১৯৭১ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
লিখেছেন লিখেছেন মেঘে ঢাকা আকাশ ১৩ মার্চ, ২০১৫, ০৯:২১:৫৮ সকাল
১৯৭১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভুমি,ইতিহাস আমরা সকলেই কম বেশি জানি।কিন্তু যা জানিনা তাই নিয়েই আজকের আলোচনা এবং শেষে আপনাদের উদ্দ্যেশ্যে একটি প্রশ্ন থাকবে
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র গঠিত হয়।পাকিস্তান রাষ্ট্রের দুটি ভাগ।পুর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান।পশ্চিম পাকিস্তান থেকেই মুলত এই বিশাল ভুখন্ডের পরিচালনা করা হত।তাই পশ্চিম পাকিস্তান ছিল পুর্ব পাকিস্তানের চেয়ে তুলনা মুলক উন্নত।চাকরী,ব্যবসা-বানিজ্য,শিক্ষা সব দিক থেকে পশ্চিম পাকিস্তান ছিল এগিয়ে।যা পুর্ব পাকিস্তানের মানুষ কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি।বার বার সংসদে,রাজপথে তাদের দাবি গুলো সরকারের কাছে তুলে ধরলেও তাতে পাকিস্তান সরকার কোনপ্রকার কর্নপাত করেনা।উল্টো আরো সরকারী শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধীদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা চালানো হয়।সবশেষে ১৯৭০সালে একক সংখাগরিষ্ঠতা পেয়ে তখনকার সংসদের প্রধান বিরোধীদল আওয়ামীলীগ নির্বাচনে জয়ী হয়।কিন্তু ক্ষমতাসীন পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে।
৭ই মার্চ ১৯৭১।আমাদের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক এক ভাষন দেন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে।কিন্তু তার দীর্ঘ ভাষনের কোথাও স্বাধীনতার ঘোষনা ছিলনা।যার দরুন বাংলার মানুষ ও তার নিজের দল আওয়ামীলীগের নেতাদের মনেও একটি প্রশ্নের উত্থান হয়।ঠিক মার্চ মাসেই পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহহিয়া খান ঢাকায় আসেন শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বৈঠকের জন্য।কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিদের জন্য শেখ মুজিব সেই বৈঠক করতে পারেন নাই।সংলাপের কোন প্রকার সম্ভাবনা না দেখে ২৪শে মার্চ হঠাৎই পাকিস্তান উড়াল দেন পাকিস্তানের উদ্দে্যশ্যে।কিন্তু যাওয়ার আগে সকল সামরিক বাহিনী,এম্পি মন্ত্রীদের সাথে তিনি এক রুদ্ধদার বৈঠক করেন।কি আলোচনা হয়েছিল তা আমরা ২৫শে মার্চের রাতের দিকে তাকালেই দেখতে পারি।২৬মার্চ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।কিন্তু পাকিস্তান সরকার সকল এমপি,মন্ত্রীদের বলে তোমরা যার যার নিজ এলাকায় চলে যাও।সেখানে শান্তি কমিটি গঠন করো।যে করেই হোক মুক্তিযোদ্ধাদের থামাতে হবে।তা ফলশ্রুতিতেই পরবর্তিতে রাজাকার বাহিনী,আল বদর বাহিনীর উত্থান ঘটে এদেশে।তারা মুক্তিযুদ্ধের ৯ টি মাস আমাদের দেশের মানুষের রক্ত চুষে খায়।তারা প্রায় এই নয় মাসে প্রায় ৩০লক্ষ মানুষকে হত্যা করে।হাজারো মানুষ হয় নির্যাতিত।
এতক্ষন আমি পুরনো ইতিহাস নতুন করে বলেছি।কিন্তু এবার সেই সময়টার সাথে বর্ত্মান বাংলাদেশের মিল গুলো বলছি।
বর্তমান সময়ে ক্ষমতাসীন দল কোনভাবেই সংলাপে বসবে না।তারা বিরোধীদলের সকল প্রকার আন্দোলন গায়ের জোরেই বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে।ক্ষমাতাসীন দল বিরোধীদলের কোন দাবির দিকে ভ্রুক্ষেপ না করেই তাদের মন গড়া নিয়মে দেশ চালাচ্ছে।এদিকে বিরোধীদল যখন দেখলো তাদের কোন কথার মুল্য ক্ষমতাসীন দের কাছে নেই তখন তারা হরতাল,অবরোধের মত সহিংস আন্দোলনের দিকে পা বাড়াল।ঠিক সেই সময়েই ক্ষমতাসীন দল সরকারী বাহিনী এবং সরকারী এমপিদের হুকুম দিল যার যার নিজ এলাকায় ফিরে যাও আর শান্তি কমিটি গঠন করো।যে ভাবেই হোক বিরোধীদলকে থামাতেই হবে।আর তার ফলশ্রুতিতেই আজ সারা দেশে আগুন জ্বলছে।
আপনাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন,এই পরিস্থিতিতে আমাদের কি করা উচিৎ?
বিষয়: বিবিধ
১১২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন