বুদ্ধিমানরা প্রথমে যাচাই করে
লিখেছেন লিখেছেন ঘুমন্ত মানব ২৭ মার্চ, ২০১৫, ১২:১২:৪৭ রাত
'সকাল বেলা খালিপেটে যা খেলে
ওজন কমে'
সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান করা
নাকি শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু কতটা
পানি পান করবেন? অনেকে বলেন খালি
পেটে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে বাড়ে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অনেকে বলেন গরম
পানির সাথে লেবু আর মধু মিশিয়ে খেলে
কমে ওজন। কারো কারো আবার খালি পেটে
এক কাপ চা না হলে চলেই না। কিন্তু এসবের
কোনটা ভালো আপনার জন্য আর কোনটা
ক্ষতি করছেন? জেনে নিন সকাল বেলা
খালি পেটে কী খেলে ওজন কমে ও শরীর
থাকে নীরোগ।
#পানি
হ্যাঁ, সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান
করা ভালো। কিন্তু খুব বেশী পানি নয়। ঘুম
থেকে ওঠার পর এক গ্লাস স্বাভাবিক
তাপমাত্রার পানি আপনার শরীরের পানি
শুন্যতা দূর করবে, শরীরকে সতেজ করে তুলবে,
সচল করে তুলবে পাকস্থলী, বাড়াবে হজম
ক্ষমতা ও কমাবে ওজন। তবে ঠাণ্ডা পানি নয়,
স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি বা কুসুম গরম
পানি। এক গ্লাস পানিও এক সাথে পান না
করে কয়েক চুমুকে পান করুন। এর চাইতে বেশী
পানি খেতে চাইলে একটু বিরতি দিয়ে অল্প
অল্প করে পান করুন। একসাথে বেশী যে কোন
কিছুই চাপ ফেলে পাকস্থলীতে।
#রসুন
গবেষকরা বলেন যে সকাল বেলা খালি পেটে
এক কোয়া রসুন চিবিয়ে বা পানি দিয়ে
গিলে খেয়ে ফেললে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা, সারে পেটের অসুখ সহ হজমের যে
কোন গণ্ডগোল। তবে বেশী নয়, বড় এক কোয়াই
যথেষ্ট। যারা দীর্ঘদিন যাবত পেটের অসুখে
ভুগছেন, তাঁরা এটা খেতে পারেন। বলা হয়ে
থাকে যা হার্টের অসুখ ও সর্দি-কাশি
সারাতেও এটা উপকারী, তবে এখনো
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়।
#মধু-পানি-লেবু
হ্যাঁ, এটি একটি উপকারী পানীয়। তবে কাঁচা
লেবু নয়, পাকা লেবুর রস। যাদের এসিডিটির
সমস্যা আছে তাঁরা লেবুটা বাদ দিয়ে শুধু
হালকা গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে পান
করবেন। এক কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ মধু ও
১ চা চামচ লেবুর রসই যথেষ্ট। বেশী লেবুর
রসে পাকস্থলীর সমস্যা হতে পারে। তবে মনে
রাখবেন, এই পানীয়টি "ফ্যাট কাটায়" না। এই
পানীয়টি আপনার মেটাবোলিজম বাড়ায়,
ফলে ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
এছাড়াও বৃদ্ধি করে দেহের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা।
#চা-কফি
সকাল বেলা খালি পেটে চা বা কফি
খাওয়ার অভ্যাসটি খুব খারাপ। সেটা গ্রিন
টি বা রঙ চা হলেও। চা বা কফি যেটাই পান
করুন না কেন, সেটা পান করতে হবে সকালের
নাস্তার পর এবং অবশ্যই আধা ঘণ্টার বিরতি
দিয়ে।
#টিপস-
একই সাথে এটাও মনে রাখবেন যে সকালের
নাস্তায় খেতে হবে হাই প্রোটিন ও হাই
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ভাজা পোড়া
একেবারেই পরিহার করতে হবে সকালের
নাস্তায়।
বিষয়: বিবিধ
১০৯১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন