওয়ামী লীগের পতন মানে এদেশের সব ইসলাম বিদ্বেষীদের পতন। এদেশীয় ইসলাম বিদ্বেষীরা আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চেপে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে চলেছে বারবার!
আওয়ামী লীগকে জীবিত করে রাখার স্বার্থেই বাংলাদেশে প্রগতিশীল দাবিদার মিডিয়াগুলি জামাআত নেতাদের একাত্তরের কথিত অপরাধের বর্ণনা ছাড়া একাত্তরের পূর্বে এবং পরের অলোচনা যত্মসহকারে এড়িয়ে যান। জামাআত নেতাদের বয়স এবং স্বাধীনতার পরে তাদের পড়া লেখার ইতিহাস এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা মিডিয়াগুলি যদি তুলে ধরত তাহলে নিশ্চিত, বাংলাদেশে এক নিরব বিপ্লব সংঘটিত হতো। সেই বিপ্লব হতো মিথ্যার বিপরীতে সত্যের পক্ষে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উত্তর : রাজাকার বলতে আওয়ামীলীগের মেশিন দিয়ে যার নাম রাজাকার হিসেবে বের হবে সেই ব্যক্তিকে রাজাকার বলে। রাজাকার পুরো একটা দলকে ও বলা যাবে যদি আওয়ামীলীগের মেশিনে সেই দলের নাম বের হয়।
রাজাকার দুই প্রকার ,পূর্ণ বয়স্ক রাজাকার এবং চেতনায় রাজাকার।
রাজাকারের উদাহর কলকাতার হারবাল ছাড়া ৩০ দিনে ১৭০ ধর্ষণ করার ক্ষমতা রাখে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন